UAE Prayer Times

  • Dubai
  • Abu Dhabi
  • Sharjah
  • Ajman
  • Fujairah
  • Umm Al Quwain
  • Ras Al Khaimah
  • Quran Translations

Surah An-Noor - Bengali Translation by Zohurul Hoque


سُورَةٌ أَنزَلۡنَٰهَا وَفَرَضۡنَٰهَا وَأَنزَلۡنَا فِيهَآ ءَايَٰتِۭ بَيِّنَٰتٖ لَّعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ

একটি সূরাহ্ -- আমরা এটি অবতারণ করেছি এবং এটিকে অবশ্য-পালনীয় করেছি, আর এতে আমরা অবতারণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ যেন তোমরা মনোনিবেশ করতে পার।
Surah An-Noor, Verse 1


ٱلزَّانِيَةُ وَٱلزَّانِي فَٱجۡلِدُواْ كُلَّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا مِاْئَةَ جَلۡدَةٖۖ وَلَا تَأۡخُذۡكُم بِهِمَا رَأۡفَةٞ فِي دِينِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۖ وَلۡيَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَةٞ مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী -- তাদের দুজনের প্রত্যেককে একশ’ বেত্রাঘাতে চাবুক মার, আর আল্লাহ্‌র বিধান পালনে তাদের প্রতি অনুকম্পা যেন তোমাদের পাকড়াও না করে, যদি তোমরা আল্লাহ্‌তে ও আখেরাতের দিনে বিশ্বাস কর, আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি দেখতে পায়।
Surah An-Noor, Verse 2


ٱلزَّانِي لَا يَنكِحُ إِلَّا زَانِيَةً أَوۡ مُشۡرِكَةٗ وَٱلزَّانِيَةُ لَا يَنكِحُهَآ إِلَّا زَانٍ أَوۡ مُشۡرِكٞۚ وَحُرِّمَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

ব্যভিচারী সহবাস করতে পারে না ব্যভিচারিণী অথবা বহুখোদাবাদিনী ব্যতীত, আর ব্যভিচারিণী -- তার সঙ্গে সহবাস করতে পারে না ব্যভিচারী অথবা বহুখোদাবাদী ব্যতীত। আর এটি মুমিনদের জন্য নিষিদ্ধ।
Surah An-Noor, Verse 3


وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَأۡتُواْ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَ فَٱجۡلِدُوهُمۡ ثَمَٰنِينَ جَلۡدَةٗ وَلَا تَقۡبَلُواْ لَهُمۡ شَهَٰدَةً أَبَدٗاۚ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ

আর যারা সতী- সাধ্বী নারীকে অপবাদ দেয় এবং চারজন সাক্ষী পেশ করে না, তাদের আশি বেত্রাঘাতে চাবুক মার, আর তাদের থেকে কখনও সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না, কেননা তারা নিজেরাই তো সীমালংঘনকারী
Surah An-Noor, Verse 4


إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ وَأَصۡلَحُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

তাদের ক্ষেত্রে ব্যতীত যারা এর পরে তওবা করে ও শোধরে নেয়, কেননা আল্লাহ্ নিঃসন্দেহ পরিত্রাণকারী, অফুর ন্ত ফলদাতা।
Surah An-Noor, Verse 5


وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ أَزۡوَٰجَهُمۡ وَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ شُهَدَآءُ إِلَّآ أَنفُسُهُمۡ فَشَهَٰدَةُ أَحَدِهِمۡ أَرۡبَعُ شَهَٰدَٰتِۭ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ

আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ দেয় এবং তাদের জন্য তাদের নিজেদের ছাড়া অন্য সাক্ষী থাকে না, তাহলে তাদের একজনই আল্লাহ্‌র নামে চারবার সাক্ষ্যদানে সাক্ষীসাবুত খাড়া করবে যে সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের মধ্যেকার
Surah An-Noor, Verse 6


وَٱلۡخَٰمِسَةُ أَنَّ لَعۡنَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كَانَ مِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ

আর পঞ্চমবারে যে আল্লাহ্‌র অভিশাপ তার উপরে পড়ুক যদি সে মিথ্যাবাদীদের একজন হয়।
Surah An-Noor, Verse 7


وَيَدۡرَؤُاْ عَنۡهَا ٱلۡعَذَابَ أَن تَشۡهَدَ أَرۡبَعَ شَهَٰدَٰتِۭ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ

আর তার থেকে শাস্তি রোধ করা যাবে যদি সে আল্লাহ্‌র নামে চারবার সাক্ষ্যদানে সাক্ষী দেয় যে সে নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদীদের মধ্যেকার
Surah An-Noor, Verse 8


وَٱلۡخَٰمِسَةَ أَنَّ غَضَبَ ٱللَّهِ عَلَيۡهَآ إِن كَانَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ

আর পঞ্চমবারে যে আল্লাহ্‌র ক্রোধ তার উপরে পড়ুক যদি সে সত্যবাদীদের একজন হয়।
Surah An-Noor, Verse 9


وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ وَأَنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٌ حَكِيمٌ

আর আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর করুণা যদি তোমাদের উপরে না থাকত, আর আল্লাহ্ যে তওবা কবুলকারী, পরমজ্ঞানী ।
Surah An-Noor, Verse 10


إِنَّ ٱلَّذِينَ جَآءُو بِٱلۡإِفۡكِ عُصۡبَةٞ مِّنكُمۡۚ لَا تَحۡسَبُوهُ شَرّٗا لَّكُمۖ بَلۡ هُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۚ لِكُلِّ ٱمۡرِيٕٖ مِّنۡهُم مَّا ٱكۡتَسَبَ مِنَ ٱلۡإِثۡمِۚ وَٱلَّذِي تَوَلَّىٰ كِبۡرَهُۥ مِنۡهُمۡ لَهُۥ عَذَابٌ عَظِيمٞ

যারা কুৎসা রটনা করেছিল তারা তো তোমাদেরই মধ্যেকার একটি দল। এটিকে তোমাদের জন্য অনিষ্টকর মনে করো না, বরং এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের প্রত্যেক লোকের জন্য রয়েছে পাপের যা সে অর্জন করেছে, আর তদের মধ্যের যে এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল তার জন্য রইছে কঠোর শাস্তি।
Surah An-Noor, Verse 11


لَّوۡلَآ إِذۡ سَمِعۡتُمُوهُ ظَنَّ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بِأَنفُسِهِمۡ خَيۡرٗا وَقَالُواْ هَٰذَآ إِفۡكٞ مُّبِينٞ

যখন তোমরা এটি শুনেছিল তখন কেন মুমিন পুরুষরা ও মুমিন নারীরা তাদের নিজেদের বিষয়ে সৎধারণা মনে আনে নি, আর বলে নি -- ''এ এক ডাহা মিথ্যা’’
Surah An-Noor, Verse 12


لَّوۡلَا جَآءُو عَلَيۡهِ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَۚ فَإِذۡ لَمۡ يَأۡتُواْ بِٱلشُّهَدَآءِ فَأُوْلَـٰٓئِكَ عِندَ ٱللَّهِ هُمُ ٱلۡكَٰذِبُونَ

কেন তারা এর জন্য চারজন সাক্ষী আনে নি? কাজেই তারা যেহেতু সাক্ষী আনতে পারে নি তাই তারাই তো আল্লাহ্‌র কাছে স্বয়ং মিথ্যাবাদী।
Surah An-Noor, Verse 13


وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ لَمَسَّكُمۡ فِي مَآ أَفَضۡتُمۡ فِيهِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

আর আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর করুণা যদি তোমাদের উপরে না থাকত এই দুনিয়াতে এবং পরকালে, তাহলে এই ব্যাপারে তোমরা যা রটাচ্ছিলে সেজন্য তোমাদের নিশ্চয়ই স্পর্শ করত এক কঠোর শাস্তি।
Surah An-Noor, Verse 14


إِذۡ تَلَقَّوۡنَهُۥ بِأَلۡسِنَتِكُمۡ وَتَقُولُونَ بِأَفۡوَاهِكُم مَّا لَيۡسَ لَكُم بِهِۦ عِلۡمٞ وَتَحۡسَبُونَهُۥ هَيِّنٗا وَهُوَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمٞ

বাঃ! তোমরা তোমাদের জিব দিয়ে এটি গ্রহণ করেছিলে, আর যে ব্যাপারে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই সেই নিয়ে তোমাদের মুখে মুখে তোমরা বলাবলি করছিলে, আর তোমরা একে ভেবেছিলে এক তুচ্ছ ব্যাপার, অথচ আল্লাহ্‌র কাছে এ ছিল গুরুতর বিষয়।
Surah An-Noor, Verse 15


وَلَوۡلَآ إِذۡ سَمِعۡتُمُوهُ قُلۡتُم مَّا يَكُونُ لَنَآ أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَٰذَا سُبۡحَٰنَكَ هَٰذَا بُهۡتَٰنٌ عَظِيمٞ

আর যখন তোমরা এটি শুনেছিলে তখন কেন তেমরা বল নি -- ''এ আমাদের জন্য উচিত নয় যে আমরা এ বিষয়ে বলাবলি করি, তোমারই সব মহিমা, এ তো এক গুরুতর অপবাদ’’
Surah An-Noor, Verse 16


يَعِظُكُمُ ٱللَّهُ أَن تَعُودُواْ لِمِثۡلِهِۦٓ أَبَدًا إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ

আল্লাহ্ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন যে তোমরা এর মতো আচরণে কখনও ফিরে যাবে না, যদি তোমরা মুমিন হও।
Surah An-Noor, Verse 17


وَيُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِۚ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

আর আল্লাহ্ তোমাদের জন্য নির্দেশসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।
Surah An-Noor, Verse 18


إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ

নিঃসন্দেহ যারা ভালবাসে যে যারা ঈমান এনেছে তাদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার করুক তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি এই দুনিয়াতে ও আখেরাতে। আর আল্লাহ্ জানেন, আর তোমরা জান না।
Surah An-Noor, Verse 19


وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ وَأَنَّ ٱللَّهَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ

আর যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর করুণা তোমাদের উপরে না থাকত, আর আল্লাহ্ তো পরম স্নেহময়, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah An-Noor, Verse 20


۞يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ وَمَن يَتَّبِعۡ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَإِنَّهُۥ يَأۡمُرُ بِٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۚ وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ مَا زَكَىٰ مِنكُم مِّنۡ أَحَدٍ أَبَدٗا وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يُزَكِّي مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। আর যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, সে তো তবে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়। আর যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর করুণা তোমাদের উপরে না থাকত তবে তোমাদের মধ্যের একজনও কদাপি পবিত্র হতে পারত না। কিন্ত আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে পবিত্র করেন। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা।
Surah An-Noor, Verse 21


وَلَا يَأۡتَلِ أُوْلُواْ ٱلۡفَضۡلِ مِنكُمۡ وَٱلسَّعَةِ أَن يُؤۡتُوٓاْ أُوْلِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينَ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَلۡيَعۡفُواْ وَلۡيَصۡفَحُوٓاْۗ أَلَا تُحِبُّونَ أَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٌ

আর তোমাদের মধ্যে যারা করুণাভান্ডারের ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা নিকট-আ‌ত্মীয়দের ও মিসকিনদের ও আল্লাহ্‌র পথে হিজরতকারীদের দান করার বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ না করুক, আর তারা ক্ষমা করুক ও উপেক্ষা করুক। তোমরা কি ভালবাস না যে আল্লাহ্ তোমাদের পরিত্রাণ করবেন? আল্লাহ্ বস্তুতঃ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah An-Noor, Verse 22


إِنَّ ٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡغَٰفِلَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ لُعِنُواْ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ

নিঃসন্দেহ যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ, বিশ্বাসিনী নারীকে অপবাদ দেয় তাদের ইহলোকে ও পরলোকে অভিশাপ দেওয়া হবে, আর তাদের জন্য রইবে কঠোর শাস্তি
Surah An-Noor, Verse 23


يَوۡمَ تَشۡهَدُ عَلَيۡهِمۡ أَلۡسِنَتُهُمۡ وَأَيۡدِيهِمۡ وَأَرۡجُلُهُم بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

সেই দিনে যেদিন তাদের জিহ্বা ও তাদের হাত ও তাদের পা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যা তারা করে চলেছিল সে-সন্বন্ধে
Surah An-Noor, Verse 24


يَوۡمَئِذٖ يُوَفِّيهِمُ ٱللَّهُ دِينَهُمُ ٱلۡحَقَّ وَيَعۡلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ ٱلۡمُبِينُ

সেইদিন আল্লাহ্ তাদের প্রকৃত প্রাপ্য সম্পূর্ণ মিটিয়ে দেবেন, আর তারা জানতে পারবে যে আল্লাহ্ -- তিনিই প্রকাশ্য সত্য।
Surah An-Noor, Verse 25


ٱلۡخَبِيثَٰتُ لِلۡخَبِيثِينَ وَٱلۡخَبِيثُونَ لِلۡخَبِيثَٰتِۖ وَٱلطَّيِّبَٰتُ لِلطَّيِّبِينَ وَٱلطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَٰتِۚ أُوْلَـٰٓئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَۖ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَرِزۡقٞ كَرِيمٞ

দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য, আর দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য, আর সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য, আর সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্যে, -- তারা যা বলে এরা তা থেকে মুক্ত। তাদের জন্য রয়েছে পরিত্রাণ ও সম্মানজনক জীবিকা।
Surah An-Noor, Verse 26


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ بُيُوتِكُمۡ حَتَّىٰ تَسۡتَأۡنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهۡلِهَاۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! নিজেদের গৃহ ছাড়া তোমরা গৃহে প্রবেশ কর না যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নিয়েছ ও তাদের বাসিন্দাদের সালাম করেছ। এইটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যেন তোমরা মনোযোগ দিতে পার।
Surah An-Noor, Verse 27


فَإِن لَّمۡ تَجِدُواْ فِيهَآ أَحَدٗا فَلَا تَدۡخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤۡذَنَ لَكُمۡۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ٱرۡجِعُواْ فَٱرۡجِعُواْۖ هُوَ أَزۡكَىٰ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ

কিন্ত যদি তোমরা তাতে কাউকে না পাও তবে তাতে প্রবেশ কর না যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেওয়া হয়, আর যদি তোমাদের বলা হয় -- 'ফিরে যাও’, তবে ফিরে যেয়ো, -- এটিই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা যা কর সে-বিষয়ে আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 28


لَّيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ مَسۡكُونَةٖ فِيهَا مَتَٰعٞ لَّكُمۡۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تُبۡدُونَ وَمَا تَكۡتُمُونَ

তোমাদের উপরে কোনো অপরাধ হবে না যদি তোমরা এমন ঘরে প্রবেশ কর যেখানে কোনো বাসিন্দা নেই, তোমাদের জন্য সেখানে প্রয়োজন রয়েছে। আর আল্লাহ্ জানেন যা তোমরা প্রকাশ কর ও যা তোমরা গোপন রাখ।
Surah An-Noor, Verse 29


قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ

তুমি মুমিন পুরুষদের বলো যে তারা তাদের দৃষ্টি অবনত করুক এবং তাদের আঙ্গিক কর্তব্যাবলীর হেফাজত করুক। এ তাদের জন্য পবিত্রতর। তারা যা করে আল্লাহ্ সে-বিষয়ে নিশ্চয়ই পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
Surah An-Noor, Verse 30


وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّـٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ

আর মুমিন নারীদের বলো যে তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে, আর তাদের আঙ্গিক কর্তব্যাবলীর হেফাজত করে, আর তাদের অঙ্গশোভা যেন প্রদর্শন না করে শুধু তার মধ্যে যা প্রকাশ হয়ে থাকে তা ভিন্ন, আর যেন তারা তাদের মাথার কাপড় দিয়ে তাদের বুকের উপরটা ঢেকে রাখে, আর তারা যেন তাদের শোভা-সৌন্দর্য প্রদর্শন করে না শুধু তাদের স্বামীদের অথবা তাদের পিতাদের অথবা তাদের শ্বশুরদের অথবা তাদের পুত্রদের অথবা তাদের সৎপুত্রদের অথবা তাদের ভাইদের অথবা তাদের ভ্রাতুস্পুত্রদের অথবা তাদের ভাগনেদের অথবা তাদের পরিচারিকাদের অথবা তাদের ডান হাত যাদের ধরে রেখেছে, অথবা পুরুষ চাকর-নকর যাদের কাম-লালসা নেই, অথবা ছেলেপিলেদের যাদের নারীদের গোপন অঙ্গ সন্বন্ধে জ্ঞানবোধ হয় নি, এমন লোকদের ভিন্ন, আর তাদের পা দিয়ে যেন তারা আঘাত না করে যাতে তাদের অলংকারের যা লুকিয়ে আছে তা জানানো যায়। আর হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে মিলে আল্লাহ্‌র দিকে ফেরো যেন তোমাদের সফলতা অর্জন হয়।
Surah An-Noor, Verse 31


وَأَنكِحُواْ ٱلۡأَيَٰمَىٰ مِنكُمۡ وَٱلصَّـٰلِحِينَ مِنۡ عِبَادِكُمۡ وَإِمَآئِكُمۡۚ إِن يَكُونُواْ فُقَرَآءَ يُغۡنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ

আর বিয়ে দিয়ে দাও তোমাদের মধ্যের অবিবাহিতদের, আর তোমাদের দাসদের ও তোমাদের দাসীদের মধ্যের সচ্চরিত্রদের। যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয় তবে আল্লাহ্ তাঁর করুণাভান্ডার থেকে তাদের সম্পদ দান করবেন। আর আল্লাহ্ মহাবদান্য, সর্বজ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 32


وَلۡيَسۡتَعۡفِفِ ٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّىٰ يُغۡنِيَهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَٱلَّذِينَ يَبۡتَغُونَ ٱلۡكِتَٰبَ مِمَّا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ فَكَاتِبُوهُمۡ إِنۡ عَلِمۡتُمۡ فِيهِمۡ خَيۡرٗاۖ وَءَاتُوهُم مِّن مَّالِ ٱللَّهِ ٱلَّذِيٓ ءَاتَىٰكُمۡۚ وَلَا تُكۡرِهُواْ فَتَيَٰتِكُمۡ عَلَى ٱلۡبِغَآءِ إِنۡ أَرَدۡنَ تَحَصُّنٗا لِّتَبۡتَغُواْ عَرَضَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَمَن يُكۡرِههُّنَّ فَإِنَّ ٱللَّهَ مِنۢ بَعۡدِ إِكۡرَٰهِهِنَّ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

আর যারা বিবাহের পাত্রপাত্রী খোঁজে পায় না তারা যেন সংযত হয়ে চলে যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাঁর করুণাভান্ডার থেকে তাদের সম্পদ দান করেন। আর তোমাদের ডানহাতে যাদের ধরে রেখেছে তাদের মধ্যের যারা নিখাপড়া চায় তাদের তবে লিখে দাও যদি তাদের মধ্যে কল্যাণকর কিছু থাকা সন্বন্ধে জানতে পার, আর তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন আল্লাহ্‌র সেই ধন থেকে তাদের দান করো। আর তোমাদের দাসী-বাঁদীদের বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য কর না পার্থিব জীবনের নশ্বর বস্তু কামনা ক’রে যদি তারা সচ্চরিত্র থাকা পছন্দ করে। আর যে কেউ তাদের বাধ্য করে সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি জবরদস্তির পরে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই ক্ষমাকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah An-Noor, Verse 33


وَلَقَدۡ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ ءَايَٰتٖ مُّبَيِّنَٰتٖ وَمَثَلٗا مِّنَ ٱلَّذِينَ خَلَوۡاْ مِن قَبۡلِكُمۡ وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ

আর আমরা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী অবতারণ করেছি, আর তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের উদাহরণ, আর ধর্মভীরুদের জন্য দিয়েছি উপদেশ।
Surah An-Noor, Verse 34


۞ٱللَّهُ نُورُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ مَثَلُ نُورِهِۦ كَمِشۡكَوٰةٖ فِيهَا مِصۡبَاحٌۖ ٱلۡمِصۡبَاحُ فِي زُجَاجَةٍۖ ٱلزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوۡكَبٞ دُرِّيّٞ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٖ مُّبَٰرَكَةٖ زَيۡتُونَةٖ لَّا شَرۡقِيَّةٖ وَلَا غَرۡبِيَّةٖ يَكَادُ زَيۡتُهَا يُضِيٓءُ وَلَوۡ لَمۡ تَمۡسَسۡهُ نَارٞۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٖۚ يَهۡدِي ٱللَّهُ لِنُورِهِۦ مَن يَشَآءُۚ وَيَضۡرِبُ ٱللَّهُ ٱلۡأَمۡثَٰلَ لِلنَّاسِۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আলোক। তাঁর আলোকের উপমা হচ্ছে যেন একটি কুলঙ্গী যাতে আছে একটি প্রদীপ। প্রদীপটি রয়েছে একটি কাচের চিমনির ভেতরে। চিমনিটি যেন একটি উজ্জ্বল তারকা, যেটি জ্বালানো হয়েছে পবিত্র জয়তুন গাছ থেকে, -- পূর্বাঞ্চলীয় নয়, পাশ্চাত্যেরও নয়, তার তেলটা যেন প্রজ্জ্বলিত যদিও আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারে না। আলোকের উপরে আলোক! আল্লাহ্ তাঁর আলোকের দিকে যাকে ইচ্ছে করেন পথ দেখিয়ে নেন। আর আল্লাহ্ মানুষের জন্য উপমাগুলো ছোঁড়েন। আর আল্লাহ্ সব-কিছু সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 35


فِي بُيُوتٍ أَذِنَ ٱللَّهُ أَن تُرۡفَعَ وَيُذۡكَرَ فِيهَا ٱسۡمُهُۥ يُسَبِّحُ لَهُۥ فِيهَا بِٱلۡغُدُوِّ وَٱلۡأٓصَالِ

সেইসব ঘরে যাকে আল্লাহ্ অনুমতি দিয়েছেন উন্নীত হতে এবং তাঁর নামে সে-সবে গুণ-কীর্তন হতে, সে-সবে তাঁর জপতপ করা হয় সকাল ও সন্ধ্যায়
Surah An-Noor, Verse 36


رِجَالٞ لَّا تُلۡهِيهِمۡ تِجَٰرَةٞ وَلَا بَيۡعٌ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِ وَإِقَامِ ٱلصَّلَوٰةِ وَإِيتَآءِ ٱلزَّكَوٰةِ يَخَافُونَ يَوۡمٗا تَتَقَلَّبُ فِيهِ ٱلۡقُلُوبُ وَٱلۡأَبۡصَٰرُ

ব্যক্তিবর্গ, -- ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেচা-কেনা তাদের বিরত করতে পারে না আল্লাহ্‌র নাম-কীর্তন থেকে ও নামায কায়েম করা ও যাকাত আদায় করা থেকে, তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন হৃদয় ও চোখ আন্দোলিত হবে
Surah An-Noor, Verse 37


لِيَجۡزِيَهُمُ ٱللَّهُ أَحۡسَنَ مَا عَمِلُواْ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضۡلِهِۦۗ وَٱللَّهُ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيۡرِ حِسَابٖ

যেন আল্লাহ্ তাদের প্রতিদান দিতে পারেন শ্রেষ্ঠ-সুন্দরভাবে যা তারা করেছে সেজন্য, আর তাঁর করুণাভান্ডার থেকে তাদের বাড়িয়েও দিতে পারেন। আর আল্লাহ্ বেহিসাব রিযেক দিয়ে থাকেন যাকে তিনি ইচ্ছে করেন।
Surah An-Noor, Verse 38


وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَعۡمَٰلُهُمۡ كَسَرَابِۭ بِقِيعَةٖ يَحۡسَبُهُ ٱلظَّمۡـَٔانُ مَآءً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَهُۥ لَمۡ يَجِدۡهُ شَيۡـٔٗا وَوَجَدَ ٱللَّهَ عِندَهُۥ فَوَفَّىٰهُ حِسَابَهُۥۗ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ

পক্ষান্তরে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের ক্রিয়াকর্ম মরুভূমির মরীচিকার ন্যায়, পিপাসার্ত তাকে পানি বলে মনে করে যে পর্যন্ত না সে তার কাছে আসে সে ঐটির কিছুই দেখতে পায় না, বরং সে আল্লাহকে তার সামনে দেখতে পাবে, সুতরাং তিনি তার হিসাব চুকিয়ে দেবেন। আর আল্লাহ্ হিসাব-নিকাশে তৎপর।
Surah An-Noor, Verse 39


أَوۡ كَظُلُمَٰتٖ فِي بَحۡرٖ لُّجِّيّٖ يَغۡشَىٰهُ مَوۡجٞ مِّن فَوۡقِهِۦ مَوۡجٞ مِّن فَوۡقِهِۦ سَحَابٞۚ ظُلُمَٰتُۢ بَعۡضُهَا فَوۡقَ بَعۡضٍ إِذَآ أَخۡرَجَ يَدَهُۥ لَمۡ يَكَدۡ يَرَىٰهَاۗ وَمَن لَّمۡ يَجۡعَلِ ٱللَّهُ لَهُۥ نُورٗا فَمَا لَهُۥ مِن نُّورٍ

অথবা গভীর সমুদ্রের তলার ঘোর অন্ধকারের ন্যায়, তাকে ঢেকে রাখে এক ঢেউ, তার উপরে আরেক ঢেউ, তার উপরে আছে মেঘ। ঘোর অন্ধকার -- যার একটি অপরটির উপরে। সে যখন তার হাত বাড়ায় সে তা যেন দেখতেই পায় না। আর যাকে আল্লাহ্ তার নিমিত্তে আলোক দেন নি তার জন্য তবে কোনো আলোক নেই।
Surah An-Noor, Verse 40


أَلَمۡ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَٱلطَّيۡرُ صَـٰٓفَّـٰتٖۖ كُلّٞ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَهُۥ وَتَسۡبِيحَهُۥۗ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِمَا يَفۡعَلُونَ

তুমি কি দেখ না যে আল্লাহ্ -- তাঁরই জপতপ করে যারাই আছে মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে, আর পাখা-মেলে-থাকা পাখি? প্রত্যেকেই জেনে রেখেছে তার নামায ও তার নামজপ। আর তারা যা করে সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ সম্যক জ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 41


وَلِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلۡمَصِيرُ

আর মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌম কর্তৃত্ব আল্লাহ্‌র, আর আল্লাহ্‌র প্রতিই হচ্ছে প্রত্যাবর্তনস্থল।
Surah An-Noor, Verse 42


أَلَمۡ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُزۡجِي سَحَابٗا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيۡنَهُۥ ثُمَّ يَجۡعَلُهُۥ رُكَامٗا فَتَرَى ٱلۡوَدۡقَ يَخۡرُجُ مِنۡ خِلَٰلِهِۦ وَيُنَزِّلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مِن جِبَالٖ فِيهَا مِنۢ بَرَدٖ فَيُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ وَيَصۡرِفُهُۥ عَن مَّن يَشَآءُۖ يَكَادُ سَنَا بَرۡقِهِۦ يَذۡهَبُ بِٱلۡأَبۡصَٰرِ

তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে আল্লাহ্ মেঘমালাকে চালিয়ে নিয়ে যান, তারপর তিনি তাদের পরস্পরের মধ্যে জড় করেন, তারপর তাদের তিনি পুঞ্জীভূত করেন, তখন তুমি দেখতে পাও তার ভেতর থেকে বেরুচ্ছে বৃষ্টি? আর তিনি আকাশ থেকে পাহাড়গুলো হতে পাঠান তাতে থাকা শিলার রাশি, আর তা দিয়ে তিনি আঘাত করেন যাকে খুশি, এবং তা ফিরিয়ে রাখেন যাকে ইচ্ছা তার থেকে। তার বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় নিয়েই নেয়।
Surah An-Noor, Verse 43


يُقَلِّبُ ٱللَّهُ ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّأُوْلِي ٱلۡأَبۡصَٰرِ

আল্লাহ্ রাত ও দিনকে বিবর্তন করেন। নিঃসন্দেহ এতে তো শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে দৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য।
Surah An-Noor, Verse 44


وَٱللَّهُ خَلَقَ كُلَّ دَآبَّةٖ مِّن مَّآءٖۖ فَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰ بَطۡنِهِۦ وَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰ رِجۡلَيۡنِ وَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰٓ أَرۡبَعٖۚ يَخۡلُقُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

আর আল্লাহ্ সব জীবন্তজগতকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে, সুতরাং তাদের মধ্যে রয়েছে যা তার পেটের উপরে চলে, আর তাদের মধ্যে আছে যা দুই পায়ে হাঁটে, আর তাদের মধ্যে রয়েছে যা চারখানায় চলে। আল্লাহ্ সৃষ্টি করে যান যা তিনি চান। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Surah An-Noor, Verse 45


لَّقَدۡ أَنزَلۡنَآ ءَايَٰتٖ مُّبَيِّنَٰتٖۚ وَٱللَّهُ يَهۡدِي مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ

আমরা নিশ্চয়ই সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী অবতারণ করেছি, আর আল্লাহ্ সহজ-সঠিক পথের দিকে চালিত করেন যাকে তিনি ইচ্ছে করেন।
Surah An-Noor, Verse 46


وَيَقُولُونَ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلرَّسُولِ وَأَطَعۡنَا ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٞ مِّنۡهُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَۚ وَمَآ أُوْلَـٰٓئِكَ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ

ফলে তারা বলে -- ''আমরা আল্লাহ্‌র প্রতি ও রসূলের প্রতি ঈমান এনেছি, আর আমরা আজ্ঞা পালন করি।’’ তারপর তাদের একদল এর পরেও ফিরে যায়। আর এই লোকগুলো মুমিন নয়।
Surah An-Noor, Verse 47


وَإِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ إِذَا فَرِيقٞ مِّنۡهُم مُّعۡرِضُونَ

আর যখন তাদের ডাকা হয় আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি যেন তিনি তাদের মধ্যে একটা মীমাংসা করতে পারেন, তখন দেখো, তাদের মধ্যের একদল ঘুরে যায়।
Surah An-Noor, Verse 48


وَإِن يَكُن لَّهُمُ ٱلۡحَقُّ يَأۡتُوٓاْ إِلَيۡهِ مُذۡعِنِينَ

আর যদি ন্যায়পরায়ণতা তাদের সপক্ষে হয় তবে তারা তাঁর কাছে আসে ঘাড় নুইয়ে।
Surah An-Noor, Verse 49


أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ٱرۡتَابُوٓاْ أَمۡ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ وَرَسُولُهُۥۚ بَلۡ أُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ

ওদের হৃদয়ে কি ব্যাধি আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে, না তারা আশংকা করে যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করবেন? বস্তুতঃ তারা স্বয়ং অন্যায়াচারী।
Surah An-Noor, Verse 50


إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ

নিঃসন্দেহ মুমিনদের কথা হচ্ছে -- যখন তাদের ডাকা হয় আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি যেন তিনি তাদের মধ্যে বিচার করতে পারেন, তখন তারা বলে -- ''আমরা শুনি ও পালন করি।’’ আর তারা নিজেরাই হয় সফলকাম।
Surah An-Noor, Verse 51


وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَخۡشَ ٱللَّهَ وَيَتَّقۡهِ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَآئِزُونَ

আর যে আল্লাহ্‌র ও তাঁর রসূলের আজ্ঞা পালন করে, আর আল্লাহ্‌কে ভয় করে ও তাঁকে ভক্তিশ্রদ্ধা করে, তাহলে তারা নিজেরাই বিজেতা হবে।
Surah An-Noor, Verse 52


۞وَأَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ لَئِنۡ أَمَرۡتَهُمۡ لَيَخۡرُجُنَّۖ قُل لَّا تُقۡسِمُواْۖ طَاعَةٞ مَّعۡرُوفَةٌۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ

আর তারা তাদের সুদৃঢ় আস্থার সাথে আল্লাহ্‌র নামে কসম খায় যে যদি তুমি তাদের আদেশ করতে তাহলে তারা আলবৎ বেরিয়ে পড়ত। তুমি বলো, ''শপথ করো না, আনুগত্য তো জানাই আছে! তোমরা যা কর আল্লাহ্ নিশ্চয়ই সে-বিষয়ে ওয়াকিফহাল।’’
Surah An-Noor, Verse 53


قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّمَا عَلَيۡهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيۡكُم مَّا حُمِّلۡتُمۡۖ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهۡتَدُواْۚ وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ

বলো -- ''আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর ও রসূলেরও আজ্ঞাপালন কর।’’ কিন্ত যদি তোমরা ফিরে যাও, তাহলে নিঃসন্দেহ তাঁর উপরে রয়েছে শুধু তাঁকে যে ভার দেওয়া হয়েছে, আর তোমাদের উপরে রয়েছে তোমাদের যে ভার দেওয়া হয়েছে। আর যদি তোমরা তাঁর আজ্ঞাপালন কর তবে তোমরা সৎপথ পাবে। আর রসূলের উপরে কোনো দায়িত্ব নেই সুস্পষ্টভাবে পৌঁছানো ছাড়া।
Surah An-Noor, Verse 54


وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ لَيَسۡتَخۡلِفَنَّهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ كَمَا ٱسۡتَخۡلَفَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمۡ دِينَهُمُ ٱلَّذِي ٱرۡتَضَىٰ لَهُمۡ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّنۢ بَعۡدِ خَوۡفِهِمۡ أَمۡنٗاۚ يَعۡبُدُونَنِي لَا يُشۡرِكُونَ بِي شَيۡـٔٗاۚ وَمَن كَفَرَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করছে আল্লাহ্ তাদের ওয়াদা করছেন যে, তিনি নিশ্চয়ই তাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের যারা ছিল এদের পূর্ববর্তী, আর অবশ্যই তিনি তাদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের ধর্ম যা তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন, আর নিশ্চয়ই তাদের ভয়-ভীতির পরে তাদের জন্যে বদলে আনবেন নিরাপত্তা। তারা আমারই এবাদত করবে, আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করবে না। আর যে কেউ এর পরে অকৃতজ্ঞতা দেখাবে -- তাহলে তারা নিজেরাই হচ্ছে সীমা-লংঘনকারী।
Surah An-Noor, Verse 55


وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُونَ

আর তোমরা নামায কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর আর রসূলের আজ্ঞাপালন কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়।
Surah An-Noor, Verse 56


لَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مُعۡجِزِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَمَأۡوَىٰهُمُ ٱلنَّارُۖ وَلَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ

তুমি মনে করো না যে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা পৃথিবীতে এড়িয়ে যেতে পারবে, বরঞ্চ তাদের আবাসস্থল হচ্ছে আগুন। আর আলবৎ মন্দ সেই গন্তব্যস্থান।
Surah An-Noor, Verse 57


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لِيَسۡتَـٔۡذِنكُمُ ٱلَّذِينَ مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ وَٱلَّذِينَ لَمۡ يَبۡلُغُواْ ٱلۡحُلُمَ مِنكُمۡ ثَلَٰثَ مَرَّـٰتٖۚ مِّن قَبۡلِ صَلَوٰةِ ٱلۡفَجۡرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ ٱلظَّهِيرَةِ وَمِنۢ بَعۡدِ صَلَوٰةِ ٱلۡعِشَآءِۚ ثَلَٰثُ عَوۡرَٰتٖ لَّكُمۡۚ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ وَلَا عَلَيۡهِمۡ جُنَاحُۢ بَعۡدَهُنَّۚ طَوَّـٰفُونَ عَلَيۡكُم بَعۡضُكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের ডান হাত যাদের ধরে রেখেছে এবং তোমাদের মধ্যের যারা সাবালগত্বে পৌঁছায়নি তারা যেন তোমাদের অনুমতি নেয় তিনটি সময়ে, -- ফজরের নামাযের আগে, আর যখন তোমরা মধ্যাহ্নের গরমে তোমাদের জামাকাপড় ছেড়ে দাও, এবং ঈশার নামাযের পরে। এই তিন হচ্ছে তোমাদের জন্য গোপনীয়তা অবলন্বনের সময়। এইসব বাদ দিয়ে তোমাদের জন্য কোনো দোষ হবে না এবং তাদের জন্যও নয়। তোমাদের কাউকে অপরের কাছে তো ঘোরাঘুরি করতেই হয়। এইভাবেই আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বাণীসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।
Surah An-Noor, Verse 58


وَإِذَا بَلَغَ ٱلۡأَطۡفَٰلُ مِنكُمُ ٱلۡحُلُمَ فَلۡيَسۡتَـٔۡذِنُواْ كَمَا ٱسۡتَـٔۡذَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ

আর তোমাদের মধ্যেকার ছেলেপিলেরা যখন সাবালগত্বে পৌঁছে যায় তখন তারাও যেন অনুমতি চায় যেমন অনুমতি চাইত তারা যারা এদের আগে রয়েছিল। এইভাবেই আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁর বাণীসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।
Surah An-Noor, Verse 59


وَٱلۡقَوَٰعِدُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ ٱلَّـٰتِي لَا يَرۡجُونَ نِكَاحٗا فَلَيۡسَ عَلَيۡهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعۡنَ ثِيَابَهُنَّ غَيۡرَ مُتَبَرِّجَٰتِۭ بِزِينَةٖۖ وَأَن يَسۡتَعۡفِفۡنَ خَيۡرٞ لَّهُنَّۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

আর নারীদের মধ্যের প্রেঢ়ারা যারা বিয়ের আশা করে না, তাদের জন্যে তবে অপরাধ হবে না যদি তারা তাদের পোশাক খুলে রাখে শোভা-সৌন্দর্য প্রদর্শন না ক’রে। আর যদি তারা সংযত থাকে তবে তাদের জন্য বেশি ভাল। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 60


لَّيۡسَ عَلَى ٱلۡأَعۡمَىٰ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡأَعۡرَجِ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡمَرِيضِ حَرَجٞ وَلَا عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ أَن تَأۡكُلُواْ مِنۢ بُيُوتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ ءَابَآئِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أُمَّهَٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ إِخۡوَٰنِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَخَوَٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَعۡمَٰمِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ عَمَّـٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَخۡوَٰلِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ خَٰلَٰتِكُمۡ أَوۡ مَا مَلَكۡتُم مَّفَاتِحَهُۥٓ أَوۡ صَدِيقِكُمۡۚ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَأۡكُلُواْ جَمِيعًا أَوۡ أَشۡتَاتٗاۚ فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ

অন্ধের উপরে কোনো দোষ নেই ও খোঁড়ার উপরেও নয়, যদি তোমরা আহার কর তোমাদের বাড়ি থেকে, অথবা তোমাদের পিতাদের বাড়িতে, কিংবা তোমাদের মায়েদের বাড়িতে, নয়ত তোমাদের ভাইদের বাড়িতে, না হয় তোমাদের বোনদের বাড়িতে, কিংবা তোমাদের চাচাদের বাড়িতে, অথবা তোমাদের ফুফুদের বাড়িতে, নয়ত তোমাদের মামাদের বাড়িতে, অথবা তোমাদের খালাদের বাড়িতে, কিংবা সেইসবে যার চাবি তোমাদের দখলে রয়েছে, অথবা তোমাদের বন্ধুদের। তোমাদের উপরে কোনো অপরাধ হবে না যদি তোমরা একসঙ্গে আহার কর অথবা আলাদাভাবে। সুতরাং যখন তোমরা বাড়িঘরে প্রবেশ কর তখন তোমাদের পরস্পরকে সালাম কর আল্লাহ্‌র তরফ থেকে কল্যাণময় পবিত্র সম্ভাষণে। এইভাবেই আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বাণীসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যেন তোমরা বুঝতে পার।
Surah An-Noor, Verse 61


إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَإِذَا كَانُواْ مَعَهُۥ عَلَىٰٓ أَمۡرٖ جَامِعٖ لَّمۡ يَذۡهَبُواْ حَتَّىٰ يَسۡتَـٔۡذِنُوهُۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَسۡتَـٔۡذِنُونَكَ أُوْلَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۚ فَإِذَا ٱسۡتَـٔۡذَنُوكَ لِبَعۡضِ شَأۡنِهِمۡ فَأۡذَن لِّمَن شِئۡتَ مِنۡهُمۡ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمُ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

তারাই কেবল মুমিন যারা আল্লাহ্‌তে ও তাঁর রসূলে ঈমান আনে, আর যখন তারা কোনো সমষ্টিগত ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে থাকে তখন তারা চলে যায় না যতক্ষণ না তারা তাঁর থেকে অনুমতি নিয়েছে। নিঃসন্দেহ যারা তোমার অনুমতি প্রার্থনা করে তারাই হচ্ছে ওরা যারা আল্লাহ্‌তে ও তাঁর রসূলে ঈমান এনেছে, সুতরাং তারা যখন তাদের কোনো ব্যাপারের জন্য তোমার অনুমতি প্রার্থনা করে তখন অনুমতি দাও তাদের মধ্যের যাকে তুমি ইচ্ছা কর, আর তাদের জন্য আল্লাহ্‌র ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah An-Noor, Verse 62


لَّا تَجۡعَلُواْ دُعَآءَ ٱلرَّسُولِ بَيۡنَكُمۡ كَدُعَآءِ بَعۡضِكُم بَعۡضٗاۚ قَدۡ يَعۡلَمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنكُمۡ لِوَاذٗاۚ فَلۡيَحۡذَرِ ٱلَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنۡ أَمۡرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمۡ فِتۡنَةٌ أَوۡ يُصِيبَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ

তোমাদের মধ্যে রসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের মধ্যের একে অন্যে আহ্বানের মতো গণ্য করো না। আল্লাহ্ অবশ্যই তাদের জানেন তোমাদের মধ্যের যারা চুপি চুপি সরে পড়ে, সেজন্য যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধে যায় তারা সাবধান হোক পাছে কোনো বিপর্যয় তাদের উপরে পতিত হয়, অথবা কোনো মর্মন্তদ শাস্তি তাদের উপরে আপতিত হয়।
Surah An-Noor, Verse 63


أَلَآ إِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ قَدۡ يَعۡلَمُ مَآ أَنتُمۡ عَلَيۡهِ وَيَوۡمَ يُرۡجَعُونَ إِلَيۡهِ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُواْۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمُۢ

এটি কি নয় যে মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে তা নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র? তিনি অবশ্য জানেন তোমরা যা-কিছুতে রয়েছ। আর যেদিন তাদের তাঁর কাছে ফেরত নেওয়া হবে সেদিন তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে যা তারা করত। আর আল্লাহ্ সব- কিছু সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা।
Surah An-Noor, Verse 64


Author: Zohurul Hoque


<< Surah 23
>> Surah 25

Bengali Translations by other Authors


Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Popular Areas
Apartments for rent in Dubai Apartments for rent Abu Dhabi Villas for rent in Dubai House for rent Abu Dhabi Apartments for sale in Dubai Apartments for sale in Abu Dhabi Flat for rent Sharjah
Popular Searches
Studios for rent in UAE Apartments for rent in UAE Villas for rent in UAE Apartments for sale in UAE Villas for sale in UAE Land for sale in UAE Dubai Real Estate
Trending Areas
Apartments for rent in Dubai Marina Apartments for sale in Dubai Marina Villa for rent in Sharjah Villa for sale in Dubai Flat for rent in Ajman Studio for rent in Abu Dhabi Villa for rent in Ajman
Trending Searches
Villa for rent in Abu Dhabi Shop for rent in Dubai Villas for sale in Ajman Studio for rent in Sharjah 1 Bedroom Apartment for rent in Dubai Property for rent in Abu Dhabi Commercial properties for sale
© Copyright Dubai Prayer Time. All Rights Reserved
Designed by Prayer Time In Dubai