Surah Al-Haaqqa - Bengali Translation by Abu Bakr Zakaria
ٱلۡحَآقَّةُ
সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা
Surah Al-Haaqqa, Verse 1
مَا ٱلۡحَآقَّةُ
কী সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা
Surah Al-Haaqqa, Verse 2
وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلۡحَآقَّةُ
আর কিসে আপনাকে জানাবে সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী
Surah Al-Haaqqa, Verse 3
كَذَّبَتۡ ثَمُودُ وَعَادُۢ بِٱلۡقَارِعَةِ
সামূদ ও ‘আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল ভীতিপ্ৰদ মহাবিপদ সম্পর্কে [১]।
Surah Al-Haaqqa, Verse 4
فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهۡلِكُواْ بِٱلطَّاغِيَةِ
অতঃপর সামূদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্ৰলয়ংকর বিপর্যয়কারী প্ৰচণ্ড চীৎকার দ্বারা
Surah Al-Haaqqa, Verse 5
وَأَمَّا عَادٞ فَأُهۡلِكُواْ بِرِيحٖ صَرۡصَرٍ عَاتِيَةٖ
আর ‘আদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা [১]
Surah Al-Haaqqa, Verse 6
سَخَّرَهَا عَلَيۡهِمۡ سَبۡعَ لَيَالٖ وَثَمَٰنِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومٗاۖ فَتَرَى ٱلۡقَوۡمَ فِيهَا صَرۡعَىٰ كَأَنَّهُمۡ أَعۡجَازُ نَخۡلٍ خَاوِيَةٖ
যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাতরাত ও আটদিন বিরামহীনভাবে; তখন আপনি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতেন--- তারা সেখানে লুটিয়ে পরে আছে সারশূন্য খেজুর কাণ্ডের ন্যায়।
Surah Al-Haaqqa, Verse 7
فَهَلۡ تَرَىٰ لَهُم مِّنۢ بَاقِيَةٖ
অতঃপর তাদের কাউকেও আপনি বিদ্যমান দেখতে পান কি
Surah Al-Haaqqa, Verse 8
وَجَآءَ فِرۡعَوۡنُ وَمَن قَبۡلَهُۥ وَٱلۡمُؤۡتَفِكَٰتُ بِٱلۡخَاطِئَةِ
আর ফির‘আউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টিয়ে দেয়া জনপদ পাপাচারে লিপ্ত ছিল [১]।
Surah Al-Haaqqa, Verse 9
فَعَصَوۡاْ رَسُولَ رَبِّهِمۡ فَأَخَذَهُمۡ أَخۡذَةٗ رَّابِيَةً
অতঃপর তারা তাদের রবের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে পাকড়াও করলেন --- কঠোর পাকড়াও।
Surah Al-Haaqqa, Verse 10
إِنَّا لَمَّا طَغَا ٱلۡمَآءُ حَمَلۡنَٰكُمۡ فِي ٱلۡجَارِيَةِ
যখন জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল নিশ্চয় তখন আমরা তোমাদেরকে আরোহণ করিয়েছিলাম নৌযানে
Surah Al-Haaqqa, Verse 11
لِنَجۡعَلَهَا لَكُمۡ تَذۡكِرَةٗ وَتَعِيَهَآ أُذُنٞ وَٰعِيَةٞ
আমরা এটা করেছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্য এবং এজন্যে যে, যাতে শ্রুতিধর কান এটা সংরক্ষণ করে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 12
فَإِذَا نُفِخَ فِي ٱلصُّورِ نَفۡخَةٞ وَٰحِدَةٞ
অতঃপর যখন শিংগায় [১] ফুঁক দেয়া হবে ---একটি মাত্ৰ ফুঁক [২]
Surah Al-Haaqqa, Verse 13
وَحُمِلَتِ ٱلۡأَرۡضُ وَٱلۡجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةٗ وَٰحِدَةٗ
আর পর্বতমালা সহ পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হবে এবং মাত্র এক ধাক্কায় তারা চুৰ্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 14
فَيَوۡمَئِذٖ وَقَعَتِ ٱلۡوَاقِعَةُ
ফলে সেদিন সংঘটিত হবে মহাঘটনা
Surah Al-Haaqqa, Verse 15
وَٱنشَقَّتِ ٱلسَّمَآءُ فَهِيَ يَوۡمَئِذٖ وَاهِيَةٞ
আর আসমান বিদীর্ণ হয়ে যাবে ফলে সেদিন তা দুর্বল-বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 16
وَٱلۡمَلَكُ عَلَىٰٓ أَرۡجَآئِهَاۚ وَيَحۡمِلُ عَرۡشَ رَبِّكَ فَوۡقَهُمۡ يَوۡمَئِذٖ ثَمَٰنِيَةٞ
আর ফেরেশ্তাগণ আসমানের প্রান্ত দেশে থাকবে এবং সেদিন আটজন ফিরিশ্তা আপনার রবের ‘আরশকে ধারণ করবে তাদের উপরে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 17
يَوۡمَئِذٖ تُعۡرَضُونَ لَا تَخۡفَىٰ مِنكُمۡ خَافِيَةٞ
সেদিন উপস্থিত করা হবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কোনো গোপনই আর গোপন থাকবে না।
Surah Al-Haaqqa, Verse 18
فَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَيَقُولُ هَآؤُمُ ٱقۡرَءُواْ كِتَٰبِيَهۡ
তখন যাকে তার ‘আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা পড়ে দেখ [১]
Surah Al-Haaqqa, Verse 19
إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَٰقٍ حِسَابِيَهۡ
‘আমি দৃঢ়বিশ্বাস করতাম যে, আমাকে আমার হিসেবের সম্মুখীন হতে হবে।’
Surah Al-Haaqqa, Verse 20
فَهُوَ فِي عِيشَةٖ رَّاضِيَةٖ
কাজেই সে যাপন করবে সন্তোষজনক জীবন
Surah Al-Haaqqa, Verse 21
فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٖ
সুউচ্চ জান্নাতে
Surah Al-Haaqqa, Verse 22
قُطُوفُهَا دَانِيَةٞ
যার ফলরাশি অবনমিত থাকবে নাগালের মধ্যে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 23
كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيٓـَٔۢا بِمَآ أَسۡلَفۡتُمۡ فِي ٱلۡأَيَّامِ ٱلۡخَالِيَةِ
বলা হবে, ‘পানাহার কর তৃপ্তির সাথে, তোমরা অতীত দিনে যা করেছিলে তার বিনিময়ে।’
Surah Al-Haaqqa, Verse 24
وَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَيَقُولُ يَٰلَيۡتَنِي لَمۡ أُوتَ كِتَٰبِيَهۡ
কিন্তু যার ‘আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেয়াই না হত আমার ‘আমলনামা
Surah Al-Haaqqa, Verse 25
وَلَمۡ أَدۡرِ مَا حِسَابِيَهۡ
আর আমি যদি না জানতাম আমার হিসেব
Surah Al-Haaqqa, Verse 26
يَٰلَيۡتَهَا كَانَتِ ٱلۡقَاضِيَةَ
‘হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হত
Surah Al-Haaqqa, Verse 27
مَآ أَغۡنَىٰ عَنِّي مَالِيَهۡۜ
‘আমার ধন-সম্পদ আমার কোনো কাজেই আসল না।
Surah Al-Haaqqa, Verse 28
هَلَكَ عَنِّي سُلۡطَٰنِيَهۡ
‘আমার ক্ষমতাও বিনষ্ট হয়েছে।’
Surah Al-Haaqqa, Verse 29
خُذُوهُ فَغُلُّوهُ
ফেরেশতাদেরকে বলা হবে, ‘ধর তাকে, তার গলায় বেড়ী পরিয়ে দাও।
Surah Al-Haaqqa, Verse 30
ثُمَّ ٱلۡجَحِيمَ صَلُّوهُ
‘তারপর তোমরা তাকে জাহান্নামে প্ৰবেশ করিয়ে দগ্ধ কর।
Surah Al-Haaqqa, Verse 31
ثُمَّ فِي سِلۡسِلَةٖ ذَرۡعُهَا سَبۡعُونَ ذِرَاعٗا فَٱسۡلُكُوهُ
‘তারপর তাকে শৃংখলিত কর এমন এক শেকলে যার দৈর্ঘ্য হবে সত্তর হাত’ [১]
Surah Al-Haaqqa, Verse 32
إِنَّهُۥ كَانَ لَا يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ ٱلۡعَظِيمِ
নিশ্চয় সে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমানদার ছিল না
Surah Al-Haaqqa, Verse 33
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ
আর মিসকীনকে অন্নদানে উৎসাহিত করত না
Surah Al-Haaqqa, Verse 34
فَلَيۡسَ لَهُ ٱلۡيَوۡمَ هَٰهُنَا حَمِيمٞ
অতএব, এ দিন তার কোনো সুহৃদ থাকবে না
Surah Al-Haaqqa, Verse 35
وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنۡ غِسۡلِينٖ
আর কোনো খাদ্য থাকবে না ক্ষত নিঃসৃত স্রাব ছাড়া
Surah Al-Haaqqa, Verse 36
لَّا يَأۡكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡخَٰطِـُٔونَ
যা অপরাধী ছাড়া কেউ খাবে না।
Surah Al-Haaqqa, Verse 37
فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَا تُبۡصِرُونَ
অতএব, আমি কসম করছি তার, যা তোমরা দেখতে পাও
Surah Al-Haaqqa, Verse 38
وَمَا لَا تُبۡصِرُونَ
এবং যা তোমরা দেখতে পাওনা তারও
Surah Al-Haaqqa, Verse 39
إِنَّهُۥ لَقَوۡلُ رَسُولٖ كَرِيمٖ
নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের (বাহিত) বাণী [১]।
Surah Al-Haaqqa, Verse 40
وَمَا هُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٖۚ قَلِيلٗا مَّا تُؤۡمِنُونَ
আর এটা কোনো কবির কথা নয়; তোমরা খুব অল্পই ঈমান পোষণ করে থাক
Surah Al-Haaqqa, Verse 41
وَلَا بِقَوۡلِ كَاهِنٖۚ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ
এটা কোনো গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই উপদেশ গ্ৰহণ কর।
Surah Al-Haaqqa, Verse 42
تَنزِيلٞ مِّن رَّبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
এটা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।
Surah Al-Haaqqa, Verse 43
وَلَوۡ تَقَوَّلَ عَلَيۡنَا بَعۡضَ ٱلۡأَقَاوِيلِ
তিনি যদি আমাদের নামে কোনো কথা রচনা করে চালাতে চেষ্টা করতেন
Surah Al-Haaqqa, Verse 44
لَأَخَذۡنَا مِنۡهُ بِٱلۡيَمِينِ
তবে অবশ্যই আমরা তাকে পাকড়াও করতাম ডান হাত দিয়ে [১]
Surah Al-Haaqqa, Verse 45
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡهُ ٱلۡوَتِينَ
তারপর অবশ্যই আমরা কেটে দিতাম তার হৃদপিণ্ডের শিরা
Surah Al-Haaqqa, Verse 46
فَمَا مِنكُم مِّنۡ أَحَدٍ عَنۡهُ حَٰجِزِينَ
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউই নেই, যে তাঁকে রক্ষা করতে পারে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 47
وَإِنَّهُۥ لَتَذۡكِرَةٞ لِّلۡمُتَّقِينَ
আর এ কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ।
Surah Al-Haaqqa, Verse 48
وَإِنَّا لَنَعۡلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ
আর আমরা অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রয়েছে।
Surah Al-Haaqqa, Verse 49
وَإِنَّهُۥ لَحَسۡرَةٌ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ
আর এ কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হবে
Surah Al-Haaqqa, Verse 50
وَإِنَّهُۥ لَحَقُّ ٱلۡيَقِينِ
আর নিশ্চয় এটা সুনিশ্চিত সত্য।
Surah Al-Haaqqa, Verse 51
فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন।
Surah Al-Haaqqa, Verse 52