Surah Ash-Shuara - Bengali Translation by Zohurul Hoque
طسٓمٓ
ত্বা, সীন, মীম।
Surah Ash-Shuara, Verse 1
تِلۡكَ ءَايَٰتُ ٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ
এসব হচ্ছে সুস্পষ্ট গ্রন্থের বাণীসমূহ।
Surah Ash-Shuara, Verse 2
لَعَلَّكَ بَٰخِعٞ نَّفۡسَكَ أَلَّا يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ
তুমি হয়ত তোমার নিজেকে মেরেই ফেলবে যেহেতু তারা মুমিন হচ্ছে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 3
إِن نَّشَأۡ نُنَزِّلۡ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ءَايَةٗ فَظَلَّتۡ أَعۡنَٰقُهُمۡ لَهَا خَٰضِعِينَ
যদি আমরা ইচ্ছা করতাম তাহলে আমরা তাদের উপরে আকাশ থেকে একটি নিদর্শন পাঠাতে পারতাম, তখন এর কারণে তাদের ঘাড় নুইয়ে হেটঁ করে দেয়া হত।
Surah Ash-Shuara, Verse 4
وَمَا يَأۡتِيهِم مِّن ذِكۡرٖ مِّنَ ٱلرَّحۡمَٰنِ مُحۡدَثٍ إِلَّا كَانُواْ عَنۡهُ مُعۡرِضِينَ
আর তাদের নিকট পরম করুণাময়ের কাছ থেকে কোনো নতুন স্মরণীয়-বার্তা আসতে না আসতেই তারা তা থেকে বিমুখ হয়ে যায়।
Surah Ash-Shuara, Verse 5
فَقَدۡ كَذَّبُواْ فَسَيَأۡتِيهِمۡ أَنۢبَـٰٓؤُاْ مَا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ
তাহলে তারা প্রত্যাখ্যান করেই ফেলেছে, সুতরাং যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রপ করত তার সংবাদ তাদের কাছে শীঘ্রই আসছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 6
أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَى ٱلۡأَرۡضِ كَمۡ أَنۢبَتۡنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوۡجٖ كَرِيمٍ
তারা কি পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখে না -- এতে আমরা প্রত্যেক উৎকৃষ্ট কল্পতরু কত যে জন্নিয়েছি
Surah Ash-Shuara, Verse 7
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়
Surah Ash-Shuara, Verse 8
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 9
وَإِذۡ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئۡتِ ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
আর স্মরণ করো! তোমার প্রভু মূসাকে ডেকে বললেন -- ''তুমি অত্যাচারী লোকদের কাছে যাও
Surah Ash-Shuara, Verse 10
قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَۚ أَلَا يَتَّقُونَ
ফিরআউনের লোকদের কাছে। তারা কি ধর্মভীরুতা অবলন্বন করবে না?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 11
قَالَ رَبِّ إِنِّيٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! আমি অবশ্যই আশংকা করি যে তারা আমাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 12
وَيَضِيقُ صَدۡرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرۡسِلۡ إِلَىٰ هَٰرُونَ
আমার বুক সংকুচিত হয়ে পড়েছে, আর আমার জিহ্বা বাক্পটু নয়, সেজন্য হারূনের প্রতিও ডাক পাঠাও।
Surah Ash-Shuara, Verse 13
وَلَهُمۡ عَلَيَّ ذَنۢبٞ فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ
আর আমার বিরুদ্ধে এক অপরাধ তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, সেজন্য আমি ভয় করি যে তারা আমাকে কাতল করবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 14
قَالَ كَلَّاۖ فَٱذۡهَبَا بِـَٔايَٰتِنَآۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسۡتَمِعُونَ
তিনি বললেন -- ''কখনো না! অতএব তোমরা দুজনেই আমাদের নিদর্শন সমূহ নিয়ে যাও, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সঙ্গে রয়েছি শুনতে থাকা অবস্থায়।
Surah Ash-Shuara, Verse 15
فَأۡتِيَا فِرۡعَوۡنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
সুতরাং তোমরা ফিরআউনের নিকট যাও আর বলো -- 'আমরা আলবৎ বিশ্বজগতের প্রভুর রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 16
أَنۡ أَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ
যে ইসরাইলের বংশধরদের আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও’।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 17
قَالَ أَلَمۡ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدٗا وَلَبِثۡتَ فِينَا مِنۡ عُمُرِكَ سِنِينَ
সে বললে -- ''তোমাকে কি ছেলেবেলায় আমাদের কাছেই লালনপালন করি নি, এবং তুমি কি আমাদেরই মধ্যে তোমার জীবনের বহু বৎসর কাটাও নি
Surah Ash-Shuara, Verse 18
وَفَعَلۡتَ فَعۡلَتَكَ ٱلَّتِي فَعَلۡتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلۡكَٰفِرِينَ
আর তোমার কাজ যা তুমি করেছ তা তো করেইছ, তথাপি তুমি অকৃতজ্ঞদের মধ্যেকার!’’
Surah Ash-Shuara, Verse 19
قَالَ فَعَلۡتُهَآ إِذٗا وَأَنَا۠ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ
তিনি বললেন -- ''আমি এটি করেছিলাম যখন আমি পথভ্রষ্টদের মধ্যে ছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 20
فَفَرَرۡتُ مِنكُمۡ لَمَّا خِفۡتُكُمۡ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكۡمٗا وَجَعَلَنِي مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
এরপর যখন আমি তোমাদের ভয় করেছিলাম তখন আমি তোমাদের থেকে ফেরার হলাম, তারপর আমার প্রভু আমাকে জ্ঞান দান করেছেন, আর তিনি আমাকে বানিয়েছেন রসূলদের অন্যতম।
Surah Ash-Shuara, Verse 21
وَتِلۡكَ نِعۡمَةٞ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنۡ عَبَّدتَّ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ
আর এই তো হচ্ছে সেই অনুগ্রহ যা তুমি আমার কাছে উল্লেখ করছ যার জন্যে তুমি ইসরাইলের বংশধরদের দাস বানিয়েছ!’’
Surah Ash-Shuara, Verse 22
قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَمَا رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
ফিরআউন বললে -- ''বিশ্বজগতের প্রভু আবার কি হয়?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 23
قَالَ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
তিনি বললেন -- ''মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং তাদের মধ্যে যা-কিছু আছে তার প্রভু, -- যদি তোমরা দৃঢ়প্রত্যয়িত হও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 24
قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَهُۥٓ أَلَا تَسۡتَمِعُونَ
সে তার আশপাশে যারা আছে তাদের বললে -- ''তোমরা কি শুনছ না?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 25
قَالَ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ
তিনি বললেন -- ''তোমাদের প্রভু এবং পূর্বকালের তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও প্রভু।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 26
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ ٱلَّذِيٓ أُرۡسِلَ إِلَيۡكُمۡ لَمَجۡنُونٞ
সে বললে -- ''তোমাদের রসূলটি যাকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে সে তো বদ্ধ পাগল।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 27
قَالَ رَبُّ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُمۡ تَعۡقِلُونَ
তিনি বললেন -- ''তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের এবং এ দুইয়ের মধ্যে যা আছে তারও প্রভু, যদি তোমরা বুঝতে পারতে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 28
قَالَ لَئِنِ ٱتَّخَذۡتَ إِلَٰهًا غَيۡرِي لَأَجۡعَلَنَّكَ مِنَ ٱلۡمَسۡجُونِينَ
সে বললে -- ''তুমি যদি আমাকে ছাড়া অন্য উপাস্য গ্রহণ কর তবে আমি আলবৎ তোমাকে কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত করব।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 29
قَالَ أَوَلَوۡ جِئۡتُكَ بِشَيۡءٖ مُّبِينٖ
তিনি বললেন -- ''কী! আমি তোমার কাছে সুস্পষ্ট কিছু আনলেও?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 30
قَالَ فَأۡتِ بِهِۦٓ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
সে বললে -- ''তবে তা নিয়ে এস যদি তুমি সত্যবাদীদের একজন হও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 31
فَأَلۡقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعۡبَانٞ مُّبِينٞ
সুতরাং তিনি তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলেন, তখন আশ্চর্য! এটি এক স্পষ্ট সাপ হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 32
وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِيَ بَيۡضَآءُ لِلنَّـٰظِرِينَ
আর তিনি তাঁর হাত বের করেলন, তখন দেখো! দর্শকদের কাছে তা সাদা হয়ে গেল।
Surah Ash-Shuara, Verse 33
قَالَ لِلۡمَلَإِ حَوۡلَهُۥٓ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ عَلِيمٞ
সে তার আশপাশের প্রধানদের বললে -- ''এ তো নিশ্চয়ই এক ওস্তাদ জাদুকর
Surah Ash-Shuara, Verse 34
يُرِيدُ أَن يُخۡرِجَكُم مِّنۡ أَرۡضِكُم بِسِحۡرِهِۦ فَمَاذَا تَأۡمُرُونَ
সে চাইছে তার জাদুর দ্বারা তোমাদের দেশ থেকে তোমাদের বের করে দিতে, কাজেই কী তোমরা উপদেশ দাও?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 35
قَالُوٓاْ أَرۡجِهۡ وَأَخَاهُ وَٱبۡعَثۡ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ
তারা বললে -- ''তাকে ও তার ভাইকে অবকাশ দাও, আর শহরে শহরে সংগ্রাহকদের পাঠাও
Surah Ash-Shuara, Verse 36
يَأۡتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٖ
যেন তারা প্রত্যেক জ্ঞানী জাদুকরদের তোমার কাছে নিয়ে আছে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 37
فَجُمِعَ ٱلسَّحَرَةُ لِمِيقَٰتِ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ
সুতরাং জাদুকরদের একত্র করা হ’ল নির্দিষ্ট স্থানে বিজ্ঞাপিত দিনে
Surah Ash-Shuara, Verse 38
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلۡ أَنتُم مُّجۡتَمِعُونَ
আর লোকদের বলা হ’ল -- ''তোমরা কি জমায়েৎ হচ্ছ
Surah Ash-Shuara, Verse 39
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ ٱلسَّحَرَةَ إِن كَانُواْ هُمُ ٱلۡغَٰلِبِينَ
যেন আমরা জাদুকরদের অনুগমন করতে পারি যদি তারা নিজেরা বিজয়ী হয়?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 40
فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالُواْ لِفِرۡعَوۡنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجۡرًا إِن كُنَّا نَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبِينَ
তারপর যখন জদুকররা এল তারা ফিরআউনকে বললে -- ''আমাদের জন্য কি বিশেষ পুরস্কার থাকবে যদি আমরা খোদ বিজয়ী হই?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 41
قَالَ نَعَمۡ وَإِنَّكُمۡ إِذٗا لَّمِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ
সে বললে -- ''হাঁ, আর সেক্ষেত্রে তোমরা নিশ্চয়ই অন্তরঙ্গ হবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 42
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلۡقُواْ مَآ أَنتُم مُّلۡقُونَ
মূসা তাদের বললেন -- ''ছোড়ো যা তোমরা ছুড়ঁতে যাচ্ছ।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 43
فَأَلۡقَوۡاْ حِبَالَهُمۡ وَعِصِيَّهُمۡ وَقَالُواْ بِعِزَّةِ فِرۡعَوۡنَ إِنَّا لَنَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبُونَ
সুতরাং তাদের দড়িদড়া ও তাদের লাঠি-লগুড় তারা ছুড়ঁলো এবং বললে -- ''ফিরআউনের প্রভাবে আমরা তো নিজেরাই বিজয়ী হব।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 44
فَأَلۡقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلۡقَفُ مَا يَأۡفِكُونَ
তারপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলেন, তখন দেখো! এটি গিলে ফেলল যা তারা বুনেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 45
فَأُلۡقِيَ ٱلسَّحَرَةُ سَٰجِدِينَ
তখন জাদুকররা লুটিয়ে পড়ল সিজদাবনত হয়ে
Surah Ash-Shuara, Verse 46
قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
তারা বললে, ''আমরা ঈমান আনলাম বিশ্বজগতের প্রভুর প্রতি
Surah Ash-Shuara, Verse 47
رَبِّ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ
যিনি মূসা ও হারুনেরও প্রভু।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 48
قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِي عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَٰفٖ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ أَجۡمَعِينَ
সে বললে -- ''তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে আমি তোমাদের অনুমতি দেবার আগেই? সে-ই নিশ্চয় তোমাদের গুরু যে তোমাদের জাদুবিদ্যা শিখিয়েছে। সুতরাং শীঘ্রই তোমরা টের পাবে। আমি নিশ্চয় তোমাদের হাত ও তোমাদের পা আড়াআড়ি- ভাবে কেটে ফেলবই, আর তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 49
قَالُواْ لَا ضَيۡرَۖ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
তারা বললে -- ''কোনো ক্ষতি নেই, নিঃসন্দেহ আমরা আমাদের প্রভুর কাছে প্রত্যাবর্তনশীল।
Surah Ash-Shuara, Verse 50
إِنَّا نَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَٰيَٰنَآ أَن كُنَّآ أَوَّلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
আমরা নিশ্চয়ই আশা করি যে আমাদের প্রভু আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন, যেহেতু আমরা মুমিনদের মধ্যে অগ্রণী।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 51
۞وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَسۡرِ بِعِبَادِيٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
আর আমরা মূসাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছিলাম এই বলে -- ''আমার বান্দাদের নিয়ে রাতের মধ্যে রওয়ানা হয়ে যাও, তোমাদের অবশ্য পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 52
فَأَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ
তখন ফিরআউন শহরে-নগরে সংগ্রাহকদের পাঠাল
Surah Ash-Shuara, Verse 53
إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ لَشِرۡذِمَةٞ قَلِيلُونَ
নিঃসন্দেহ তারা একটি ছোটখাট দল
Surah Ash-Shuara, Verse 54
وَإِنَّهُمۡ لَنَا لَغَآئِظُونَ
আর নিঃসন্দেহ আমাদের জন্য তারা তো ক্রোধ উদ্রেককারী
Surah Ash-Shuara, Verse 55
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَٰذِرُونَ
আর আমরা তো নিশ্চয় সজাগ-সশস্ত্র জনতা।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 56
فَأَخۡرَجۡنَٰهُم مِّن جَنَّـٰتٖ وَعُيُونٖ
কাজেই আমরা তাদের বের ক’রে আনলাম বাগানসমূহ ও ঝরনারাজি থেকে
Surah Ash-Shuara, Verse 57
وَكُنُوزٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ
আর ধনভান্ডার ও জমকালো বাড়িঘর থেকে
Surah Ash-Shuara, Verse 58
كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ
এইভাবেই। আর এইগুলো আমরা ইসরাইলের বংশধরদের উত্তরাধিকার করতে দিয়েছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 59
فَأَتۡبَعُوهُم مُّشۡرِقِينَ
তারপর তারা এদের পশ্চাদ্ধাবন করেছিল সূর্যোদয়কালে।
Surah Ash-Shuara, Verse 60
فَلَمَّا تَرَـٰٓءَا ٱلۡجَمۡعَانِ قَالَ أَصۡحَٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدۡرَكُونَ
অতঃপর যখন দুই দল পরস্পরকে দেখল তখন মূসার সঙ্গীরা বললে -- ''আমরা তো নিঃসন্দেহ ধরা পড়ে গেলাম।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 61
قَالَ كَلَّآۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهۡدِينِ
তিনি বললেন -- ''নিশ্চয়ই না, আমার সঙ্গে আলবৎ আমার প্রভু রয়েছেন, তিনি আমাকে অচিরেই পথ দেখাবেন।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 62
فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡبَحۡرَۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرۡقٖ كَٱلطَّوۡدِ ٱلۡعَظِيمِ
তখন আমরা মূসার নিকট প্রত্যাদেশ দিলাম এই বলে -- ''তোমার লাঠি দিয়ে সমুদ্রে আঘাত কর।’’ ফলে এটি বিভক্ত হয়ে গেল, সুতরাং প্রত্যেক দল এক-একটি বিরাট পাহাড়ের মতো হয়েছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 63
وَأَزۡلَفۡنَا ثَمَّ ٱلۡأٓخَرِينَ
আর অন্যদেরকেও আমরা নিয়ে এলাম সেই অঞ্চলে।
Surah Ash-Shuara, Verse 64
وَأَنجَيۡنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ
আর মূসাকে ও তাঁর সঙ্গে যারা ছিল সে-সবাইকে আমরা উদ্ধার করেছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 65
ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ
তারপর অন্যদেরকে আমরা ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 66
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো একটি নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 67
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 68
وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ إِبۡرَٰهِيمَ
আর তুমি তাদের কাছে ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করো।
Surah Ash-Shuara, Verse 69
إِذۡ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦ مَا تَعۡبُدُونَ
স্মরণ করো! তিনি তাঁর পিতৃপুরুষকে ও তাঁর স্বজাতিকে বললেন -- ''তোমরা কিসের উপাসনা কর?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 70
قَالُواْ نَعۡبُدُ أَصۡنَامٗا فَنَظَلُّ لَهَا عَٰكِفِينَ
তারা বললে -- ''আমরা প্রতিমাদের পূজা করি, আর আমরা তাদের আরাধনায় নিষ্ঠাবান থাকব।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 71
قَالَ هَلۡ يَسۡمَعُونَكُمۡ إِذۡ تَدۡعُونَ
তিনি বললেন, ''তারা কি তোমাদের শোনে যখন তোমরা ডাকো
Surah Ash-Shuara, Verse 72
أَوۡ يَنفَعُونَكُمۡ أَوۡ يَضُرُّونَ
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার করতে পারে কিংবা অপকার করতে পারে?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 73
قَالُواْ بَلۡ وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا كَذَٰلِكَ يَفۡعَلُونَ
তারা বললে -- ''না, আমাদের পিতৃপুরুষদের আমরা দেখতে পেয়েছি এইভাবে তারা করছে ।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 74
قَالَ أَفَرَءَيۡتُم مَّا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ
তিনি বললেন -- ''তোমরা কি তবে ভেবে দেখেছ তোমরা কিসের উপাসনা করছ
Surah Ash-Shuara, Verse 75
أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُمُ ٱلۡأَقۡدَمُونَ
তোমরা ও তোমাদের পূর্বগামী পিতৃপুরুষরা
Surah Ash-Shuara, Verse 76
فَإِنَّهُمۡ عَدُوّٞ لِّيٓ إِلَّا رَبَّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
অতএব তারা আলবৎ আমার শত্রু, কিন্ত ভূ-বিশ্বের প্রভু নন
Surah Ash-Shuara, Verse 77
ٱلَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهۡدِينِ
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন
Surah Ash-Shuara, Verse 78
وَٱلَّذِي هُوَ يُطۡعِمُنِي وَيَسۡقِينِ
আর যিনি আমাকে আহার করান এবং পান করতে দেন
Surah Ash-Shuara, Verse 79
وَإِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ يَشۡفِينِ
আর যখন আমি রোগে ভোগি তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য করেন
Surah Ash-Shuara, Verse 80
وَٱلَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحۡيِينِ
আর যিনি, আমার মৃত্যু ঘটাবেন তারপরে আমাকে পুনর্জীবন দেবেন
Surah Ash-Shuara, Verse 81
وَٱلَّذِيٓ أَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لِي خَطِيٓـَٔتِي يَوۡمَ ٱلدِّينِ
আর যিনি, আমি আশা করি, বিচারের দিনে আমার ভুলভ্রান্তিগুলো আমার জন্য ক্ষমা করে দেবেন।
Surah Ash-Shuara, Verse 82
رَبِّ هَبۡ لِي حُكۡمٗا وَأَلۡحِقۡنِي بِٱلصَّـٰلِحِينَ
আমার প্রভু! আমাকে জ্ঞান দান করো, আর আমাকে সৎকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত করো।
Surah Ash-Shuara, Verse 83
وَٱجۡعَل لِّي لِسَانَ صِدۡقٖ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ
আর আমার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সদালাপন সৃষ্টি করো।
Surah Ash-Shuara, Verse 84
وَٱجۡعَلۡنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ
আর আমাকে আনন্দময় উদ্যানের ওয়ারিশানের অন্তর্ভুক্ত করো।
Surah Ash-Shuara, Verse 85
وَٱغۡفِرۡ لِأَبِيٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ
আর আমার পিতৃপুরুষকে পরিত্রাণ করো, কেননা সে তো পথভ্রান্তদের মধ্যেকার হয়ে গেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 86
وَلَا تُخۡزِنِي يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ
আর আমাকে লাঞ্ছিত করো না তখন যেইদিন তাদের পুরুত্থিত করা হবে
Surah Ash-Shuara, Verse 87
يَوۡمَ لَا يَنفَعُ مَالٞ وَلَا بَنُونَ
যেদিন ধনসম্পদে কোনো কাজ দেবে না, সন্তানাদিতেও নয়
Surah Ash-Shuara, Verse 88
إِلَّا مَنۡ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلۡبٖ سَلِيمٖ
শুধু সে ব্যতীত যে নির্মল-নিস্পাপ অন্তর নিয়ে আল্লাহ্র কাছে আসবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 89
وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ
আর স্বর্গোদ্যানকে ধর্মভীরুদের জন্য সন্নিকটে আনা হবে
Surah Ash-Shuara, Verse 90
وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِلۡغَاوِينَ
আর দুযখকে খোলে দেওয়া হবে পথভ্রষ্টদের জন্য।
Surah Ash-Shuara, Verse 91
وَقِيلَ لَهُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ
আর তাদের বলা হবে -- ''কোথায় তারা যাদের তোমরা উপাসনা করতে
Surah Ash-Shuara, Verse 92
مِن دُونِ ٱللَّهِ هَلۡ يَنصُرُونَكُمۡ أَوۡ يَنتَصِرُونَ
আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করছে, না তারা নিজেদেরই সাহায্য করতে পারছে?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 93
فَكُبۡكِبُواْ فِيهَا هُمۡ وَٱلۡغَاوُۥنَ
সুতরাং তাদের এর মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে -- তাদের এবং পথভ্রান্তদের
Surah Ash-Shuara, Verse 94
وَجُنُودُ إِبۡلِيسَ أَجۡمَعُونَ
আর ইবলীসের দলবল সকলকেও।
Surah Ash-Shuara, Verse 95
قَالُواْ وَهُمۡ فِيهَا يَخۡتَصِمُونَ
তারা সেখানে তর্ক-বিতর্ক করতে করতে বলবে
Surah Ash-Shuara, Verse 96
تَٱللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ
আল্লাহ্র দিব্য, আমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিলাম
Surah Ash-Shuara, Verse 97
إِذۡ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
যখন আমরা বিশ্বজগতের প্রভুর সঙ্গে তোমাদের এক-সমান গণ্য করেছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 98
وَمَآ أَضَلَّنَآ إِلَّا ٱلۡمُجۡرِمُونَ
আর অপরাধীরা ছাড়া অন্য কেউ আমাদের বিপথে নেয় নি।
Surah Ash-Shuara, Verse 99
فَمَا لَنَا مِن شَٰفِعِينَ
সেজন্যে আমাদের জন্য সুপারিশকারীদের কেউ নেই
Surah Ash-Shuara, Verse 100
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٖ
আর কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই।
Surah Ash-Shuara, Verse 101
فَلَوۡ أَنَّ لَنَا كَرَّةٗ فَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
হায়! আমাদের জন্য যদি আকেরবার উপায় থাকত তাহলে আমরা মুমিনদের মধ্যেকার হতাম।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 102
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 103
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 104
كَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوحٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
নূহের স্বজাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 105
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
দেখো! তাদের ভাই নূহ তাদের বলেছিলেন -- ''তোমরা কি ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 106
إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ
আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 107
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয়-ভক্তি কর ও আমাকে মেনে চল।
Surah Ash-Shuara, Verse 108
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাই না, আমার মজুরি তো বিশ্বজগতের প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 109
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভক্তি-শ্রদ্ধা কর ও আমার আজ্ঞাপালন কর।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 110
۞قَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلۡأَرۡذَلُونَ
তারা বললে -- ''আমরা কি তোমার প্রতি ঈমান আনব যখন তোমাকে অনুসরণ করছে ইতরগোষ্ঠী?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 111
قَالَ وَمَا عِلۡمِي بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
তিনি বললেন -- ''তারা কী করত সে সন্বন্ধে আর আমার জ্ঞান থাকবার নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 112
إِنۡ حِسَابُهُمۡ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّيۖ لَوۡ تَشۡعُرُونَ
তাদের হিসাবপত্র আমার প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়, যদি তোমরা বুঝতে
Surah Ash-Shuara, Verse 113
وَمَآ أَنَا۠ بِطَارِدِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
আর আমি তো মুমিনদের তাড়িয়ে দেবার পাত্র নই।
Surah Ash-Shuara, Verse 114
إِنۡ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٞ مُّبِينٞ
আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ভিন্ন নই।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 115
قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰنُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمَرۡجُومِينَ
তারা বললে -- ''হে নূহ! তুমি যদি না থামো তাহলে তোমাকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে-নিহতদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 116
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوۡمِي كَذَّبُونِ
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! আমার স্বজাতি আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 117
فَٱفۡتَحۡ بَيۡنِي وَبَيۡنَهُمۡ فَتۡحٗا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
অতএব আমার মধ্যে ও তাদের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত এনে মীমাংসা করে দাও, আর আমাকে ও আমার সাথে মুমিনদের যারা রয়েছে তাদের উদ্ধার করে দাও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 118
فَأَنجَيۡنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ فِي ٱلۡفُلۡكِ ٱلۡمَشۡحُونِ
সুতরাং আমরা তাঁকে ও তাঁর সাথে যারা ছিল তাদের উদ্ধার করলাম বোঝাই করা জাহাজে।
Surah Ash-Shuara, Verse 119
ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ ٱلۡبَاقِينَ
তারপর আমরা ডুবিয়ে দিলাম পরবর্তী অবশিষ্টদের।
Surah Ash-Shuara, Verse 120
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 121
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 122
كَذَّبَتۡ عَادٌ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
আর 'আদ জাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 123
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
দেখো, তাদের ভাই হূদ তাদের বলেছিলেন -- ''তোমরা কি ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 124
إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ
আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 125
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ও আমাকে মেনে চল।
Surah Ash-Shuara, Verse 126
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর আমি এ-জন্য তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না, আমার নজুরি তো ভূ-বিশ্বের প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 127
أَتَبۡنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةٗ تَعۡبَثُونَ
তোমরা কি প্রত্যেক পাহাড়ে অযথা স্তম্ভ নির্মাণ করছ
Surah Ash-Shuara, Verse 128
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمۡ تَخۡلُدُونَ
আর দুর্গ তৈরি করছ যেন তোমরা চিরস্থায়ী হবে?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 129
وَإِذَا بَطَشۡتُم بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِينَ
আর যখন তোমরা পাকড়াও কর তখন জবরদস্তভাবে পাকড়াও করে থাক।
Surah Ash-Shuara, Verse 130
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভক্তিশ্রদ্ধা কর ও আমার আজ্ঞাপালন কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 131
وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِيٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعۡلَمُونَ
আর ভয়-ভক্তি কর তাঁকে যিনি তোমাদের মদদ করেছেন যা তোমরা শিখেছ তা দিয়ে
Surah Ash-Shuara, Verse 132
أَمَدَّكُم بِأَنۡعَٰمٖ وَبَنِينَ
আর তিনি তোমাদের সাহায্য করেছেন গবাদি-পশু ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে
Surah Ash-Shuara, Verse 133
وَجَنَّـٰتٖ وَعُيُونٍ
আর বাগানসমূহ ও ফোয়ারাগুলো দিয়ে।
Surah Ash-Shuara, Verse 134
إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ
নিঃসন্দেহ আমি আশংকা করছি তোমাদের উপরে এক মহাদিনের শাস্তির।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 135
قَالُواْ سَوَآءٌ عَلَيۡنَآ أَوَعَظۡتَ أَمۡ لَمۡ تَكُن مِّنَ ٱلۡوَٰعِظِينَ
তারা বললে -- ''তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশদাতাদের মধ্যে তুমি নাই-বা হও আমাদের কাছে সবই সমান।
Surah Ash-Shuara, Verse 136
إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلۡأَوَّلِينَ
এ তো সেকেলে আচরণ ছাড়া কিছুই নয়
Surah Ash-Shuara, Verse 137
وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ
আর আমরা শাস্তি পাবার নই।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 138
فَكَذَّبُوهُ فَأَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
কাজেই তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করল, সুতরাং আমরা তাদের ধ্বংস করেছিলাম। নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 139
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 140
كَذَّبَتۡ ثَمُودُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
আর ছামূদ জাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 141
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ صَٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
দেখো, তাদের ভাই সালিহ্ তাদের বলেছিলেন -- ''তোমরা কি ধর্মভীরুতা অবলন্বন করবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 142
إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ
আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 143
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয়-ভক্তি কর ও আমাকে মেনে চল
Surah Ash-Shuara, Verse 144
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না, আমার মজুরি তো বিশ্বজগতের প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 145
أَتُتۡرَكُونَ فِي مَا هَٰهُنَآ ءَامِنِينَ
এখানে যা আছে তাতে কি তোমাদের নিরাপদে রেখে দেওয়া হবে
Surah Ash-Shuara, Verse 146
فِي جَنَّـٰتٖ وَعُيُونٖ
বাগানসমূহে ও ফোয়ারাগুলোয়
Surah Ash-Shuara, Verse 147
وَزُرُوعٖ وَنَخۡلٖ طَلۡعُهَا هَضِيمٞ
আর শস্যক্ষেত্রে ও খেজুর-বাগানে যার ছড়িগুলো ভারী
Surah Ash-Shuara, Verse 148
وَتَنۡحِتُونَ مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتٗا فَٰرِهِينَ
তোমরা তো পাহাড় খুদে বাড়িঘর তৈরি কর নিপুণভাবে।
Surah Ash-Shuara, Verse 149
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভক্তি-শ্রদ্ধা কর ও আমার আজ্ঞাপালন কর।
Surah Ash-Shuara, Verse 150
وَلَا تُطِيعُوٓاْ أَمۡرَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ
আর সীমালংঘনকারীদের নির্দেশ মেনে চল না
Surah Ash-Shuara, Verse 151
ٱلَّذِينَ يُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ
যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আর শান্তিস্থাপন করে না।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 152
قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ
তারা বললে -- ''তুমি তো নিঃসন্দেহ জাদুগ্রস্তদেরই একজন।
Surah Ash-Shuara, Verse 153
مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
তুমি আমাদের মতো মানুষ ছাড়া আর কিছু নও, অতএব কোনো এক নিদর্শন নিয়ে এস যদি তুমি সত্যবাদীদের মধ্যেকার হও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 154
قَالَ هَٰذِهِۦ نَاقَةٞ لَّهَا شِرۡبٞ وَلَكُمۡ شِرۡبُ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ
তিনি বললেন -- ''এই একটি উষ্টী, তার জন্য পানীয় থাকবে আর তোমাদের জন্যও পানীয় থাকবে নির্ধারিত সময়ে।
Surah Ash-Shuara, Verse 155
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٖ فَيَأۡخُذَكُمۡ عَذَابُ يَوۡمٍ عَظِيمٖ
আর তোমরা অনিষ্ট দিয়ে ওকে স্পর্শ করো না, পাছে এক ভয়ংকর দিনের শাস্তি তোমাদের পাকড়াও করে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 156
فَعَقَرُوهَا فَأَصۡبَحُواْ نَٰدِمِينَ
কিন্ত তারা এটিকে হত্যা করলে, পরিণামে সকাল-সকালই তারা পরিতাপকারী হল।
Surah Ash-Shuara, Verse 157
فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
সেজন্য শাস্তি তাদের পাকড়াও করল। নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয় ।
Surah Ash-Shuara, Verse 158
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 159
كَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوطٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
আর লূতের লোকদল রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 160
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
দেখো! তাদের ভাই লূত তাদের বলেছিলেন -- ''তোমরা কি ধর্মভীরুতা অবলন্বন করবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 161
إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ
আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 162
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয়ভক্তি কর ও আমাকে মেনে চল।
Surah Ash-Shuara, Verse 163
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো মজুরি চাই না, আমার মজুরি তো বিশ্বজগতের প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 164
أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ
তোমরা কি মানুষজাতীর মধ্যে পুরুষদের কাছেই এসে থাক
Surah Ash-Shuara, Verse 165
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ
আর পরিত্যাগ করছ তোমাদের স্ত্রীদের যাদের তোমাদের প্রভু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন? না, তোমরা তো সীমালংঘনকারী জাতি।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 166
قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰلُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُخۡرَجِينَ
তারা বললে -- ''হে লূত! তুমি যদি বিরত না হও তাহলে তুমি নিশ্চয়ই নির্বাসিতদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 167
قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ ٱلۡقَالِينَ
তিনি বললেন -- ''আমি অবশ্যই তোমাদের আচরণকে ঘৃণাকারীদেরই একজন।
Surah Ash-Shuara, Verse 168
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهۡلِي مِمَّا يَعۡمَلُونَ
আমার প্রভু! তারা যা করে তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে উদ্ধার করো।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 169
فَنَجَّيۡنَٰهُ وَأَهۡلَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ
সুতরাং আমরা তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে একই সঙ্গে উদ্ধার করলাম
Surah Ash-Shuara, Verse 170
إِلَّا عَجُوزٗا فِي ٱلۡغَٰبِرِينَ
এক বুড়ীকে ছাড়া, যে পেছনে-পড়ে-থাকাদের মধ্যে রয়েছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 171
ثُمَّ دَمَّرۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ
তারপর আমরা অন্যান্যদের বিধ্বংস করেছিলাম।
Surah Ash-Shuara, Verse 172
وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهِم مَّطَرٗاۖ فَسَآءَ مَطَرُ ٱلۡمُنذَرِينَ
আর তাদের উপরে আমরা বর্ষণ করেছিলাম এক বৃষ্টি, -- সুতরাং কত মন্দ এই বৃষ্টি সতককৃতদের জন্য।
Surah Ash-Shuara, Verse 173
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 174
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 175
كَذَّبَ أَصۡحَٰبُ لۡـَٔيۡكَةِ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
আইকার অধিবাসীরা রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
Surah Ash-Shuara, Verse 176
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ شُعَيۡبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
দেখো, শোআইব তাদের বলেছিলেন -- ''তোমরা কি ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 177
إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ
আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রসূল
Surah Ash-Shuara, Verse 178
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয়ভক্তি কর ও আমাকে মেনে চল।
Surah Ash-Shuara, Verse 179
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাই না, আমার পারিশ্রমিক তো বিশ্বজগতের প্রভুর কাছে ছাড়া অন্যত্র নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 180
۞أَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ وَلَا تَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُخۡسِرِينَ
মাপে পুরোমাত্রায় দেবে, আর তোমরা মাপে-কম-করা লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
Surah Ash-Shuara, Verse 181
وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِ
সঠিক পাল্লায় ওজন করো।
Surah Ash-Shuara, Verse 182
وَلَا تَبۡخَسُواْ ٱلنَّاسَ أَشۡيَآءَهُمۡ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ
আর লোকজনের ক্ষতিসাধন করো না তাদের বিষয়বস্তু সন্বন্ধে, আর দুনিয়াতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না অনিষ্টাচরণ ক’রে।
Surah Ash-Shuara, Verse 183
وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلۡجِبِلَّةَ ٱلۡأَوَّلِينَ
আর ভয়-ভক্তি করো তাঁকে যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং পূর্ববর্তী লোকদেরও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 184
قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ
তারা বললে -- ''তুমি তো আলবৎ জাদুগ্রস্তদের মধ্যেকার,’’
Surah Ash-Shuara, Verse 185
وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ
আর তুমি আমাদের ন্যায় একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নও, আর আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদীদের একজন বলেই তো গণনা করি।
Surah Ash-Shuara, Verse 186
فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
অতএব আকাশের একটি টুকরো আমাদের উপরে ফেলে দাও, যদি তুমি সত্যবাদীদের মধ্যেকার হও।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 187
قَالَ رَبِّيٓ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু ভাল জানেন কী তোমরা কর।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 188
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمۡ عَذَابُ يَوۡمِ ٱلظُّلَّةِۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ
কিন্ত তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করল, সেজন্যে এক অন্ধকার দিনের শাস্তি তাদের পাকড়াও করল। নিঃসন্দেহ এটি ছিল এক ভীষণ দিনে শাস্তি।
Surah Ash-Shuara, Verse 189
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ
নিঃসন্দেহ এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে, কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
Surah Ash-Shuara, Verse 190
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, -- তিনিই তো মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 191
وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আর নিঃসন্দেহ এটি নিশ্চয়ই বিশ্বজগতের প্রভুর তরফ থেকে এক অবতারণ।
Surah Ash-Shuara, Verse 192
نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ
রুহুল আমীন এটি নিয়ে অবতরণ করেছেন
Surah Ash-Shuara, Verse 193
عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ
তোমার হৃদয়ের উপরে, যেন তুমি সতর্ককারীদের অন্যতম হতে পার
Surah Ash-Shuara, Verse 194
بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
Surah Ash-Shuara, Verse 195
وَإِنَّهُۥ لَفِي زُبُرِ ٱلۡأَوَّلِينَ
আর নিঃসন্দেহ এটি পূর্ববর্তীদের ধর্মগ্রন্থে রয়েছে ।
Surah Ash-Shuara, Verse 196
أَوَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ ءَايَةً أَن يَعۡلَمَهُۥ عُلَمَـٰٓؤُاْ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ
একি তাদের জন্য একটি নিদর্শন নয় যে ইসরাইলের বংশধরদের পন্ডিতগণ এটি জানে
Surah Ash-Shuara, Verse 197
وَلَوۡ نَزَّلۡنَٰهُ عَلَىٰ بَعۡضِ ٱلۡأَعۡجَمِينَ
আর আমরা যদি এটি অবতারণ করতাম কোনো ভিন্ন দেশীয়ের কাছে
Surah Ash-Shuara, Verse 198
فَقَرَأَهُۥ عَلَيۡهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ مُؤۡمِنِينَ
আর সে এটি তাদের কাছে পাঠ করত, তাহলে তারা তাতে বিশ্বাসভাজন হতো না।
Surah Ash-Shuara, Verse 199
كَذَٰلِكَ سَلَكۡنَٰهُ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
এইভাবেই আমরা এটিকে প্রবেশ করিয়েছি অপরাধীদের অন্তরে।
Surah Ash-Shuara, Verse 200
لَا يُؤۡمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُاْ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ
তারা এতে বিশ্বাস করবে না যে পর্যন্ত না তারা মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
Surah Ash-Shuara, Verse 201
فَيَأۡتِيَهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ
সুতরাং এ তাদের কাছে আসবে আকস্মিকভাবে, আর তারা টের পাবে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 202
فَيَقُولُواْ هَلۡ نَحۡنُ مُنظَرُونَ
তখন তারা বলবে -- ''আমরা কি অবকাশ প্রাপ্ত হব?’’
Surah Ash-Shuara, Verse 203
أَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُونَ
কী, তারা কি এখনও আমাদের শাস্তি সন্বন্ধে তাড়াতাড়ি করতে চায়
Surah Ash-Shuara, Verse 204
أَفَرَءَيۡتَ إِن مَّتَّعۡنَٰهُمۡ سِنِينَ
তুমি কি তবে লক্ষ্য করেছ -- যদি আমরা তাদের বহু বছর ভোগ-বিলাস করতে দিই।
Surah Ash-Shuara, Verse 205
ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُواْ يُوعَدُونَ
তারপর তাদের কাছে এসে পড়ে যা তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল
Surah Ash-Shuara, Verse 206
مَآ أَغۡنَىٰ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يُمَتَّعُونَ
তবু যা তাদের উপভোগ করতে দেওয়া হয়েছিল তা তাদের কোনো কাজে আসবে না
Surah Ash-Shuara, Verse 207
وَمَآ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
আর আমরা কোনো জনপদ ধ্বংস করি নি যার সতর্ককারী ছিল না।
Surah Ash-Shuara, Verse 208
ذِكۡرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَٰلِمِينَ
স্মারকগ্রন্থ, আর আমরা কখনও অন্যায়কারী নই।
Surah Ash-Shuara, Verse 209
وَمَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ ٱلشَّيَٰطِينُ
আর শয়তানরা এ নিয়ে অবতরণ করে নি
Surah Ash-Shuara, Verse 210
وَمَا يَنۢبَغِي لَهُمۡ وَمَا يَسۡتَطِيعُونَ
আর তাদের পক্ষে এ সমীচীন নয়, আর তারা সামর্থ্যও রাখে না।
Surah Ash-Shuara, Verse 211
إِنَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّمۡعِ لَمَعۡزُولُونَ
নিঃসন্দেহ শুনবার ক্ষেত্রে তারা তো অপারগ।
Surah Ash-Shuara, Verse 212
فَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُعَذَّبِينَ
সুতরাং তুমি আল্লাহ্র সাথে অন্য উপাস্যকে ডেকো না, পাছে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যেকার হয়ে যাও।
Surah Ash-Shuara, Verse 213
وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ
আর তোমার নিকটতম আত্মীয়দের সাবধান করে দাও
Surah Ash-Shuara, Verse 214
وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
আর তোমার ডানা আনত করো মুমিনদের যারা তোমাকে অনুসরণ করে তাদের প্রতি।
Surah Ash-Shuara, Verse 215
فَإِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ
কিন্ত তারা যদি তোমার অবাধ্যতা করে তবে বলো -- ''আমি আলবৎ দায়মুক্ত তোমরা যা কর সে সন্বন্ধে।’’
Surah Ash-Shuara, Verse 216
وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ
আর তুমি নির্ভর কর মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতার উপরে
Surah Ash-Shuara, Verse 217
ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ
যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দাঁড়াও
Surah Ash-Shuara, Verse 218
وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّـٰجِدِينَ
এবং সিজদাকারীদের সঙ্গে তোমার উঠা-বসা করতে।
Surah Ash-Shuara, Verse 219
إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ
নিঃসন্দেহ তিনি -- তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Ash-Shuara, Verse 220
هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ
আমি কি তোমাদের জানাব কাদের উপরে শয়তানরা অবতরণ করে
Surah Ash-Shuara, Verse 221
تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٖ
তারা অবতরণ করে প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর উপরে
Surah Ash-Shuara, Verse 222
يُلۡقُونَ ٱلسَّمۡعَ وَأَكۡثَرُهُمۡ كَٰذِبُونَ
তারা কান পাতে, আর তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
Surah Ash-Shuara, Verse 223
وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلۡغَاوُۥنَ
আর কবিগণ, -- তাদের অনুসরণ করে ভ্রান্তপথগামীরা।
Surah Ash-Shuara, Verse 224
أَلَمۡ تَرَ أَنَّهُمۡ فِي كُلِّ وَادٖ يَهِيمُونَ
তুমি কি দেখ না যে তারা নিঃসন্দেহ প্রত্যেক উপত্যকায় লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়
Surah Ash-Shuara, Verse 225
وَأَنَّهُمۡ يَقُولُونَ مَا لَا يَفۡعَلُونَ
আর তারা নিশ্চয়ই তাই বলে যা তারা করে না
Surah Ash-Shuara, Verse 226
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ وَذَكَرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا وَٱنتَصَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْۗ وَسَيَعۡلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَيَّ مُنقَلَبٖ يَنقَلِبُونَ
তবে তারা ব্যতীত যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, এবং আল্লাহ্কে খুব ক’রে স্মরণ করে, আর অত্যাচারিত হবার পরে প্রতিরক্ষা করে। আর যারা অন্যায় করে তারা অচিরেই জানতে পারবে কোন বিপর্যয়ের মধ্যে তারা প্রত্যাবর্তন করছে।
Surah Ash-Shuara, Verse 227