UAE Prayer Times

  • Dubai
  • Abu Dhabi
  • Sharjah
  • Ajman
  • Fujairah
  • Umm Al Quwain
  • Ras Al Khaimah
  • Quran Translations

Surah Az-Zukhruf - Bengali Translation by Zohurul Hoque


حمٓ

হা মীম
Surah Az-Zukhruf, Verse 1


وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ

সুস্পষ্ট গ্রন্থখানা সন্বন্ধে ভেবে দেখো
Surah Az-Zukhruf, Verse 2


إِنَّا جَعَلۡنَٰهُ قُرۡءَٰنًا عَرَبِيّٗا لَّعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ

নিঃসন্দেহ আমরা এটিকে এক আরবী ভাষণ করেছি যেন তোমরা বুঝতে পারো।
Surah Az-Zukhruf, Verse 3


وَإِنَّهُۥ فِيٓ أُمِّ ٱلۡكِتَٰبِ لَدَيۡنَا لَعَلِيٌّ حَكِيمٌ

আর নিঃসন্দেহ এটি রয়েছে আমাদের কাছে আদিগ্রন্থে, মহোচ্চ, জ্ঞানসমৃদ্ধ।
Surah Az-Zukhruf, Verse 4


أَفَنَضۡرِبُ عَنكُمُ ٱلذِّكۡرَ صَفۡحًا أَن كُنتُمۡ قَوۡمٗا مُّسۡرِفِينَ

কী! আমরা কি তোমাদের থেকে স্মারক গ্রন্থখানা সর্বতোভাবে সরিয়ে নেব যেহেতু তোমরা হচ্ছ এক সীমালংঘনকারী জাতি
Surah Az-Zukhruf, Verse 5


وَكَمۡ أَرۡسَلۡنَا مِن نَّبِيّٖ فِي ٱلۡأَوَّلِينَ

আর নবীদের কতজনকে যে আমরা পূর্ববর্তীদের কাছে পাঠিয়েছিলাম
Surah Az-Zukhruf, Verse 6


وَمَا يَأۡتِيهِم مِّن نَّبِيٍّ إِلَّا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ

আর নবীদের এমন কেউ তাদের কাছে আসেন নি যাঁকে তারা বিদ্রূপ না করত।
Surah Az-Zukhruf, Verse 7


فَأَهۡلَكۡنَآ أَشَدَّ مِنۡهُم بَطۡشٗا وَمَضَىٰ مَثَلُ ٱلۡأَوَّلِينَ

তারপর এদের চাইতে বলবীর্যে বেশী শক্তিশালীদেরও আমরা ধ্বংস করেছিলাম, আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীতে রয়েছে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 8


وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡعَلِيمُ

আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর -- ''কে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন?’’ -- তারা নিশ্চয়ই বলবে -- ''এগুলো সৃষ্টি করেছেন মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতা
Surah Az-Zukhruf, Verse 9


ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلۡأَرۡضَ مَهۡدٗا وَجَعَلَ لَكُمۡ فِيهَا سُبُلٗا لَّعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ

যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন এক খাটিয়া, আর এতে তৈরী করেছেন তোমাদের কারণে পথসমূহ, যাতে তোমরা পথের দিশা পেতে পার
Surah Az-Zukhruf, Verse 10


وَٱلَّذِي نَزَّلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءَۢ بِقَدَرٖ فَأَنشَرۡنَا بِهِۦ بَلۡدَةٗ مَّيۡتٗاۚ كَذَٰلِكَ تُخۡرَجُونَ

আর যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন পরিমাপ মতো, তারপর তা দিয়ে আমরা প্রাণবন্ত করি মৃত দেশকে, এইভাবেই তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 11


وَٱلَّذِي خَلَقَ ٱلۡأَزۡوَٰجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُم مِّنَ ٱلۡفُلۡكِ وَٱلۡأَنۡعَٰمِ مَا تَرۡكَبُونَ

আর যিনি সমস্ত-কিছু জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌকা-জাহাজ ও গবাদি-পশুর মধ্যে বানিয়েছেন সেগুলো যা তোমরা চড়ো
Surah Az-Zukhruf, Verse 12


لِتَسۡتَوُۥاْ عَلَىٰ ظُهُورِهِۦ ثُمَّ تَذۡكُرُواْ نِعۡمَةَ رَبِّكُمۡ إِذَا ٱسۡتَوَيۡتُمۡ عَلَيۡهِ وَتَقُولُواْ سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ

যেন তোমরা তাদের পিঠের উপরে মজবুত হয়ে বসতে পার, তারপর তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ স্মরণ করো যখন তোমরা তাদের উপরে বস, আর বলো -- ''সকল মহিমা তাঁর যিনি এদের আমাদের বশ করেছেন, অথচ আমরা এতে সমর্থ ছিলাম না
Surah Az-Zukhruf, Verse 13


وَإِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ

আর অবশ্য আমরা আমাদের প্রভুর দিকেই তো ফিরে যাব।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 14


وَجَعَلُواْ لَهُۥ مِنۡ عِبَادِهِۦ جُزۡءًاۚ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَكَفُورٞ مُّبِينٌ

তথাপি তারা তাঁর বান্দাদের মধ্যে থেকে তাঁর সঙ্গে অংশীদার বানিয়েছে। নিঃসন্দেহ মানুষ তো স্পষ্টই অকৃতজ্ঞ।
Surah Az-Zukhruf, Verse 15


أَمِ ٱتَّخَذَ مِمَّا يَخۡلُقُ بَنَاتٖ وَأَصۡفَىٰكُم بِٱلۡبَنِينَ

তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে থেকে কি তিনি কন্যাদের গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন পুত্রদের
Surah Az-Zukhruf, Verse 16


وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحۡمَٰنِ مَثَلٗا ظَلَّ وَجۡهُهُۥ مُسۡوَدّٗا وَهُوَ كَظِيمٌ

আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেওয়া হয় তাই দিয়ে যার দৃষ্টান্ত সে স্থাপন করে পরম করুণাময়ের প্রতি, তার চেহারা তখন কালো হয়ে যায় আর সে অতিমাত্রায় ক্ষুদ্ধ্ব হয়।
Surah Az-Zukhruf, Verse 17


أَوَمَن يُنَشَّؤُاْ فِي ٱلۡحِلۡيَةِ وَهُوَ فِي ٱلۡخِصَامِ غَيۡرُ مُبِينٖ

তবে কি যে গহনাগাটিতে রক্ষিত আর যে বিতর্ককালে স্পষ্টবাদিতা বিহীন
Surah Az-Zukhruf, Verse 18


وَجَعَلُواْ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةَ ٱلَّذِينَ هُمۡ عِبَٰدُ ٱلرَّحۡمَٰنِ إِنَٰثًاۚ أَشَهِدُواْ خَلۡقَهُمۡۚ سَتُكۡتَبُ شَهَٰدَتُهُمۡ وَيُسۡـَٔلُونَ

আর তারা ফিরিশতাদের, যারা খোদ পরম করুণাময়ের দাস, কন্যা বানায়। কী! এদের সৃষ্টি কি তারা দেখেছিল? তাদের সাক্ষ্য শীঘ্রই লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 19


وَقَالُواْ لَوۡ شَآءَ ٱلرَّحۡمَٰنُ مَا عَبَدۡنَٰهُمۗ مَّا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنۡ عِلۡمٍۖ إِنۡ هُمۡ إِلَّا يَخۡرُصُونَ

আর তারা বলে -- ''পরম করুণাময় যদি চাইতেন তবে আমরা এ-সবের উপাসনা করতাম না।’’ তাদের এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই, তারা তো শুধু ঝুটা আন্দাজই করছে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 20


أَمۡ ءَاتَيۡنَٰهُمۡ كِتَٰبٗا مِّن قَبۡلِهِۦ فَهُم بِهِۦ مُسۡتَمۡسِكُونَ

অথবা তাদের কি এর আগে আমরা কোনো গ্রন্থ দিয়েছি, ফলে তারা তাতে আকঁড়ে রয়েছে
Surah Az-Zukhruf, Verse 21


بَلۡ قَالُوٓاْ إِنَّا وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٖ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم مُّهۡتَدُونَ

না, তারা বলে -- ''আমরা তো আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা নিঃসন্দেহে তাদেরই পদচিহ্নের উপরে পরিচালিত হয়েছি।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 22


وَكَذَٰلِكَ مَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ فِي قَرۡيَةٖ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوهَآ إِنَّا وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٖ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم مُّقۡتَدُونَ

আর এইভাবেই তোমার আগে কোনো জনপদে আমরা সতর্ককারীদের কাউকেও পাঠাই নি, যার বড়লোকেরা না বলেছে -- ''আমরা নিশ্চয়ই আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা আলবৎ তাদেরই পদাংকের অনুসারী।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 23


۞قَٰلَ أَوَلَوۡ جِئۡتُكُم بِأَهۡدَىٰ مِمَّا وَجَدتُّمۡ عَلَيۡهِ ءَابَآءَكُمۡۖ قَالُوٓاْ إِنَّا بِمَآ أُرۡسِلۡتُم بِهِۦ كَٰفِرُونَ

তিনি বলেছিলেন -- ''কী! যদিও আমি তোমাদের কাছে তার চাইতেও ভালো পথনির্দেশ নিয়ে এসেছি যার উপরে তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছিলে?’’ তারা বললে, ''তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তাতে নিশ্চয়ই অবিশ্বাসী।
Surah Az-Zukhruf, Verse 24


فَٱنتَقَمۡنَا مِنۡهُمۡۖ فَٱنظُرۡ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ

সুতরাং আমরা তাদের পরিণতি দিয়েছিলাম, অতএব চেয়ে দেখো -- কেমন হয়েছিল মিথ্যাচারীদের পরিণাম
Surah Az-Zukhruf, Verse 25


وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦٓ إِنَّنِي بَرَآءٞ مِّمَّا تَعۡبُدُونَ

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীম তাঁর পিতৃকে ও তাঁর স্বজাতিকে বললেন, ''তোমরা যার পূজা কর তা থেকে আমি অবশ্যই মুক্ত
Surah Az-Zukhruf, Verse 26


إِلَّا ٱلَّذِي فَطَرَنِي فَإِنَّهُۥ سَيَهۡدِينِ

তাঁকে ব্যতীত যিনি আমাকে আদিতে সৃষ্টি করেছেন, কাজেই নিশ্চয় তিনি শীঘ্রই আমাকে পথ দেখাবেন।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 27


وَجَعَلَهَا كَلِمَةَۢ بَاقِيَةٗ فِي عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ

আর তিনি এটিকে তাঁর বংশধরদের মধ্যে একটি চিরন্তন বাণী বানিয়েছিলেন, যেন তারা ফিরতে পারে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 28


بَلۡ مَتَّعۡتُ هَـٰٓؤُلَآءِ وَءَابَآءَهُمۡ حَتَّىٰ جَآءَهُمُ ٱلۡحَقُّ وَرَسُولٞ مُّبِينٞ

বস্তুতঃ আমি এদের ও এদের পূর্বপুরুষদের উপভোগ করতে দিয়েছিলাম, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে এসেছিল মহাসত্য ও একজন স্পষ্ট প্রতীয়মান রসূল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 29


وَلَمَّا جَآءَهُمُ ٱلۡحَقُّ قَالُواْ هَٰذَا سِحۡرٞ وَإِنَّا بِهِۦ كَٰفِرُونَ

আর এখন যেহেতু তাদের কাছে মহাসত্য এসেই গেছে, তারা বলছে, ''এ এক জাদু, আর আমরা অবশ্যই এতে অবিশ্বাসী।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 30


وَقَالُواْ لَوۡلَا نُزِّلَ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانُ عَلَىٰ رَجُلٖ مِّنَ ٱلۡقَرۡيَتَيۡنِ عَظِيمٍ

আর তারা বলে, ''এই কুরআনখানা দুটো জনপদের মধ্যের কোনো এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে কেন অবতীর্ণ হল না?’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 31


أَهُمۡ يَقۡسِمُونَ رَحۡمَتَ رَبِّكَۚ نَحۡنُ قَسَمۡنَا بَيۡنَهُم مَّعِيشَتَهُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَرَفَعۡنَا بَعۡضَهُمۡ فَوۡقَ بَعۡضٖ دَرَجَٰتٖ لِّيَتَّخِذَ بَعۡضُهُم بَعۡضٗا سُخۡرِيّٗاۗ وَرَحۡمَتُ رَبِّكَ خَيۡرٞ مِّمَّا يَجۡمَعُونَ

তারাই কি তোমার প্রভুর করুণা ভাগ-বাঁটা করে? আমরাই এই দুনিয়ার জীবনে তাদের জীবিকা তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিই, এবং তাদের কাউকে অপরের উপরে মর্যাদায় উন্নত করি, যেন তাদের কেউ-কেউ অপরকে সেবারত করে নিতে পারে। আর তোমার প্রভুর করুণা বেশি ভাল তার চাইতে যা তারা জমা করে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 32


وَلَوۡلَآ أَن يَكُونَ ٱلنَّاسُ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ لَّجَعَلۡنَا لِمَن يَكۡفُرُ بِٱلرَّحۡمَٰنِ لِبُيُوتِهِمۡ سُقُفٗا مِّن فِضَّةٖ وَمَعَارِجَ عَلَيۡهَا يَظۡهَرُونَ

আর মানুষ যদি একই সম্প্রদায়ের হয়ে না যেতো তাহলে যারা পরম করুণাময়কে অস্বীকার করে তাদের জন্য আমরা নিশ্চয় বানাতাম -- তাদের ঘরগুলোর জন্য রূপোর ছাদ ও সিড়ি যাঁ দিয়ে তারা ওঠে
Surah Az-Zukhruf, Verse 33


وَلِبُيُوتِهِمۡ أَبۡوَٰبٗا وَسُرُرًا عَلَيۡهَا يَتَّكِـُٔونَ

আর তাদের ঘরবাড়ির জন্য দরজাগুলো ও পালংক যার উপরে তারা শয়ন করে
Surah Az-Zukhruf, Verse 34


وَزُخۡرُفٗاۚ وَإِن كُلُّ ذَٰلِكَ لَمَّا مَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَٱلۡأٓخِرَةُ عِندَ رَبِّكَ لِلۡمُتَّقِينَ

আর সোনাদানা। আর এ সমস্তই এই দুনিয়ার জীবনের ভোগসম্ভার বৈ তো নয়। আর পরকাল তোমার প্রভুর কাছে ধর্মভীরুদের জন্যেই।
Surah Az-Zukhruf, Verse 35


وَمَن يَعۡشُ عَن ذِكۡرِ ٱلرَّحۡمَٰنِ نُقَيِّضۡ لَهُۥ شَيۡطَٰنٗا فَهُوَ لَهُۥ قَرِينٞ

আর যে পরম করুণাময়ের স্মরণ থেকে বেখেয়াল হয় তার জন্য আমরা ধার্য করি একজন শয়তান, ফলে সে হয় তার জন্য একটি সহচর।
Surah Az-Zukhruf, Verse 36


وَإِنَّهُمۡ لَيَصُدُّونَهُمۡ عَنِ ٱلسَّبِيلِ وَيَحۡسَبُونَ أَنَّهُم مُّهۡتَدُونَ

আর নিঃসন্দেহ তারা তাদের পথ থেকে অবশ্যই ফিরিয়ে রাখে, অথচ তারা মনে করে যে তারা সৎপথে চালিত হচ্ছে
Surah Az-Zukhruf, Verse 37


حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَنَا قَالَ يَٰلَيۡتَ بَيۡنِي وَبَيۡنَكَ بُعۡدَ ٱلۡمَشۡرِقَيۡنِ فَبِئۡسَ ٱلۡقَرِينُ

যে পর্যন্ত না সে আমাদের কাছে আসে তখন সে বলবে -- ''হায় আফসোস! আমার মধ্যে ও তোমার মধ্যে যদি দূরত্ব হতো দুটি পূর্বাঞ্চলের! সুতরাং কত নিকৃষ্ট সহচর!’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 38


وَلَن يَنفَعَكُمُ ٱلۡيَوۡمَ إِذ ظَّلَمۡتُمۡ أَنَّكُمۡ فِي ٱلۡعَذَابِ مُشۡتَرِكُونَ

আর -- ''যেহেতু তোমরা অন্যায়াচরণ করেছিলে তাই শাস্তিভোগের মধ্যে তোমরা অংশীদার হওয়া সত্ত্বেওে আজকের দিনে তোমাদের কোনো ফায়দা হবে না।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 39


أَفَأَنتَ تُسۡمِعُ ٱلصُّمَّ أَوۡ تَهۡدِي ٱلۡعُمۡيَ وَمَن كَانَ فِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ

কি! তুমি কি তবে বধিরকে শোনাতে পারবে, অথবা অন্ধকে এবং যে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে তাকে পথ দেখাতে পারবে
Surah Az-Zukhruf, Verse 40


فَإِمَّا نَذۡهَبَنَّ بِكَ فَإِنَّا مِنۡهُم مُّنتَقِمُونَ

কিন্ত আমরা যদি তোমাকে নিয়ে নিই, আমরা তবুও তাদের থেকে শেষ-পরিণতি আদায় করব
Surah Az-Zukhruf, Verse 41


أَوۡ نُرِيَنَّكَ ٱلَّذِي وَعَدۡنَٰهُمۡ فَإِنَّا عَلَيۡهِم مُّقۡتَدِرُونَ

অথবা আমরা নিশ্চয় তোমাকে দেখিয়ে দেব যা আমরা তাদের ওয়াদা করেছিলাম, কেননা আমরা আলবৎ তাদের উপরে ক্ষমতাবান।
Surah Az-Zukhruf, Verse 42


فَٱسۡتَمۡسِكۡ بِٱلَّذِيٓ أُوحِيَ إِلَيۡكَۖ إِنَّكَ عَلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ

সেজন্য তোমার কাছে যা প্রত্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে তাতে আঁকড়ে ধরো। নিঃসন্দেহ তুমি সরল-সঠিক পথের উপরে রয়েছো।
Surah Az-Zukhruf, Verse 43


وَإِنَّهُۥ لَذِكۡرٞ لَّكَ وَلِقَوۡمِكَۖ وَسَوۡفَ تُسۡـَٔلُونَ

আর এইটি নিশ্চয়ই তো একটি স্মরণীয় গ্রন্থ তোমার জন্য ও তোমার লোকদের জন্য, আর শীঘ্রই তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 44


وَسۡـَٔلۡ مَنۡ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رُّسُلِنَآ أَجَعَلۡنَا مِن دُونِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ءَالِهَةٗ يُعۡبَدُونَ

আর তোমার আগে আমাদের রসূলদের মধ্যের যাঁদের আমরা পাঠিয়েছিলাম তাঁদের জিজ্ঞেস করো -- আমরা কি পরম করুণাময়কে বাদ দিয়ে উপাসনার জন্য উপাস্যদের দাঁড় করিয়েছিলাম
Surah Az-Zukhruf, Verse 45


وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَٰتِنَآ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ وَمَلَإِيْهِۦ فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

আর আমরা নিশ্চয় মূসাকে আমাদের নির্দেশাবলী দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ফির'আউন ও তার প্রধানদের কাছে, কাজেই তিনি বলেছিলেন -- ''আমি নিশ্চয় বিশ্বজগতের প্রভুর বাণীবাহক।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 46


فَلَمَّا جَآءَهُم بِـَٔايَٰتِنَآ إِذَا هُم مِّنۡهَا يَضۡحَكُونَ

কিন্ত যখন তিনি আমাদের নির্দেশাবলী নিয়ে তাদের কাছে এলেন তখন দেখো, তারা এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে লাগল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 47


وَمَا نُرِيهِم مِّنۡ ءَايَةٍ إِلَّا هِيَ أَكۡبَرُ مِنۡ أُخۡتِهَاۖ وَأَخَذۡنَٰهُم بِٱلۡعَذَابِ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ

আর আমরা তাদের এমন কোনো নিদর্শন দেখাই নি যা ছিল না তার ভগিনী থেকে আরো বড়, আর আমরা তাদের পাকড়াও করেছিলাম শাস্তি দিয়ে যেন তারা ফিরে আসে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 48


وَقَالُواْ يَـٰٓأَيُّهَ ٱلسَّاحِرُ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ إِنَّنَا لَمُهۡتَدُونَ

আর তারা বলেছিল -- ''ওহে জাদুকর! তোমার প্রভুকে আমাদের জন্য ডাকো যেমন তিনি তোমার কাছে অংগীকার করেছিলেন, আমরা অবশ্যই তখন সৎপথাবলন্বী হব।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 49


فَلَمَّا كَشَفۡنَا عَنۡهُمُ ٱلۡعَذَابَ إِذَا هُمۡ يَنكُثُونَ

তারপর আমরা যখন তাদের থেকে শাস্তিটা সরিয়ে নিলাম তখন দেখো! তারা অংগীকার ভঙ্গ করে বসল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 50


وَنَادَىٰ فِرۡعَوۡنُ فِي قَوۡمِهِۦ قَالَ يَٰقَوۡمِ أَلَيۡسَ لِي مُلۡكُ مِصۡرَ وَهَٰذِهِ ٱلۡأَنۡهَٰرُ تَجۡرِي مِن تَحۡتِيٓۚ أَفَلَا تُبۡصِرُونَ

আর ফির'আউন তার লোকদলের মধ্যে ঘোষণা করে বললে -- ''হে আমার স্বজাতি! মিশরের রাজ্য কি আমার নয়, আর এইসব নদনদী যা আমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে? তোমরা কি তবে দেখতে পাচ্ছ না
Surah Az-Zukhruf, Verse 51


أَمۡ أَنَا۠ خَيۡرٞ مِّنۡ هَٰذَا ٱلَّذِي هُوَ مَهِينٞ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ

বস্তুতঃ আমি বেশি ভাল এর চেয়ে যে স্বয়ং হীন-ঘৃণ্য, ও স্পষ্টবাদিতার যার ক্ষমতা নেই।
Surah Az-Zukhruf, Verse 52


فَلَوۡلَآ أُلۡقِيَ عَلَيۡهِ أَسۡوِرَةٞ مِّن ذَهَبٍ أَوۡ جَآءَ مَعَهُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ مُقۡتَرِنِينَ

তবে কেন সোনার কঙ্কন তার প্রতি ছোড়া হল না, অথবা তার সঙ্গে কেন ফিরিশতারা এল না সারিবদ্ধভাবে।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 53


فَٱسۡتَخَفَّ قَوۡمَهُۥ فَأَطَاعُوهُۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَوۡمٗا فَٰسِقِينَ

এইভাবে সে তার স্বজাতিকে ধাপ্পা দিয়েছিল, ফলে তারা তাকে মেনে চলল। নিঃসন্দেহ তারা ছিল সীমালংঘনকারী জাতি।
Surah Az-Zukhruf, Verse 54


فَلَمَّآ ءَاسَفُونَا ٱنتَقَمۡنَا مِنۡهُمۡ فَأَغۡرَقۡنَٰهُمۡ أَجۡمَعِينَ

অতএব তারা যখন আমাদের রাগিয়ে তুললো তখন আমরা তাদের থেকে শেষ-পরিণতি গ্রহণ করলাম, ফলে তাদের একসঙ্গে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
Surah Az-Zukhruf, Verse 55


فَجَعَلۡنَٰهُمۡ سَلَفٗا وَمَثَلٗا لِّلۡأٓخِرِينَ

সুতরাং আমরা তাদের বানিয়ে দিয়েছিলাম এক অতীত ইতিহাস এবং পরবর্তীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত।
Surah Az-Zukhruf, Verse 56


۞وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ

আর যখন মরিয়মের পুত্রের দৃষ্টান্ত ছোঁড়া হয় তখন দেখো, তোমার স্বজাতি তাতে শোরগোল তোলে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 57


وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ

আর তারা বলে -- ''আমাদের দেবদেবীরা অধিকতর ভাল, না সে? তারা তোমার কাছে এ কথা তোলে না তর্কবিতর্ক করার জন্যে ব্যতীত? বস্তুত তারা হচ্ছে বিবাদপ্রিয় জাতি।
Surah Az-Zukhruf, Verse 58


إِنۡ هُوَ إِلَّا عَبۡدٌ أَنۡعَمۡنَا عَلَيۡهِ وَجَعَلۡنَٰهُ مَثَلٗا لِّبَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ

তিনি একজন বান্দা বৈ তো নন যাঁর প্রতি আমরা অনুগ্রহ করেছি, এবং তাঁকে আমরা ইসরাঈলের বংশধরদের জন্য আদর্শস্বরূপ বানিয়েছিলাম।
Surah Az-Zukhruf, Verse 59


وَلَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنَا مِنكُم مَّلَـٰٓئِكَةٗ فِي ٱلۡأَرۡضِ يَخۡلُفُونَ

আর আমরা যদি চাইতাম তবে নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মধ্যে ফিরিশ্‌তাদের নিয়োগ করতাম পৃথিবীতে প্রতিনিধি হবার জন্য
Surah Az-Zukhruf, Verse 60


وَإِنَّهُۥ لَعِلۡمٞ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمۡتَرُنَّ بِهَا وَٱتَّبِعُونِۚ هَٰذَا صِرَٰطٞ مُّسۡتَقِيمٞ

আর নিঃসন্দেহ এ-ই হচ্ছে ঘড়িধন্টা সন্বন্ধে নিশ্চিত জ্ঞান; সুতরাং এ-সন্বন্ধে তোমরা সন্দেহ করো না, আর আমাকে অনুসরণ করো। এটিই হচ্ছে সহজ-সঠিক পথ।
Surah Az-Zukhruf, Verse 61


وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُۖ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ

আর শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই ফিরিয়ে না দেয়, নিঃসন্দেহ সে হচ্ছে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।
Surah Az-Zukhruf, Verse 62


وَلَمَّا جَآءَ عِيسَىٰ بِٱلۡبَيِّنَٰتِ قَالَ قَدۡ جِئۡتُكُم بِٱلۡحِكۡمَةِ وَلِأُبَيِّنَ لَكُم بَعۡضَ ٱلَّذِي تَخۡتَلِفُونَ فِيهِۖ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

আর যখন ঈসা স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে এলেন তখন তিনি বললেন -- ''আমি তোমাদের কাছে জ্ঞান নিয়ে এসেছি, আর তোমরা যে-সব বিষয়ে মতভেদ করছ তার কোনো কোনোটি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট করে দিতে, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো ও আমাকে মেনে চল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 63


إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ رَبِّي وَرَبُّكُمۡ فَٱعۡبُدُوهُۚ هَٰذَا صِرَٰطٞ مُّسۡتَقِيمٞ

নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ -- তিনি আমার প্রভু ও তোমাদেরও প্রভু, সেজন্য তাঁরই উপাসনা কর। এটিই সহজ-সঠিক পথ।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 64


فَٱخۡتَلَفَ ٱلۡأَحۡزَابُ مِنۢ بَيۡنِهِمۡۖ فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡ عَذَابِ يَوۡمٍ أَلِيمٍ

কিন্ত বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করল, কাজেই ধিক্ তাদের প্রতি যারা অন্যায়াচরণ করেছিল -- এক মর্মন্তুদ দিনের শাস্তির কারণে
Surah Az-Zukhruf, Verse 65


هَلۡ يَنظُرُونَ إِلَّا ٱلسَّاعَةَ أَن تَأۡتِيَهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ

তারা কি চেয়ে রয়েছে শুধু ঘড়িঘান্টার জন্য যেন তাদের উপরে এটি এসে পড়ে আকস্মিকভাবে যখন তারা টেরও না পায়।
Surah Az-Zukhruf, Verse 66


ٱلۡأَخِلَّآءُ يَوۡمَئِذِۭ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلۡمُتَّقِينَ

সেইদিন বন্ধুরা -- তাদের কেউ-কেউ অপরের শত্রু হয়ে পড়বে, তবে ধর্মপরায়ণরা ব্যতীত।
Surah Az-Zukhruf, Verse 67


يَٰعِبَادِ لَا خَوۡفٌ عَلَيۡكُمُ ٱلۡيَوۡمَ وَلَآ أَنتُمۡ تَحۡزَنُونَ

হে আমার বান্দারা! আজকের দিনে তোমাদের জন্য কোনো ভয় নেই আর তোমরা দুঃখও করবে না
Surah Az-Zukhruf, Verse 68


ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِـَٔايَٰتِنَا وَكَانُواْ مُسۡلِمِينَ

যারা আমাদের নির্দেশাবলীতে বিশ্বাস করেছিলে এবং মুসলিম হয়েছিলে
Surah Az-Zukhruf, Verse 69


ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ أَنتُمۡ وَأَزۡوَٰجُكُمۡ تُحۡبَرُونَ

তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করো -- তোমরা ও তোমাদের সঙ্গিনীরা তোমাদের আনন্দিত করা হবে।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 70


يُطَافُ عَلَيۡهِم بِصِحَافٖ مِّن ذَهَبٖ وَأَكۡوَابٖۖ وَفِيهَا مَا تَشۡتَهِيهِ ٱلۡأَنفُسُ وَتَلَذُّ ٱلۡأَعۡيُنُۖ وَأَنتُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

তাদের সামনে পরিবেশন করা হবে সোনার খাঞ্চা ও পানপাত্র, আর তাতে থাকবে যা অন্তর কামনা করে ও চোখ তৃপ্ত হয়, আর তোমরা তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 71


وَتِلۡكَ ٱلۡجَنَّةُ ٱلَّتِيٓ أُورِثۡتُمُوهَا بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ

আর এইটিই সেই জান্নাত, তোমাদের এটি উত্তরাধিকার করতে দেওয়া হয়েছে তোমরা যা করতে তার জন্যে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 72


لَكُمۡ فِيهَا فَٰكِهَةٞ كَثِيرَةٞ مِّنۡهَا تَأۡكُلُونَ

তোমাদের জন্য সেখানে রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 73


إِنَّ ٱلۡمُجۡرِمِينَ فِي عَذَابِ جَهَنَّمَ خَٰلِدُونَ

অপরাধীরা নিশ্চয় জাহান্নামের শাস্তির মধ্যে অবস্থান করবে
Surah Az-Zukhruf, Verse 74


لَا يُفَتَّرُ عَنۡهُمۡ وَهُمۡ فِيهِ مُبۡلِسُونَ

তাদের থেকে তা লাঘব করা হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 75


وَمَا ظَلَمۡنَٰهُمۡ وَلَٰكِن كَانُواْ هُمُ ٱلظَّـٰلِمِينَ

আর আমরা তাদের প্রতি অন্যায় করি নি, বরঞ্চ তারা নিজেরাই অন্যায় করেছিল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 76


وَنَادَوۡاْ يَٰمَٰلِكُ لِيَقۡضِ عَلَيۡنَا رَبُّكَۖ قَالَ إِنَّكُم مَّـٰكِثُونَ

আর তারা ডেকে বলবে -- ''হে মালিক! তোমার প্রভু আমাদের নিঃশেষ করে ফেলুন।’’ সে বলবে -- ''তোমরা নিশ্চয় অপেক্ষা করবে।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 77


لَقَدۡ جِئۡنَٰكُم بِٱلۡحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَكُمۡ لِلۡحَقِّ كَٰرِهُونَ

আমরা তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিলাম, কিন্ত তোমাদের অধিকাংশই সত্যের প্রতি বিমুখ ছিলে।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 78


أَمۡ أَبۡرَمُوٓاْ أَمۡرٗا فَإِنَّا مُبۡرِمُونَ

অথবা তারা কি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করে ফেলেছে? কিন্ত বাস্তবে আমরাই সিদ্ধান্তকারী।
Surah Az-Zukhruf, Verse 79


أَمۡ يَحۡسَبُونَ أَنَّا لَا نَسۡمَعُ سِرَّهُمۡ وَنَجۡوَىٰهُمۚ بَلَىٰ وَرُسُلُنَا لَدَيۡهِمۡ يَكۡتُبُونَ

অথবা তারা কি মনে করে যে আমরা তাদের লুকোনো বিষয় ও তাদের গোপন আলোচনা শুনি না? অবশ্যই, আর আমাদের দূতরা তাদের সঙ্গে থেকে লিখে চলেছে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 80


قُلۡ إِن كَانَ لِلرَّحۡمَٰنِ وَلَدٞ فَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡعَٰبِدِينَ

তুমি বলো -- ''যদি পরম করুণাময়ের কোনো সন্তান থাকত তবে আমিই হচ্ছি উপাসনাকারীদের মধ্যে অগ্রণী।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 81


سُبۡحَٰنَ رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ رَبِّ ٱلۡعَرۡشِ عَمَّا يَصِفُونَ

সকল মহিমা হোক মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রভুর! তিনি আরশের প্রভু, তারা যা আরোপ করে তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 82


فَذَرۡهُمۡ يَخُوضُواْ وَيَلۡعَبُواْ حَتَّىٰ يُلَٰقُواْ يَوۡمَهُمُ ٱلَّذِي يُوعَدُونَ

সুতরাং তাদের ছেড়ে দাও আঁকুপাঁকু করতে ও ছেলেখেলা খেলতে যে পর্যন্ত না তারা তাদের দিনের মুখোমুখি হয় যেটি সন্বন্ধে তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল।
Surah Az-Zukhruf, Verse 83


وَهُوَ ٱلَّذِي فِي ٱلسَّمَآءِ إِلَٰهٞ وَفِي ٱلۡأَرۡضِ إِلَٰهٞۚ وَهُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡعَلِيمُ

আর তিনিই সেইজন যিনি মহাকাশে উপাস্য আর দুনিয়াতেও উপাস্য। আর তিনিই পরমজ্ঞানী, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Az-Zukhruf, Verse 84


وَتَبَارَكَ ٱلَّذِي لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَعِندَهُۥ عِلۡمُ ٱلسَّاعَةِ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ

আর পুণ্যময় তিনি যাঁর অধিকারে রয়েছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আর যা-কিছু রয়েছে এ দুইয়ের মধ্যে, আর তাঁরই কাছে রয়েছে ঘড়িঘান্টার জ্ঞান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 85


وَلَا يَمۡلِكُ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ مِن دُونِهِ ٱلشَّفَٰعَةَ إِلَّا مَن شَهِدَ بِٱلۡحَقِّ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ

আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই সুপারিশ করার, তিনি ব্যতীত যিনি সত্যের সাথে সাক্ষ্য দেন, আর তারা জানে।
Surah Az-Zukhruf, Verse 86


وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَهُمۡ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ

আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর -- কে তাদের সৃষ্টি করেছেন, তারা নিশ্চয়ই বলবে -- ''আল্লাহ্‌’’। তাহলে কোথায়-কেমনে তারা ফিরে যাচ্ছে
Surah Az-Zukhruf, Verse 87


وَقِيلِهِۦ يَٰرَبِّ إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ قَوۡمٞ لَّا يُؤۡمِنُونَ

আর তাঁর উক্তি -- ''হে আমার প্রভু! তারা তো এক জাতি যারা ঈমান আনছে না।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 88


فَٱصۡفَحۡ عَنۡهُمۡ وَقُلۡ سَلَٰمٞۚ فَسَوۡفَ يَعۡلَمُونَ

সুতরাং তুমি তাদের থেকে ফিরে যাও এবং বলো -- 'সালাম!’ তারপর শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।’’
Surah Az-Zukhruf, Verse 89


Author: Zohurul Hoque


<< Surah 42
>> Surah 44

Bengali Translations by other Authors


Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Popular Areas
Apartments for rent in Dubai Apartments for rent Abu Dhabi Villas for rent in Dubai House for rent Abu Dhabi Apartments for sale in Dubai Apartments for sale in Abu Dhabi Flat for rent Sharjah
Popular Searches
Studios for rent in UAE Apartments for rent in UAE Villas for rent in UAE Apartments for sale in UAE Villas for sale in UAE Land for sale in UAE Dubai Real Estate
Trending Areas
Apartments for rent in Dubai Marina Apartments for sale in Dubai Marina Villa for rent in Sharjah Villa for sale in Dubai Flat for rent in Ajman Studio for rent in Abu Dhabi Villa for rent in Ajman
Trending Searches
Villa for rent in Abu Dhabi Shop for rent in Dubai Villas for sale in Ajman Studio for rent in Sharjah 1 Bedroom Apartment for rent in Dubai Property for rent in Abu Dhabi Commercial properties for sale
© Copyright Dubai Prayer Time. All Rights Reserved
Designed by Prayer Time In Dubai