Surah An-Najm - Bengali Translation by Muhiuddin Khan
وَٱلنَّجۡمِ إِذَا هَوَىٰ
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
Surah An-Najm, Verse 1
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمۡ وَمَا غَوَىٰ
তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
Surah An-Najm, Verse 2
وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلۡهَوَىٰٓ
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
Surah An-Najm, Verse 3
إِنۡ هُوَ إِلَّا وَحۡيٞ يُوحَىٰ
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
Surah An-Najm, Verse 4
عَلَّمَهُۥ شَدِيدُ ٱلۡقُوَىٰ
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা
Surah An-Najm, Verse 5
ذُو مِرَّةٖ فَٱسۡتَوَىٰ
সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।
Surah An-Najm, Verse 6
وَهُوَ بِٱلۡأُفُقِ ٱلۡأَعۡلَىٰ
উর্ধ্ব দিগন্তে
Surah An-Najm, Verse 7
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّىٰ
অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল।
Surah An-Najm, Verse 8
فَكَانَ قَابَ قَوۡسَيۡنِ أَوۡ أَدۡنَىٰ
তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
Surah An-Najm, Verse 9
فَأَوۡحَىٰٓ إِلَىٰ عَبۡدِهِۦ مَآ أَوۡحَىٰ
তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন।
Surah An-Najm, Verse 10
مَا كَذَبَ ٱلۡفُؤَادُ مَا رَأَىٰٓ
রসূলের অন্তর মিথ্যা বলেনি যা সে দেখেছে।
Surah An-Najm, Verse 11
أَفَتُمَٰرُونَهُۥ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ
তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে
Surah An-Najm, Verse 12
وَلَقَدۡ رَءَاهُ نَزۡلَةً أُخۡرَىٰ
নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল
Surah An-Najm, Verse 13
عِندَ سِدۡرَةِ ٱلۡمُنتَهَىٰ
সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে
Surah An-Najm, Verse 14
عِندَهَا جَنَّةُ ٱلۡمَأۡوَىٰٓ
যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত।
Surah An-Najm, Verse 15
إِذۡ يَغۡشَى ٱلسِّدۡرَةَ مَا يَغۡشَىٰ
যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।
Surah An-Najm, Verse 16
مَا زَاغَ ٱلۡبَصَرُ وَمَا طَغَىٰ
তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি।
Surah An-Najm, Verse 17
لَقَدۡ رَأَىٰ مِنۡ ءَايَٰتِ رَبِّهِ ٱلۡكُبۡرَىٰٓ
নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
Surah An-Najm, Verse 18
أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّـٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে।
Surah An-Najm, Verse 19
وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ
এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে
Surah An-Najm, Verse 20
أَلَكُمُ ٱلذَّكَرُ وَلَهُ ٱلۡأُنثَىٰ
পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য
Surah An-Najm, Verse 21
تِلۡكَ إِذٗا قِسۡمَةٞ ضِيزَىٰٓ
এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন।
Surah An-Najm, Verse 22
إِنۡ هِيَ إِلَّآ أَسۡمَآءٞ سَمَّيۡتُمُوهَآ أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلۡطَٰنٍۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَمَا تَهۡوَى ٱلۡأَنفُسُۖ وَلَقَدۡ جَآءَهُم مِّن رَّبِّهِمُ ٱلۡهُدَىٰٓ
এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।
Surah An-Najm, Verse 23
أَمۡ لِلۡإِنسَٰنِ مَا تَمَنَّىٰ
মানুষ যা চায়, তাই কি পায়
Surah An-Najm, Verse 24
فَلِلَّهِ ٱلۡأٓخِرَةُ وَٱلۡأُولَىٰ
অতএব, পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সব মঙ্গলই আল্লাহর হাতে।
Surah An-Najm, Verse 25
۞وَكَم مِّن مَّلَكٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ لَا تُغۡنِي شَفَٰعَتُهُمۡ شَيۡـًٔا إِلَّا مِنۢ بَعۡدِ أَن يَأۡذَنَ ٱللَّهُ لِمَن يَشَآءُ وَيَرۡضَىٰٓ
আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন।
Surah An-Najm, Verse 26
إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ لَيُسَمُّونَ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةَ تَسۡمِيَةَ ٱلۡأُنثَىٰ
যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে।
Surah An-Najm, Verse 27
وَمَا لَهُم بِهِۦ مِنۡ عِلۡمٍۖ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّۖ وَإِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغۡنِي مِنَ ٱلۡحَقِّ شَيۡـٔٗا
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়।
Surah An-Najm, Verse 28
فَأَعۡرِضۡ عَن مَّن تَوَلَّىٰ عَن ذِكۡرِنَا وَلَمۡ يُرِدۡ إِلَّا ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا
অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ এবং কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে তার তরফ থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিন।
Surah An-Najm, Verse 29
ذَٰلِكَ مَبۡلَغُهُم مِّنَ ٱلۡعِلۡمِۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِمَنِ ٱهۡتَدَىٰ
তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।
Surah An-Najm, Verse 30
وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ لِيَجۡزِيَ ٱلَّذِينَ أَسَـٰٓـُٔواْ بِمَا عَمِلُواْ وَيَجۡزِيَ ٱلَّذِينَ أَحۡسَنُواْ بِٱلۡحُسۡنَى
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর, যাতে তিনি মন্দকর্মীদেরকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেন এবং সৎকর্মীদেরকে দেন ভাল ফল।
Surah An-Najm, Verse 31
ٱلَّذِينَ يَجۡتَنِبُونَ كَبَـٰٓئِرَ ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡفَوَٰحِشَ إِلَّا ٱللَّمَمَۚ إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلۡمَغۡفِرَةِۚ هُوَ أَعۡلَمُ بِكُمۡ إِذۡ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِ وَإِذۡ أَنتُمۡ أَجِنَّةٞ فِي بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمۡۖ فَلَا تُزَكُّوٓاْ أَنفُسَكُمۡۖ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ
যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।
Surah An-Najm, Verse 32
أَفَرَءَيۡتَ ٱلَّذِي تَوَلَّىٰ
আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Surah An-Najm, Verse 33
وَأَعۡطَىٰ قَلِيلٗا وَأَكۡدَىٰٓ
এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।
Surah An-Najm, Verse 34
أَعِندَهُۥ عِلۡمُ ٱلۡغَيۡبِ فَهُوَ يَرَىٰٓ
তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে
Surah An-Najm, Verse 35
أَمۡ لَمۡ يُنَبَّأۡ بِمَا فِي صُحُفِ مُوسَىٰ
তাকে কি জানানো হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে
Surah An-Najm, Verse 36
وَإِبۡرَٰهِيمَ ٱلَّذِي وَفَّىٰٓ
এবং ইব্রাহীমের কিতাবে, যে তার দায়িত্ব পালন করেছিল
Surah An-Najm, Verse 37
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٞ وِزۡرَ أُخۡرَىٰ
কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না।
Surah An-Najm, Verse 38
وَأَن لَّيۡسَ لِلۡإِنسَٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ
এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে
Surah An-Najm, Verse 39
وَأَنَّ سَعۡيَهُۥ سَوۡفَ يُرَىٰ
তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।
Surah An-Najm, Verse 40
ثُمَّ يُجۡزَىٰهُ ٱلۡجَزَآءَ ٱلۡأَوۡفَىٰ
অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।
Surah An-Najm, Verse 41
وَأَنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلۡمُنتَهَىٰ
তোমার পালনকর্তার কাছে সবকিছুর সমাপ্তি
Surah An-Najm, Verse 42
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَضۡحَكَ وَأَبۡكَىٰ
এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান
Surah An-Najm, Verse 43
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَمَاتَ وَأَحۡيَا
এবং তিনিই মারেন ও বাঁচান
Surah An-Najm, Verse 44
وَأَنَّهُۥ خَلَقَ ٱلزَّوۡجَيۡنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلۡأُنثَىٰ
এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।
Surah An-Najm, Verse 45
مِن نُّطۡفَةٍ إِذَا تُمۡنَىٰ
একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়।
Surah An-Najm, Verse 46
وَأَنَّ عَلَيۡهِ ٱلنَّشۡأَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰ
পুনরুত্থানের দায়িত্ব তাঁরই
Surah An-Najm, Verse 47
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَغۡنَىٰ وَأَقۡنَىٰ
এবং তিনিই ধনবান করেন ও সম্পদ দান করেন।
Surah An-Najm, Verse 48
وَأَنَّهُۥ هُوَ رَبُّ ٱلشِّعۡرَىٰ
তিনি শিরা নক্ষত্রের মালিক।
Surah An-Najm, Verse 49
وَأَنَّهُۥٓ أَهۡلَكَ عَادًا ٱلۡأُولَىٰ
তিনিই প্রথম আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন
Surah An-Najm, Verse 50
وَثَمُودَاْ فَمَآ أَبۡقَىٰ
এবং সামুদকেও; অতঃপর কাউকে অব্যহতি দেননি।
Surah An-Najm, Verse 51
وَقَوۡمَ نُوحٖ مِّن قَبۡلُۖ إِنَّهُمۡ كَانُواْ هُمۡ أَظۡلَمَ وَأَطۡغَىٰ
এবং তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল আরও জালেম ও অবাধ্য।
Surah An-Najm, Verse 52
وَٱلۡمُؤۡتَفِكَةَ أَهۡوَىٰ
তিনিই জনপদকে শুন্যে উত্তোলন করে নিক্ষেপ করেছেন।
Surah An-Najm, Verse 53
فَغَشَّىٰهَا مَا غَشَّىٰ
অতঃপর তাকে আচ্ছন্ন করে নেয় যা আচ্ছন্ন করার।
Surah An-Najm, Verse 54
فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكَ تَتَمَارَىٰ
অতঃপর তুমি তোমার পালনকর্তার কোন অনুগ্রহকে মিথ্যা বলবে
Surah An-Najm, Verse 55
هَٰذَا نَذِيرٞ مِّنَ ٱلنُّذُرِ ٱلۡأُولَىٰٓ
অতীতের সতর্ককারীদের মধ্যে সে-ও একজন সতর্ককারী।
Surah An-Najm, Verse 56
أَزِفَتِ ٱلۡأٓزِفَةُ
কেয়ামত নিকটে এসে গেছে।
Surah An-Najm, Verse 57
لَيۡسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ كَاشِفَةٌ
আল্লাহ ব্যতীত কেউ একে প্রকাশ করতে সক্ষম নয়।
Surah An-Najm, Verse 58
أَفَمِنۡ هَٰذَا ٱلۡحَدِيثِ تَعۡجَبُونَ
তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ
Surah An-Najm, Verse 59
وَتَضۡحَكُونَ وَلَا تَبۡكُونَ
এবং হাসছ-ক্রন্দন করছ না
Surah An-Najm, Verse 60
وَأَنتُمۡ سَٰمِدُونَ
তোমরা ক্রীড়া-কৌতুক করছ
Surah An-Najm, Verse 61
فَٱسۡجُدُواْۤ لِلَّهِۤ وَٱعۡبُدُواْ۩
অতএব আল্লাহকে সেজদা কর এবং তাঁর এবাদত কর।
Surah An-Najm, Verse 62