UAE Prayer Times

  • Dubai
  • Abu Dhabi
  • Sharjah
  • Ajman
  • Fujairah
  • Umm Al Quwain
  • Ras Al Khaimah
  • Quran Translations

Surah Ash-Shuara - Bengali Translation by Muhiuddin Khan


طسٓمٓ

ত্বা, সীন, মীম।
Surah Ash-Shuara, Verse 1


تِلۡكَ ءَايَٰتُ ٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ

এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
Surah Ash-Shuara, Verse 2


لَعَلَّكَ بَٰخِعٞ نَّفۡسَكَ أَلَّا يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ

তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 3


إِن نَّشَأۡ نُنَزِّلۡ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ءَايَةٗ فَظَلَّتۡ أَعۡنَٰقُهُمۡ لَهَا خَٰضِعِينَ

আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 4


وَمَا يَأۡتِيهِم مِّن ذِكۡرٖ مِّنَ ٱلرَّحۡمَٰنِ مُحۡدَثٍ إِلَّا كَانُواْ عَنۡهُ مُعۡرِضِينَ

যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 5


فَقَدۡ كَذَّبُواْ فَسَيَأۡتِيهِمۡ أَنۢبَـٰٓؤُاْ مَا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ

অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 6


أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَى ٱلۡأَرۡضِ كَمۡ أَنۢبَتۡنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوۡجٖ كَرِيمٍ

তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।
Surah Ash-Shuara, Verse 7


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 8


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 9


وَإِذۡ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئۡتِ ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ

যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও
Surah Ash-Shuara, Verse 10


قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَۚ أَلَا يَتَّقُونَ

ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না
Surah Ash-Shuara, Verse 11


قَالَ رَبِّ إِنِّيٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ

সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 12


وَيَضِيقُ صَدۡرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرۡسِلۡ إِلَىٰ هَٰرُونَ

এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।
Surah Ash-Shuara, Verse 13


وَلَهُمۡ عَلَيَّ ذَنۢبٞ فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ

আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 14


قَالَ كَلَّاۖ فَٱذۡهَبَا بِـَٔايَٰتِنَآۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسۡتَمِعُونَ

আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব।
Surah Ash-Shuara, Verse 15


فَأۡتِيَا فِرۡعَوۡنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল।
Surah Ash-Shuara, Verse 16


أَنۡ أَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ

যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও।
Surah Ash-Shuara, Verse 17


قَالَ أَلَمۡ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدٗا وَلَبِثۡتَ فِينَا مِنۡ عُمُرِكَ سِنِينَ

ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ।
Surah Ash-Shuara, Verse 18


وَفَعَلۡتَ فَعۡلَتَكَ ٱلَّتِي فَعَلۡتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلۡكَٰفِرِينَ

তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।
Surah Ash-Shuara, Verse 19


قَالَ فَعَلۡتُهَآ إِذٗا وَأَنَا۠ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ

মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 20


فَفَرَرۡتُ مِنكُمۡ لَمَّا خِفۡتُكُمۡ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكۡمٗا وَجَعَلَنِي مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 21


وَتِلۡكَ نِعۡمَةٞ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنۡ عَبَّدتَّ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ

আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।
Surah Ash-Shuara, Verse 22


قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَمَا رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি
Surah Ash-Shuara, Verse 23


قَالَ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ

মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
Surah Ash-Shuara, Verse 24


قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَهُۥٓ أَلَا تَسۡتَمِعُونَ

ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না
Surah Ash-Shuara, Verse 25


قَالَ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ

মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।
Surah Ash-Shuara, Verse 26


قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ ٱلَّذِيٓ أُرۡسِلَ إِلَيۡكُمۡ لَمَجۡنُونٞ

ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।
Surah Ash-Shuara, Verse 27


قَالَ رَبُّ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُمۡ تَعۡقِلُونَ

মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।
Surah Ash-Shuara, Verse 28


قَالَ لَئِنِ ٱتَّخَذۡتَ إِلَٰهًا غَيۡرِي لَأَجۡعَلَنَّكَ مِنَ ٱلۡمَسۡجُونِينَ

ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।
Surah Ash-Shuara, Verse 29


قَالَ أَوَلَوۡ جِئۡتُكَ بِشَيۡءٖ مُّبِينٖ

মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি
Surah Ash-Shuara, Verse 30


قَالَ فَأۡتِ بِهِۦٓ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ

ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 31


فَأَلۡقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعۡبَانٞ مُّبِينٞ

অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 32


وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِيَ بَيۡضَآءُ لِلنَّـٰظِرِينَ

আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।
Surah Ash-Shuara, Verse 33


قَالَ لِلۡمَلَإِ حَوۡلَهُۥٓ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ عَلِيمٞ

ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর।
Surah Ash-Shuara, Verse 34


يُرِيدُ أَن يُخۡرِجَكُم مِّنۡ أَرۡضِكُم بِسِحۡرِهِۦ فَمَاذَا تَأۡمُرُونَ

সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি
Surah Ash-Shuara, Verse 35


قَالُوٓاْ أَرۡجِهۡ وَأَخَاهُ وَٱبۡعَثۡ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ

তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন।
Surah Ash-Shuara, Verse 36


يَأۡتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٖ

তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।
Surah Ash-Shuara, Verse 37


فَجُمِعَ ٱلسَّحَرَةُ لِمِيقَٰتِ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ

অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল।
Surah Ash-Shuara, Verse 38


وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلۡ أَنتُم مُّجۡتَمِعُونَ

এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও।
Surah Ash-Shuara, Verse 39


لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ ٱلسَّحَرَةَ إِن كَانُواْ هُمُ ٱلۡغَٰلِبِينَ

যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 40


فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالُواْ لِفِرۡعَوۡنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجۡرًا إِن كُنَّا نَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبِينَ

যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো
Surah Ash-Shuara, Verse 41


قَالَ نَعَمۡ وَإِنَّكُمۡ إِذٗا لَّمِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ

ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 42


قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلۡقُواْ مَآ أَنتُم مُّلۡقُونَ

মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 43


فَأَلۡقَوۡاْ حِبَالَهُمۡ وَعِصِيَّهُمۡ وَقَالُواْ بِعِزَّةِ فِرۡعَوۡنَ إِنَّا لَنَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبُونَ

অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব।
Surah Ash-Shuara, Verse 44


فَأَلۡقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلۡقَفُ مَا يَأۡفِكُونَ

অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।
Surah Ash-Shuara, Verse 45


فَأُلۡقِيَ ٱلسَّحَرَةُ سَٰجِدِينَ

তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 46


قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 47


رَبِّ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ

যিনি মূসা ও হারুনের রব।
Surah Ash-Shuara, Verse 48


قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِي عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَٰفٖ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ أَجۡمَعِينَ

ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব।
Surah Ash-Shuara, Verse 49


قَالُواْ لَا ضَيۡرَۖ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ

তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।
Surah Ash-Shuara, Verse 50


إِنَّا نَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَٰيَٰنَآ أَن كُنَّآ أَوَّلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।
Surah Ash-Shuara, Verse 51


۞وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَسۡرِ بِعِبَادِيٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ

আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 52


فَأَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ

অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল
Surah Ash-Shuara, Verse 53


إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ لَشِرۡذِمَةٞ قَلِيلُونَ

নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
Surah Ash-Shuara, Verse 54


وَإِنَّهُمۡ لَنَا لَغَآئِظُونَ

এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 55


وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَٰذِرُونَ

এবং আমরা সবাই সদা শংকিত।
Surah Ash-Shuara, Verse 56


فَأَخۡرَجۡنَٰهُم مِّن جَنَّـٰتٖ وَعُيُونٖ

অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 57


وَكُنُوزٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ

এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।
Surah Ash-Shuara, Verse 58


كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ

এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক।
Surah Ash-Shuara, Verse 59


فَأَتۡبَعُوهُم مُّشۡرِقِينَ

অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
Surah Ash-Shuara, Verse 60


فَلَمَّا تَرَـٰٓءَا ٱلۡجَمۡعَانِ قَالَ أَصۡحَٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدۡرَكُونَ

যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 61


قَالَ كَلَّآۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهۡدِينِ

মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 62


فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡبَحۡرَۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرۡقٖ كَٱلطَّوۡدِ ٱلۡعَظِيمِ

অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 63


وَأَزۡلَفۡنَا ثَمَّ ٱلۡأٓخَرِينَ

আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 64


وَأَنجَيۡنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ

এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 65


ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ

অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 66


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।
Surah Ash-Shuara, Verse 67


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 68


وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ إِبۡرَٰهِيمَ

আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।
Surah Ash-Shuara, Verse 69


إِذۡ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦ مَا تَعۡبُدُونَ

যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর
Surah Ash-Shuara, Verse 70


قَالُواْ نَعۡبُدُ أَصۡنَامٗا فَنَظَلُّ لَهَا عَٰكِفِينَ

তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।
Surah Ash-Shuara, Verse 71


قَالَ هَلۡ يَسۡمَعُونَكُمۡ إِذۡ تَدۡعُونَ

ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি
Surah Ash-Shuara, Verse 72


أَوۡ يَنفَعُونَكُمۡ أَوۡ يَضُرُّونَ

অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে
Surah Ash-Shuara, Verse 73


قَالُواْ بَلۡ وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا كَذَٰلِكَ يَفۡعَلُونَ

তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।
Surah Ash-Shuara, Verse 74


قَالَ أَفَرَءَيۡتُم مَّا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ

ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।
Surah Ash-Shuara, Verse 75


أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُمُ ٱلۡأَقۡدَمُونَ

তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা
Surah Ash-Shuara, Verse 76


فَإِنَّهُمۡ عَدُوّٞ لِّيٓ إِلَّا رَبَّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।
Surah Ash-Shuara, Verse 77


ٱلَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهۡدِينِ

যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন
Surah Ash-Shuara, Verse 78


وَٱلَّذِي هُوَ يُطۡعِمُنِي وَيَسۡقِينِ

যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন
Surah Ash-Shuara, Verse 79


وَإِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ يَشۡفِينِ

যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 80


وَٱلَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحۡيِينِ

যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 81


وَٱلَّذِيٓ أَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لِي خَطِيٓـَٔتِي يَوۡمَ ٱلدِّينِ

আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 82


رَبِّ هَبۡ لِي حُكۡمٗا وَأَلۡحِقۡنِي بِٱلصَّـٰلِحِينَ

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর
Surah Ash-Shuara, Verse 83


وَٱجۡعَل لِّي لِسَانَ صِدۡقٖ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ

এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 84


وَٱجۡعَلۡنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ

এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 85


وَٱغۡفِرۡ لِأَبِيٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ

এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম।
Surah Ash-Shuara, Verse 86


وَلَا تُخۡزِنِي يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ

এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না
Surah Ash-Shuara, Verse 87


يَوۡمَ لَا يَنفَعُ مَالٞ وَلَا بَنُونَ

যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 88


إِلَّا مَنۡ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلۡبٖ سَلِيمٖ

কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 89


وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ

জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 90


وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِلۡغَاوِينَ

এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 91


وَقِيلَ لَهُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ

তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে।
Surah Ash-Shuara, Verse 92


مِن دُونِ ٱللَّهِ هَلۡ يَنصُرُونَكُمۡ أَوۡ يَنتَصِرُونَ

আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে
Surah Ash-Shuara, Verse 93


فَكُبۡكِبُواْ فِيهَا هُمۡ وَٱلۡغَاوُۥنَ

অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে।
Surah Ash-Shuara, Verse 94


وَجُنُودُ إِبۡلِيسَ أَجۡمَعُونَ

এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।
Surah Ash-Shuara, Verse 95


قَالُواْ وَهُمۡ فِيهَا يَخۡتَصِمُونَ

তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ
Surah Ash-Shuara, Verse 96


تَٱللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ

আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 97


إِذۡ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য গন্য করতাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 98


وَمَآ أَضَلَّنَآ إِلَّا ٱلۡمُجۡرِمُونَ

আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 99


فَمَا لَنَا مِن شَٰفِعِينَ

অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
Surah Ash-Shuara, Verse 100


وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٖ

এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই।
Surah Ash-Shuara, Verse 101


فَلَوۡ أَنَّ لَنَا كَرَّةٗ فَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 102


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 103


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 104


كَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوحٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 105


إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ

যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই
Surah Ash-Shuara, Verse 106


إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক।
Surah Ash-Shuara, Verse 107


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 108


وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 109


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 110


۞قَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلۡأَرۡذَلُونَ

তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা
Surah Ash-Shuara, Verse 111


قَالَ وَمَا عِلۡمِي بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার
Surah Ash-Shuara, Verse 112


إِنۡ حِسَابُهُمۡ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّيۖ لَوۡ تَشۡعُرُونَ

তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে
Surah Ash-Shuara, Verse 113


وَمَآ أَنَا۠ بِطَارِدِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই।
Surah Ash-Shuara, Verse 114


إِنۡ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٞ مُّبِينٞ

আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
Surah Ash-Shuara, Verse 115


قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰنُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمَرۡجُومِينَ

তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 116


قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوۡمِي كَذَّبُونِ

নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 117


فَٱفۡتَحۡ بَيۡنِي وَبَيۡنَهُمۡ فَتۡحٗا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন।
Surah Ash-Shuara, Verse 118


فَأَنجَيۡنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ فِي ٱلۡفُلۡكِ ٱلۡمَشۡحُونِ

অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 119


ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ ٱلۡبَاقِينَ

এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 120


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 121


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 122


كَذَّبَتۡ عَادٌ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 123


إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ

তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই
Surah Ash-Shuara, Verse 124


إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।
Surah Ash-Shuara, Verse 125


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 126


وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 127


أَتَبۡنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةٗ تَعۡبَثُونَ

তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ
Surah Ash-Shuara, Verse 128


وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمۡ تَخۡلُدُونَ

এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে
Surah Ash-Shuara, Verse 129


وَإِذَا بَطَشۡتُم بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِينَ

যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান।
Surah Ash-Shuara, Verse 130


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 131


وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِيٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعۡلَمُونَ

ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।
Surah Ash-Shuara, Verse 132


أَمَدَّكُم بِأَنۡعَٰمٖ وَبَنِينَ

তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তান
Surah Ash-Shuara, Verse 133


وَجَنَّـٰتٖ وَعُيُونٍ

এবং উদ্যান ও ঝরণা।
Surah Ash-Shuara, Verse 134


إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ

আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি।
Surah Ash-Shuara, Verse 135


قَالُواْ سَوَآءٌ عَلَيۡنَآ أَوَعَظۡتَ أَمۡ لَمۡ تَكُن مِّنَ ٱلۡوَٰعِظِينَ

তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান।
Surah Ash-Shuara, Verse 136


إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلۡأَوَّلِينَ

এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 137


وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ

আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
Surah Ash-Shuara, Verse 138


فَكَذَّبُوهُ فَأَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 139


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 140


كَذَّبَتۡ ثَمُودُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 141


إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ صَٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ

যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না
Surah Ash-Shuara, Verse 142


إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
Surah Ash-Shuara, Verse 143


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 144


وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 145


أَتُتۡرَكُونَ فِي مَا هَٰهُنَآ ءَامِنِينَ

তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে
Surah Ash-Shuara, Verse 146


فِي جَنَّـٰتٖ وَعُيُونٖ

উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে
Surah Ash-Shuara, Verse 147


وَزُرُوعٖ وَنَخۡلٖ طَلۡعُهَا هَضِيمٞ

শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে
Surah Ash-Shuara, Verse 148


وَتَنۡحِتُونَ مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتٗا فَٰرِهِينَ

তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
Surah Ash-Shuara, Verse 149


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 150


وَلَا تُطِيعُوٓاْ أَمۡرَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ

এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না
Surah Ash-Shuara, Verse 151


ٱلَّذِينَ يُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ

যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না
Surah Ash-Shuara, Verse 152


قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ

তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন।
Surah Ash-Shuara, Verse 153


مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ

তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 154


قَالَ هَٰذِهِۦ نَاقَةٞ لَّهَا شِرۡبٞ وَلَكُمۡ شِرۡبُ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ

সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের।
Surah Ash-Shuara, Verse 155


وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٖ فَيَأۡخُذَكُمۡ عَذَابُ يَوۡمٍ عَظِيمٖ

তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 156


فَعَقَرُوهَا فَأَصۡبَحُواْ نَٰدِمِينَ

তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 157


فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 158


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 159


كَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوطٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 160


إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ

যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না
Surah Ash-Shuara, Verse 161


إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
Surah Ash-Shuara, Verse 162


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 163


وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 164


أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ

সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর
Surah Ash-Shuara, Verse 165


وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ

এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।
Surah Ash-Shuara, Verse 166


قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰلُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُخۡرَجِينَ

তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 167


قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ ٱلۡقَالِينَ

লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
Surah Ash-Shuara, Verse 168


رَبِّ نَجِّنِي وَأَهۡلِي مِمَّا يَعۡمَلُونَ

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 169


فَنَجَّيۡنَٰهُ وَأَهۡلَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ

অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 170


إِلَّا عَجُوزٗا فِي ٱلۡغَٰبِرِينَ

এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
Surah Ash-Shuara, Verse 171


ثُمَّ دَمَّرۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ

এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 172


وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهِم مَّطَرٗاۖ فَسَآءَ مَطَرُ ٱلۡمُنذَرِينَ

তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।
Surah Ash-Shuara, Verse 173


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 174


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 175


كَذَّبَ أَصۡحَٰبُ لۡـَٔيۡكَةِ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 176


إِذۡ قَالَ لَهُمۡ شُعَيۡبٌ أَلَا تَتَّقُونَ

যখন শো’আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না
Surah Ash-Shuara, Verse 177


إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
Surah Ash-Shuara, Verse 178


فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 179


وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 180


۞أَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ وَلَا تَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُخۡسِرِينَ

মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
Surah Ash-Shuara, Verse 181


وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِ

সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 182


وَلَا تَبۡخَسُواْ ٱلنَّاسَ أَشۡيَآءَهُمۡ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ

মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।
Surah Ash-Shuara, Verse 183


وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلۡجِبِلَّةَ ٱلۡأَوَّلِينَ

ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 184


قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ

তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
Surah Ash-Shuara, Verse 185


وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ

তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
Surah Ash-Shuara, Verse 186


فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ

অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।
Surah Ash-Shuara, Verse 187


قَالَ رَبِّيٓ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ

শো’আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত।
Surah Ash-Shuara, Verse 188


فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمۡ عَذَابُ يَوۡمِ ٱلظُّلَّةِۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ

অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব।
Surah Ash-Shuara, Verse 189


إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 190


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
Surah Ash-Shuara, Verse 191


وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
Surah Ash-Shuara, Verse 192


نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ

বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 193


عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ

আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন
Surah Ash-Shuara, Verse 194


بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ

সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
Surah Ash-Shuara, Verse 195


وَإِنَّهُۥ لَفِي زُبُرِ ٱلۡأَوَّلِينَ

নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
Surah Ash-Shuara, Verse 196


أَوَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ ءَايَةً أَن يَعۡلَمَهُۥ عُلَمَـٰٓؤُاْ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ

তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে
Surah Ash-Shuara, Verse 197


وَلَوۡ نَزَّلۡنَٰهُ عَلَىٰ بَعۡضِ ٱلۡأَعۡجَمِينَ

যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম
Surah Ash-Shuara, Verse 198


فَقَرَأَهُۥ عَلَيۡهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ مُؤۡمِنِينَ

অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না।
Surah Ash-Shuara, Verse 199


كَذَٰلِكَ سَلَكۡنَٰهُ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ

এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
Surah Ash-Shuara, Verse 200


لَا يُؤۡمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُاْ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ

তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
Surah Ash-Shuara, Verse 201


فَيَأۡتِيَهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ

অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 202


فَيَقُولُواْ هَلۡ نَحۡنُ مُنظَرُونَ

তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না
Surah Ash-Shuara, Verse 203


أَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُونَ

তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে
Surah Ash-Shuara, Verse 204


أَفَرَءَيۡتَ إِن مَّتَّعۡنَٰهُمۡ سِنِينَ

আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই
Surah Ash-Shuara, Verse 205


ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُواْ يُوعَدُونَ

অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
Surah Ash-Shuara, Verse 206


مَآ أَغۡنَىٰ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يُمَتَّعُونَ

তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে
Surah Ash-Shuara, Verse 207


وَمَآ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ

আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 208


ذِكۡرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَٰلِمِينَ

স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 209


وَمَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ ٱلشَّيَٰطِينُ

এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি।
Surah Ash-Shuara, Verse 210


وَمَا يَنۢبَغِي لَهُمۡ وَمَا يَسۡتَطِيعُونَ

তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ?451; রাখে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 211


إِنَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّمۡعِ لَمَعۡزُولُونَ

তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 212


فَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُعَذَّبِينَ

অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 213


وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ

আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।
Surah Ash-Shuara, Verse 214


وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।
Surah Ash-Shuara, Verse 215


فَإِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ

যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।
Surah Ash-Shuara, Verse 216


وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ

আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর
Surah Ash-Shuara, Verse 217


ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ

যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন
Surah Ash-Shuara, Verse 218


وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّـٰجِدِينَ

এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 219


إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ

নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
Surah Ash-Shuara, Verse 220


هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ

আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে
Surah Ash-Shuara, Verse 221


تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٖ

তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
Surah Ash-Shuara, Verse 222


يُلۡقُونَ ٱلسَّمۡعَ وَأَكۡثَرُهُمۡ كَٰذِبُونَ

তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
Surah Ash-Shuara, Verse 223


وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلۡغَاوُۥنَ

বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।
Surah Ash-Shuara, Verse 224


أَلَمۡ تَرَ أَنَّهُمۡ فِي كُلِّ وَادٖ يَهِيمُونَ

তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে
Surah Ash-Shuara, Verse 225


وَأَنَّهُمۡ يَقُولُونَ مَا لَا يَفۡعَلُونَ

এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 226


إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ وَذَكَرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا وَٱنتَصَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْۗ وَسَيَعۡلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَيَّ مُنقَلَبٖ يَنقَلِبُونَ

তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।
Surah Ash-Shuara, Verse 227


Author: Muhiuddin Khan


<< Surah 25
>> Surah 27

Bengali Translations by other Authors


Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Popular Areas
Apartments for rent in Dubai Apartments for rent Abu Dhabi Villas for rent in Dubai House for rent Abu Dhabi Apartments for sale in Dubai Apartments for sale in Abu Dhabi Flat for rent Sharjah
Popular Searches
Studios for rent in UAE Apartments for rent in UAE Villas for rent in UAE Apartments for sale in UAE Villas for sale in UAE Land for sale in UAE Dubai Real Estate
Trending Areas
Apartments for rent in Dubai Marina Apartments for sale in Dubai Marina Villa for rent in Sharjah Villa for sale in Dubai Flat for rent in Ajman Studio for rent in Abu Dhabi Villa for rent in Ajman
Trending Searches
Villa for rent in Abu Dhabi Shop for rent in Dubai Villas for sale in Ajman Studio for rent in Sharjah 1 Bedroom Apartment for rent in Dubai Property for rent in Abu Dhabi Commercial properties for sale
© Copyright Dubai Prayer Time. All Rights Reserved
Designed by Prayer Time In Dubai