Surah Al-Maarij - Bengali Translation by Abu Bakr Zakaria
سَأَلَ سَآئِلُۢ بِعَذَابٖ وَاقِعٖ
এক ব্যক্তি চাইল, সংঘটিত হোক শাস্তি যা অবধারিত [১]
Surah Al-Maarij, Verse 1
لِّلۡكَٰفِرِينَ لَيۡسَ لَهُۥ دَافِعٞ
কাফিরদের জন্য, এটাকে প্রতিরোধ করার কেউ নেই [১]।
Surah Al-Maarij, Verse 2
مِّنَ ٱللَّهِ ذِي ٱلۡمَعَارِجِ
এটা আসবে আল্লাহর কাছ থেকে, যিনি উর্ধ্বারোহণের সোপানসমূহের অধিকারী [১]।
Surah Al-Maarij, Verse 3
تَعۡرُجُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ إِلَيۡهِ فِي يَوۡمٖ كَانَ مِقۡدَارُهُۥ خَمۡسِينَ أَلۡفَ سَنَةٖ
ফেরেশতা এবং রূহ আল্লাহর দিকে উর্ধ্বগামী হয় [১] এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর [২] ।
Surah Al-Maarij, Verse 4
فَٱصۡبِرۡ صَبۡرٗا جَمِيلًا
কাজেই আপনি ধৈর্য ধারণ করুন পরম ধৈৰ্য।
Surah Al-Maarij, Verse 5
إِنَّهُمۡ يَرَوۡنَهُۥ بَعِيدٗا
তারা ঐ দিনকে মনে করে সুদূর
Surah Al-Maarij, Verse 6
وَنَرَىٰهُ قَرِيبٗا
কিন্তু আমরা দেখছি তা আসন্ন [১]
Surah Al-Maarij, Verse 7
يَوۡمَ تَكُونُ ٱلسَّمَآءُ كَٱلۡمُهۡلِ
সেদিন আকাশ হবে গলিত ধাতুর মত
Surah Al-Maarij, Verse 8
وَتَكُونُ ٱلۡجِبَالُ كَٱلۡعِهۡنِ
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত
Surah Al-Maarij, Verse 9
وَلَا يَسۡـَٔلُ حَمِيمٌ حَمِيمٗا
এবং সুহৃদ সুহৃদের খোঁজ নেবে না
Surah Al-Maarij, Verse 10
يُبَصَّرُونَهُمۡۚ يَوَدُّ ٱلۡمُجۡرِمُ لَوۡ يَفۡتَدِي مِنۡ عَذَابِ يَوۡمِئِذِۭ بِبَنِيهِ
তাদেরকে করা হবে একে অপরের দৃষ্টিগোচর। অপরাধী সেদিনের শাস্তির বদলে দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে
Surah Al-Maarij, Verse 11
وَصَٰحِبَتِهِۦ وَأَخِيهِ
আর তার স্ত্রী ও ভাইকে
Surah Al-Maarij, Verse 12
وَفَصِيلَتِهِ ٱلَّتِي تُـٔۡوِيهِ
আর তার জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত
Surah Al-Maarij, Verse 13
وَمَن فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا ثُمَّ يُنجِيهِ
আর যমীনে যারা আছে তাদের সবাইকে, তারপর যাতে এটি তাকে মুক্তি দেয়।
Surah Al-Maarij, Verse 14
كَلَّآۖ إِنَّهَا لَظَىٰ
কখনই নয়, নিশ্চয় এটা লেলিহান আগুন
Surah Al-Maarij, Verse 15
نَزَّاعَةٗ لِّلشَّوَىٰ
যা মাথার চামড়া খসিয়ে দেবে [১]।
Surah Al-Maarij, Verse 16
تَدۡعُواْ مَنۡ أَدۡبَرَ وَتَوَلَّىٰ
জাহান্নাম সে ব্যক্তিকে ডাকবে, যে সত্যের প্রতি পিঠ দেখিয়েছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
Surah Al-Maarij, Verse 17
وَجَمَعَ فَأَوۡعَىٰٓ
আর যে সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিল অতঃপর সংরক্ষিত করে রেখেছিল [১]।
Surah Al-Maarij, Verse 18
۞إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ خُلِقَ هَلُوعًا
নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অতিশয় অস্থিরচিত্তরূপে [১] ।
Surah Al-Maarij, Verse 19
إِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ جَزُوعٗا
যখন বিপদ তাকে স্পর্শ করে সে হয় হা-হুতাশকারী।
Surah Al-Maarij, Verse 20
وَإِذَا مَسَّهُ ٱلۡخَيۡرُ مَنُوعًا
আর যখন কল্যাণ তাকে স্পর্শ করে সে হয় অতি কৃপণ
Surah Al-Maarij, Verse 21
إِلَّا ٱلۡمُصَلِّينَ
তবে সালাত আদায়কারীগণ ছাড়া [১]
Surah Al-Maarij, Verse 22
ٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَاتِهِمۡ دَآئِمُونَ
যারা তাদের সালাতে সর্বদা প্রতিষ্ঠিত [১]
Surah Al-Maarij, Verse 23
وَٱلَّذِينَ فِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ مَّعۡلُومٞ
আর যাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে
Surah Al-Maarij, Verse 24
لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ
যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের
Surah Al-Maarij, Verse 25
وَٱلَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوۡمِ ٱلدِّينِ
আর যারা প্রতিদান দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
Surah Al-Maarij, Verse 26
وَٱلَّذِينَ هُم مِّنۡ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشۡفِقُونَ
আর যারা তাদের রবের শাস্তি সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত
Surah Al-Maarij, Verse 27
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمۡ غَيۡرُ مَأۡمُونٖ
নিশ্চয় তাদের রবের শাস্তি হতে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না
Surah Al-Maarij, Verse 28
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ
আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গসমূহের হিফাযতকারী [১]
Surah Al-Maarij, Verse 29
إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ
তাদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না—
Surah Al-Maarij, Verse 30
فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ
তবে কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালঙ্ঘনকারী
Surah Al-Maarij, Verse 31
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِأَمَٰنَٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَٰعُونَ
আর যারা তাদের আমানতও প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী [১]
Surah Al-Maarij, Verse 32
وَٱلَّذِينَ هُم بِشَهَٰدَٰتِهِمۡ قَآئِمُونَ
আর যারা তাদের সাক্ষ্যসমূহে অটল [১]
Surah Al-Maarij, Verse 33
وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَاتِهِمۡ يُحَافِظُونَ
আর যারা তাদের সালাতের হিফাযত করে ---[১]
Surah Al-Maarij, Verse 34
أُوْلَـٰٓئِكَ فِي جَنَّـٰتٖ مُّكۡرَمُونَ
তারাই সম্মানিত হবে জান্নাতসমূহে।
Surah Al-Maarij, Verse 35
فَمَالِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ قِبَلَكَ مُهۡطِعِينَ
কাফিরদের হল কি যে, তারা আপনার দিকে ছুটে আসছে
Surah Al-Maarij, Verse 36
عَنِ ٱلۡيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ عِزِينَ
ডান ও বাম দিক থেকে, দলে দলে।
Surah Al-Maarij, Verse 37
أَيَطۡمَعُ كُلُّ ٱمۡرِيٕٖ مِّنۡهُمۡ أَن يُدۡخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٖ
তাদের প্রত্যেকে কি এ প্রত্যাশা করে যে, তাকে প্রবেশ করানো হবে প্রাচুর্যময় জান্নাতে
Surah Al-Maarij, Verse 38
كَلَّآۖ إِنَّا خَلَقۡنَٰهُم مِّمَّا يَعۡلَمُونَ
কখনো নয় [১] , আমরা তাদেরকে যা থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে [২]।
Surah Al-Maarij, Verse 39
فَلَآ أُقۡسِمُ بِرَبِّ ٱلۡمَشَٰرِقِ وَٱلۡمَغَٰرِبِ إِنَّا لَقَٰدِرُونَ
অতএব, আমি শপথ করছি উদয়াচলসমূহ এবং অস্তাচলসমূহের রবের – অবশ্যই আমরা সক্ষম [১]
Surah Al-Maarij, Verse 40
عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ خَيۡرٗا مِّنۡهُمۡ وَمَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوقِينَ
তাদের চেয়ে উৎকৃষ্টদেরকে তাদের স্থলবর্তী করতে এবং এতে আমরা অক্ষম নই।
Surah Al-Maarij, Verse 41
فَذَرۡهُمۡ يَخُوضُواْ وَيَلۡعَبُواْ حَتَّىٰ يُلَٰقُواْ يَوۡمَهُمُ ٱلَّذِي يُوعَدُونَ
অতএব তাদেরকে বাক-বিতণ্ডা ও খেল-তামাশায় মত্ত থাকতে দিন– যে দিনের প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয় তার সম্মুখীন হওয়ার আগ পর্যন্ত।
Surah Al-Maarij, Verse 42
يَوۡمَ يَخۡرُجُونَ مِنَ ٱلۡأَجۡدَاثِ سِرَاعٗا كَأَنَّهُمۡ إِلَىٰ نُصُبٖ يُوفِضُونَ
সেদিন তারা কবর থেকে বের হবে দ্রুতবেগে, মনে হবে তারা কোনো লক্ষ্যস্থলের দিকে ধাবিত হচ্ছে
Surah Al-Maarij, Verse 43
خَٰشِعَةً أَبۡصَٰرُهُمۡ تَرۡهَقُهُمۡ ذِلَّةٞۚ ذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمُ ٱلَّذِي كَانُواْ يُوعَدُونَ
অবনত নেত্রে; হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে; এটাই সে দিন, যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল তাদেরকে।
Surah Al-Maarij, Verse 44