Surah Al-Maarij - Bengali Translation by Muhiuddin Khan
سَأَلَ سَآئِلُۢ بِعَذَابٖ وَاقِعٖ
একব্যক্তি চাইল, সেই আযাব সংঘটিত হোক যা অবধারিত
Surah Al-Maarij, Verse 1
لِّلۡكَٰفِرِينَ لَيۡسَ لَهُۥ دَافِعٞ
কাফেরদের জন্যে, যার প্রতিরোধকারী কেউ নেই।
Surah Al-Maarij, Verse 2
مِّنَ ٱللَّهِ ذِي ٱلۡمَعَارِجِ
তা আসবে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে, যিনি সমুন্নত মর্তবার অধিকারী।
Surah Al-Maarij, Verse 3
تَعۡرُجُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ إِلَيۡهِ فِي يَوۡمٖ كَانَ مِقۡدَارُهُۥ خَمۡسِينَ أَلۡفَ سَنَةٖ
ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
Surah Al-Maarij, Verse 4
فَٱصۡبِرۡ صَبۡرٗا جَمِيلًا
অতএব, আপনি উত্তম সবর করুন।
Surah Al-Maarij, Verse 5
إِنَّهُمۡ يَرَوۡنَهُۥ بَعِيدٗا
তারা এই আযাবকে সুদূরপরাহত মনে করে
Surah Al-Maarij, Verse 6
وَنَرَىٰهُ قَرِيبٗا
আর আমি একে আসন্ন দেখছি।
Surah Al-Maarij, Verse 7
يَوۡمَ تَكُونُ ٱلسَّمَآءُ كَٱلۡمُهۡلِ
সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।
Surah Al-Maarij, Verse 8
وَتَكُونُ ٱلۡجِبَالُ كَٱلۡعِهۡنِ
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত
Surah Al-Maarij, Verse 9
وَلَا يَسۡـَٔلُ حَمِيمٌ حَمِيمٗا
বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না।
Surah Al-Maarij, Verse 10
يُبَصَّرُونَهُمۡۚ يَوَدُّ ٱلۡمُجۡرِمُ لَوۡ يَفۡتَدِي مِنۡ عَذَابِ يَوۡمِئِذِۭ بِبَنِيهِ
যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে
Surah Al-Maarij, Verse 11
وَصَٰحِبَتِهِۦ وَأَخِيهِ
তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে
Surah Al-Maarij, Verse 12
وَفَصِيلَتِهِ ٱلَّتِي تُـٔۡوِيهِ
তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
Surah Al-Maarij, Verse 13
وَمَن فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا ثُمَّ يُنجِيهِ
এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।
Surah Al-Maarij, Verse 14
كَلَّآۖ إِنَّهَا لَظَىٰ
কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি।
Surah Al-Maarij, Verse 15
نَزَّاعَةٗ لِّلشَّوَىٰ
যা চামড়া তুলে দিবে।
Surah Al-Maarij, Verse 16
تَدۡعُواْ مَنۡ أَدۡبَرَ وَتَوَلَّىٰ
সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল।
Surah Al-Maarij, Verse 17
وَجَمَعَ فَأَوۡعَىٰٓ
সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিল, অতঃপর আগলিয়ে রেখেছিল।
Surah Al-Maarij, Verse 18
۞إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ خُلِقَ هَلُوعًا
মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে।
Surah Al-Maarij, Verse 19
إِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ جَزُوعٗا
যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে।
Surah Al-Maarij, Verse 20
وَإِذَا مَسَّهُ ٱلۡخَيۡرُ مَنُوعًا
আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।
Surah Al-Maarij, Verse 21
إِلَّا ٱلۡمُصَلِّينَ
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী।
Surah Al-Maarij, Verse 22
ٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَاتِهِمۡ دَآئِمُونَ
যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
Surah Al-Maarij, Verse 23
وَٱلَّذِينَ فِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ مَّعۡلُومٞ
এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে
Surah Al-Maarij, Verse 24
لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ
যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের
Surah Al-Maarij, Verse 25
وَٱلَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوۡمِ ٱلدِّينِ
এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
Surah Al-Maarij, Verse 26
وَٱلَّذِينَ هُم مِّنۡ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشۡفِقُونَ
এবং যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত।
Surah Al-Maarij, Verse 27
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمۡ غَيۡرُ مَأۡمُونٖ
নিশ্চয় তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্কা থাকা যায় না।
Surah Al-Maarij, Verse 28
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ
এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে
Surah Al-Maarij, Verse 29
إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ
কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।
Surah Al-Maarij, Verse 30
فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ
অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।
Surah Al-Maarij, Verse 31
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِأَمَٰنَٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَٰعُونَ
এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে
Surah Al-Maarij, Verse 32
وَٱلَّذِينَ هُم بِشَهَٰدَٰتِهِمۡ قَآئِمُونَ
এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান
Surah Al-Maarij, Verse 33
وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَاتِهِمۡ يُحَافِظُونَ
এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান
Surah Al-Maarij, Verse 34
أُوْلَـٰٓئِكَ فِي جَنَّـٰتٖ مُّكۡرَمُونَ
তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।
Surah Al-Maarij, Verse 35
فَمَالِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ قِبَلَكَ مُهۡطِعِينَ
অতএব, কাফেরদের কি হল যে, তারা আপনার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসছে।
Surah Al-Maarij, Verse 36
عَنِ ٱلۡيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ عِزِينَ
ডান ও বামদিক থেকে দলে দলে।
Surah Al-Maarij, Verse 37
أَيَطۡمَعُ كُلُّ ٱمۡرِيٕٖ مِّنۡهُمۡ أَن يُدۡخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٖ
তাদের প্রত্যেকেই কি আশা করে যে, তাকে নেয়ামতের জান্নাতে দাখিল করা হবে
Surah Al-Maarij, Verse 38
كَلَّآۖ إِنَّا خَلَقۡنَٰهُم مِّمَّا يَعۡلَمُونَ
কখনই নয়, আমি তাদেরকে এমন বস্তু দ্বারা সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে।
Surah Al-Maarij, Verse 39
فَلَآ أُقۡسِمُ بِرَبِّ ٱلۡمَشَٰرِقِ وَٱلۡمَغَٰرِبِ إِنَّا لَقَٰدِرُونَ
আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম
Surah Al-Maarij, Verse 40
عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ خَيۡرٗا مِّنۡهُمۡ وَمَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوقِينَ
তাদের পরিবর্তে উৎকৃষ্টতর মানুষ সৃষ্টি করতে এবং এটা আমার সাধ্যের অতীত নয়।
Surah Al-Maarij, Verse 41
فَذَرۡهُمۡ يَخُوضُواْ وَيَلۡعَبُواْ حَتَّىٰ يُلَٰقُواْ يَوۡمَهُمُ ٱلَّذِي يُوعَدُونَ
অতএব, আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা বাকবিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌতুক করুক সেই দিবসের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যে দিবসের ওয়াদা তাদের সাথে করা হচ্ছে।
Surah Al-Maarij, Verse 42
يَوۡمَ يَخۡرُجُونَ مِنَ ٱلۡأَجۡدَاثِ سِرَاعٗا كَأَنَّهُمۡ إِلَىٰ نُصُبٖ يُوفِضُونَ
সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
Surah Al-Maarij, Verse 43
خَٰشِعَةً أَبۡصَٰرُهُمۡ تَرۡهَقُهُمۡ ذِلَّةٞۚ ذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمُ ٱلَّذِي كَانُواْ يُوعَدُونَ
তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত; তারা হবে হীনতাগ্রস্ত। এটাই সেইদিন, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হত।
Surah Al-Maarij, Verse 44