UAE Prayer Times

  • Dubai
  • Abu Dhabi
  • Sharjah
  • Ajman
  • Fujairah
  • Umm Al Quwain
  • Ras Al Khaimah
  • Quran Translations

Surah Al-Baqara - Bengali Translation by Zohurul Hoque


الٓمٓ

আলিফ, লাম, মীম।
Surah Al-Baqara, Verse 1


ذَٰلِكَ ٱلۡكِتَٰبُ لَا رَيۡبَۛ فِيهِۛ هُدٗى لِّلۡمُتَّقِينَ

ঐ গ্রন্থ, এতে কোনো সন্দেহ নেই, মুত্তকীদের জন্য পথপ্রদর্শক
Surah Al-Baqara, Verse 2


ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡغَيۡبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ

যারা গায়েবে ঈমান আনে, আর নামায কায়েম করে, আর আমরা যে রিযেক তাদের দিয়েছি তা থেকে তারা খরচ করে থাকে।
Surah Al-Baqara, Verse 3


وَٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ وَبِٱلۡأٓخِرَةِ هُمۡ يُوقِنُونَ

আর তোমার কাছে যা-কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তা’তে যারা ঈমান আনে, আর তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতেও, আর আখেরাত সন্বন্ধে যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে।
Surah Al-Baqara, Verse 4


أُوْلَـٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدٗى مِّن رَّبِّهِمۡۖ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ

এরাই আছে তাদের প্রভুর তরফ থেকে হেদায়তের উপরে, আর এরা নিজেরাই হচ্ছে সফলকাম।
Surah Al-Baqara, Verse 5


إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ ءَأَنذَرۡتَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تُنذِرۡهُمۡ لَا يُؤۡمِنُونَ

অবশ্যই যারা অবিশ্বাস পোষণ করে, তাদের তুমি সতর্ক কর বা তাদের সতর্ক নাই কর তাদের কাছে সবই সমান, ওরা ঈমান আনবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 6


خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ وَعَلَىٰ سَمۡعِهِمۡۖ وَعَلَىٰٓ أَبۡصَٰرِهِمۡ غِشَٰوَةٞۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ

আল্লাহ্ তাদের হৃদয়ে সীল মেরে দিয়েছেন, এবং তাদের কানেও, আর তাদের চোখের উপরে পর্দা। আর তাদের জন্য আছে কঠোর শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 7


وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَمَا هُم بِمُؤۡمِنِينَ

আর মানুষের মাঝে কেউ-কেউ বলে থাকে -- “আমরা আল্লাহ্‌র প্রতি এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান এনেছি”, অথচ তারা মুমিনদের মধ্যে নয়।
Surah Al-Baqara, Verse 8


يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَمَا يَخۡدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمۡ وَمَا يَشۡعُرُونَ

এরা চায় আল্লাহ্ ও যারা ঈমান এনেছে তারা যেন প্রতারিত হন। কিন্তু তারা প্রতারণা করছে নিজেদের ছাড়া আর কাউকে নয়, অথচ তারা বুঝতে পারছে না।
Surah Al-Baqara, Verse 9


فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضٗاۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمُۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡذِبُونَ

তাদের অন্তরে ব্যারাম, তাই আল্লাহ্ তাদের জন্য ব্যারাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, আর তাদের জন্য ব্যথাদায়ক শাস্তি, যেহেতু তারা মিথ্যা বলে চলেছে।
Surah Al-Baqara, Verse 10


وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ لَا تُفۡسِدُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ قَالُوٓاْ إِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُونَ

আর যখন তাদের বলা হলো -- “দুনিয়াতে তোমরা গন্ডগোল সৃষ্টি কর না”, তারা বলে -- “না তো, আমরা শান্তিকামী।”
Surah Al-Baqara, Verse 11


أَلَآ إِنَّهُمۡ هُمُ ٱلۡمُفۡسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشۡعُرُونَ

তারা নিজেরাই কি নিশ্চয়ই গন্ডগোল সৃষ্টিকারী নয়? কিন্তু তারা বোঝে না।
Surah Al-Baqara, Verse 12


وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ ءَامِنُواْ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُۗ أَلَآ إِنَّهُمۡ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعۡلَمُونَ

আর যখন তাদের বলা হলো -- “তোমরাও ঈমান আনো যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে”, তারা বললে -- “আমরা কি বিশ্বাস করব যেমন মূর্খরা বিশ্বাস করছে?” তারা নিজেরাই কি নিঃসন্দেহে মূর্খ নয়? কিন্তু তারা জানে না।
Surah Al-Baqara, Verse 13


وَإِذَا لَقُواْ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوۡاْ إِلَىٰ شَيَٰطِينِهِمۡ قَالُوٓاْ إِنَّا مَعَكُمۡ إِنَّمَا نَحۡنُ مُسۡتَهۡزِءُونَ

আর যারা ঈমান এনেছে তাদের সাথে তারা যখন মিলিত হয় তখন বলে -- “আমরা ঈমান এনেছি” । আবার যখন তারা তাদের শয়তানদের সঙ্গে নিরিবিলি হয় তখন বলে -- “আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে, আমরা শুধু মস্করা করছিলাম।”
Surah Al-Baqara, Verse 14


ٱللَّهُ يَسۡتَهۡزِئُ بِهِمۡ وَيَمُدُّهُمۡ فِي طُغۡيَٰنِهِمۡ يَعۡمَهُونَ

আল্লাহ্ তাদের প্রতি মস্করা ঘুরিয়ে পাঠান, এবং তাদের অন্যায় ক্রিয়া-কলাপের মধ্যে ঘুরপাক খেতে তাদের ছেড়ে দেন।
Surah Al-Baqara, Verse 15


أُوْلَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشۡتَرَوُاْ ٱلضَّلَٰلَةَ بِٱلۡهُدَىٰ فَمَا رَبِحَت تِّجَٰرَتُهُمۡ وَمَا كَانُواْ مُهۡتَدِينَ

এরাই তারা যারা পথনির্দেশের বদলে পথভ্রষ্টতার কেনাকাটা করে, তাই তাদের ব্যবসা মুনাফা আনে না, আর তারা সৎপথপ্রাপ্ত হয় না।
Surah Al-Baqara, Verse 16


مَثَلُهُمۡ كَمَثَلِ ٱلَّذِي ٱسۡتَوۡقَدَ نَارٗا فَلَمَّآ أَضَآءَتۡ مَا حَوۡلَهُۥ ذَهَبَ ٱللَّهُ بِنُورِهِمۡ وَتَرَكَهُمۡ فِي ظُلُمَٰتٖ لَّا يُبۡصِرُونَ

তাদের উপমা একজনের উদাহরণের মতো যিনি প্রদীপ জ্বালালেন, কিন্তু যখন এর চার পাশের সব-কিছু এ আলোকিত করল তখন আল্লাহ্ তাদের দীপ্তি নিয়ে নিলেন ও তাদের ফেলে রাখলেন ঘোর অন্ধকারে, তাই তারা পথঘাট দেখতে পায় না।
Surah Al-Baqara, Verse 17


صُمُّۢ بُكۡمٌ عُمۡيٞ فَهُمۡ لَا يَرۡجِعُونَ

কালা, বোবা, অন্ধত্ব, গতিকে তারা ফিরতে পারে না।
Surah Al-Baqara, Verse 18


أَوۡ كَصَيِّبٖ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فِيهِ ظُلُمَٰتٞ وَرَعۡدٞ وَبَرۡقٞ يَجۡعَلُونَ أَصَٰبِعَهُمۡ فِيٓ ءَاذَانِهِم مِّنَ ٱلصَّوَٰعِقِ حَذَرَ ٱلۡمَوۡتِۚ وَٱللَّهُ مُحِيطُۢ بِٱلۡكَٰفِرِينَ

অথবা আকাশ থেকে আসা ঝড় বৃষ্টির মতো -- তার মাঝে আছে গাঢ় অন্ধকার এবং বজ্রপাত ও বিদ্যুতের ঝলকানি। তারা তাদের গোটা আঙ্গুলগুলো চেপে ধরে তাদের কানের ভেতরে বজ্রের শব্দে মরার ভয়ে। কিন্তু আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদের ঘিরে ফেলেন।
Surah Al-Baqara, Verse 19


يَكَادُ ٱلۡبَرۡقُ يَخۡطَفُ أَبۡصَٰرَهُمۡۖ كُلَّمَآ أَضَآءَ لَهُم مَّشَوۡاْ فِيهِ وَإِذَآ أَظۡلَمَ عَلَيۡهِمۡ قَامُواْۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمۡعِهِمۡ وَأَبۡصَٰرِهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

বিদ্যুতের ঝলকানি তাদের দৃষ্টি প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিল। যতবার এ তাদের জন্য ঝিলিক দেয়, তারা এর মধ্যে হেটে চলে, আর যখনি তাদের উপরে অন্ধকার নেমে আসে, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তিনি নিশ্চয়ই তাদের শ্রবণশক্তি ও তাদের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নিতে পারতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সব-কিছুতে সর্বশক্তিমান।
Surah Al-Baqara, Verse 20


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

ওহে মানবজাতি! তোমাদের প্রভুর উপাসনা করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও, যাতে তোমরা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করো।
Surah Al-Baqara, Verse 21


ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلۡأَرۡضَ فِرَٰشٗا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءٗ وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَخۡرَجَ بِهِۦ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ رِزۡقٗا لَّكُمۡۖ فَلَا تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ أَندَادٗا وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে ফরাশ বানিয়েছেন, আর আকাশকে চাঁদোয়া, আর তিনি আকাশ থেকে পাঠান বৃষ্টি, তা’ দিয়ে তারপর ফলফসল উৎপাদন করেন তোমাদের জন্য রিযেক হিসেবে। অতএব আল্লাহ্‌র সাথে প্রতিদ্বন্ধী খাড়া করো না, অধিকন্তু তোমরা জানো।
Surah Al-Baqara, Verse 22


وَإِن كُنتُمۡ فِي رَيۡبٖ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلَىٰ عَبۡدِنَا فَأۡتُواْ بِسُورَةٖ مِّن مِّثۡلِهِۦ وَٱدۡعُواْ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

আর যদি তোমরা সন্দেহের মাঝে থাকো এর সন্বন্ধে যা আমাদের বান্দার কাছে অবতারণ করেছি তা হলে এর মতো একটিমাত্র সূরা নিয়ে এস এবং আল্লাহ্ ছাড়া তোমাদের সাহায্যকারীদের ডাকো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
Surah Al-Baqara, Verse 23


فَإِن لَّمۡ تَفۡعَلُواْ وَلَن تَفۡعَلُواْ فَٱتَّقُواْ ٱلنَّارَ ٱلَّتِي وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُۖ أُعِدَّتۡ لِلۡكَٰفِرِينَ

কিন্তু যদি তোমরা না করো -- আর তোমরা কখনো পারবে না -- তাহলে আগুনকে ভয় কর যার জ্বালানি হচ্ছে মানুষ এবং পাথরগুলো, -- তৈরি হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য।
Surah Al-Baqara, Verse 24


وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ أَنَّ لَهُمۡ جَنَّـٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ كُلَّمَا رُزِقُواْ مِنۡهَا مِن ثَمَرَةٖ رِّزۡقٗا قَالُواْ هَٰذَا ٱلَّذِي رُزِقۡنَا مِن قَبۡلُۖ وَأُتُواْ بِهِۦ مُتَشَٰبِهٗاۖ وَلَهُمۡ فِيهَآ أَزۡوَٰجٞ مُّطَهَّرَةٞۖ وَهُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আর খুশখবর দাও তাদের যারা ঈমান এনেছে আর সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আছে জান্নাত, যাদের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি! যতবার এ থেকে ফলফসল তাদের খেতে দেয়া হয় তারা বলে -- “এ সেই যা এর আগে আমাদের খাওয়ানো হয়েছিল”, কারণ তাদের এ দেয়া হয় অনুকরণে। আর তাদের জন্য এর মধ্যে আছে পবিত্র সঙ্গিসাথী আর এতে তারা থাকবে চিরকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 25


۞إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَسۡتَحۡيِۦٓ أَن يَضۡرِبَ مَثَلٗا مَّا بَعُوضَةٗ فَمَا فَوۡقَهَاۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ فَيَعۡلَمُونَ أَنَّهُ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّهِمۡۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلٗاۘ يُضِلُّ بِهِۦ كَثِيرٗا وَيَهۡدِي بِهِۦ كَثِيرٗاۚ وَمَا يُضِلُّ بِهِۦٓ إِلَّا ٱلۡفَٰسِقِينَ

অবশ্যই আল্লাহ্ উপমা ছুড়ঁতে লজ্জিত হন না, যথা মশার অথবা তার চাইতে উপরের কিছুর। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে যে এ নিশ্চয়ই তাদের প্রভুর কাছ থেকে সত্য। আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে -- “আল্লাহ্ এমন একটি উপমাদ্বারা কী চান?” এর দ্বারা তিনি অনেককে বিপথে চলতে দেন এবং অনেককে এর সাহায্যে সৎপথগামী করেন। তিনি কিন্তু ভ্রষ্টাচারী ভিন্ন কাউকেও এর মাধ্যমে বিপথে চলতে দেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 26


ٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهۡدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقۡطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ أُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ

যারা আল্লাহ্‌র চুক্তি ভঙ্গ করে এর সুদৃঢ়ীকরণ হবার পরেও, আর কেটে দেয় যা এর দ্বারা বহাল রাখার জন্য আল্লাহ্ আদেশ করেছিলেন, আর পৃথিবীতে ফসাদ সৃষ্টি করে। তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Surah Al-Baqara, Verse 27


كَيۡفَ تَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَكُنتُمۡ أَمۡوَٰتٗا فَأَحۡيَٰكُمۡۖ ثُمَّ يُمِيتُكُمۡ ثُمَّ يُحۡيِيكُمۡ ثُمَّ إِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ

তোমরা কেমন করে আল্লাহ্‌র প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করো যেহেতু তোমরা নিস্প্রাণ ছিলে, তখন তোমাদের তিনি জীবন দান করেছেন? তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও আবার তোমাদের পুনর্জীবিত করবেন, তখন তাঁরই দরবারে তোমাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Surah Al-Baqara, Verse 28


هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَسَوَّىٰهُنَّ سَبۡعَ سَمَٰوَٰتٖۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

তিনিই সেইজন যিনি ঘূর্ণায়মান-পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সবই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাছাড়া তিনি মহাকাশের প্রতি খেয়াল করলেন, তাই তাদের তিনি সাত আসমানে পরিপূর্ণ করলেন। আর তিনি সব-কিছু সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 29


وَإِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلَـٰٓئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٞ فِي ٱلۡأَرۡضِ خَلِيفَةٗۖ قَالُوٓاْ أَتَجۡعَلُ فِيهَا مَن يُفۡسِدُ فِيهَا وَيَسۡفِكُ ٱلدِّمَآءَ وَنَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَۖ قَالَ إِنِّيٓ أَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُونَ

আর স্মরণ কর, -- তোমার প্রভু ফিরিশ্‌তাদের বললেন, “আমি অবশ্যই পৃথিবীতে খলিফা বসাতে যাচ্ছি।” তারা বলল -- “তুমি কি উহাতে এমন কাউকে বসাচ্ছ যে তার মধ্যে ফসাদ সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত করবে, অথচ আমরা তোমার স্তুতির গুণগান করছি ও তোমারই পবিত্রতার জয়গান গাইছি।” তিনি বললেন -- “আমি নিঃসন্দেহে তা জানি যা তোমরা জানো না।”
Surah Al-Baqara, Verse 30


وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلۡأَسۡمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمۡ عَلَى ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِـُٔونِي بِأَسۡمَآءِ هَـٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

তখন তিনি আদমকে নামাবলী -- তাদের সব-কিছু শিখিয়ে দিলেন, তারপর তিনি ফিরিশ্‌তাদের কাছে তাদের স্থাপন করলেন ও বললেন, -- “আমাকে এই সমস্তের নামাবলী বর্ণনা কর, যদি তোমরা সঠিক হয়ে থাকো।”
Surah Al-Baqara, Verse 31


قَالُواْ سُبۡحَٰنَكَ لَا عِلۡمَ لَنَآ إِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَلِيمُ ٱلۡحَكِيمُ

তারা বলল -- “তোমারই সব মহিমা! আমাদের যা শিখিয়েছ তা ছাড়া আমাদের জ্ঞান নেই! নিঃসন্দেহ তুমি নিজেই সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।”
Surah Al-Baqara, Verse 32


قَالَ يَـٰٓـَٔادَمُ أَنۢبِئۡهُم بِأَسۡمَآئِهِمۡۖ فَلَمَّآ أَنۢبَأَهُم بِأَسۡمَآئِهِمۡ قَالَ أَلَمۡ أَقُل لَّكُمۡ إِنِّيٓ أَعۡلَمُ غَيۡبَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَأَعۡلَمُ مَا تُبۡدُونَ وَمَا كُنتُمۡ تَكۡتُمُونَ

তিনি বললেন -- “হে আদম! এ-সবের নামাবলী এদের কাছে বর্ণনা কর।” তাই সে যখন তাদের কাছে এ-সবের নামাবলী বর্ণনা করল, তিনি বললেন -- “আমি কি তোমাদের বলি নি যে আমি নিশ্চয়ই মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর রহস্যসব জানি? আর আমি জানি যা তোমরা প্রকাশ করেছ, আর যা তোমরা লুকিয়ে রেখে চলেছ।”
Surah Al-Baqara, Verse 33


وَإِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلَـٰٓئِكَةِ ٱسۡجُدُواْ لِأٓدَمَ فَسَجَدُوٓاْ إِلَّآ إِبۡلِيسَ أَبَىٰ وَٱسۡتَكۡبَرَ وَكَانَ مِنَ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আর স্মরণ করো! আমরা ফিরিশ্‌তাদের বললাম -- “আদমের প্রতি সিজদা করো।” সুতরাং তারা সিজদা করল, কিন্তু ইবলিস করলনা, কারণ সে ছিল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।
Surah Al-Baqara, Verse 34


وَقُلۡنَا يَـٰٓـَٔادَمُ ٱسۡكُنۡ أَنتَ وَزَوۡجُكَ ٱلۡجَنَّةَ وَكُلَا مِنۡهَا رَغَدًا حَيۡثُ شِئۡتُمَا وَلَا تَقۡرَبَا هَٰذِهِ ٱلشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ

আর আমরা বললাম, -- “হে আদম! তুমি ও তোমার সঙ্গিনী এই বাগানে অবস্থান কর, আর সেখান থেকে যখন-যেখানে ইচ্ছা কর ভরপুরভাবে পানাহার কর, কিন্তু এই বৃক্ষের ধারেকাছেও যেও না, নতুবা তোমরা দুরাচারদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।”
Surah Al-Baqara, Verse 35


فَأَزَلَّهُمَا ٱلشَّيۡطَٰنُ عَنۡهَا فَأَخۡرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِۖ وَقُلۡنَا ٱهۡبِطُواْ بَعۡضُكُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوّٞۖ وَلَكُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُسۡتَقَرّٞ وَمَتَٰعٌ إِلَىٰ حِينٖ

কিন্তু শয়তান তাদের সেখান থেকে পদস্খলিত করল, আর যেখানে তারা থাকত সেখান থেকে তাদের বের করে দিল। তখন আমরা বললাম -- “তোমরা অধঃপাতে যাও, তোমাদের কেউ কেউ একে অন্যের শত্রু। আর তোমাদের জন্য পৃথিবীতে আছে জিরানোর স্থান ও কিছু সময়ের সংস্থান।”
Surah Al-Baqara, Verse 36


فَتَلَقَّىٰٓ ءَادَمُ مِن رَّبِّهِۦ كَلِمَٰتٖ فَتَابَ عَلَيۡهِۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

তখন আদম তার প্রভুর কাছ থেকে কিছু কথা শিখে নিলে, তাই তিনি তার দিকে ফিরলেন। নিঃসন্দেহ তিনি নিজেই সদা ফেরেন, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 37


قُلۡنَا ٱهۡبِطُواْ مِنۡهَا جَمِيعٗاۖ فَإِمَّا يَأۡتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدٗى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

আমরা বললাম -- “তোমরা সব্বাই মিলে এখান থেকে নেমে পড়ো। কিন্তু যদি তোমাদের কাছে আমার তরফ থেকে হেদায়ত আসে, তবে যারা আমার পথনির্দেশ মেনে চলবে তাদের উপর কিন্তু কোনো ভয় নেই, আর তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 38


وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَآ أُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

“কিন্তু যারা অবিশ্বাস পোষণ করে ও আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, তারা তার মধ্যে থাকবে দীর্ঘকাল।”
Surah Al-Baqara, Verse 39


يَٰبَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتِيَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ وَأَوۡفُواْ بِعَهۡدِيٓ أُوفِ بِعَهۡدِكُمۡ وَإِيَّـٰيَ فَٱرۡهَبُونِ

হে ইসরাইলের বংশধরগণ! আমার নিয়ামত স্মরণ করো, যা আমি তোমাদের প্রদান করেছিলাম, আর আমার সাথের চুক্তি তোমরা বহাল রাখো, আমিও তোমাদের সাথের চুক্তি বহাল রাখব। আর আমাকে, শুধু আমাকে, তোমরা ভয় করবে।
Surah Al-Baqara, Verse 40


وَءَامِنُواْ بِمَآ أَنزَلۡتُ مُصَدِّقٗا لِّمَا مَعَكُمۡ وَلَا تَكُونُوٓاْ أَوَّلَ كَافِرِۭ بِهِۦۖ وَلَا تَشۡتَرُواْ بِـَٔايَٰتِي ثَمَنٗا قَلِيلٗا وَإِيَّـٰيَ فَٱتَّقُونِ

আর আমি যা অবতারণ করেছি তাতে তোমরা ঈমান আনো, -- তোমাদের কাছে যা রয়েছে তার সত্য-সমর্থনরূপে, এমতাবস্থায় তোমরা এতে অবিশ্বাসকারীদের পুরোভাগে থেকো না, আর আমার প্রত্যাদেশের বিনিময়ে তুচ্ছ বস্তু কামাতে যেও না, আর আমাকে, শুধু আমাকে, তোমরা ভয়-শ্রদ্ধা করবে।
Surah Al-Baqara, Verse 41


وَلَا تَلۡبِسُواْ ٱلۡحَقَّ بِٱلۡبَٰطِلِ وَتَكۡتُمُواْ ٱلۡحَقَّ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

আর সত্যকে তোমরা মিথ্যার পোশাক পরিয়ো না বা সত্যকে গোপন কর না, অথচ তোমরা জানো।
Surah Al-Baqara, Verse 42


وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرۡكَعُواْ مَعَ ٱلرَّـٰكِعِينَ

আর তোমরা নামায কায়েম করো ও যাকাত আদায় করো, আর রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।
Surah Al-Baqara, Verse 43


۞أَتَأۡمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلۡبِرِّ وَتَنسَوۡنَ أَنفُسَكُمۡ وَأَنتُمۡ تَتۡلُونَ ٱلۡكِتَٰبَۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ

তোমরা কি লোকজনকে ধার্মিকতা করতে আদেশ কর আর নিজের বেলায় স্রেফ ভুলে যাও, অথচ তোমরা ধর্মগ্রন্থ পড়ে থাক? তোমাদের কি কান্ডজ্ঞান নেই
Surah Al-Baqara, Verse 44


وَٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلۡخَٰشِعِينَ

আর তোমরা ধৈর্য ধরে ও নামায পড়ে সাহায্য কামনা করো। আর এটি নিশ্চয়ই বড় কঠিন, শুধু বিনয়ীদের ছাড়া
Surah Al-Baqara, Verse 45


ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُواْ رَبِّهِمۡ وَأَنَّهُمۡ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ

যারা স্মরণ রাখে যে তারা নিশ্চয়ই তাদের প্রভুর সাথে মোলাকাত করতে যাচ্ছে, আর তারা অবশ্যই তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।
Surah Al-Baqara, Verse 46


يَٰبَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتِيَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ وَأَنِّي فَضَّلۡتُكُمۡ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ

হে ইসরাইলের বংশধরগণ! আমার নিয়ামত স্মরণ করো যা আমি তোমাদের প্রদান করেছিলাম ও কিভাবে মানবগোষ্ঠীর উপর তোমাদের মর্যাদা দিয়েছিলাম।
Surah Al-Baqara, Verse 47


وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا لَّا تَجۡزِي نَفۡسٌ عَن نَّفۡسٖ شَيۡـٔٗا وَلَا يُقۡبَلُ مِنۡهَا شَفَٰعَةٞ وَلَا يُؤۡخَذُ مِنۡهَا عَدۡلٞ وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ

আর সতর্কতা অবলন্বন করো এমন এক দিনের একজন অন্যজনের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য পাবে না, আর তার থেকে কোনো সুপারিশ কবুল করা হবে না বা তার থেকে কোনো খেসারতও নেওয়া হবে না, আর তাদের সাহায্য দেয়া হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 48


وَإِذۡ نَجَّيۡنَٰكُم مِّنۡ ءَالِ فِرۡعَوۡنَ يَسُومُونَكُمۡ سُوٓءَ ٱلۡعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبۡنَآءَكُمۡ وَيَسۡتَحۡيُونَ نِسَآءَكُمۡۚ وَفِي ذَٰلِكُم بَلَآءٞ مِّن رَّبِّكُمۡ عَظِيمٞ

আর স্মরণ করো! তোমাদের আমরা ফিরআউনের লোকদের থেকে মুক্ত করেছিলাম, যারা তোমাদের নির্যাতন করেছিল কঠোর যন্ত্রণায়, তারা হত্যা করত তোমাদের পুত্র সন্তানদের ও বাঁচতে দিত তোমাদের নারীদের। আর এতে তোমাদের জন্যে তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে ছিল কঠোর পরীক্ষা।
Surah Al-Baqara, Verse 49


وَإِذۡ فَرَقۡنَا بِكُمُ ٱلۡبَحۡرَ فَأَنجَيۡنَٰكُمۡ وَأَغۡرَقۡنَآ ءَالَ فِرۡعَوۡنَ وَأَنتُمۡ تَنظُرُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা তোমাদের জন্যে সাগরকে করেছিলাম বিভক্ত, তাতে উদ্ধার করেছিলাম তোমাদের, আর আমরা ডুবিয়েছিলাম ফিরআউনের লোকদের, আর তোমরা চেয়ে দেখেছিলে।
Surah Al-Baqara, Verse 50


وَإِذۡ وَٰعَدۡنَا مُوسَىٰٓ أَرۡبَعِينَ لَيۡلَةٗ ثُمَّ ٱتَّخَذۡتُمُ ٱلۡعِجۡلَ مِنۢ بَعۡدِهِۦ وَأَنتُمۡ ظَٰلِمُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা মূসার সঙ্গে চল্লিশ রাত্রি নির্ধারিত করেছিলাম, তখন তোমরা বাছুরকে তাঁর অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করলে, আর তোমরা হলে অন্যায়কারী।
Surah Al-Baqara, Verse 51


ثُمَّ عَفَوۡنَا عَنكُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ

শেষে এর পরেও আমরা তোমাদের ক্ষমা করেছিলাম যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
Surah Al-Baqara, Verse 52


وَإِذۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡفُرۡقَانَ لَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা মূসাকে দিয়েছিলাম ধর্মগ্রন্থ তথা ফুরকান যাতে তোমরা সুপথগামী হতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 53


وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦ يَٰقَوۡمِ إِنَّكُمۡ ظَلَمۡتُمۡ أَنفُسَكُم بِٱتِّخَاذِكُمُ ٱلۡعِجۡلَ فَتُوبُوٓاْ إِلَىٰ بَارِئِكُمۡ فَٱقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ عِندَ بَارِئِكُمۡ فَتَابَ عَلَيۡكُمۡۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

আর স্মরণ করো! মূসা তাঁর লোকদের বলেছিলেন, -- “হে আমার অনুচরবর্গ, তোমরা নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতি অন্যায় করেছ বাছুরকে গ্রহণ ক’রে, অতএব তোমাদের সৃষ্টিকর্তার দিকে ফেরো ও নিজেদের সংহার করো। ইহা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার সমীপে তোমাদের জন্য মঙ্গলময়।” তাই তিনি তোমাদের দিকে ফিরলেন। নিঃসন্দেহ তিনি নিজেই সদা ফেরেন, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 54


وَإِذۡ قُلۡتُمۡ يَٰمُوسَىٰ لَن نُّؤۡمِنَ لَكَ حَتَّىٰ نَرَى ٱللَّهَ جَهۡرَةٗ فَأَخَذَتۡكُمُ ٱلصَّـٰعِقَةُ وَأَنتُمۡ تَنظُرُونَ

আর স্মরণ করো! তোমরা বললে -- “হে মূসা, আমরা তোমার প্রতি কখনো ঈমান আনব না যে পর্যন্ত না আমরা প্রকাশ্যভাবে আল্লাহ্‌কে দেখতে পাই।” তাই বজ্রাঘাত তোমাদের পাকড়ালো, আর তোমরা তাকিয়ে থাকলে।
Surah Al-Baqara, Verse 55


ثُمَّ بَعَثۡنَٰكُم مِّنۢ بَعۡدِ مَوۡتِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ

তারপর তোমাদের জাগিয়ে তুললাম তোমাদের মৃতবৎ হবার পরে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 56


وَظَلَّلۡنَا عَلَيۡكُمُ ٱلۡغَمَامَ وَأَنزَلۡنَا عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَنَّ وَٱلسَّلۡوَىٰۖ كُلُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقۡنَٰكُمۡۚ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَٰكِن كَانُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ يَظۡلِمُونَ

আর তোমাদের উপরে আমরা মেঘ দিয়ে আচ্ছাদন করেছিলাম, আর তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম 'মান্না’ ও 'সালওয়া’। “তোমাদের যে-সব ভাল ভাল রিযেক দিয়েছি তা খেয়ে যাও।” কিন্তু তারা আমাদের কোনো অনিষ্ট করে নি, বরং তারা নিজেদেরই প্রতি অনিষ্ট করছিল।
Surah Al-Baqara, Verse 57


وَإِذۡ قُلۡنَا ٱدۡخُلُواْ هَٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةَ فَكُلُواْ مِنۡهَا حَيۡثُ شِئۡتُمۡ رَغَدٗا وَٱدۡخُلُواْ ٱلۡبَابَ سُجَّدٗا وَقُولُواْ حِطَّةٞ نَّغۡفِرۡ لَكُمۡ خَطَٰيَٰكُمۡۚ وَسَنَزِيدُ ٱلۡمُحۡسِنِينَ

আর স্মরণ করো! আমরা বললাম -- “এই শহরে প্রবেশ কর, আর সেখান থেকে যখন-যেখানে ইচ্ছা কর ভরপুরভাবে পানাহার করো, আর সদর-দরজা দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করো ও বলো 'হিৎতাতুন’, যাতে তোমাদের দোষত্রুটিগুলো আমরা তোমাদের জন্য ক্ষমা করে দিতে পারি, আর বাড়িয়ে দিতে পারি শুভকর্মীদের জন্য।”
Surah Al-Baqara, Verse 58


فَبَدَّلَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ قَوۡلًا غَيۡرَ ٱلَّذِي قِيلَ لَهُمۡ فَأَنزَلۡنَا عَلَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ رِجۡزٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ بِمَا كَانُواْ يَفۡسُقُونَ

কিন্তু যারা অন্যায় করে তারা যা বলা হয়েছিল তার বিপরীত কথায় তা বদলে দিল। তাই যারা অন্যায় করেছিল তাদের উপরে আকাশ থেকে আমরা মহামারী পাঠিয়েছিলাম, কারণ তারা পাপাচার করছিল।
Surah Al-Baqara, Verse 59


۞وَإِذِ ٱسۡتَسۡقَىٰ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦ فَقُلۡنَا ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡحَجَرَۖ فَٱنفَجَرَتۡ مِنۡهُ ٱثۡنَتَا عَشۡرَةَ عَيۡنٗاۖ قَدۡ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٖ مَّشۡرَبَهُمۡۖ كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ مِن رِّزۡقِ ٱللَّهِ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ

আর স্মরণ করো! মূসা তাঁর লোকদের জন্য পানি চাইলেন, তাই আমরা বললাম, -- “তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো।” তখন তা থেকে বারোটি প্রস্রবন বেরিয়ে পড়লো। প্রত্যেক উপদল নিজ জলপান-স্থান চিনে নিলো। “আল্লাহ্‌র রিযেক থেকে খাও ও পান করো, আর ফসাদী হয়ে দুনিয়াতে অন্যায়াচরণ করো না।”
Surah Al-Baqara, Verse 60


وَإِذۡ قُلۡتُمۡ يَٰمُوسَىٰ لَن نَّصۡبِرَ عَلَىٰ طَعَامٖ وَٰحِدٖ فَٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُخۡرِجۡ لَنَا مِمَّا تُنۢبِتُ ٱلۡأَرۡضُ مِنۢ بَقۡلِهَا وَقِثَّآئِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَاۖ قَالَ أَتَسۡتَبۡدِلُونَ ٱلَّذِي هُوَ أَدۡنَىٰ بِٱلَّذِي هُوَ خَيۡرٌۚ ٱهۡبِطُواْ مِصۡرٗا فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلۡتُمۡۗ وَضُرِبَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلذِّلَّةُ وَٱلۡمَسۡكَنَةُ وَبَآءُو بِغَضَبٖ مِّنَ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَانُواْ يَكۡفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقۡتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ

আর স্মরণ করো! তোমরা বলেছিলে -- “হে মূসা! আমরা একই খাবারে সন্তষ্ট থাকতে পারছি না, তাই তোমার প্রভুর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করো যাতে তিনি আমাদের জন্য উৎপন্ন করেন মাটি যা উৎপাদিত করে, যেমন তার সবজি ও তার শস্য ও তার মসূর ও তার পেয়াঁজ।” তিনি বললেন -- “তোমরা কি বদল করে নিতে চাও যা নিকৃষ্ট তার সঙ্গে যা উৎকৃষ্ট? নেমে যাও কোনো মিশরে, তাহলে তোমরা যা চাও তাই পাবে।” আর ওরা নিজেদের উপরে লাঞ্ছনা ও দুর্দশা ঘটালো, আর তারা আল্লাহ্‌র রোষ টেনে আনল তাই হলো, কারণ তারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহে অবিশ্বাস করছিল, আর নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করতে যাচ্ছিল। তাই হলো, কেননা তারা অবাধ্য হয়েছিল ও সীমালঙ্ঘন করেছিল।
Surah Al-Baqara, Verse 61


إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلنَّصَٰرَىٰ وَٱلصَّـٰبِـِٔينَ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَلَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

নিঃসন্দেহ যারা ঈমান এনেছে, আর যারা ইহুদীয় মত পোষণ করে ও খ্রীস্টান ও সাবেঈন -- যারাই আল্লাহ্‌র প্রতি তাঁর একত্বে ও আনুগত্যে ঈমান এনেছে ও আখেরাতের দিনের প্রতি, আর সৎকর্ম করে, তাদের জন্য নিজ নিজ পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রভুর দরবারে, আর তাদের উপরে কোনো ভয় নেই, আর তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 62


وَإِذۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَكُمۡ وَرَفَعۡنَا فَوۡقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُواْ مَآ ءَاتَيۡنَٰكُم بِقُوَّةٖ وَٱذۡكُرُواْ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম ও তোমাদের উপরে পর্বত উত্তোলন করেছিলাম। “তোমাদের আমরা যা দিয়েছি তা দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করো, আর এতে যা আছে তা স্মরণ রাখো, যাতে তোমরা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করতে পার।”
Surah Al-Baqara, Verse 63


ثُمَّ تَوَلَّيۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَۖ فَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ لَكُنتُم مِّنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ

তারপর তোমরা এর পরেও ফিরে গেলে, কাজেই আল্লাহ্‌র প্রসন্নতা ও তাঁর করুণা যদি তোমাদের উপরে না থাকত তবে তোমরা অবশ্যই হতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
Surah Al-Baqara, Verse 64


وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعۡتَدَوۡاْ مِنكُمۡ فِي ٱلسَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَهُمۡ كُونُواْ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ

তদুপরি তোমাদের মধ্যে যারা সাব্বাথের নিয়ম লঙঘন করেছিল তাদের কথা নিশ্চয়ই জানা আছে, তাই আমরা তাদের বলেছিলাম -- “তোমরা ঘৃণ্য বানর হয়ে যাও।”
Surah Al-Baqara, Verse 65


فَجَعَلۡنَٰهَا نَكَٰلٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهَا وَمَا خَلۡفَهَا وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ

এইভাবে আমরা এটিকে একটি দৃষ্টান্ত বানিয়েছিলাম যারা ওদের সমসাময়িক ছিল তাদের জন্য ও যারা ওদের পরবর্তীকালে এসেছিল, আর ধর্মভীরুদের জন্য উপদেশ বিশেষ।
Surah Al-Baqara, Verse 66


وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُكُمۡ أَن تَذۡبَحُواْ بَقَرَةٗۖ قَالُوٓاْ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوٗاۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡجَٰهِلِينَ

আর স্মরণ করো! মূসা তাঁর লোকদের বললেন -- “নিঃসন্দেহ, আল্লাহ্ তোমাদের হুকুম করেছেন তোমরা যেন একটি বক্‌না-বাছুর যবেহ্ করো।” তারা বললে -- “তুমি কি আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করছ?” তিনি বললেন -- “আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইছি যেন আমি জাহিলদের অন্তর্ভুক্ত না হই।”
Surah Al-Baqara, Verse 67


قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ لَّا فَارِضٞ وَلَا بِكۡرٌ عَوَانُۢ بَيۡنَ ذَٰلِكَۖ فَٱفۡعَلُواْ مَا تُؤۡمَرُونَ

তারা বললো -- “তোমার প্রভুর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করো যেন তিনি আমাদের পরিস্কার করে দেন সেটি কি রকমের।” তিনি বললেন -- “নিঃসন্দেহ তিনি বলেছেন, সেটি অবশ্যই একটি বক্‌না-বাছুর যেটি বুড়ো নয় ও বাচ্চাও নয়, এদের মাঝামাঝি মধ্য-বয়সী। অতএব তোমাদের যা আদেশ দেয়া হয়েছে তাই করো।”
Surah Al-Baqara, Verse 68


قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوۡنُهَاۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ صَفۡرَآءُ فَاقِعٞ لَّوۡنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِينَ

তারা বললো -- “আমাদের জন্য তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো তিনি আমাদের খোলাখুলি বলে দিন তার রঙ কেমন।” তিনি বললেন -- “তিনি অবশ্যই বলেছেন, সেটি নিঃসন্দেহ হলুদ রঙের বাছুর, তার রঙ অতি উজ্জ্বল -- দর্শকদের কাছে মনোরম।”
Surah Al-Baqara, Verse 69


قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَ إِنَّ ٱلۡبَقَرَ تَشَٰبَهَ عَلَيۡنَا وَإِنَّآ إِن شَآءَ ٱللَّهُ لَمُهۡتَدُونَ

তারা বললে -- “তোমার প্রভুর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করো আমাদের তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিন সেটি কেমন, কারণ সব বাছুর আমাদের কাছে একাকার লাগে, আর আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করেন, আমরা নিশ্চয় ঠিক পথে চালিত হব।”
Surah Al-Baqara, Verse 70


قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ لَّا ذَلُولٞ تُثِيرُ ٱلۡأَرۡضَ وَلَا تَسۡقِي ٱلۡحَرۡثَ مُسَلَّمَةٞ لَّا شِيَةَ فِيهَاۚ قَالُواْ ٱلۡـَٰٔنَ جِئۡتَ بِٱلۡحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُواْ يَفۡعَلُونَ

তিনি বললেন, “নিঃসন্দেহ তিনি বলছেন, সেটি নিশ্চয়ই এমন বাছুর যাকে জোয়ালে জোতা হয় নি জমি চাষ করতে, বা ক্ষেতে পানিও দেয় না, সহি-সালামত, যার মধ্যে কোন খুতঁ নেই।” তারা বললে -- “এবার তুমি পুরোপুরি সত্য নিয়ে এসেছো।” সুতরাং তারা তাকে কুরবানি করল, আর দেখালো না যে তারা করল।
Surah Al-Baqara, Verse 71


وَإِذۡ قَتَلۡتُمۡ نَفۡسٗا فَٱدَّـٰرَ ٰٔتُمۡ فِيهَاۖ وَٱللَّهُ مُخۡرِجٞ مَّا كُنتُمۡ تَكۡتُمُونَ

আর স্মরণ করো! তোমরা একজনকে কাতল করতে যাচ্ছিলে, তারপর তোমরা এ ব্যাপারে দোষাদোষি করছিলে। আর আল্লাহ্ প্রকাশ করছিলেন যা তোমরা লুকোতে চাইছিলে।
Surah Al-Baqara, Verse 72


فَقُلۡنَا ٱضۡرِبُوهُ بِبَعۡضِهَاۚ كَذَٰلِكَ يُحۡيِ ٱللَّهُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَيُرِيكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ

সুতরাং আমরা বললাম -- “তুলনা করো তাঁকে এর কিছু অংশের সাথে।” এইভাবে আল্লাহ্ মৃতবৎকে জীবন দান করেন। আর তিনি তোমাদের দেখাচ্ছেন তাঁর নিদর্শন সমূহ যাতে তোমরা বুঝতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 73


ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوبُكُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَٱلۡحِجَارَةِ أَوۡ أَشَدُّ قَسۡوَةٗۚ وَإِنَّ مِنَ ٱلۡحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنۡهُ ٱلۡأَنۡهَٰرُۚ وَإِنَّ مِنۡهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخۡرُجُ مِنۡهُ ٱلۡمَآءُۚ وَإِنَّ مِنۡهَا لَمَا يَهۡبِطُ مِنۡ خَشۡيَةِ ٱللَّهِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

তারপর তোমাদের হৃদয় এর পরেও কঠিন হলো, পাথরের মতো হয়ে গেল, বরং আরও কঠিন। আর অবশ্য পাথরের মধ্যে এমনও আছে যার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে ঝরনা। আবার তাদের কিছু যখন চৌচির হয় তখন তা থেকে পানি বেরোয়। আবার তাদের মধ্যে কতক আল্লাহ্‌র ভয়ে ভেঙ্গে পড়ে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে বিষয়ে অজ্ঞাত নন।
Surah Al-Baqara, Verse 74


۞أَفَتَطۡمَعُونَ أَن يُؤۡمِنُواْ لَكُمۡ وَقَدۡ كَانَ فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَسۡمَعُونَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ

এরপর কি তোমরা আশা কর যে তারা তোমাদের প্রতি বিশ্বাস করবে? ইতিপূর্বে তাদের একটি দল আল্লাহ্‌র বাণী শুনত, তারপর তা পাল্টে দিত উহা বুঝবার পরেও, আর তারা জানে।
Surah Al-Baqara, Verse 75


وَإِذَا لَقُواْ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ قَالُوٓاْ أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ ٱللَّهُ عَلَيۡكُمۡ لِيُحَآجُّوكُم بِهِۦ عِندَ رَبِّكُمۡۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ

আর যারা ঈমান এনেছে তাদের সাথে যখন তারা মোলাকাত করে তখন বলে -- “আমরা ঈমান এনেছি।” আর যখন তাদের লোকেরা একে অন্যের সাথে নিরিবিলি হয় তখন বলে -- “আল্লাহ্ তোমাদের কাছে যা প্রকাশ করেছেন তা কি তোমরা ওদের জানিয়ে দিচ্ছ, যাতে ওরা এ-সবের সাহায্যে তোমাদের প্রভুর সামনে তোমাদের সাথে বিতর্ক করে? তোমরা কি তবে বুঝতে পারছ না?”
Surah Al-Baqara, Verse 76


أَوَلَا يَعۡلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعۡلِنُونَ

আর তারা কি জানে না যে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ জানেন যা তারা লুকিয়ে রাখছে ও যা প্রকাশ করছে
Surah Al-Baqara, Verse 77


وَمِنۡهُمۡ أُمِّيُّونَ لَا يَعۡلَمُونَ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّآ أَمَانِيَّ وَإِنۡ هُمۡ إِلَّا يَظُنُّونَ

আর তাদের মধ্যে হচ্ছে নিরক্ষর যারা ধর্মগ্রন্থ সন্বন্ধে উপকথার বেশী জানে না, আর তারা শুধু আন্দাজের উপর চলে
Surah Al-Baqara, Verse 78


فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ يَكۡتُبُونَ ٱلۡكِتَٰبَ بِأَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشۡتَرُواْ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلٗاۖ فَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا يَكۡسِبُونَ

হায়, কি অভাগা তারা যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে, তারপর বলে -- “ইহা আল্লাহ্‌র দরবার থেকে” -- যাতে এর জন্য তারা স্বল্পমূল্য কামাতে পারে। অতএব ধিক্ তাদের প্রতি তাদের হাত যা লিখেছে সেজন্য, আর ধিক্ তাদের প্রতি যা তারা কামাই করে সেজন্য
Surah Al-Baqara, Verse 79


وَقَالُواْ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامٗا مَّعۡدُودَةٗۚ قُلۡ أَتَّخَذۡتُمۡ عِندَ ٱللَّهِ عَهۡدٗا فَلَن يُخۡلِفَ ٱللَّهُ عَهۡدَهُۥٓۖ أَمۡ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ

আর তারা বলে -- “আগুন আমাদের গুনতির কয়েকদিন ছাড়া কদাচ স্পর্শ করবে না।” তুমি বলো -- “তোমরা কি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কোনো প্রতি‌শ্রুতি নিয়েছ? তাহলে আল্লাহ্ তাঁর ওয়াদার কখনো খেলাফ করেন না, অথবা তোমরা কি আল্লাহ্ সন্বন্ধে যা জান না তাই বলছ?”
Surah Al-Baqara, Verse 80


بَلَىٰۚ مَن كَسَبَ سَيِّئَةٗ وَأَحَٰطَتۡ بِهِۦ خَطِيٓـَٔتُهُۥ فَأُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

হাঁ, যে কেউ মন্দ অর্জন করে, আর তার পাপ তাকে ঘেরাও করে ফেলে, এরাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, তাতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 81


وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ أُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَنَّةِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে, তারাই হচ্ছে বেহেশতের বাসিন্দা, তাতে থাকবে তারা চিরকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 82


وَإِذۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ لَا تَعۡبُدُونَ إِلَّا ٱللَّهَ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَانٗا وَذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَقُولُواْ لِلنَّاسِ حُسۡنٗا وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ ثُمَّ تَوَلَّيۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنكُمۡ وَأَنتُم مُّعۡرِضُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা ইসরাইলের বংশধরদের থেকে চুক্তি গ্রহণ করেছিলাম -- “তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো উপাসনা করবে না, আর মাতাপিতার প্রতি ভালো ব্যবহার করবে, এবং আ‌ত্মীয়স্বজনদের প্রতি, আর এতিমদের প্রতি, আর মিসকিনদের প্রতি, আর লোকদের সাথে ভালোভাবে কথা বলবে, আর নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে।” তারপর তোমরা তোমাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া ফিরে গেলে, আর তোমরা ফিরে যাবার দলের।
Surah Al-Baqara, Verse 83


وَإِذۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَكُمۡ لَا تَسۡفِكُونَ دِمَآءَكُمۡ وَلَا تُخۡرِجُونَ أَنفُسَكُم مِّن دِيَٰرِكُمۡ ثُمَّ أَقۡرَرۡتُمۡ وَأَنتُمۡ تَشۡهَدُونَ

আর স্মরণ করো! আমরা তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম -- “তোমরা তোমাদের রক্তপাত করবে না আর তোমাদের লোকদের তোমাদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেবে না।” তখন তোমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলে, আর তোমারা সাক্ষ্য দিয়েছিলে।
Surah Al-Baqara, Verse 84


ثُمَّ أَنتُمۡ هَـٰٓؤُلَآءِ تَقۡتُلُونَ أَنفُسَكُمۡ وَتُخۡرِجُونَ فَرِيقٗا مِّنكُم مِّن دِيَٰرِهِمۡ تَظَٰهَرُونَ عَلَيۡهِم بِٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِ وَإِن يَأۡتُوكُمۡ أُسَٰرَىٰ تُفَٰدُوهُمۡ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيۡكُمۡ إِخۡرَاجُهُمۡۚ أَفَتُؤۡمِنُونَ بِبَعۡضِ ٱلۡكِتَٰبِ وَتَكۡفُرُونَ بِبَعۡضٖۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفۡعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمۡ إِلَّا خِزۡيٞ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰٓ أَشَدِّ ٱلۡعَذَابِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

তারপর তোমরাই সেই যারা তোমাদের নিজেদের মধ্যে খুন-খারাবি করো, আর তোমাদেরই এক দলকে তাদের বাড়িঘর থেকে তোমরা তাড়িয়ে দাও তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও নিষ্ঠুরতায় পৃষ্ঠপোষকতা ক’রে। অথচ যদি তারা তোমাদের কাছে বন্দীরূপে আসে তবে তাদের মুক্তিপণ দাও, যদিও তাদের তাড়িয়ে দেওয়াটা তোমাদের উপরে অবৈধ ছিল। তাহলে তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার আছে? আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে-বিষয়ে অজ্ঞাত নন।
Surah Al-Baqara, Verse 85


أُوْلَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشۡتَرَوُاْ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا بِٱلۡأٓخِرَةِۖ فَلَا يُخَفَّفُ عَنۡهُمُ ٱلۡعَذَابُ وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ

এরাই তারা যারা আখেরাতের বদলে ইহজীবন খরিদ করেছে। তাই তাদের উপর থেকে শাস্তি লাঘব করা হবে না, আর তাদের সাহায্যও দেয়া হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 86


وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَٰبَ وَقَفَّيۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِۦ بِٱلرُّسُلِۖ وَءَاتَيۡنَا عِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ٱلۡبَيِّنَٰتِ وَأَيَّدۡنَٰهُ بِرُوحِ ٱلۡقُدُسِۗ أَفَكُلَّمَا جَآءَكُمۡ رَسُولُۢ بِمَا لَا تَهۡوَىٰٓ أَنفُسُكُمُ ٱسۡتَكۡبَرۡتُمۡ فَفَرِيقٗا كَذَّبۡتُمۡ وَفَرِيقٗا تَقۡتُلُونَ

আর অবশ্যই আমরা মূসাকে ধর্মগ্রন্থ দিয়েছিলাম, আর তাঁর পরে পর্যায়ক্রমে বহু রসূল পাঠিয়েছিলাম, আর আমরা মরিয়মের পুত্র ঈসাকে দিয়েছিলাম স্পষ্ট-প্রমাণাবলী, আর আমরা তাঁকে বলীয়ান করি রূহুল ক্কুদুস দিয়ে। তাহলে কি যখনই তোমাদের কাছে একজন রসূল আসেন এমন কিছু নিয়ে যা তোমাদের মন চায় না, তখনই তোমরা অহংকার দেখাও? গতিকে, কাউকে তোমরা মিথ্যারোপ করো ও কাউকে কাতল করতে যাও।
Surah Al-Baqara, Verse 87


وَقَالُواْ قُلُوبُنَا غُلۡفُۢۚ بَل لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفۡرِهِمۡ فَقَلِيلٗا مَّا يُؤۡمِنُونَ

আর তারা বলে -- “আমাদের হৃদয় হলো গেলাফ!” না, আল্লাহ্ তাদের বঞ্চিত করেছেন তাদের অবিশ্বাসের জন্য। তাই যৎসামান্যই যা তারা বিশ্বাস করে।
Surah Al-Baqara, Verse 88


وَلَمَّا جَآءَهُمۡ كِتَٰبٞ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٞ لِّمَا مَعَهُمۡ وَكَانُواْ مِن قَبۡلُ يَسۡتَفۡتِحُونَ عَلَى ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَمَّا جَآءَهُم مَّا عَرَفُواْ كَفَرُواْ بِهِۦۚ فَلَعۡنَةُ ٱللَّهِ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ

আর যখন তাদের কাছে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে একখানা ধর্মগ্রন্থ এল যাতে সমর্থন রয়েছে যা তাদের কাছে আছে -- যদিও ইতিপূর্বে তারা প্রার্থনা করতো যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের উপরে বিজয়ী হবার জন্যে, -- কিন্তু যখন তাদের কাছে এলেন যাঁকে তারা চিনতে পারল তারা তাঁকে অবিশ্বাস করে বসলো। সুতরাং আল্লাহ্‌র নারাজি অবিশ্বাসীদের উপরে।
Surah Al-Baqara, Verse 89


بِئۡسَمَا ٱشۡتَرَوۡاْ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمۡ أَن يَكۡفُرُواْ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بَغۡيًا أَن يُنَزِّلَ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦۖ فَبَآءُو بِغَضَبٍ عَلَىٰ غَضَبٖۚ وَلِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٞ مُّهِينٞ

গর্হিত তা যা দিয়ে তারা নিজেদের আ‌ত্মা বিনিময় করেছে যে জন্য আল্লাহ্ যা অবতারণ করেছেন তা তারা অবিশ্বাস করে বিদ্বেষের বশে -- যে আল্লাহ্ তাঁর কৃপাবশতঃ উহা অবতীর্ণ করবেন তাঁর দাসদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেন তার কাছে! তাই তারা রোষের উপর রোষ টেনে আনলো। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 90


وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ ءَامِنُواْ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ قَالُواْ نُؤۡمِنُ بِمَآ أُنزِلَ عَلَيۡنَا وَيَكۡفُرُونَ بِمَا وَرَآءَهُۥ وَهُوَ ٱلۡحَقُّ مُصَدِّقٗا لِّمَا مَعَهُمۡۗ قُلۡ فَلِمَ تَقۡتُلُونَ أَنۢبِيَآءَ ٱللَّهِ مِن قَبۡلُ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ

আর যখন তাদের বলা হয় -- “ঈমান আনো আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তাতে,” তারা বলে -- “আমরা বিশ্বাস করি যা আমাদের কাছে নাযিল হয়েছিল।” অথচ তারা অবিশ্বাস করে যা তার পরে এসেছে, যদিও উহা হলো ধ্রুব সত্য, সমর্থন করছে যা তাদের কাছে রয়েছে তার। বলো -- “তাহলে তোমরা কেন আল্লাহ্‌র নবীদের এর আগে হত্যা করতে যাচ্ছিলে? যদি তোমরা বিশ্বাসী হয়ে থাকো।”
Surah Al-Baqara, Verse 91


۞وَلَقَدۡ جَآءَكُم مُّوسَىٰ بِٱلۡبَيِّنَٰتِ ثُمَّ ٱتَّخَذۡتُمُ ٱلۡعِجۡلَ مِنۢ بَعۡدِهِۦ وَأَنتُمۡ ظَٰلِمُونَ

আর নিশ্চয়ই মূসা তোমাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে, কিন্তু তোমরা বাছুরকে গ্রহণ করলে তাঁর, আর তোমরা হলে অন্যায়কারী।
Surah Al-Baqara, Verse 92


وَإِذۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَكُمۡ وَرَفَعۡنَا فَوۡقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُواْ مَآ ءَاتَيۡنَٰكُم بِقُوَّةٖ وَٱسۡمَعُواْۖ قَالُواْ سَمِعۡنَا وَعَصَيۡنَا وَأُشۡرِبُواْ فِي قُلُوبِهِمُ ٱلۡعِجۡلَ بِكُفۡرِهِمۡۚ قُلۡ بِئۡسَمَا يَأۡمُرُكُم بِهِۦٓ إِيمَٰنُكُمۡ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ

আর স্মরণ করো! আমরা তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম ও তোমাদের উপরে পর্বত খাড়া করেছিলাম। -- “তোমাদের আমরা যা দিয়েছি তা শক্ত করে পাকড়ে ধরো, আর শুনো।” তারা বলল -- “আমরা শুনলাম আর অমান্য করলাম!” আর তাদের হৃদয়ের ভেতরে পান করানো হয়েছে বাছুর তাদের অস্বীকার করার দরুন। বলো -- “তোমাদের ধর্মবিশ্বাস তোমাদের যা নির্দেশ দিচ্ছে তা দূষণীয়, যদি তোমরা ঈমানদার হও।”
Surah Al-Baqara, Verse 93


قُلۡ إِن كَانَتۡ لَكُمُ ٱلدَّارُ ٱلۡأٓخِرَةُ عِندَ ٱللَّهِ خَالِصَةٗ مِّن دُونِ ٱلنَّاسِ فَتَمَنَّوُاْ ٱلۡمَوۡتَ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

বলো -- “যদি আল্লাহ্‌র আখেরাতের ঘর অপর লোককে বাদ দিয়ে খাস ক’রে তোমাদের জন্য হয়ে থাকে তবে মৃত্যু কামনা করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”
Surah Al-Baqara, Verse 94


وَلَن يَتَمَنَّوۡهُ أَبَدَۢا بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡۚ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِٱلظَّـٰلِمِينَ

কিন্তু তারা কখনো তা চাইবে না তাদের দুই হাত যা পাঠিয়েছে। আর আল্লাহ্ অন্যায়কারীদের সম্পর্কে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 95


وَلَتَجِدَنَّهُمۡ أَحۡرَصَ ٱلنَّاسِ عَلَىٰ حَيَوٰةٖ وَمِنَ ٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْۚ يَوَدُّ أَحَدُهُمۡ لَوۡ يُعَمَّرُ أَلۡفَ سَنَةٖ وَمَا هُوَ بِمُزَحۡزِحِهِۦ مِنَ ٱلۡعَذَابِ أَن يُعَمَّرَۗ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِمَا يَعۡمَلُونَ

আর তুমি তাদের পাবে জীবন সন্বন্ধে সবচাইতে লোভী মানুষ, যারা শরিক করে তাদের চাইতেও। তাদের এক একজন কামনা করে তাকে যেন হাজার বছরের পরমায়ু দেয়া হয়। কিন্তু তাকে দীর্ঘজীবন দেয়া হলেও শাস্তি থেকে সে স্থানাস্তরিত হবে না। আর তারা যা করছে আল্লাহ্ তার দর্শক।
Surah Al-Baqara, Verse 96


قُلۡ مَن كَانَ عَدُوّٗا لِّـجِبۡرِيلَ فَإِنَّهُۥ نَزَّلَهُۥ عَلَىٰ قَلۡبِكَ بِإِذۡنِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَهُدٗى وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُؤۡمِنِينَ

বলো -- “যে কেউ জিব্রীলের শত্রু” -- কারণ নিঃসন্দেহ সে-ই আল্লাহ্‌র আদেশে উহা তোমার হৃদয়ে অবতীর্ণ করেছে, এর আগে যা এসেছিল তার সত্য-সমর্থনরূপে, এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতারূপে
Surah Al-Baqara, Verse 97


مَن كَانَ عَدُوّٗا لِّلَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَجِبۡرِيلَ وَمِيكَىٰلَ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَدُوّٞ لِّلۡكَٰفِرِينَ

“যে কেউ আল্লাহ্‌র ও তাঁর ফিরিশ্‌তাদের ও তাঁর রসূলদের ও জিব্রীলের ও মিকালের শত্রু, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তখন অবিশ্বাসীদের শত্রু।”
Surah Al-Baqara, Verse 98


وَلَقَدۡ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ءَايَٰتِۭ بَيِّنَٰتٖۖ وَمَا يَكۡفُرُ بِهَآ إِلَّا ٱلۡفَٰسِقُونَ

আর নিশ্চয়ই আমরা তোমার কাছে নাযিল করেছি সুস্পষ্ট আয়াত -- সমূহ, আর কেউ এতে অবিশ্বাস করে না দুর্বৃত্তরা ছাড়া।
Surah Al-Baqara, Verse 99


أَوَكُلَّمَا عَٰهَدُواْ عَهۡدٗا نَّبَذَهُۥ فَرِيقٞ مِّنۡهُمۚ بَلۡ أَكۡثَرُهُمۡ لَا يُؤۡمِنُونَ

কি ব্যাপার! যখনই তারা কোনো ওয়াদাতে অঙ্গীকার করেছে, তাদের একদল তা প্রত্যাখ্যান করেছে? না, তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
Surah Al-Baqara, Verse 100


وَلَمَّا جَآءَهُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٞ لِّمَا مَعَهُمۡ نَبَذَ فَرِيقٞ مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَرَآءَ ظُهُورِهِمۡ كَأَنَّهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ

আর যখনই তাদের কাছে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে কোনো রসূল আসেন তাদের কাছে যা আছে তার সমর্থন ক’রে, যাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছিল তাদের একদল আল্লাহ্‌র গ্রন্থকে তাদের পশ্চাদ্দেশে ফেলে রাখে, যেন তারা জানে না।
Surah Al-Baqara, Verse 101


وَٱتَّبَعُواْ مَا تَتۡلُواْ ٱلشَّيَٰطِينُ عَلَىٰ مُلۡكِ سُلَيۡمَٰنَۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيۡمَٰنُ وَلَٰكِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحۡرَ وَمَآ أُنزِلَ عَلَى ٱلۡمَلَكَيۡنِ بِبَابِلَ هَٰرُوتَ وَمَٰرُوتَۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِۦۚ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِۦ مِنۡ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡۚ وَلَقَدۡ عَلِمُواْ لَمَنِ ٱشۡتَرَىٰهُ مَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖۚ وَلَبِئۡسَ مَا شَرَوۡاْ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمۡۚ لَوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ

আর তারা তার অনুসরণ করে যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে চালু করেছিল, আর সুলাইমান অবিশ্বাস পোষণ করেন নি, বরং শয়তান অবিশ্বাস করেছিল, তারা লোকজনকে জাদুবিদ্যা শেখাতো, আর তা বাবেলে হারূত ও মারূত এই দুই ফিরিশ্‌তার কাছে নাযিল হয় নি, আর এই দুইজন কাউকে শেখায়ও নি যাতে তাদের বলতে হয় -- “আমরা এক পরীক্ষা মাত্র, অতএব অবিশ্বাস করো না।” সুতরাং এই দুইয়ের থেকে তারা শিখেছে যার দ্বারা স্বামী ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তারা এর দ্বারা কারো ক্ষতি করতে পারে না আল্লাহ্‌র অনুমতি ব্যতীত। আর তারা তাই শেখে যা তাদের ক্ষতিসাধন করে, এবং তাদের উপকার করে না। আর অবশ্যই তারা জানে যে এটা যে কিনে নেয় তার জন্য পরকালে কোনো লাভের অংশ থাকবে না। আর আফসোস, এটা মন্দ যার বিনিময়ে তারা নিজেদের আ‌ত্মা বিক্রয় করেছে, -- যদি তারা জানতো
Surah Al-Baqara, Verse 102


وَلَوۡ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ وَٱتَّقَوۡاْ لَمَثُوبَةٞ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ خَيۡرٞۚ لَّوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ

আর যদি তারা ঈমান আনতো ও ধর্মভীরুতা অবলন্বন করতো তাহলে আল্লাহ্‌র কাছ থেকে পুরস্কার নিশ্চয়ই বহু ভালো হতো, -- যদি তারা জানতো
Surah Al-Baqara, Verse 103


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقُولُواْ رَٰعِنَا وَقُولُواْ ٱنظُرۡنَا وَٱسۡمَعُواْۗ وَلِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছো! তোমরা বলো না “রা-'ইনা-”, বরং বলো “উনযুরনা-”, আর শুনুন। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে মর্মন্তদ শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 104


مَّا يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ وَلَا ٱلۡمُشۡرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ خَيۡرٖ مِّن رَّبِّكُمۡۚ وَٱللَّهُ يَخۡتَصُّ بِرَحۡمَتِهِۦ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ ذُو ٱلۡفَضۡلِ ٱلۡعَظِيمِ

গ্রন্থপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা এবং মুশরিকরা চায় না যে তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে কোনো কল্যাণ তোমাদের প্রতি নাযিল হোক। কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর করুণার জন্য যাকে ইচ্ছা করেন মনোনীত করেন। আর আল্লাহ্ অপার কল্যাণের অধিকারী।
Surah Al-Baqara, Verse 105


۞مَا نَنسَخۡ مِنۡ ءَايَةٍ أَوۡ نُنسِهَا نَأۡتِ بِخَيۡرٖ مِّنۡهَآ أَوۡ مِثۡلِهَآۗ أَلَمۡ تَعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ

যে-সব আয়াত আমরা মনসুখ করি অথবা উহা ভুলিয়ে দিই, আমরা তার চাইতে ভালো অথবা তার অনুরূপ নিয়ে আসি। তুমি কি জান না যে আল্লাহ্ নিঃসন্দেহ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান
Surah Al-Baqara, Verse 106


أَلَمۡ تَعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٍ

তুমি কি জানো না নিঃসন্দেহ আল্লাহ্‌, -- মহাকাশমন্ডলের ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই। আর তোমাদের জন্য আল্লাহ্ ছাড়া কোনো মুরব্বী অথবা সাহায্যকারী নেই।
Surah Al-Baqara, Verse 107


أَمۡ تُرِيدُونَ أَن تَسۡـَٔلُواْ رَسُولَكُمۡ كَمَا سُئِلَ مُوسَىٰ مِن قَبۡلُۗ وَمَن يَتَبَدَّلِ ٱلۡكُفۡرَ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ

তোমরা কি তোমাদের রসূলকে প্রশ্ন করতে চাও যেমন মূসাকে এর আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল? আর যে বিশ্বাসের জায়গায় অবিশ্বাস বদলে নেয় সে-ই নিশ্চয়ই সরল পথের দিশা হারায়।
Surah Al-Baqara, Verse 108


وَدَّ كَثِيرٞ مِّنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ لَوۡ يَرُدُّونَكُم مِّنۢ بَعۡدِ إِيمَٰنِكُمۡ كُفَّارًا حَسَدٗا مِّنۡ عِندِ أَنفُسِهِم مِّنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ ٱلۡحَقُّۖ فَٱعۡفُواْ وَٱصۡفَحُواْ حَتَّىٰ يَأۡتِيَ ٱللَّهُ بِأَمۡرِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

গ্রন্থপ্রাপ্ত লোকের অনেকে কামনা করে যে তোমাদের ঈমান আনার পরে তোমাদের অবিশ্বাসে ফিরিয়ে নিতে, তাদের তরফ থেকে বিদ্বেষের ফলে তাদের কাছে সত্য পরিস্কার হবার পরেও। তাই ক্ষমা করো ও উপেক্ষা করো যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ তাঁর অনুশাসন নিয়ে আসেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সবকিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।
Surah Al-Baqara, Verse 109


وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَمَا تُقَدِّمُواْ لِأَنفُسِكُم مِّنۡ خَيۡرٖ تَجِدُوهُ عِندَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٞ

আর নামায কায়েম করো ও যাকাত আদায় করো। আর তোমাদের আ‌ত্মার জন্য যা কিছু কল্যাণ আগবাড়াও তা আল্লাহ্‌র দরবারে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা করছো আল্লাহ্ তার দর্শক।
Surah Al-Baqara, Verse 110


وَقَالُواْ لَن يَدۡخُلَ ٱلۡجَنَّةَ إِلَّا مَن كَانَ هُودًا أَوۡ نَصَٰرَىٰۗ تِلۡكَ أَمَانِيُّهُمۡۗ قُلۡ هَاتُواْ بُرۡهَٰنَكُمۡ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

আর তারা বলে -- “যে ইহুদী বা খ্রীষ্টান সে ছাড়া কেউ কখনও বেহেশতে দাখিল হতে পারবে না।” এসব তাদের বৃথা আকাঙ্খা। বলো -- “তোমাদের প্রমাণ নিয়ে এসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”
Surah Al-Baqara, Verse 111


بَلَىٰۚ مَنۡ أَسۡلَمَ وَجۡهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحۡسِنٞ فَلَهُۥٓ أَجۡرُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

না, যে কেউ আল্লাহ্‌র তরফে নিজের মুখ পূর্ণ-সমর্পণ করেছে ও সে সৎকর্মী, তার জন্য তার পুরস্কার আছে তার প্রভুর দরবারে, আর তাদের উপরে কোনো ভয় নেই, আর তারা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 112


وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ لَيۡسَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ عَلَىٰ شَيۡءٖ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ لَيۡسَتِ ٱلۡيَهُودُ عَلَىٰ شَيۡءٖ وَهُمۡ يَتۡلُونَ ٱلۡكِتَٰبَۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَ مِثۡلَ قَوۡلِهِمۡۚ فَٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَ

আর ইহুদীরা বলে -- “খ্রীষ্টানরা কিছুরই উপর নয়”, আর খ্রীষ্টানরা বলে -- “ইহুদীরা কিছুরই উপর নয়।” অথচ তারা সবাই গ্রন্থ পড়ে। এমনিভাবে তাদের কথার মতো কথা বলে এরা যারা জানে না। তাই আল্লাহ্ কিয়ামতের দিনে তাদের মধ্যে রায় দেবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো।
Surah Al-Baqara, Verse 113


وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ أَن يُذۡكَرَ فِيهَا ٱسۡمُهُۥ وَسَعَىٰ فِي خَرَابِهَآۚ أُوْلَـٰٓئِكَ مَا كَانَ لَهُمۡ أَن يَدۡخُلُوهَآ إِلَّا خَآئِفِينَۚ لَهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا خِزۡيٞ وَلَهُمۡ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٞ

আর তার চাইতে কে বেশী অন্যায়কারী যে আল্লাহ্‌র মসজিদসমূহে বাধা দেয় এইজন্য যে সে-সবে তাঁর নাম স্মরণ করা হবে, আর চেষ্টা করে সে-সবের অনিষ্ট সাধনে? এদের ক্ষেত্রে, তাদের জন্য নয় যে তারা এ-সবে দাখিল হয় ভয়াতুর না হয়ে। তাদের জন্য এই দুনিয়াতে আছে অপমান, আর পরকালে তাদের জন্য কঠোর শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 114


وَلِلَّهِ ٱلۡمَشۡرِقُ وَٱلۡمَغۡرِبُۚ فَأَيۡنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجۡهُ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ

আর আল্লাহ্‌রই পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল। অতএব যেদিকে তোমরা ফেরো সে-দিকেই আল্লাহ্‌র মুখ। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সর্বব্যাপক, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 115


وَقَالُواْ ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ وَلَدٗاۗ سُبۡحَٰنَهُۥۖ بَل لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ كُلّٞ لَّهُۥ قَٰنِتُونَ

আর তারা বলে -- “আল্লাহ্ একটি ছেলে গ্রহণ করেছেন” । তাঁরই মহিমা হোক! বরং মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সে-সব তাঁরই, সবাই তাঁর আজ্ঞা পালনকারী।
Surah Al-Baqara, Verse 116


بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَإِذَا قَضَىٰٓ أَمۡرٗا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ

মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আদি-স্রষ্টা! আর যখনই তিনি কোনো বিষয় বির্ধারিত করেন তিনি সে-সন্বন্ধে তখন শুধু বলেন -- “হও”, আর তা হয়ে যায়।
Surah Al-Baqara, Verse 117


وَقَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَ لَوۡلَا يُكَلِّمُنَا ٱللَّهُ أَوۡ تَأۡتِينَآ ءَايَةٞۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِم مِّثۡلَ قَوۡلِهِمۡۘ تَشَٰبَهَتۡ قُلُوبُهُمۡۗ قَدۡ بَيَّنَّا ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يُوقِنُونَ

আর যারা জানে না তারা বলে -- “আল্লাহ্ কেন আমাদের সাথে কথা বলেন না, অথবা একটি নিদর্শন আমাদের কাছে আসুক?” এমনভাবে এদের আগে যারা ছিল তারা এদের কথার অনুরূপ কথা বলেছিল। তাদের হৃদয় একই রকমের। আমরা আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট করে রেখেছি সেই লোকদের কাছে যারা দৃঢ়প্রত্যয় রাখে।
Surah Al-Baqara, Verse 118


إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ بِٱلۡحَقِّ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗاۖ وَلَا تُسۡـَٔلُ عَنۡ أَصۡحَٰبِ ٱلۡجَحِيمِ

নিঃসন্দেহ আমরা তোমাকে সত্য দিয়ে পাঠিয়েছি, সুসংবাদদাতারূপে ও সতর্ককারীরূপে, আর তোমাকে জবাব দিহি করতে হবে না ভয়ঙ্কর আগুনের বাসিন্দাদের সম্পর্কে।
Surah Al-Baqara, Verse 119


وَلَن تَرۡضَىٰ عَنكَ ٱلۡيَهُودُ وَلَا ٱلنَّصَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمۡۗ قُلۡ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلۡهُدَىٰۗ وَلَئِنِ ٱتَّبَعۡتَ أَهۡوَآءَهُم بَعۡدَ ٱلَّذِي جَآءَكَ مِنَ ٱلۡعِلۡمِ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٍ

আর ইহুদীরা কখনো তোমার উপরে সন্তষ্ট হবে না, খ্রীষ্টানরাও নয়, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্মমত অনুসরণ কর। তাদের বলো -- “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র যা হেদায়ত তাই-ই হেদায়ত। আর তুমি যদি তাদের ইচ্ছার অনুসরণ কর তোমার কাছে জ্ঞানের যা এসেছে তার পরে, তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে তুমি পাবে না কোনো বন্ধু-বান্ধব, না কোনো সাহায্যকারী।
Surah Al-Baqara, Verse 120


ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَتۡلُونَهُۥ حَقَّ تِلَاوَتِهِۦٓ أُوْلَـٰٓئِكَ يُؤۡمِنُونَ بِهِۦۗ وَمَن يَكۡفُرۡ بِهِۦ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ

যাদের আমরা গ্রন্থ দিয়েছি তারা উহার তিলাওতের ন্যায্যতা মোতাবেক উহা অধ্যয়ন করে। তারাই এতে ঈমান এনেছে। আর যারা এতে অবিশ্বাস পোষণ করে তারা নিজেরাই হয় ক্ষতিগ্রস্ত।
Surah Al-Baqara, Verse 121


يَٰبَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتِيَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ وَأَنِّي فَضَّلۡتُكُمۡ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ

হে ইসরাইলের বংশধরগণ! আমার নিয়ামত স্মরণ করো যা আমি তোমাদের প্রদান করেছিলাম ও কিভাবে মানবগোষ্ঠীর উপরে তোমাদের মর্যাদা দিয়েছিলাম।
Surah Al-Baqara, Verse 122


وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا لَّا تَجۡزِي نَفۡسٌ عَن نَّفۡسٖ شَيۡـٔٗا وَلَا يُقۡبَلُ مِنۡهَا عَدۡلٞ وَلَا تَنفَعُهَا شَفَٰعَةٞ وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ

আর হুশিয়াঁর হও এমন এক দিনের যখন এক সত্তা অন্য আ‌ত্মা থেকে কোনো প্রকার সাহায্য পাবে না, আর তার কাছ থেকে কোনো খেসারত কবুল করা হবে না, আর সুপারিশেও তার কোনো ফায়দা হবে না, আর তাদের সাহায্য করা হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 123


۞وَإِذِ ٱبۡتَلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ رَبُّهُۥ بِكَلِمَٰتٖ فَأَتَمَّهُنَّۖ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامٗاۖ قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِيۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهۡدِي ٱلظَّـٰلِمِينَ

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীমকে তাঁর প্রভু কয়েকটি নির্দেশ দ্বারা পরীক্ষা করলেন, আর তিনি সেগুলো সম্পাদন করলেন। তিনি বললেন -- “আমি নিশ্চয়ই তোমাকে মানবজাতির জন্য ইমাম করতে যাচ্ছি।” তিনি বললেন -- “আর আমার বংশধরগণ থেকে?” তিনি বললেন -- “আমার অঙ্গীকার অন্যায়কারীদের উপরে বর্তায় না।”
Surah Al-Baqara, Verse 124


وَإِذۡ جَعَلۡنَا ٱلۡبَيۡتَ مَثَابَةٗ لِّلنَّاسِ وَأَمۡنٗا وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِـۧمَ مُصَلّٗىۖ وَعَهِدۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيۡتِيَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلۡعَٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ

আর চেয়ে দেখো! আমরা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মেলনস্থল ও নিরাপত্তা-স্থান বানিয়েছিলাম। আর “মক্কাম-ই-ইব্রাহীমকে উপাসনা-ভূমি করো।” আর আমরা ইব্রাহীম ও ইসমাইলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলাম -- “আমার গৃহ পবিত্র করে রেখো তওয়াফকারীদের ও ই’তিকাফকারীদের ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য।”
Surah Al-Baqara, Verse 125


وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِـۧمُ رَبِّ ٱجۡعَلۡ هَٰذَا بَلَدًا ءَامِنٗا وَٱرۡزُقۡ أَهۡلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ مَنۡ ءَامَنَ مِنۡهُم بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُۥ قَلِيلٗا ثُمَّ أَضۡطَرُّهُۥٓ إِلَىٰ عَذَابِ ٱلنَّارِۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীম বললেন -- “আমার প্রভু! এটিকে তুমি নিরাপদ নগর বানাও, আর এর লোকদের ফলফসল দিয়ে জীবিকা দান করো -- তাদের যারা আল্লাহ্‌তে ও আখেরাতের দিনে ঈমান এনেছে।” তিনি বললেন -- “আর যে অবিশ্বাস পোষণ করবে তাকে আমি ক্ষণেকের জন্য ভোগ করতে দেব, তারপর তাড়িয়ে নেব আগুনের শাস্তির দিকে, আর নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।”
Surah Al-Baqara, Verse 126


وَإِذۡ يَرۡفَعُ إِبۡرَٰهِـۧمُ ٱلۡقَوَاعِدَ مِنَ ٱلۡبَيۡتِ وَإِسۡمَٰعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীম গৃহের ভিত্তি গেথেঁ তুললেন, আর ইসমাইল। “আমাদের প্রভু! আমাদের থেকে তুমি গ্রহণ করো। নিঃসন্দেহ তুমি নিজেই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 127


رَبَّنَا وَٱجۡعَلۡنَا مُسۡلِمَيۡنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةٗ مُّسۡلِمَةٗ لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبۡ عَلَيۡنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

“আমাদের প্রভু! আর তোমার প্রতি আমাদের মুসলিম করে রেখো, আর আমাদের সন্তানসন্ততিদের থেকে তোমার প্রতি মুসলিম উম্মৎ, আর আমাদের উপাসনা-প্রণালী আমাদের দেখিয়ে দাও, আর আমাদের তওবা কবুল করো, নিঃসন্দেহ তুমি নিজেই তওবা কবুলকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 128


رَبَّنَا وَٱبۡعَثۡ فِيهِمۡ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَيُزَكِّيهِمۡۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ

“আমাদের প্রভু! তাদের মাঝে তাদের থেকে রসূল উত্থাপন করো যিনি তোমার প্রত্যাদেশসমূহ তাদের কাছে পড়ে শোনাবেন, আর তাদের শেখাবেন ধর্মগ্রন্থ ও জ্ঞান-বিজ্ঞান, আর তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয়ই তুমি নিজেই মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।”
Surah Al-Baqara, Verse 129


وَمَن يَرۡغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبۡرَٰهِـۧمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفۡسَهُۥۚ وَلَقَدِ ٱصۡطَفَيۡنَٰهُ فِي ٱلدُّنۡيَاۖ وَإِنَّهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ

আর যে ইব্রাহীমের ধর্মমত থেকে অপসৃত হয় সে ছাড়া আর কে নিজেকে নির্বোধ বানায়? আর অবশ্যই আমরা তাঁকে এই দুনিয়াতে মনোনীত করেছিলাম, আর নিঃসন্দেহে তিনি আখেরাতে হবেন ধার্মিকদের অন্যতম।
Surah Al-Baqara, Verse 130


إِذۡ قَالَ لَهُۥ رَبُّهُۥٓ أَسۡلِمۡۖ قَالَ أَسۡلَمۡتُ لِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

স্মরণ করো! তাঁর প্রভু তাঁকে বললেন -- “ইসলাম গ্রহণ করো!” তিনি বললেন -- “আমি সমস্ত সৃষ্টজগতের প্রভুর কাছে আ‌ত্মসমর্পণ করছি।”
Surah Al-Baqara, Verse 131


وَوَصَّىٰ بِهَآ إِبۡرَٰهِـۧمُ بَنِيهِ وَيَعۡقُوبُ يَٰبَنِيَّ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰ لَكُمُ ٱلدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ

আর ইব্রাহীম তাঁর সন্তানদের এইটির ভারার্পণ করেছিলেন, আর ইয়াকুব। “হে আমার সন্তানসন্ততি! নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের জন্য এই ধর্ম মনোনীত করেছেন, অতএব তোমরা প্রাণত্যাগ করো না তোমরা মুসলিম না হয়ে।”
Surah Al-Baqara, Verse 132


أَمۡ كُنتُمۡ شُهَدَآءَ إِذۡ حَضَرَ يَعۡقُوبَ ٱلۡمَوۡتُ إِذۡ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعۡبُدُونَ مِنۢ بَعۡدِيۖ قَالُواْ نَعۡبُدُ إِلَٰهَكَ وَإِلَٰهَ ءَابَآئِكَ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ إِلَٰهٗا وَٰحِدٗا وَنَحۡنُ لَهُۥ مُسۡلِمُونَ

অথবা তোমরা কি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলে যখন ইয়াকুবের মৃত্যু এসেছিল, যখন তিনি তাঁর সন্তানদের বলেছিলেন -- “তোমরা আমার পরে কার এবাদত করবে?” ওরা বলেছিল -- “আমরা এবাদত করব তোমার উপাস্যের ও তোমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম ও ইসমাইল ও ইসহাকের উপাস্যের -- একক উপাস্যের, আর তাঁর কাছে আমরা মুসলিম।”
Surah Al-Baqara, Verse 133


تِلۡكَ أُمَّةٞ قَدۡ خَلَتۡۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡۖ وَلَا تُسۡـَٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

এরা ঐসব লোক যারা গত হয়ে গেছে। তাদের জন্য আছে যা তারা অর্জন করেছিল আর তোমাদের জন্য যা তোমরা অর্জন করছ, আর তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে না ওরা যা করছিল সে সন্বন্ধে।
Surah Al-Baqara, Verse 134


وَقَالُواْ كُونُواْ هُودًا أَوۡ نَصَٰرَىٰ تَهۡتَدُواْۗ قُلۡ بَلۡ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِـۧمَ حَنِيفٗاۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ

আর তারা বলে -- “ইহুদীয় বা খ্রীষ্টান হও, তোমরা হেদায়ত পাবে।” তুমি বলো -- “বরং অনন্যচিত্ত ইব্রাহীমের ধর্মমত। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না?”
Surah Al-Baqara, Verse 135


قُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَمَآ أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِيَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمۡ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّنۡهُمۡ وَنَحۡنُ لَهُۥ مُسۡلِمُونَ

তোমরা বলো -- “আমরা আল্লাহ্‌তে ঈমান এনেছি, আর তা’তে যা আমাদের জন্য নাযিল হয়েছে, আর যা নাযিল হয়েছিল ইব্রাহীমের কাছে, আর ইসমাইল ও ইসহাক, আর ইয়াকুব এবং বিভিন্ন গোত্রের কাছে, আর যা দেয়া হয়েছিল মূসাকে এবং ঈসাকে, আর যা সকল নবীদের তাঁদের প্রভুর কাছ থেকে দেয়া হয়েছিল। আমরা তাঁদের কোনো একজনের মধ্যেও পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই কাছে মুসলিম হচ্ছি।”
Surah Al-Baqara, Verse 136


فَإِنۡ ءَامَنُواْ بِمِثۡلِ مَآ ءَامَنتُم بِهِۦ فَقَدِ ٱهۡتَدَواْۖ وَّإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّمَا هُمۡ فِي شِقَاقٖۖ فَسَيَكۡفِيكَهُمُ ٱللَّهُۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ

এবার যদি তারা ঈমান আনত যেভাবে তোমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনছো, তাহলে নিঃসন্দেহ তারা হেদায়ত পেতো, আর যদি তারা ফিরে যায় তাহলে অবশ্যই তারা বিরোধিতাতে নিমগ্ন। অতএব আল্লাহই তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য যথেষ্ট, কারণ তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 137


صِبۡغَةَ ٱللَّهِ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبۡغَةٗۖ وَنَحۡنُ لَهُۥ عَٰبِدُونَ

“আল্লাহ্‌র রঙ। আর রঙের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র চাইতে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী।”
Surah Al-Baqara, Verse 138


قُلۡ أَتُحَآجُّونَنَا فِي ٱللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمۡ وَلَنَآ أَعۡمَٰلُنَا وَلَكُمۡ أَعۡمَٰلُكُمۡ وَنَحۡنُ لَهُۥ مُخۡلِصُونَ

বলো -- “তোমরা কি আমাদের সঙ্গে আল্লাহ্‌র সন্বন্ধে হুজ্জত করছ অথচ তিনি আমাদের প্রভু, তোমাদেরও প্রভু? আর আমাদের কাজ আমাদের হবে, ও তোমাদের কাজ তোমাদের হবে। আর আমরা তাঁরই প্রতি একান্ত অনুরক্ত।”
Surah Al-Baqara, Verse 139


أَمۡ تَقُولُونَ إِنَّ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطَ كَانُواْ هُودًا أَوۡ نَصَٰرَىٰۗ قُلۡ ءَأَنتُمۡ أَعۡلَمُ أَمِ ٱللَّهُۗ وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَٰدَةً عِندَهُۥ مِنَ ٱللَّهِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

অথবা তোমরা কি বলো যে ইব্রাহীম ও ইসমাইল ও ইসহাক ও ইয়াকুব এবং বিভিন্ন গোত্রেরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? বলো -- “তোমরা কি বেশি জানো, না আল্লাহ্‌? আর তাঁর চাইতে কে বেশি অন্যায় করছে যে গোপন করছে সেই সাক্ষ্য যা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে সে পেয়েছে? আর তোমরা যা করছ সে সন্বন্ধে আল্লাহ্ বেখেয়াল নন।
Surah Al-Baqara, Verse 140


تِلۡكَ أُمَّةٞ قَدۡ خَلَتۡۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡۖ وَلَا تُسۡـَٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

এরা ঐসব লোক যারা গত হয়ে গেছে। তাদের জন্য আছে যা তারা অর্জন করেছিল, আর তোমাদের জন্য যা তোমরা অর্জন করছ, আর তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে না ওরা যা করছিল সে-সন্বন্ধে।
Surah Al-Baqara, Verse 141


۞سَيَقُولُ ٱلسُّفَهَآءُ مِنَ ٱلنَّاسِ مَا وَلَّىٰهُمۡ عَن قِبۡلَتِهِمُ ٱلَّتِي كَانُواْ عَلَيۡهَاۚ قُل لِّلَّهِ ٱلۡمَشۡرِقُ وَٱلۡمَغۡرِبُۚ يَهۡدِي مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ

লোকদের মধ্যের নির্বোধরা শীঘ্রই বলবে -- “তাদের যে কিবলাহ্‌তে তারা তাদের বদলালো কিসে?” তুমি বলো -- “পূর্ব ও পশ্চিমের মালিক আল্লাহ্‌, তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সহজ-সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করেন।”
Surah Al-Baqara, Verse 142


وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ وَمَا جَعَلۡنَا ٱلۡقِبۡلَةَ ٱلَّتِي كُنتَ عَلَيۡهَآ إِلَّا لِنَعۡلَمَ مَن يَتَّبِعُ ٱلرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَىٰ عَقِبَيۡهِۚ وَإِن كَانَتۡ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٞ

আর এইভাবে তোমাদের আমরা বানিয়েছি একটি সুসামঞ্জস্যরক্ষাকারী সমাজ, যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষী হতে পারো, আর রসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হতে পারেন। আর আমরা তাকে কিবলাহ্ বানাতাম না যার উপরে তুমি ছিলে, যদি না আমরা যাচাই করতাম যে কে রসূলকে অনুসরণ করে আর কে তার মোড় ফিরিয়ে ঘুরে যায়। আর নিঃসন্দেহ এটি কঠিন ছিল তাদের ক্ষেত্রে ছাড়া যাদের আল্লাহ্ হেদায়ত করেছেন। আর আল্লাহ্ তোমাদের ঈমান কখনও নিষ্ফল হতে দেবেন না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ মানুষের প্রতি পরম স্নেহময়, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 143


قَدۡ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجۡهِكَ فِي ٱلسَّمَآءِۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبۡلَةٗ تَرۡضَىٰهَاۚ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَحَيۡثُ مَا كُنتُمۡ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ شَطۡرَهُۥۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ لَيَعۡلَمُونَ أَنَّهُ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّهِمۡۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعۡمَلُونَ

আমরা নিশ্চয়ই দেখেছি আকাশের দিকে তুমি মুখ তোলে রয়েছ, তাই আমরা নিঃসন্দেহ তোমাকে কর্তৃত্ব দেবো কিবলাহ্‌র যা তুমি পছন্দ কর। কাজেই হারাম মসজিদের দিকে তোমার মুখ ফেরাও। আর যেখানেই তোমরা থাক তোমাদের মুখ এর দিকেই ফেরাবে। আর যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তারা অবশ্যই জানে যে নিঃসন্দেহ এটি তাদের প্রভুর কাছ থেকে আসা ধ্রুব-সত্য। আর তারা যা করছে আল্লাহ্ সে-সন্বন্ধে বেখেয়াল নন।
Surah Al-Baqara, Verse 144


وَلَئِنۡ أَتَيۡتَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ بِكُلِّ ءَايَةٖ مَّا تَبِعُواْ قِبۡلَتَكَۚ وَمَآ أَنتَ بِتَابِعٖ قِبۡلَتَهُمۡۚ وَمَا بَعۡضُهُم بِتَابِعٖ قِبۡلَةَ بَعۡضٖۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعۡتَ أَهۡوَآءَهُم مِّنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلۡعِلۡمِ إِنَّكَ إِذٗا لَّمِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ

আর যদিও তুমি যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের কাছে সবক’টি নিদর্শন নিয়ে আস তবুও তারা তোমার কিবলাহ্ মেনে চলবে না। আর তুমি তাদের কিবলাহ্‌র অনুবর্তী হতে পারো না, আবার তাদের কেউ-কেউ পরস্পরের কিবলাহ্‌র অনুবর্তী নয়। আর তুমি যদি তাদের হীন মনোবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার কাছে জ্ঞানের যা এসেছে তার পরেও, তাহলে নিঃসন্দেহ তুমিও হবে অন্যায়কারীদের অন্যতম।
Surah Al-Baqara, Verse 145


ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡرِفُونَهُۥ كَمَا يَعۡرِفُونَ أَبۡنَآءَهُمۡۖ وَإِنَّ فَرِيقٗا مِّنۡهُمۡ لَيَكۡتُمُونَ ٱلۡحَقَّ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ

যাদের আমরা কিতাব দিয়েছি তারা তাঁকে চিনতে পারছে যেমন তারা চিনতে পারে তাদের সন্তানদের। কিন্তু তাদের মধ্যের একদল নিশ্চয়ই সত্য কথা গোপন করছে, আর তারা জানে।
Surah Al-Baqara, Verse 146


ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُمۡتَرِينَ

এই সত্য এসেছে তোমার প্রভুর কাছ থেকে অতএব তোমারা সন্দেহপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
Surah Al-Baqara, Verse 147


وَلِكُلّٖ وِجۡهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَاۖ فَٱسۡتَبِقُواْ ٱلۡخَيۡرَٰتِۚ أَيۡنَ مَا تَكُونُواْ يَأۡتِ بِكُمُ ٱللَّهُ جَمِيعًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

আর প্রত্যেকের জন্য একটি কেন্দ্রস্থল আছে যে-দিকে সে ফেরে, কাজেই সৎকর্মে একে অন্যের সাথে তোমরা প্রতিযোগিতা করো। যেখানেই তোমরা থাকো না কেন, আল্লাহ্ তোমাদের সবাইকে একত্রিত করবেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সব-কি ছুর উপরে সর্বশক্তিমান।
Surah Al-Baqara, Verse 148


وَمِنۡ حَيۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۖ وَإِنَّهُۥ لَلۡحَقُّ مِن رَّبِّكَۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

আর যেখান থেকেই তুমি আস, তোমার মুখ পবিত্র মসজিদের দিকে ফেরাও। নিঃসন্দেহ এটি তোমার প্রভুর কাছ থেকে সত্য। আর অবশ্যই আল্লাহ্ বেখেয়াল নন তোমরা যা করো সে-সন্বন্ধে।
Surah Al-Baqara, Verse 149


وَمِنۡ حَيۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَحَيۡثُ مَا كُنتُمۡ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ شَطۡرَهُۥ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيۡكُمۡ حُجَّةٌ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡهُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِي وَلِأُتِمَّ نِعۡمَتِي عَلَيۡكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ

আর যেখান থেকেই তুমি আস, তোমার মুখ পবিত্র মসজিদের দিকে ফেরাবে। আর যেখানেই তোমরা থাকো, তোমাদের মুখ সেই দিকেই ফেরাবে। যাতে তোমাদের বিরুদ্ধে লোকজনদের কোনো হুজ্জত না থাকে -- তাদের মাঝে যারা অন্যায় করে তারা ব্যতীত। অতএব তাদের ভয় করো না, বরং ভয় করো আমাকে। আর যাতে আমি তোমাদের উপরে আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করতে পারি, আর যাতে তোমরা সুপথগামী হতে পারো
Surah Al-Baqara, Verse 150


كَمَآ أَرۡسَلۡنَا فِيكُمۡ رَسُولٗا مِّنكُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡكُمۡ ءَايَٰتِنَا وَيُزَكِّيكُمۡ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمۡ تَكُونُواْ تَعۡلَمُونَ

যেমন, আমরা তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্যে থেকে একজন রসূল পাঠিয়েছি, যিনি আমাদের বাণী তোমাদের কাছে তিলাওত করছেন, আর তোমাদের পবিত্র করছেন, আর তোমাদের ধর্মগ্রন্থ ও জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছেন, আর তোমাদের শেখাচ্ছেন যা তোমরা জানতে না।
Surah Al-Baqara, Verse 151


فَٱذۡكُرُونِيٓ أَذۡكُرۡكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لِي وَلَا تَكۡفُرُونِ

অতএব আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করবো, আর আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, আর আমাকে অস্বীকার করো না।
Surah Al-Baqara, Verse 152


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّـٰبِرِينَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! সাহায্য কামনা করো ধৈর্য ধরে ও নামায পড়ে! নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সবুরকারীদের সাথে আছেন।
Surah Al-Baqara, Verse 153


وَلَا تَقُولُواْ لِمَن يُقۡتَلُ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتُۢۚ بَلۡ أَحۡيَآءٞ وَلَٰكِن لَّا تَشۡعُرُونَ

আর যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয় তাদের বলো না -- “মৃত,” বরং জীবন্ত, যদিও তোমরা বুঝতে পারছ না।
Surah Al-Baqara, Verse 154


وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّـٰبِرِينَ

আর আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, আর ক্ষুধা দিয়ে, আর মাল-আসবাবের, আর লোকজনের আর ফল- ফসলের লোকসান ক’রে। আর সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের
Surah Al-Baqara, Verse 155


ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةٞ قَالُوٓاْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ

যারা তাদের উপরে কোনো আপদ-বিপদ ঘটলে বলে -- “নিঃসন্দেহ আমরা আল্লাহ্‌র জন্যে, আর অবশ্যই আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।”
Surah Al-Baqara, Verse 156


أُوْلَـٰٓئِكَ عَلَيۡهِمۡ صَلَوَٰتٞ مِّن رَّبِّهِمۡ وَرَحۡمَةٞۖ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُهۡتَدُونَ

এইসব -- তাদের উপরে তাদের প্রভুর কাছ থেকে রয়েছে আশবাদ ও করুণা, আর এরা নিজেরাই সুপথগামী।
Surah Al-Baqara, Verse 157


۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنۡ حَجَّ ٱلۡبَيۡتَ أَوِ ٱعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

নিঃসন্দেহ সাফা ও মারওয়াহ্ আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তাই যে কেউ গৃহে হজ করে বা উমরাহ করে তার জন্য অপরাধ হবে না যদি সে এ দুইয়ের মাঝে তওয়াফ করে। আর যে কেউ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ নিশ্চয়ই অতি দানশীল, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 158


إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡتُمُونَ مَآ أَنزَلۡنَا مِنَ ٱلۡبَيِّنَٰتِ وَٱلۡهُدَىٰ مِنۢ بَعۡدِ مَا بَيَّنَّـٰهُ لِلنَّاسِ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أُوْلَـٰٓئِكَ يَلۡعَنُهُمُ ٱللَّهُ وَيَلۡعَنُهُمُ ٱللَّـٰعِنُونَ

নিঃসন্দেহ যারা গোপন করে রাখে পরিস্কার প্রমাণাবলী ও পথনির্দেশের যে-সব আমরা অবতারণ করেছিলাম এগুলো জণগণের জন্য ধর্মগন্থে সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করার পরেও, তারাই! -- যাদের আল্লাহ্ লানৎ দেন, আর তাদের বঞ্চিত করে লানৎকারীরা
Surah Al-Baqara, Verse 159


إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ وَأَصۡلَحُواْ وَبَيَّنُواْ فَأُوْلَـٰٓئِكَ أَتُوبُ عَلَيۡهِمۡ وَأَنَا ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

তারা ছাড়া যারা তওবা করে ও সংশোধন করে, আর প্রকাশ করে, তাহলে তারাই! -- তাদের প্রতি আমি ফিরি আর আমি বারবার ফিরি, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 160


إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَمَاتُواْ وَهُمۡ كُفَّارٌ أُوْلَـٰٓئِكَ عَلَيۡهِمۡ لَعۡنَةُ ٱللَّهِ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةِ وَٱلنَّاسِ أَجۡمَعِينَ

অবশ্য যারা অবিশ্বাস পোষণ করে আর মারা যায় তারা অবিশ্বাসী থাকা অবস্থায়, তাদের ক্ষেত্রে -- তাদের উপরে ধিক্কার হোক আল্লাহ্‌র, ও ফিরিশ্‌তাদের ও জনগণের সম্মিলিতভাবে
Surah Al-Baqara, Verse 161


خَٰلِدِينَ فِيهَا لَا يُخَفَّفُ عَنۡهُمُ ٱلۡعَذَابُ وَلَا هُمۡ يُنظَرُونَ

এতে তারা অবস্থান করবে। তাদের উপর থেকে যাতনা লাঘব করা হবে না, আর তারা বিরামও পাবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 162


وَإِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلرَّحۡمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ

আর তোমাদের উপাস্য একক খোদা, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, রহমান, রহীম।
Surah Al-Baqara, Verse 163


إِنَّ فِي خَلۡقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَٱخۡتِلَٰفِ ٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِ وَٱلۡفُلۡكِ ٱلَّتِي تَجۡرِي فِي ٱلۡبَحۡرِ بِمَا يَنفَعُ ٱلنَّاسَ وَمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مِن مَّآءٖ فَأَحۡيَا بِهِ ٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَآبَّةٖ وَتَصۡرِيفِ ٱلرِّيَٰحِ وَٱلسَّحَابِ ٱلۡمُسَخَّرِ بَيۡنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَعۡقِلُونَ

নিঃসন্দেহ মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টির মধ্যে, আর রাত ও দিনের বিবর্তনে, আর জাহাজে -- যা সাগরের মাঝে চলাচল করে যার দ্বারা মানুষের মুনাফা হয় তার মধ্যে, আর আল্লাহ্ আকাশ থেকে বৃষ্টির যা-কিছু পাঠান তাতে, তারপর তার দ্বারা মাটিকে তার মরণের পরে প্রাণসঞ্চার করেন, আর তাতে ছড়িয়ে দেন হরেক রকমের জীবজন্ত, আর আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে নিয়ন্ত্রিত বাতাস ও মেঘের গতিবেগে বিশেষ নিদর্শন রয়েছে বিচার-বুদ্ধি থাকা লোকের জন্য।
Surah Al-Baqara, Verse 164


وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادٗا يُحِبُّونَهُمۡ كَحُبِّ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَشَدُّ حُبّٗا لِّلَّهِۗ وَلَوۡ يَرَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ إِذۡ يَرَوۡنَ ٱلۡعَذَابَ أَنَّ ٱلۡقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعٗا وَأَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعَذَابِ

আর মানুষের মাঝে কেউ-কেউ আল্লাহ্‌কে ছেড়ে অন্যকে মুরব্বী বলে গ্রহণ করে, তারা তাদের ভালোবাসে আল্লাহ্‌কে ভালোবাসার ন্যায়। তবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রবলতর। আফসোস! যারা অন্যায় করে তারা যদি দেখতো -- যখন শাস্তি তারা দেখতে পায়, তখন সমস্ত ক্ষমতা পুরোপুরিভাবে আল্লাহ্‌র, আর আল্লাহ্ নিঃসন্দেহ শাস্তি দিতে কঠোর।
Surah Al-Baqara, Verse 165


إِذۡ تَبَرَّأَ ٱلَّذِينَ ٱتُّبِعُواْ مِنَ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُواْ وَرَأَوُاْ ٱلۡعَذَابَ وَتَقَطَّعَتۡ بِهِمُ ٱلۡأَسۡبَابُ

চেয়ে দেখো! যাদের অনুসরণ করা হতো তারা যারা অনুসরণ করেছিল তাদের অস্বীকার করবে, আর তারা দেখতে পাবে শাস্তি, আর তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
Surah Al-Baqara, Verse 166


وَقَالَ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُواْ لَوۡ أَنَّ لَنَا كَرَّةٗ فَنَتَبَرَّأَ مِنۡهُمۡ كَمَا تَبَرَّءُواْ مِنَّاۗ كَذَٰلِكَ يُرِيهِمُ ٱللَّهُ أَعۡمَٰلَهُمۡ حَسَرَٰتٍ عَلَيۡهِمۡۖ وَمَا هُم بِخَٰرِجِينَ مِنَ ٱلنَّارِ

আর যারা অনুসরণ করেছিল তারা বলবে -- ''হায়, আমরা যদি ফেরত পালা পেতাম তাহলে আমরা তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতাম, যেমন তারা আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।’’ এইভাবে আল্লাহ্ তাদের ক্রিয়াকলাপ তাদের দেখান তাদের জন্য তীব্র আক্ষেপরূপে। আর তারা আগুন থেকে বহিষ্কৃত হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 167


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ حَلَٰلٗا طَيِّبٗا وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٌ

ওহে মানবজাতি! পৃথিবীতে যা-কিছু হালাল ও পবিত্র আছে তা থেকে পানাহার করো, আর শয়তানের পদচিহ্ন অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহ সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।
Surah Al-Baqara, Verse 168


إِنَّمَا يَأۡمُرُكُم بِٱلسُّوٓءِ وَٱلۡفَحۡشَآءِ وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ

সে তোমাদের কেবল প্ররোচনা দেয় মন্দ ও অশালীনতার প্রতি, আর আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে তাই বলতে যা তোমরা জানো না।
Surah Al-Baqara, Verse 169


وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱتَّبِعُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ قَالُواْ بَلۡ نَتَّبِعُ مَآ أَلۡفَيۡنَا عَلَيۡهِ ءَابَآءَنَآۚ أَوَلَوۡ كَانَ ءَابَآؤُهُمۡ لَا يَعۡقِلُونَ شَيۡـٔٗا وَلَا يَهۡتَدُونَ

আর যখন তাদের বলা হয় -- ''অনুসরণ করো যা প্রত্যাদেশ আল্লাহ্ অবতারণ করেছেন’’, তারা বলে -- ''না, আমরা অনুসরণ করি তার যার উপরে আমাদের পিতৃপুরুষদের দেখেছি।’’ কি! যদিও তাদের পিতৃপুরুষদের বুদ্ধিবিবেচনা কিছুই ছিল না, আর তারা পথনির্দেশ গ্রহণ করে নি
Surah Al-Baqara, Verse 170


وَمَثَلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ كَمَثَلِ ٱلَّذِي يَنۡعِقُ بِمَا لَا يَسۡمَعُ إِلَّا دُعَآءٗ وَنِدَآءٗۚ صُمُّۢ بُكۡمٌ عُمۡيٞ فَهُمۡ لَا يَعۡقِلُونَ

আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের উপমা হচ্ছে তার দৃষ্টান্তের মতো যে ডাক দেয় এমন কতককে যে আওয়াজ ও চেচাঁমেচি ছাড়া আর কিছু শোনে না। বধিরতা, বোবা, অন্ধত্ব, কাজেই তারা বুঝে না।
Surah Al-Baqara, Verse 171


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُلُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقۡنَٰكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لِلَّهِ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! পবিত্র জিনিস থেকে পানাহার করো যা তোমাদের খেতে দিয়েছি, আর আল্লাহ্‌কে ধন্যবাদ দাও, যদি তোমরা তাঁরই এবাদত করো।
Surah Al-Baqara, Verse 172


إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحۡمَ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيۡرِ ٱللَّهِۖ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَيۡرَ بَاغٖ وَلَا عَادٖ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ

তিনি তোমাদের কারণে নিষেধ করেছেন কেবল যা নিজে মারা গেছে, আর রক্ত, আর শূকরের মাংস, আর যার উপরে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য নাম উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু যে চাপে পড়েছে, অবাধ্য হয় নি বা মাত্রা ছাড়ায় নি, তার উপরে কোনো পাপ হবে না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা
Surah Al-Baqara, Verse 173


إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡتُمُونَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَشۡتَرُونَ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلًا أُوْلَـٰٓئِكَ مَا يَأۡكُلُونَ فِي بُطُونِهِمۡ إِلَّا ٱلنَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمۡ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ

অবশ্যই যারা ধর্মগ্রন্থের মধ্যে থেকে আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তা লুকিয়ে রাখে আর এর দ্বারা তুচ্ছ বস্তু কিনে নেয়, -- এরাই তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছু গেলে না, আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের সাথে কথাবার্তা বলবেন না, বা তাদের শুদ্ধও করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে ব্যথাদায়ক শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 174


أُوْلَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشۡتَرَوُاْ ٱلضَّلَٰلَةَ بِٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡعَذَابَ بِٱلۡمَغۡفِرَةِۚ فَمَآ أَصۡبَرَهُمۡ عَلَى ٱلنَّارِ

এরাই তারা যারা কিনে নেয় হেদায়তের বিনিময়ে ভ্রান্তপথ ও পরিত্রাণের পরিবর্তে শাস্তি। কাজেই কতো তাদের ধৈর্য আগুনের প্রতি
Surah Al-Baqara, Verse 175


ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ نَزَّلَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخۡتَلَفُواْ فِي ٱلۡكِتَٰبِ لَفِي شِقَاقِۭ بَعِيدٖ

তা-ই! কারণ আল্লাহ্ গ্রন্থখানা নাযিল করেছেন সত্যের সাথে। আর যারা গ্রন্থখানার মতবিরোধ করে তারা নিঃসন্দেহ একগুঁয়েমিতে বহুদূর পৌঁছেছে
Surah Al-Baqara, Verse 176


۞لَّيۡسَ ٱلۡبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ قِبَلَ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَلَٰكِنَّ ٱلۡبِرَّ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةِ وَٱلۡكِتَٰبِ وَٱلنَّبِيِّـۧنَ وَءَاتَى ٱلۡمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ ذَوِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِ وَٱلسَّآئِلِينَ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلۡمُوفُونَ بِعَهۡدِهِمۡ إِذَا عَٰهَدُواْۖ وَٱلصَّـٰبِرِينَ فِي ٱلۡبَأۡسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَحِينَ ٱلۡبَأۡسِۗ أُوْلَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُواْۖ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُتَّقُونَ

ধার্মিকতা তাতে নয় যে তোমাদের মুখ পূব বা পশ্চিম দিকে ফেরাও, তবে ধর্মনিষ্ঠা হচ্ছে যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আর আখেরাতের দিনের প্রতি, আর ফিরিশ্‌তাদের প্রতি, আর গ্রন্থখানিতে, আর নবীদের প্রতি; আর যে তাঁর প্রতি মহব্বত বশতঃ ধন দান করে আ‌ত্মীয়-স্বজনদের, আর এতীমদের, আর মিসকিনদের, আর পথচারীদের, আর ভিখারীদের, আর দাসদের মুক্তিপণ বাবদ, আর যে নামায কায়েম করে ও যাকাত আদায় করেচ আর যারা প্রতিজ্ঞা করার পরে তাদের ওয়াদা রক্ষা করে, আর অভাব-অনটনে ও আপৎকালে ও আতঙ্কের সময়ে ধৈর্যশীলদের। এরাই তারা যারা সত্যনিষ্ঠ, আর এরা নিজেরাই ধর্মপরায়ণ।
Surah Al-Baqara, Verse 177


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡقِصَاصُ فِي ٱلۡقَتۡلَىۖ ٱلۡحُرُّ بِٱلۡحُرِّ وَٱلۡعَبۡدُ بِٱلۡعَبۡدِ وَٱلۡأُنثَىٰ بِٱلۡأُنثَىٰۚ فَمَنۡ عُفِيَ لَهُۥ مِنۡ أَخِيهِ شَيۡءٞ فَٱتِّبَاعُۢ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَأَدَآءٌ إِلَيۡهِ بِإِحۡسَٰنٖۗ ذَٰلِكَ تَخۡفِيفٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَرَحۡمَةٞۗ فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের প্রতি হত্যার ক্ষেত্রে প্রতিশোধের বিধান দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তির উপরে স্বাধীন ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আর দাসের উপরে দাসের ক্ষেত্রে, আর নারীর উপরে নারীর ক্ষেত্রে। তবে যাকে কিছুটা রেহাই দেয়া হয় তার ভাইয়ের তরফ হতে, তাহলে বিচার হবে ন্যায্যভাবে, আর তার প্রতি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে উদারভাবে। -- এটি তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে লঘু-ব্যবস্থা ও করুণা। কাজেই এরপরে যে সীমালঙ্ঘন করবে তার জন্য রয়েছে ব্যথাদায়ক শাস্তি।
Surah Al-Baqara, Verse 178


وَلَكُمۡ فِي ٱلۡقِصَاصِ حَيَوٰةٞ يَـٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

আর তোমাদের জন্য প্রতিশোধের বিধানে রয়েছে জীবন, হে জ্ঞানবান ব্যক্তিগণ! যাতে তোমরা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করো।
Surah Al-Baqara, Verse 179


كُتِبَ عَلَيۡكُمۡ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ إِن تَرَكَ خَيۡرًا ٱلۡوَصِيَّةُ لِلۡوَٰلِدَيۡنِ وَٱلۡأَقۡرَبِينَ بِٱلۡمَعۡرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلۡمُتَّقِينَ

তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করা গেল যে যখন তোমাদের কারোর কাছে মৃত্যু হাজির হয় সে ধন ছেড়ে যাচ্ছে, তবে যেন ওসিয়ৎ করা হয় মাতাপিতা ও নিকটা‌ত্মীয়দের জন্য ন্যায়সঙ্গত-ভাবে; এটা মুত্তকীদের উপরে একটি কর্তব্য।
Surah Al-Baqara, Verse 180


فَمَنۢ بَدَّلَهُۥ بَعۡدَ مَا سَمِعَهُۥ فَإِنَّمَآ إِثۡمُهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

আর যে কেউ এটি বদলে ফেলে তা শোনার পরেও, তা হলে তার পাপ বর্তাবে তাদের উপরে যারা এটি বদলাবে। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 181


فَمَنۡ خَافَ مِن مُّوصٖ جَنَفًا أَوۡ إِثۡمٗا فَأَصۡلَحَ بَيۡنَهُمۡ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

কিন্তু যদি কেউ আশংকা করে যে ওসিয়ৎকারীর তরফ থেকে ভুল বা অন্যায় হচ্ছে, কাজেই তাদের মধ্যে বোঝাপড়া করে, তাহলে তার উপরে কোনো দোষ হবে না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 182


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের উপরে রোযা বিধিবদ্ধ করা গেল যেমন বিধান করা হয়েছিল যারা তোমাদের আগে এসেছে তাদের উপরে, যাতে তোমরা ধর্মভীরুতা অবলন্বন করো
Surah Al-Baqara, Verse 183


أَيَّامٗا مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدۡيَةٞ طَعَامُ مِسۡكِينٖۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَهُوَ خَيۡرٞ لَّهُۥۚ وَأَن تَصُومُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

নির্দিষ্টসংখ্যক দিনের জন্য। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেউ অসুস্থ অথবা সফরে আছে সে সেই সংখ্যক অন্য দিন-গুলোতে। আর যারা এ অতি কষ্টসাধ্য বোধ করে -- প্রতিবিধান হল একজন মিসকিনকে খাওয়ানো। কিন্তু যে কেউ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ভালো কাজ করে, সেটি তার জন্য ভালো। আর যদি তোমরা রোযা রাখো তবে তোমাদের জন্য অতি উত্তম, -- যদি তোমরা জানতে।
Surah Al-Baqara, Verse 184


شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ

রমযান মাস এইটি যাতে কুরাআন নাযিল হয়েছিল, -- মানবগোষ্ঠীর জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে, আর পথনির্দেশের স্পষ্টপ্রমানরূপে, আর ফুরকান। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে কেউ মাসটির দেখা পাবে সে যেন এতে রোযা রাখে। আর যে অসুস্থ বা সফরে আছে যে সেই সংখ্যক অন্য দিনগুলোতে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সুবিধা চান, আর তিনি তোমাদের জন্য কষ্টকর অবস্থা চান না, আর তোমরা যেন এই সংখ্যা সম্পূর্ণ করো, আর যাতে আল্লাহ্‌র মহিমা কীর্তন করো তোমাদের যে পথনির্দেশ তিনি দিয়েছেন সেইজন্য, আর তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
Surah Al-Baqara, Verse 185


وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلۡيَسۡتَجِيبُواْ لِي وَلۡيُؤۡمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمۡ يَرۡشُدُونَ

আর যখন আমার বান্দারা আমার সন্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন -- ''দেখো! আমি নিঃসন্দেহ অতি নিকটে।’’ আমি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনার জবাব দিই যখনি সে আমাকে আহ্বান করে। কাজেই তারা আমার প্রতি সাড়া দিক আর আমাতে ঈমান আনুক, -- যাতে তারা সুপথে চলতে পারে।
Surah Al-Baqara, Verse 186


أُحِلَّ لَكُمۡ لَيۡلَةَ ٱلصِّيَامِ ٱلرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَآئِكُمۡۚ هُنَّ لِبَاسٞ لَّكُمۡ وَأَنتُمۡ لِبَاسٞ لَّهُنَّۗ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَخۡتَانُونَ أَنفُسَكُمۡ فَتَابَ عَلَيۡكُمۡ وَعَفَا عَنكُمۡۖ فَٱلۡـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبۡتَغُواْ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمۡ عَٰكِفُونَ فِي ٱلۡمَسَٰجِدِۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَقۡرَبُوهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ

রোযার রাত্রে তোমাদের স্ত্রীদের কাছে গমন তোমাদের জন্য বৈধ করা গেল। তারা তোমাদের জন্য পোশাক আর তোমরা তাদের জন্য পোশাক। আল্লাহ্ জানেন যে তোমরা তোমাদের নিজেদের প্রবঞ্চনা করছিলে, তাই তিনি তোমাদের উপরে ফিরেছেন ও তোমাদের ভুলকে উপেক্ষা করেছেন। সুতরাং এখন তাদের সাহচর্য ভোগ করো, আর আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা নির্ধারিত করেছেন তা অনুসরণ করে চল। আর আহার করো ও পান করো যতক্ষণ না তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ভোরবেলাতে সাদা কিরণ কালো ছায়া থেকে, তারপর রোযা সম্পূর্ণ করো রাত্রি সমাগম পর্যন্ত। আর তাদের স্পর্শ করো না যখন তোমরা মসজিদে ই'তিকাফ করো। এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সীমা, কাজেই সে-সবের নিকটে যেয়ো না। এইভাবে আল্লাহ্ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যাতে তারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে।
Surah Al-Baqara, Verse 187


وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ وَتُدۡلُواْ بِهَآ إِلَى ٱلۡحُكَّامِ لِتَأۡكُلُواْ فَرِيقٗا مِّنۡ أَمۡوَٰلِ ٱلنَّاسِ بِٱلۡإِثۡمِ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

আর তোমাদের সম্পত্তি পরস্পরের মধ্যে জালিয়াতি করে গ্রাস করো না, আর এগুলো বিচারকদের কাছে পেশ করো না যাতে লোকের সম্পত্তির কিছুটা অন্যায়ভাবে গিলে ফেলতে পারো, তাও তোমরা জেনেবুঝে।
Surah Al-Baqara, Verse 188


۞يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡأَهِلَّةِۖ قُلۡ هِيَ مَوَٰقِيتُ لِلنَّاسِ وَٱلۡحَجِّۗ وَلَيۡسَ ٱلۡبِرُّ بِأَن تَأۡتُواْ ٱلۡبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَٰكِنَّ ٱلۡبِرَّ مَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَأۡتُواْ ٱلۡبُيُوتَ مِنۡ أَبۡوَٰبِهَاۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ

তারা তোমাকে নতুন চাঁদ সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে। তুমি বলো -- ''এসব হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় জনসাধারণের জন্য ও হজের জন্য।’’ আর ধার্মিকতা এ নয় যে তোমরা বাড়িতে প্রবেশ করবে তাদের পেছন দিক দিয়ে, বরং ধার্মিকতা হচ্ছে যে ধর্মভীরুতা অবলন্বন করে। তাই বাড়ীতে ঢোকো তাদের দরজা দিয়ে, আর আল্লাহ্‌তে ভয়-শ্রদ্ধা করো যেন তোমরা সফলকাম হতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 189


وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ

আর আল্লাহ্‌র পথে তোমরা যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে যারা অন্যায়ভাবে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, আর সীমালংঘন করো না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সীমালংঘনকারীদের ভালোবাসেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 190


وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ ثَقِفۡتُمُوهُمۡ وَأَخۡرِجُوهُم مِّنۡ حَيۡثُ أَخۡرَجُوكُمۡۚ وَٱلۡفِتۡنَةُ أَشَدُّ مِنَ ٱلۡقَتۡلِۚ وَلَا تُقَٰتِلُوهُمۡ عِندَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ حَتَّىٰ يُقَٰتِلُوكُمۡ فِيهِۖ فَإِن قَٰتَلُوكُمۡ فَٱقۡتُلُوهُمۡۗ كَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তোমারা তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র-মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।
Surah Al-Baqara, Verse 191


فَإِنِ ٱنتَهَوۡاْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

কিন্তু তারা যদি ক্ষান্ত হয় তবে আল্লাহ্ নিঃসন্দেহ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 192


وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ فَإِنِ ٱنتَهَوۡاْ فَلَا عُدۡوَٰنَ إِلَّا عَلَى ٱلظَّـٰلِمِينَ

আর তাদের সাথে লড়বে যে পর্যন্ত না উৎপীড়ন বন্ধ হয়, আর ধর্ম হচ্ছে আল্লাহ্‌র জন্য। সুতরাং তারা যদি ক্ষান্ত হয় তবে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলবে না শুধু অত্যাচারীদের সাথে ছাড়া।
Surah Al-Baqara, Verse 193


ٱلشَّهۡرُ ٱلۡحَرَامُ بِٱلشَّهۡرِ ٱلۡحَرَامِ وَٱلۡحُرُمَٰتُ قِصَاصٞۚ فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَٱعۡتَدُواْ عَلَيۡهِ بِمِثۡلِ مَا ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ

পবিত্র মাস পবিত্র মাসের খাতিরে, আর সব নিষিদ্ধ ব্যাপারে প্রতিশোধ নিতে হবে। কাজেই যে কেউ তোমাদের উপরে আক্রমণ চালায়, তোমরাও তবে তাদের উপরে আঘাত হানবে সেইভাবে যেমনটা তারা তোমাদের উপরে আঘাত করেছিল। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করবে, আর জেনে রেখো নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ধর্মভীরুদের সাথে আছেন।
Surah Al-Baqara, Verse 194


وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ وَأَحۡسِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُحۡسِنِينَ

আর আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করো, আর তোমাদের নিজহাতে তোমাদের ধ্বংসের মধ্যে ফেলো না, বরং ভালো করো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ মঙ্গলকারীদের ভালোবাসেন।
Surah Al-Baqara, Verse 195


وَأَتِمُّواْ ٱلۡحَجَّ وَٱلۡعُمۡرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۖ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُۥۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ بِهِۦٓ أَذٗى مِّن رَّأۡسِهِۦ فَفِدۡيَةٞ مِّن صِيَامٍ أَوۡ صَدَقَةٍ أَوۡ نُسُكٖۚ فَإِذَآ أَمِنتُمۡ فَمَن تَمَتَّعَ بِٱلۡعُمۡرَةِ إِلَى ٱلۡحَجِّ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۚ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ ثَلَٰثَةِ أَيَّامٖ فِي ٱلۡحَجِّ وَسَبۡعَةٍ إِذَا رَجَعۡتُمۡۗ تِلۡكَ عَشَرَةٞ كَامِلَةٞۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمۡ يَكُنۡ أَهۡلُهُۥ حَاضِرِي ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ

আর আল্লাহ্‌র জন্য সম্পূর্ণ করো হজ এবং উমরাহ। কিন্তু যদি বাধা পাও, তবে কুরবানির যা-কিছু পাওয়া যায় তাই, আর তোমাদের মাথা কামাবে না যতক্ষণ না কুরবানি তার গন্তব্যস্থানে পৌঁছেছে কিন্তু তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় অথবা তার মাথায় রোগ থাকে, তবে প্রতিবিধান হচ্ছে রোযা রেখে বা সদকা দিয়ে বা কুরবানি ক’রে। কিন্তু যখন তোমরা নিরাপদ বোধ করবে তখন যে উমরাহ্‌কে হজের সঙ্গে সংযোজন ক’রে লাভবান হতে চায়, সে যেন কুরবানির যা-কিছু পায় তাই। কিন্তু যে পায় না, রোযা হচ্ছে হজের সময়ে তিনদিন আর তোমরা যখন ফিরে এস তখন সাত, -- এই হলো পুরো দশ। এটা তার জন্য যার পরিবার পবিত্র- মজজিদে হাজির থাকে না। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো, আর জেনে রেখো যে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ প্রতিফলদানে কঠোর।
Surah Al-Baqara, Verse 196


ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ ٱلۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي ٱلۡحَجِّۗ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يَعۡلَمۡهُ ٱللَّهُۗ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيۡرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُونِ يَـٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ

হজ হয় কয়েকটি সুবিখ্যাত মাসে, কাজেই যে কেউ এই সময়ে হজ করার সংকল্প করে তার জন্য এ-সবের মধ্যে স্ত্রী-গমন বা দুষ্টামি থাকবে না, বা হজের মধ্যে তর্কাতর্কি চলবে না। আর ভালো যা-কিছু তোমরা কর, আল্লাহ্ তা জানেন। আর পাথেয় সংগ্রহ করো, নিঃসন্দেহ শ্রেষ্ঠ পাথেয় হচ্ছে ধর্মপরায়ণতা। অতএব আমাকে ভয়-শ্রদ্ধা করো, হে জ্ঞানের অধিকারীসব
Surah Al-Baqara, Verse 197


لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡۚ فَإِذَآ أَفَضۡتُم مِّنۡ عَرَفَٰتٖ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ عِندَ ٱلۡمَشۡعَرِ ٱلۡحَرَامِۖ وَٱذۡكُرُوهُ كَمَا هَدَىٰكُمۡ وَإِن كُنتُم مِّن قَبۡلِهِۦ لَمِنَ ٱلضَّآلِّينَ

তোমাদের উপরে কোনো অপরাধ হবে না যদি বা তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে দৌলত কামানোর চেষ্টা করো। তারপর তোমরা যখন আরাফাত থেকে জোট বেধে ফিঁরবে তখন মাশ'আরিল-হারাম এর নিকটে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো; আর তাঁকে স্মরণ করো যেমন তিনি তোমাদের পথনির্দেশ দিয়েছেন, যদিও এর আগে নিঃসন্দেহ তোমরা ছিলে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত।
Surah Al-Baqara, Verse 198


ثُمَّ أَفِيضُواْ مِنۡ حَيۡثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسۡتَغۡفِرُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

তারপর তোমরা তাড়াতাড়ি চল যেখান থেকে জনতা এগিয়ে চলে, আর আল্লাহ্‌র কাছে পরিত্রাণ খোঁজো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 199


فَإِذَا قَضَيۡتُم مَّنَٰسِكَكُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَذِكۡرِكُمۡ ءَابَآءَكُمۡ أَوۡ أَشَدَّ ذِكۡرٗاۗ فَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖ

তারপর যখন তোমাদের পুণ্যানুষ্ঠান শেষ কর তখন আল্লাহ্‌র গুণগান করো, যেমন তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের জয়গান গাইতে, -- বরং তার চাইতেও বেশী গুণকীর্তন করো। কিন্তু মানুষের মাঝে এমনও লোক আছে যে বলে -- ''আমাদের প্রভু! এই দুনিয়াতে আমাদের দাও।’’ অতএব আখেরাতে তাদের জন্য কোনো ভাগ থাকবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 200


وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ

আর তাদের মধ্যে এমনও আছে যে বলে -- ''আমাদের প্রভু! এই দুনিয়াতে আমাদের ভালো জিনিস অর্পণ করো, এবং আখেরাতেও ভালো জিনিস, আর আমাদের রক্ষা করো আগুনের শাস্তি থেকে।’’
Surah Al-Baqara, Verse 201


أُوْلَـٰٓئِكَ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّمَّا كَسَبُواْۚ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ

এরাই -- তাদের জন্য আছে ভাগ যা তারা অর্জন করেছে তা থেকে। আর আল্লাহ্ হিসেব-নিকেশে তৎপর।
Surah Al-Baqara, Verse 202


۞وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوۡمَيۡنِ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۖ لِمَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُمۡ إِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ

আর আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো নির্ধারিত দিনগুলোতে। কিন্তু যে দু’দিনে তাড়াতাড়ি করে, তাতে তার অপরাধ হবে না, আর যে দেরী করে তার উপরেও কোনো অপরাধ হবে না, -- যে ভয়-ভক্তি করে। আর তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো, আর জেনে রেখো নিঃসন্দেহ তোমরা তাঁরই কাছে একত্রিত হবে।
Surah Al-Baqara, Verse 203


وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُعۡجِبُكَ قَوۡلُهُۥ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَيُشۡهِدُ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا فِي قَلۡبِهِۦ وَهُوَ أَلَدُّ ٱلۡخِصَامِ

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যার দুনিয়াদারির কথাবার্তা তোমাকে তাজ্জব করে দেয়, আর সে আল্লাহ্‌কে সাক্ষী মানে তার অন্তরে যা আছে সে-সন্বন্ধে, অথচ সে-ই হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে মারা‌ত্মক।
Surah Al-Baqara, Verse 204


وَإِذَا تَوَلَّىٰ سَعَىٰ فِي ٱلۡأَرۡضِ لِيُفۡسِدَ فِيهَا وَيُهۡلِكَ ٱلۡحَرۡثَ وَٱلنَّسۡلَۚ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلۡفَسَادَ

আর সে যখন ফিরে যায় তখন সে দেশের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে তাতে ফসাদ বাঁধাতে এবং ফসল ও পশুপাল বিনষ্ট করতে। আর আল্লাহ্ ফসাদ পছন্দ করেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 205


وَإِذَا قِيلَ لَهُ ٱتَّقِ ٱللَّهَ أَخَذَتۡهُ ٱلۡعِزَّةُ بِٱلۡإِثۡمِۚ فَحَسۡبُهُۥ جَهَنَّمُۖ وَلَبِئۡسَ ٱلۡمِهَادُ

আর যখন তাকে বলা হয় -- ''আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো,’’ অহংকার তাকে নিয়ে চলে পাপের মধ্যে, কাজেই জাহান্নাম হচ্ছে তার হিসেব-নিকেশ, -- আর নিশ্চয়ই মন্দ সেই বিশ্রাম-স্থান।
Surah Al-Baqara, Verse 206


وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشۡرِي نَفۡسَهُ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ رَءُوفُۢ بِٱلۡعِبَادِ

আর মানুষের মাঝে এমনও আছে যে নিজের সত্তাকে বিক্রি করে দিয়েছে আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি কামনা ক’রে। আর আল্লাহ্ পরম স্নেহময় বান্দাদের প্রতি।
Surah Al-Baqara, Verse 207


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱدۡخُلُواْ فِي ٱلسِّلۡمِ كَآفَّةٗ وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! সম্পূর্ণরূপে আ‌ত্মসমর্পণে দাখিল হও, আর শয়তানের পদচিহ্ন অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহ সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।
Surah Al-Baqara, Verse 208


فَإِن زَلَلۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡكُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ فَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

কিন্তু যদি তোমরা পিছলে পড় তোমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাবলী আসবার পরেও, তবে জেনে রেখো -- নিঃসন্দেহ আল্লাহ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Surah Al-Baqara, Verse 209


هَلۡ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن يَأۡتِيَهُمُ ٱللَّهُ فِي ظُلَلٖ مِّنَ ٱلۡغَمَامِ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ وَقُضِيَ ٱلۡأَمۡرُۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرۡجَعُ ٱلۡأُمُورُ

তারা এছাড়া আর কিসের প্রতীক্ষা করে যে তাদের কাছে আল্লাহ্ আসবেন মেঘের ছায়ায়, আর ফিরিশ্‌তারাও, আর বিষয়টির নিস্পত্তি হয়ে গেছে? আর আল্লাহ্‌র কাছেই সব ব্যাপার ফিরে যায়।
Surah Al-Baqara, Verse 210


سَلۡ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ كَمۡ ءَاتَيۡنَٰهُم مِّنۡ ءَايَةِۭ بَيِّنَةٖۗ وَمَن يُبَدِّلۡ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ

ইসরাইলের বংশধরদের জিজ্ঞাসা করো -- স্পষ্ট নিদর্শন-গুলো থেকে কতো না আমরা তাদের দিয়েছিলাম! আর যে কেউ আল্লাহ্‌র নিয়ামত বদল করে তা তার কাছে আসার পরে, তা হলে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ প্রতিফল দিতে কঠোর
Surah Al-Baqara, Verse 211


زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا وَيَسۡخَرُونَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْۘ وَٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ فَوۡقَهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ وَٱللَّهُ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيۡرِ حِسَابٖ

যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের কাছে এই দুনিয়ার জীবন মনোরম ঠেকে, আর তারা মস্করা করে যারা ঈমান এনেছে তাদের। আর যারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে তারা কিয়ামতের দিন ওদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে করেন বে-হিসাব রিযেক দান করেন।
Surah Al-Baqara, Verse 212


كَانَ ٱلنَّاسُ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ فَبَعَثَ ٱللَّهُ ٱلنَّبِيِّـۧنَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَ ٱلنَّاسِ فِيمَا ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِۚ وَمَا ٱخۡتَلَفَ فِيهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ أُوتُوهُ مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ بَغۡيَۢا بَيۡنَهُمۡۖ فَهَدَى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لِمَا ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِ مِنَ ٱلۡحَقِّ بِإِذۡنِهِۦۗ وَٱللَّهُ يَهۡدِي مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٍ

মানবগোষ্ঠী হচ্ছে একই জাতি। কাজেই আল্লাহ্ উত্থাপন করলেন নবীদের সুসংবাদদাতারূপে এবং সতর্ককারীরূপে, আর তাঁদের সঙ্গে তিনি অবতারণ করেছিলেন কিতাব সত্যতার সাথে যাতে তা মীমাংসা করতে পারে লোকদের মধ্যে যে-বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর কেউ এতে মতবিরোধ করে না তারা ছাড়া যাদের এ দেয়া হয়েছিল তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেও তাদের পরস্পরের মধ্যে বিদ্রোহাচরণ বশতঃ। তাই যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ্ তাদের হেদায়ত করলেন আপন এখতিয়ারে সেই সত্যতে যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে করেন তাকে সহজ-সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করেন।
Surah Al-Baqara, Verse 213


أَمۡ حَسِبۡتُمۡ أَن تَدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ وَلَمَّا يَأۡتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوۡاْ مِن قَبۡلِكُمۖ مَّسَّتۡهُمُ ٱلۡبَأۡسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلۡزِلُواْ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصۡرُ ٱللَّهِۗ أَلَآ إِنَّ نَصۡرَ ٱللَّهِ قَرِيبٞ

অথবা তোমরা কি বিবেচনা করো যে তোমরা বেহেশতে দাখিল হতে পারবে যতক্ষণ না তোমাদের উপরেও তোমাদের আগে যারা গত হয়েছে তাদের ন্যায় না বর্তায়? তাদের আক্রমণ করেছিল দারুণ বিপর্যয় এবং চরম দুর্দশা, আর তারা কেঁপেছিল, শেষ পর্যন্ত রসূল ও তাঁর সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তারা বললে -- ''আল্লাহ্‌র সাহায্য কখন?’’ আল্লাহ্‌র সাহায্য অবশ্যই নিকটবর্তী নয় কি
Surah Al-Baqara, Verse 214


يَسۡـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَۖ قُلۡ مَآ أَنفَقۡتُم مِّنۡ خَيۡرٖ فَلِلۡوَٰلِدَيۡنِ وَٱلۡأَقۡرَبِينَ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۗ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٞ

তারা তোমায় জিজ্ঞেস করছে কি তারা খরচ করবে। বলো -- ''ভালো জিনিস যা-কিছু তোমরা খরচ করো তা মাতাপিতার জন্য ও নিকট-আ‌ত্মীয়দের ও এতিমদের ও মিসকিনদের ও পথচারীদের জন্য। আর ভালো কাজ যা-কিছু কর, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সে-সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 215


كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡقِتَالُ وَهُوَ كُرۡهٞ لَّكُمۡۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡـٔٗا وَهُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّواْ شَيۡـٔٗا وَهُوَ شَرّٞ لَّكُمۡۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ

তোমাদের জন্য যুদ্ধ বিধিবদ্ধ করা হলো, অথচ তোমাদের জন্য তা অপ্রীতিকর। আর হতে পারে তোমরা কোনো-কিছু অপছন্দ করলে, অথচ তা তোমাদের জন্য মঙ্গলজনক, আবার হতে পারে তোমরা কোনো-কিছু ভালোবাসলে, অথচ তা তোমাদের জন্য মন্দ। আর আল্লাহ জানেন, যদিও তোমরা জানো না।
Surah Al-Baqara, Verse 216


يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلشَّهۡرِ ٱلۡحَرَامِ قِتَالٖ فِيهِۖ قُلۡ قِتَالٞ فِيهِ كَبِيرٞۚ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَكُفۡرُۢ بِهِۦ وَٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَإِخۡرَاجُ أَهۡلِهِۦ مِنۡهُ أَكۡبَرُ عِندَ ٱللَّهِۚ وَٱلۡفِتۡنَةُ أَكۡبَرُ مِنَ ٱلۡقَتۡلِۗ وَلَا يَزَالُونَ يُقَٰتِلُونَكُمۡ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمۡ عَن دِينِكُمۡ إِنِ ٱسۡتَطَٰعُواْۚ وَمَن يَرۡتَدِدۡ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَيَمُتۡ وَهُوَ كَافِرٞ فَأُوْلَـٰٓئِكَ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَأُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

তারা তোমাকে পবিত্র মাস সম্পর্কে প্রশ্ন করছে -- তাতে যুদ্ধ করার ব্যাপারে। বলো -- ''এতে যুদ্ধ করা গুরুতর, কিন্তু আল্লাহ্‌র রাস্তা থেকে ফিরিয়ে রাখা, আর তাঁর প্রতি ও পবিত্র মসজিদের প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করা, এবং তার বাসিন্দাদের সেখান থেকে বের করে দেয়া আল্লাহ্‌র কাছে আরও গুরুতর! আর উৎপীড়ন হত্যার চেয়ে গুরুতর। আর তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করা থামাবে না যতক্ষণ না তারা তোমাদের ধর্ম থেকে তোমাদের ফিরিয়ে নিতে পারে, -- যদি তারা পারে। আর তোমাদের মধ্যে থেকে যে তার ধর্ম থেকে ফিরে যায় ও মারা যায় অবিশ্বাসী থাকা অবস্থায়, তা হলে এরাই -- এদের সব কাজ এই দুনিয়াতে ও আখেরাতে বৃথা যাবে। আর তারাই হচ্ছে আগুনের অধিবাসী, তারা এতে থাকবে দীর্ঘকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 217


إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَاجَرُواْ وَجَٰهَدُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أُوْلَـٰٓئِكَ يَرۡجُونَ رَحۡمَتَ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

নিঃসন্দেহ যারা ঈমান এনেছিল ও যারা হিজরত করেছিল, এবং আল্লাহ্‌র রাস্তায় কঠোর সংগ্রাম করেছিল, -- এরাই আশা রাখে আল্লাহ্‌র করুণার। আর আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 218


۞يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡخَمۡرِ وَٱلۡمَيۡسِرِۖ قُلۡ فِيهِمَآ إِثۡمٞ كَبِيرٞ وَمَنَٰفِعُ لِلنَّاسِ وَإِثۡمُهُمَآ أَكۡبَرُ مِن نَّفۡعِهِمَاۗ وَيَسۡـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَۖ قُلِ ٱلۡعَفۡوَۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَتَفَكَّرُونَ

তারা তোমাকে নেশা ও জুয়া সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে। বলো -- ''এই দুয়েতেই আছে মহাপাপ ও মানুষের জন্য মুনাফা, কিন্তু তাদের পাপ তাদের মুনাফার চাইতে গুরুতর। আর তারা তোমায় সওয়াল করে কী তারা খরচ করবে। বলো -- ''যা বাড়তি থাকে।’’ এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বাণীসমূহ স্পষ্ট করেন যাতে তোমরা ভেবে দেখতে পার
Surah Al-Baqara, Verse 219


فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۗ وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡيَتَٰمَىٰۖ قُلۡ إِصۡلَاحٞ لَّهُمۡ خَيۡرٞۖ وَإِن تُخَالِطُوهُمۡ فَإِخۡوَٰنُكُمۡۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ ٱلۡمُفۡسِدَ مِنَ ٱلۡمُصۡلِحِۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَعۡنَتَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٞ

এই দুনিয়া ও আখেরাতের সন্বন্ধে। আর তারা তোমায় এতিমদের সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। বলো -- ''তাদের জন্য সুব্যবস্থা করা উত্তম।’’ আর তোমরা যদি তাদের সঙ্গে অংশীদার হও তবে তারা তোমাদের ভাই। আর আল্লাহ্ হিতকারীদের থেকে ফেসাদকারীদের জানেন । আর আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তবে নিশ্চয়ই তোমাদের বিপন্ন করতে পারতেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Surah Al-Baqara, Verse 220


وَلَا تَنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكَٰتِ حَتَّىٰ يُؤۡمِنَّۚ وَلَأَمَةٞ مُّؤۡمِنَةٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكَةٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَتۡكُمۡۗ وَلَا تُنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤۡمِنُواْۚ وَلَعَبۡدٞ مُّؤۡمِنٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَكُمۡۗ أُوْلَـٰٓئِكَ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلنَّارِۖ وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ وَٱلۡمَغۡفِرَةِ بِإِذۡنِهِۦۖ وَيُبَيِّنُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ

আর মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না যে পর্যন্ত না তারা ঈমান আনে । আর নিঃসন্দেহ একজন মুমিন দাসীও একজন মুশরিক নারীর চেয়ে ভালো, যদিও বা সে তোমাদের মোহিত করে দেয়। আর বিয়ে দিয়ো না মুশরিকদের সাথে যে পর্যন্ত না তারা ঈমান আনে, কেননা নিঃসন্দেহ একজন মুমিন গোলামও একজন মুশরিকের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদের তাজ্জব করে দেয়। এই সব আমন্ত্রণ করে আগুনের প্রতি, আর আল্লাহ্ আহ্বান করেন বেহেশতের দিকে এবং পরিত্রাণের দিকে তাঁর নিজ ইচ্ছায়, আর তিনি মানুষের জন্য তাঁর নির্দেশাবলী সুস্পষ্ট করে দেন যেন তারা মনোযোগ দেয়।
Surah Al-Baqara, Verse 221


وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّـٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ

তারা তোমাকে ঋতুস্রাব সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে। বলো -- ''ইহা অনিষ্টকর, কাজেই ঋতুকালে স্ত্রীদের থেকে আলাদা থাকবে, এবং তাদের নিকটবর্তী হয়ো না যে পর্যন্ত না তারা পরিস্কার হয়ে যায়। তারপর যখন তারা নিজেদের পরিস্কার করে নেয় তখন তাদের সঙ্গে মিলিত হও যেভাবে আল্লাহ্ তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।’’ নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ভালোবাসেন তাদের যারা তাঁর দিকে ফেরে, আর তিনি ভালবাসেন পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকারীদের।
Surah Al-Baqara, Verse 222


نِسَآؤُكُمۡ حَرۡثٞ لَّكُمۡ فَأۡتُواْ حَرۡثَكُمۡ أَنَّىٰ شِئۡتُمۡۖ وَقَدِّمُواْ لِأَنفُسِكُمۡۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য এক ক্ষেতখামার। সুতরাং তোমরা যখন-যেমন ইচ্ছে কর তোমাদের ক্ষেতখামারে গমন করো। আর তোমাদের নিজেদের জন্যে অগ্রিম ব্যবস্থা অবলন্বন করো। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করবে, আর জেনে রেখো -- নিশ্চয় তাঁর সঙ্গে তোমাদের মোলাকাত হবে। আর সুসংবাদ দাও মুমিনদের।
Surah Al-Baqara, Verse 223


وَلَا تَجۡعَلُواْ ٱللَّهَ عُرۡضَةٗ لِّأَيۡمَٰنِكُمۡ أَن تَبَرُّواْ وَتَتَّقُواْ وَتُصۡلِحُواْ بَيۡنَ ٱلنَّاسِۚ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

আর আল্লাহ্‌কে প্রতিবন্ধক বানিয়ো না তোমাদের শপথের দ্বারা তোমাদের ভালো কাজ করার বেলা ও ভয়ভক্তি দেখাতে, ও লোকদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 224


لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغۡوِ فِيٓ أَيۡمَٰنِكُمۡ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتۡ قُلُوبُكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٞ

আল্লাহ্ তোমাদের পাকড়াবেন না তোমাদের শপথগুলোর মধ্যে যা খেলো, কিন্তু তিনি তোমাদের পাকড়াও করবেন যা তোমাদের হৃদয় অর্জন করেছে। আর আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, পরম সহিষ্ণু।
Surah Al-Baqara, Verse 225


لِّلَّذِينَ يُؤۡلُونَ مِن نِّسَآئِهِمۡ تَرَبُّصُ أَرۡبَعَةِ أَشۡهُرٖۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

যারা তাদের স্ত্রীদের থেকে ''ইলা’’ করে, চার মাসকাল অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু তারা যদি ফিরে যায়, তা হলে আল্লাহ্ নিশ্চয় ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 226


وَإِنۡ عَزَمُواْ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

আর যদি তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তালাকের, তবে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 227


وَٱلۡمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٖۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكۡتُمۡنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِيٓ أَرۡحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤۡمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَٰلِكَ إِنۡ أَرَادُوٓاْ إِصۡلَٰحٗاۚ وَلَهُنَّ مِثۡلُ ٱلَّذِي عَلَيۡهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيۡهِنَّ دَرَجَةٞۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

আর তালাকপ্রাপ্তা নারীরা নিজেদের প্রতীক্ষায় রাখবে তিন ঋতুকাল। আর তাদের জন্য বৈধ হবে না লুকিয়ে রাখা যা আল্লাহ্ তাদের গর্ভে সৃষ্টি করেছেন, যদি তারা আল্লাহ্‌তে ও শেষ দিনে ঈমান আনে। আর তাদের স্বামীদের অধিকতর হক্ আছে তাদের ইতিমধ্যে ফিরিয়ে নেবার, যদি তারা মিটমাট করতে চায়। আর স্ত্রীদের তেমন অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপরে ন্যায়সঙ্গতভাবে। অবশ্য পুরুষদের অবস্থান তাদের কিছুটা উপরে। আর আল্লাহ্ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী
Surah Al-Baqara, Verse 228


ٱلطَّلَٰقُ مَرَّتَانِۖ فَإِمۡسَاكُۢ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ تَسۡرِيحُۢ بِإِحۡسَٰنٖۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمۡ أَن تَأۡخُذُواْ مِمَّآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ شَيۡـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَا فِيمَا ٱفۡتَدَتۡ بِهِۦۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعۡتَدُوهَاۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ

তালাক দুইবার, তারপর পুরোদস্তুর রক্ষণ নয়ত সুন্দরভাবে বিদায় দান। আর তোমাদের জন্য বৈধ নয় তাদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া, যদি না দুজনেই আশঙ্কা করে যে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত সীমা কায়েম রাখা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। কিন্তু তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে তারা আল্লাহ্‌র গন্ডির ভেতরে কায়েম থাকতে পারবে না, তা হলে তাদের জন্যে অপরাধ হবে না যার বিনিময়ে সে মুক্ত হতে চায়। এইসব হচ্ছে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত গন্ডি, অতএব এ-সব লঙ্ঘন করো না, আর যারা আল্লাহ্‌র গন্ডি লঙ্ঘন করে তারা নিজেরাই হচ্ছে অন্যায়কারী।
Surah Al-Baqara, Verse 229


فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعۡدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوۡجًا غَيۡرَهُۥۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۗ وَتِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ

তারপর যদি সে তাকে তালাক দেয় তবে এরপর সে তার জন্য বৈধ হবে না যে পর্যন্ত না সে অন্য স্বামীকে বিবাহ করে। এখন যদি সেও তাকে তালাক দিয়ে দেয় তাহলে তাদের উভয়ের অপরাধ হবে না যদি তারা পরস্পরের কাছে ফিরে আসে, -- যদি তারা বিবেচনা করে যে তারা আল্লাহ্‌র গন্ডির মধ্যে থাকতে পারবে। আর এগুলো হচ্ছে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত সীমা, -- তিনি তা সুস্পষ্ট করে দেন সেই লোকদের জন্য যারা জানে।
Surah Al-Baqara, Verse 230


وَإِذَا طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمۡسِكُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٖۚ وَلَا تُمۡسِكُوهُنَّ ضِرَارٗا لِّتَعۡتَدُواْۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَهُۥۚ وَلَا تَتَّخِذُوٓاْ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ هُزُوٗاۚ وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَمَآ أَنزَلَ عَلَيۡكُم مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡحِكۡمَةِ يَعِظُكُم بِهِۦۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

আর যখন স্ত্রীদের তালাক দাও, আর তারা তাদের ইদ্দত পূর্ণ করে, তারপর হয় তাদের রাখবে সদয়ভাবে, নয় তাদের মুক্তি দেবে সদয়ভাবে। আর তাদের আটকে রেখো না ক্ষতি করার জন্যে, -- যার ফলে তোমরা সীমা লঙ্ঘন করবে, আর যে তাই করে সে নিশ্চয় তার নিজের প্রতি অন্যায় করে। আর আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশকে তামাশার বস্তু করে নিয়ো না, আর স্মরণ করো তোমাদের উপরে আল্লাহ্‌র নিয়ামত ও তোমাদের কাছে যা তিনি অবতারণ করেছেন কিতাব ও হিক্‌মত, যার দ্বারা তিনি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন। আর আল্লাহ্‌কে ভয়ভক্তি করবে, আর জেনে রেখো -- নিশ্চয় আল্লাহ্ সব-কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 231


وَإِذَا طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعۡضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحۡنَ أَزۡوَٰجَهُنَّ إِذَا تَرَٰضَوۡاْ بَيۡنَهُم بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ مِنكُمۡ يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۗ ذَٰلِكُمۡ أَزۡكَىٰ لَكُمۡ وَأَطۡهَرُۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ

আর যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দাও, আর তারা তাদের ইদ্দত পূর্ণ করে, তখন তাদের বাধা দিয়ো না তাদের স্বামীদের বিয়ে করতে, যদি তারা নিজেদের মধ্যে রাজী হয় সঙ্গতভাবে। এইভাবে এরদ্বারা উপদেশ দেয়া হচ্ছে তোমাদের মধ্যে তাকে যে আল্লাহ্‌তে ও শেষ দিনে ঈমান আনে। এইটি তোমাদের জন্য অধিকতর পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতর। আর আল্লাহ্ জানেন অথচ তোমরা জানো না।
Surah Al-Baqara, Verse 232


۞وَٱلۡوَٰلِدَٰتُ يُرۡضِعۡنَ أَوۡلَٰدَهُنَّ حَوۡلَيۡنِ كَامِلَيۡنِۖ لِمَنۡ أَرَادَ أَن يُتِمَّ ٱلرَّضَاعَةَۚ وَعَلَى ٱلۡمَوۡلُودِ لَهُۥ رِزۡقُهُنَّ وَكِسۡوَتُهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ لَا تُكَلَّفُ نَفۡسٌ إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَا تُضَآرَّ وَٰلِدَةُۢ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوۡلُودٞ لَّهُۥ بِوَلَدِهِۦۚ وَعَلَى ٱلۡوَارِثِ مِثۡلُ ذَٰلِكَۗ فَإِنۡ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٖ مِّنۡهُمَا وَتَشَاوُرٖ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَاۗ وَإِنۡ أَرَدتُّمۡ أَن تَسۡتَرۡضِعُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِذَا سَلَّمۡتُم مَّآ ءَاتَيۡتُم بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٞ

আর মায়েরা নিজ সন্তানদের পুরো দু’বছর স্তন্য খেতে দেবে, -- যে চায় স্তন্যদান পুরো করতে। তার পিতার উপরে দায়িত্ব তাদের খাওয়ানো ও পরানো ন্যায়সঙ্গতরূপে। কোনো লোকেরই উচিত নয় এমন দায়িত্ব আরোপ করা যা তার ক্ষমতার অতিরিক্ত। মাতাকেও যেন সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয়, আর যার রসে সন্তান জন্মেছে তাকেও যেন নিজের সন্তানের দরুন, আর উত্তরাধিকারীর উপরে দায়িত্ব তার অনুরূপ করা। কিন্তু যদি দুজনেই ইচ্ছা করে মাই ছাড়াতে, উভয়ের মধ্যে সম্মতিক্রমে এবং পরামর্শক্রমে, তবে তাদের কোনো অপরাধ হবে না। আর যদি তোমরা চাও তোমাদের সন্তানদের জন্য ধাইমা নিযুক্ত করতে, তাতেও তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না যে পর্যন্ত তোমরা রাজী থাকো যা তোমরা পুরোদস্তুর প্রদান করবে। আর আল্লাহ্‌কে ভয়ভক্তি করবে, আর জেনে রেখো -- নিঃসন্দেহ তোমরা যা করো আল্লাহ্ তার দর্শক।
Surah Al-Baqara, Verse 233


وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوۡنَ مِنكُمۡ وَيَذَرُونَ أَزۡوَٰجٗا يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرۡبَعَةَ أَشۡهُرٖ وَعَشۡرٗاۖ فَإِذَا بَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا فَعَلۡنَ فِيٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ

আর তোমাদের মধ্যে যারা মারা যায় ও রেখে যায় স্ত্রীদের, তারা নিজেদের অপেক্ষায় রাখবে চার মাস ও দশ। তারপর তারা যখন তাদের সময়ের মোড়ে পৌঁছে যায় তখন তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না যা তারা নিজেদের জন্য করে ন্যায়সঙ্গতভাবে। আর তোমরা যা কর সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ ওয়াকিবহাল।
Surah Al-Baqara, Verse 234


وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا عَرَّضۡتُم بِهِۦ مِنۡ خِطۡبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوۡ أَكۡنَنتُمۡ فِيٓ أَنفُسِكُمۡۚ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمۡ سَتَذۡكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُواْ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗاۚ وَلَا تَعۡزِمُواْ عُقۡدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡكِتَٰبُ أَجَلَهُۥۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٞ

আর তোমাদের উপরে অপরাধ হবে না তোমরা নারীদের বিবাহের প্রস্তাবে যা আভাসে ইঙ্গিতে প্রকাশ কর, অথবা গোপন রাখো তোমাদের অন্তরে। আল্লাহ্ জানেন যে তোমরা তাদের স্মরণ করবে, কিন্তু ভদ্রভাবে কথাবার্তা বলা ছাড়া গোপনে তাদের সাথে ওয়াদা করো না, আর বিবাহবন্ধন পাকাপাকি করো না যে পর্যন্ত না তাদের নির্ধারিত সময়সীমা পেছোঁয়! আর জেনে রেখো -- আল্লাহ্ নিশ্চয়ই জানেন যা তোমাদের অন্তরে আছে, অতএব তাঁর সম্পর্কে সতর্ক হও, আর জেনে রেখো যে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ত্রানকর্তা, পরম সহিষ্ণু।
Surah Al-Baqara, Verse 235


لَّا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِن طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ مَا لَمۡ تَمَسُّوهُنَّ أَوۡ تَفۡرِضُواْ لَهُنَّ فَرِيضَةٗۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى ٱلۡمُوسِعِ قَدَرُهُۥ وَعَلَى ٱلۡمُقۡتِرِ قَدَرُهُۥ مَتَٰعَۢا بِٱلۡمَعۡرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلۡمُحۡسِنِينَ

তোমাদের অপরাধ হবে না যদি তোমরা তালাক দাও স্ত্রীদের যাদের এখনও তোমরা স্পর্শ করো নি বা দেয় যাদের জন্য ধার্য করো নি। আর তাদের জন্য ব্যবস্থা করো, ধনবানের ক্ষেত্রে তার সামর্থ্য অনুসারে ও অভাবীর ক্ষেত্রে তার সামর্থ্য অনুসারে, ব্যবস্থা হবে পুরোদস্তুরভাবে। সৎকর্মীদের জন্য একটি কর্তব্য।
Surah Al-Baqara, Verse 236


وَإِن طَلَّقۡتُمُوهُنَّ مِن قَبۡلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدۡ فَرَضۡتُمۡ لَهُنَّ فَرِيضَةٗ فَنِصۡفُ مَا فَرَضۡتُمۡ إِلَّآ أَن يَعۡفُونَ أَوۡ يَعۡفُوَاْ ٱلَّذِي بِيَدِهِۦ عُقۡدَةُ ٱلنِّكَاحِۚ وَأَن تَعۡفُوٓاْ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۚ وَلَا تَنسَوُاْ ٱلۡفَضۡلَ بَيۡنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ

কিন্তু যদি তোমরা তাদের তালাক দাও তাদের স্পর্শ করার আগে এবং ইতিমধ্যে দেয় তাদের জন্য ধার্য করে ফেলেছ, যা ধার্য করেছ তার অর্ধেক, যদি না তারা মাফ করে দেয় অথবা তারা মাফ করে দেয় যাদের হাতে রয়েছে বিবাহ-গ্রন্থি। আর যদি তোমরা দাবি ছেড়ে দাও তবে তা ধর্মপরায়ণতার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমাদের পরস্পরের মধ্যে সদয়তা ভুলে যেয়ো না। নিঃসন্দেহ তোমরা যা করো আল্লাহ্ তার দর্শক।
Surah Al-Baqara, Verse 237


حَٰفِظُواْ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلۡوُسۡطَىٰ وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ

হেফাজত করো নামাযগুলোর, বিশেষ করে সর্বোৎকৃষ্ট নামায, আর তোমরা খাড়া থেকো আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে পরম বিনয়ে।
Surah Al-Baqara, Verse 238


فَإِنۡ خِفۡتُمۡ فَرِجَالًا أَوۡ رُكۡبَانٗاۖ فَإِذَآ أَمِنتُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمۡ تَكُونُواْ تَعۡلَمُونَ

কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর তবে পায়ে চলে বা ঘোড়ায় চড়ে, কিন্তু যখন তোমরা নিরাপত্তা বোধ কর তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো যে ভাবে তিনি তোমাদের শিখিয়েছেন -- যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে না।
Surah Al-Baqara, Verse 239


وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوۡنَ مِنكُمۡ وَيَذَرُونَ أَزۡوَٰجٗا وَصِيَّةٗ لِّأَزۡوَٰجِهِم مَّتَٰعًا إِلَى ٱلۡحَوۡلِ غَيۡرَ إِخۡرَاجٖۚ فَإِنۡ خَرَجۡنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِي مَا فَعَلۡنَ فِيٓ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعۡرُوفٖۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٞ

আর তোমাদের মধ্যে যারা মারা যায় এবং রেখে যায় স্ত্রীদের, তাদের স্ত্রীদের জন্য এক বছরের ভরণ-পোষণের ওসিয়ৎ হওয়া চাই, তাদের বহিস্কার না ক’রে, কিন্তু তারা যদি চলে যায় তবে তোমাদের উপরে অপরাধ হবে না যা তারা নিজেদের ব্যাপারে সুসঙ্গতভাবে করে। আর আল্লাহ্ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Surah Al-Baqara, Verse 240


وَلِلۡمُطَلَّقَٰتِ مَتَٰعُۢ بِٱلۡمَعۡرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلۡمُتَّقِينَ

আর তালাক দেয়া নারীদের জন্যে ব্যবস্থা চাই পুরোদস্তুর মতে, ধর্মপরায়ণদের জন্য একটি কর্তব্য।
Surah Al-Baqara, Verse 241


كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ

এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁর বাণীসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যেন তোমরা বুঝতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 242


۞أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ خَرَجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَهُمۡ أُلُوفٌ حَذَرَ ٱلۡمَوۡتِ فَقَالَ لَهُمُ ٱللَّهُ مُوتُواْ ثُمَّ أَحۡيَٰهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشۡكُرُونَ

তুমি কি তাদের বিষয়ে ভাব নি যারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল মৃত্যুর ভয়ে, আর তারা হাজারে হাজারে ছিল? তারপর আল্লাহ্ তাদের বললেন -- ''তোমরা মরো’’ এরপর তিনি তাদের জীবনদান করলেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ অবশ্যই মানুষের প্রতি অশেষ করুণাময়, কিন্তু অধিকাংশ লোকেই শুকুরানা আদায় করে না।
Surah Al-Baqara, Verse 243


وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

আর আল্লাহ্‌র রাস্তায় সংগ্রাম করো, আর জেনে রেখো -- নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 244


مَّن ذَا ٱلَّذِي يُقۡرِضُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضۡعَافٗا كَثِيرَةٗۚ وَٱللَّهُ يَقۡبِضُ وَيَبۡصُۜطُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ

কে আছে যে আল্লাহ্‌কে কর্জ দেবে সর্বাঙ্গসুন্দর ঋণ? তিনি তখন তা বাড়িয়ে দেবেন তার জন্য বহুগুণিত করে। আর আল্লাহ্ গ্রহণ করেন ও তিনি সম্প্রসারণ করেন আর তাঁরই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে।
Surah Al-Baqara, Verse 245


أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلۡمَلَإِ مِنۢ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ مِنۢ بَعۡدِ مُوسَىٰٓ إِذۡ قَالُواْ لِنَبِيّٖ لَّهُمُ ٱبۡعَثۡ لَنَا مَلِكٗا نُّقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ قَالَ هَلۡ عَسَيۡتُمۡ إِن كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡقِتَالُ أَلَّا تُقَٰتِلُواْۖ قَالُواْ وَمَا لَنَآ أَلَّا نُقَٰتِلَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَدۡ أُخۡرِجۡنَا مِن دِيَٰرِنَا وَأَبۡنَآئِنَاۖ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡقِتَالُ تَوَلَّوۡاْ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنۡهُمۡۚ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِٱلظَّـٰلِمِينَ

তুমি কি মূসার পরবর্তীকালে ইসরাইলের বংশধরদের প্রধানদের বিষয়ে ভেবে দেখ নি, যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিল -- ''আমাদের জন্য একজন রাজা উত্থাপন করো যেন আমরা আল্লাহ্‌র পথে লড়তে পারি’’? তিনি বলেছিলেন -- ''এমনটা কি তোমাদের হবে যে তোমাদের জন্য যুদ্ধ বিধিবদ্ধ করা হলে তোমরা যুদ্ধ করবে না?’’ তারা বলেছিল -- ''আমাদের কী হয়েছে যে আমরা আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করবো না যখন আমরা আমাদের বাড়িঘর ও সন্তান-সন্ততি থেকে বিতাড়িত হয়েছি?’’ কিন্তু যখন তাদের জন্য যুদ্ধ বিধিবদ্ধ করা হলো, তারা ফিরে দাঁড়াল তাদের মধ্যের অল্প কয়েকজন ছাড়া। আর আল্লাহ্ অন্যায়কারীদের সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 246


وَقَالَ لَهُمۡ نَبِيُّهُمۡ إِنَّ ٱللَّهَ قَدۡ بَعَثَ لَكُمۡ طَالُوتَ مَلِكٗاۚ قَالُوٓاْ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ ٱلۡمُلۡكُ عَلَيۡنَا وَنَحۡنُ أَحَقُّ بِٱلۡمُلۡكِ مِنۡهُ وَلَمۡ يُؤۡتَ سَعَةٗ مِّنَ ٱلۡمَالِۚ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰهُ عَلَيۡكُمۡ وَزَادَهُۥ بَسۡطَةٗ فِي ٱلۡعِلۡمِ وَٱلۡجِسۡمِۖ وَٱللَّهُ يُؤۡتِي مُلۡكَهُۥ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ

আর তাদের নবী তাদের বলেছিলেন -- ''নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এখন তোমাদের জন্য তালুতকে রাজা করেছেন।’’ তারা বললে -- ''সে কেমন ক’রে আমাদের উপরে রাজত্ব পেতে পারে যখন রাজত্বে তার চাইতে আমাদেরই বেশী দাবী, আর তাকে ধনদৌলতের প্রাচুর্যও প্রদান করা হয় নি? তিনি বললেন -- ''নিশ্চয় আল্লাহ্ তাকে মনোনীত করেছেন তোমাদের উপরে, আর তিনি তাকে অগাধভাবে প্রাচুর্যও দিয়েছেন জ্ঞানে ও দেহে। আর আল্লাহ্ তাঁর রাজত্ব দেন যাকে ইচ্ছে করেন, কারণ আল্লাহ্ সর্বব্যাপ্ত, সর্বজ্ঞাতা।’’
Surah Al-Baqara, Verse 247


وَقَالَ لَهُمۡ نَبِيُّهُمۡ إِنَّ ءَايَةَ مُلۡكِهِۦٓ أَن يَأۡتِيَكُمُ ٱلتَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَبَقِيَّةٞ مِّمَّا تَرَكَ ءَالُ مُوسَىٰ وَءَالُ هَٰرُونَ تَحۡمِلُهُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لَّكُمۡ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ

আর তাদের নবী তাদের বলেছিলেন -- ''নিঃসন্দেহ তার রাজত্বের লক্ষণ এই যে তোমাদের কাছে আসবে 'তাবুত’ যাতে আছে তোমাদের প্রভুর তরফ থেকে প্রশান্তি, এবং মূসার বংশধরেরা ও হারূনের অনুগামীরা যা ছেড়ে গেছেন তার শ্রেষ্ঠাংশ, -- তা বহন করছে ফিরিশ্‌তারা। নিঃসন্দেহ এতে আছে তোমাদের জন্য নিদর্শন যদি তোমরা বিশ্বাসী হয়ে থাকো।
Surah Al-Baqara, Verse 248


فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِٱلۡجُنُودِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ مُبۡتَلِيكُم بِنَهَرٖ فَمَن شَرِبَ مِنۡهُ فَلَيۡسَ مِنِّي وَمَن لَّمۡ يَطۡعَمۡهُ فَإِنَّهُۥ مِنِّيٓ إِلَّا مَنِ ٱغۡتَرَفَ غُرۡفَةَۢ بِيَدِهِۦۚ فَشَرِبُواْ مِنۡهُ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنۡهُمۡۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُۥ هُوَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ قَالُواْ لَا طَاقَةَ لَنَا ٱلۡيَوۡمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦۚ قَالَ ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُواْ ٱللَّهِ كَم مِّن فِئَةٖ قَلِيلَةٍ غَلَبَتۡ فِئَةٗ كَثِيرَةَۢ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّـٰبِرِينَ

তারপর তালুত যখন সৈন্যদল নিয়ে অভিযান করলেন তখন বললেন -- ''নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের পরীক্ষা করবেন একটি নদী দিয়ে; তাই যে কেউ তার থেকে পান করবে সে আমার নয়, আর যে এর স্বাদ গ্রহণ করবে না সে নিঃসন্দেহ আমার, শুধু সে ছাড়া যে তার হাতে কোষ-পরিমাণ পান করে।’’ কিন্তু তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া তারা তা থেকে পান করেছিল। তারপর তিনি যখন উহা পার হয়ে গেলেন, তিনি ও যারা তাঁর সাথে ঈমান এনেছে, তারা বললে -- ''আজ আমাদের শক্তি নেই জালুত এবং তার সৈন্যদলের বিরুদ্ধে।’’ যারা নিশ্চিত ছিল যে তারা অবশ্যই আল্লাহ্‌র সাথে মুলাকাত করতে যাচ্ছে, তারা বললে -- ''কতবার ছোট দল আল্লাহ্‌র হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে, আর আল্লাহ্ অধ্যবসায়ীদের সাথে আছেন’’।
Surah Al-Baqara, Verse 249


وَلَمَّا بَرَزُواْ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالُواْ رَبَّنَآ أَفۡرِغۡ عَلَيۡنَا صَبۡرٗا وَثَبِّتۡ أَقۡدَامَنَا وَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আর যখন তারা জালুতের ও তার সৈন্যদলের মুখোমুখি হলো, তারা বললে -- ''আমাদের প্রভু! আমাদের প্রতি অধ্যবসায় বর্ষণ করো, আর আমাদের পদক্ষেপ মজবুত করো, আর অবিশ্বাসী দলের বিরুদ্ধে সাহায্য করো।’’
Surah Al-Baqara, Verse 250


فَهَزَمُوهُم بِإِذۡنِ ٱللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُۥدُ جَالُوتَ وَءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلۡمُلۡكَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَعَلَّمَهُۥ مِمَّا يَشَآءُۗ وَلَوۡلَا دَفۡعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعۡضَهُم بِبَعۡضٖ لَّفَسَدَتِ ٱلۡأَرۡضُ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ ذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ

অতএব আল্লাহ্‌র হুকুমে তারা তাদের পরাজিত করল, আর দাউদ হত্যা করলেন জালুতকে, আর আল্লাহ্ তাঁকে রাজত্ব ও জ্ঞান দিলেন, আর তাঁকে শেখালেন যা তিনি ইচ্ছা করলেন। আব মানুষদের যদি আল্লাহ্‌র প্রতিহতকরণ না হতো -- তাদের এক দলকে অন্য দলের দ্বারা -- তবে পৃথিবী নিঃসন্দেহ অরাজকতাপূর্ণ হতো। কিন্তু আল্লাহ্ সমস্ত সৃষ্টজগতের প্রতি অশেষ কৃপাময়।
Surah Al-Baqara, Verse 251


تِلۡكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتۡلُوهَا عَلَيۡكَ بِٱلۡحَقِّۚ وَإِنَّكَ لَمِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

এইসব হচ্ছে আল্লাহ্‌র বাণী, আমরা তোমার কাছে তা পাঠ করছি যথাযথভাবে, আর নিঃসন্দেহ তুমি রসূলদের অন্যতম।
Surah Al-Baqara, Verse 252


۞تِلۡكَ ٱلرُّسُلُ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۘ مِّنۡهُم مَّن كَلَّمَ ٱللَّهُۖ وَرَفَعَ بَعۡضَهُمۡ دَرَجَٰتٖۚ وَءَاتَيۡنَا عِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ٱلۡبَيِّنَٰتِ وَأَيَّدۡنَٰهُ بِرُوحِ ٱلۡقُدُسِۗ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقۡتَتَلَ ٱلَّذِينَ مِنۢ بَعۡدِهِم مِّنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ وَلَٰكِنِ ٱخۡتَلَفُواْ فَمِنۡهُم مَّنۡ ءَامَنَ وَمِنۡهُم مَّن كَفَرَۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقۡتَتَلُواْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَفۡعَلُ مَا يُرِيدُ

এইসব রসূল -- তাঁদের কাউকে আমরা অপর কারোর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাঁদের মধ্যে কারোর সাথে আল্লাহ্ কথা বলছেন এবং তাঁদের কাউকে তিনি বহুস্তর উন্নত করেছেন। আর আমরা মরিয়মের পুত্র ঈসাকে দিয়েছিলাম স্পষ্ট প্রমাণাবলী, আর আমরা তাঁকে বলীয়ান করি রূহুল ক্কুদুস্ দিয়ে। আর আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তবে তাঁদের পরবর্তীরা পরস্পর বিবাদ করতো না তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাবলী আসার পরেও, কিন্তু তারা মতবিরোধ করলো, কাজেই তাদের মধ্যে কেউ ঈমান আনলো ও তাদের কেউ অবিশ্বাস পোষণ করলো। কিন্তু আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তবে তারা পরস্পর লড়াই করতো না, কিন্তু আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তাই করে থাকেন।
Surah Al-Baqara, Verse 253


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَنفِقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰكُم مِّن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَ يَوۡمٞ لَّا بَيۡعٞ فِيهِ وَلَا خُلَّةٞ وَلَا شَفَٰعَةٞۗ وَٱلۡكَٰفِرُونَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! আমরা তোমাদের যা রিযেক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো সেই দিন আসবার আগে যে দিন দরদস্তুর করা চলবে না, বা বন্ধুত্ব থাকবে না বা সুপারিশ টিকবে না। আর অবিশ্বাসীরা -- তারাই অন্যায়কারী।
Surah Al-Baqara, Verse 254


ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةٞ وَلَا نَوۡمٞۚ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٖ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ

আল্লাহ্ -- তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, -- চিরজীবন্ত, সদা-বিদ্যমান, তন্দ্রা তাঁকে অভিভূত করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। তাঁরই হচ্ছে যা-কিছু আছে মহাকাশমন্ডলে এবং যা-কিছু পৃথিবীতে। কে আছে যে তাঁর দরবারে সুপারিশ করতে পারে তার অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন কি আছে তাদের সামনে এবং কি আছে তাদের পেছনে; আর তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা ধারণা করতে পারে না তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। তাঁর মহাসিংহাসন মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে ব্যাপ্ত; এদের উভয়ের হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না, আর তিনি সর্বোচ্চে অধিষ্ঠিত, মহামহিম।
Surah Al-Baqara, Verse 255


لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشۡدُ مِنَ ٱلۡغَيِّۚ فَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلطَّـٰغُوتِ وَيُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسۡتَمۡسَكَ بِٱلۡعُرۡوَةِ ٱلۡوُثۡقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

ধর্মে জবরদস্তি নেই, নিঃসন্দেহ সত্যপথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট করা হয়ে গেছে। অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্‌তে ঈমান আনে সেই তবে ধরেছে একটি শক্ত হাতল, -- তা কখনো ভাঙবার নয়। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 256


ٱللَّهُ وَلِيُّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَوۡلِيَآؤُهُمُ ٱلطَّـٰغُوتُ يُخۡرِجُونَهُم مِّنَ ٱلنُّورِ إِلَى ٱلظُّلُمَٰتِۗ أُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আল্লাহ্ তাদের পৃষ্ঠপোষক যারা ঈমান এনেছে, তিনি অন্ধকার থেকে তাদের আলোতে বের করে আনেন। আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে তাগুত, তারা আলোক থেকে তাদের বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, তারা তাতে থাকবে দীর্ঘকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 257


أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِي حَآجَّ إِبۡرَٰهِـۧمَ فِي رَبِّهِۦٓ أَنۡ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلۡمُلۡكَ إِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِـۧمُ رَبِّيَ ٱلَّذِي يُحۡيِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحۡيِۦ وَأُمِيتُۖ قَالَ إِبۡرَٰهِـۧمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأۡتِي بِٱلشَّمۡسِ مِنَ ٱلۡمَشۡرِقِ فَأۡتِ بِهَا مِنَ ٱلۡمَغۡرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِي كَفَرَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ

তুমি কি তার কথা ভেবে দেখো নি যে ইব্রাহীমের সাথে তাঁর প্রভুর সন্বন্ধে ঝগড়া করছিল যেহেতু আল্লাহ্ তাঁকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? স্মরণ করো! ইব্রাহীম বলেছিলেন -- ''আমার প্রভু তিনি যিনি জীবনদান করেন এবং মৃত্যু ঘটান।’’ সে বলল -- ''আমি জীবন দিয়ে রাখতে পারি এবং মৃত্যু ঘটাতে পারি।’’ ইব্রাহীম বলেছিলেন -- ''আল্লাহ্ কিন্তু সূর্যকে পূর্বদিক থেকে নিয়ে আসেন তুমি তাহলে তাকে পশ্চিমদিক থেকে নিয়ে এস।’’ এইভাবে সে হেরে গেল যে অবিশ্বাস পোষণ করেছিল। আর আল্লাহ্ জুলুমকারী জাতিকে হেদায়ত করেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 258


أَوۡ كَٱلَّذِي مَرَّ عَلَىٰ قَرۡيَةٖ وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحۡيِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعۡدَ مَوۡتِهَاۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِاْئَةَ عَامٖ ثُمَّ بَعَثَهُۥۖ قَالَ كَمۡ لَبِثۡتَۖ قَالَ لَبِثۡتُ يَوۡمًا أَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٖۖ قَالَ بَل لَّبِثۡتَ مِاْئَةَ عَامٖ فَٱنظُرۡ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمۡ يَتَسَنَّهۡۖ وَٱنظُرۡ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجۡعَلَكَ ءَايَةٗ لِّلنَّاسِۖ وَٱنظُرۡ إِلَى ٱلۡعِظَامِ كَيۡفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكۡسُوهَا لَحۡمٗاۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعۡلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

অথবা, তাঁর কথা যিনি যাচ্ছিলেন এক শহরের পাশ দিয়ে, আর তা ভেঙ্গে পড়েছিল তার ছাদ সহ? তিনি বলেছিলেন -- ''কেমন ক’রে আল্লাহ্ একে পুনরুজ্জীবিত করবেন তার মৃত্যুর পরে?’’ এরপর আল্লাহ্ তাঁকে শতবৎসরকাল মৃতবৎ করে রাখলেন, তারপর তিনি তাঁকে পুনরুত্থিত করলেন। তিনি বললেন -- ''কত সময় তুমি কাটিয়েছ?’’ তিনি বললেন -- ''আমি কাটিয়েছি একটি দিন, বা এক দিনের কিছু অংশ।’’ তিনি বললেন -- ''না, তুমি কাটিয়েছ একশত বছর, কাজেই তোমার খাদ্য ও তোমার পানীয়ের দিকে তাকাও, বয়স উহাকে বয়স্ক করে নি, আর তোমার গাধার দিকে তাকাও, আর যেন তোমাকে মানবগোষ্ঠীর জন্য নিদর্শন করতে পারি, আর এই হাড়গুলোর দিকে তাকাও, কেমন ক’রে আমরা সে-সব গুছিয়েছি ও সেগুলোকে মাংস দিয়ে ঢেকেছি।’’ আর যখন তাঁর কাছে পরিস্কার হলো তিনি বললেন -- ''আমি এখন জানি যে আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।’’
Surah Al-Baqara, Verse 259


وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِـۧمُ رَبِّ أَرِنِي كَيۡفَ تُحۡيِ ٱلۡمَوۡتَىٰۖ قَالَ أَوَلَمۡ تُؤۡمِنۖ قَالَ بَلَىٰ وَلَٰكِن لِّيَطۡمَئِنَّ قَلۡبِيۖ قَالَ فَخُذۡ أَرۡبَعَةٗ مِّنَ ٱلطَّيۡرِ فَصُرۡهُنَّ إِلَيۡكَ ثُمَّ ٱجۡعَلۡ عَلَىٰ كُلِّ جَبَلٖ مِّنۡهُنَّ جُزۡءٗا ثُمَّ ٱدۡعُهُنَّ يَأۡتِينَكَ سَعۡيٗاۚ وَٱعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٞ

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীন বললেন -- ''আমার প্রভু! আমাকে দেখাও কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করো।’’ তিনি বললেন -- ''তুমি কি বিশ্বাস করো না?’’ তিনি বললেন,''না, তবে যাতে আমার হৃদয় শান্ত হয়।’’ তিনি বললেন -- ''তা হলে পাখীদের চারটি তুমি নাও ও তাদের তোমার প্রতি অনুগত করো, তারপর প্রতিটি পাহাড়ে তাদের এক একটি অংশ স্থাপন করো, তারপর তাদের ডাক দাও, তারা ছুটে আসবে তোমার কাছে। আর জেনে রেখো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।’’
Surah Al-Baqara, Verse 260


مَّثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنۢبُلَةٖ مِّاْئَةُ حَبَّةٖۗ وَٱللَّهُ يُضَٰعِفُ لِمَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

যারা তাদের ধনসম্পত্তি আল্লাহ্‌র পথে খরচ করে তাদের উপমা হচ্ছে একটি শস্যবীজের উপমার ন্যায়, তা উৎপাদন করে সাতটি শিষ, প্রতিটি শিষে থাকে একশত শস্য। আর আল্লাহ্ বহুগুণিত করেন যার জন্য ইচ্ছা করেন, কারণ আল্লাহ্‌, মহাদানশীল সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 261


ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ثُمَّ لَا يُتۡبِعُونَ مَآ أَنفَقُواْ مَنّٗا وَلَآ أَذٗى لَّهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

যারা তাদের ধনসম্পত্তি আল্লাহ্‌র পথে খরচ ক’রে, তারপর যা তারা খরচ করেছে তারা তার পশ্চাদ্ধাবন করে না কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করতে বা আঘাত হানতে, তাদের জন্য পুরস্কার আছে তাদের প্রভুর দরবারে, কাজেই তাদের উপরে কোনো ভয় নেই, আর তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 262


۞قَوۡلٞ مَّعۡرُوفٞ وَمَغۡفِرَةٌ خَيۡرٞ مِّن صَدَقَةٖ يَتۡبَعُهَآ أَذٗىۗ وَٱللَّهُ غَنِيٌّ حَلِيمٞ

সদয় আলাপ এবং ক্ষমা করা বহু ভালো সেই দানের চেয়ে যাকে অনুসরণ করা হয় উৎপীড়ন দিয়ে। আর আল্লাহ্ স্বয়ং-সমৃদ্ধ, ধৈর্যশীল।
Surah Al-Baqara, Verse 263


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُبۡطِلُواْ صَدَقَٰتِكُم بِٱلۡمَنِّ وَٱلۡأَذَىٰ كَٱلَّذِي يُنفِقُ مَالَهُۥ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۖ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ صَفۡوَانٍ عَلَيۡهِ تُرَابٞ فَأَصَابَهُۥ وَابِلٞ فَتَرَكَهُۥ صَلۡدٗاۖ لَّا يَقۡدِرُونَ عَلَىٰ شَيۡءٖ مِّمَّا كَسَبُواْۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের দানখয়রাতকে ব্যর্থ করে দিয়ো না কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে ও আঘাত হেনে, তার মতো যে তার ধনসম্পত্তি খরচ করে লোকদের দেখানোর জন্যে এবং যে ঈমান আনে না আল্লাহ্‌র প্রতি ও আখেরাতের দিনে। কাজেই তার উদাহরণ হচ্ছে মসৃণ পাথরের উপমার মতো, যার উপরে আছে ধুলোমাটি, তখন তার উপরে নামে ঝড়বৃষ্টি, গতিকে তাকে ফেলে রাখে খালি করে! তারা যা অর্জন করেছে তার কোনো-কিছুর উপরেও তাদের কর্তৃত্ব থকে না। আর আল্লাহ্ অবিশ্বাসী লোকদের হেদায়ত করেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 264


وَمَثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمُ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِ وَتَثۡبِيتٗا مِّنۡ أَنفُسِهِمۡ كَمَثَلِ جَنَّةِۭ بِرَبۡوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٞ فَـَٔاتَتۡ أُكُلَهَا ضِعۡفَيۡنِ فَإِن لَّمۡ يُصِبۡهَا وَابِلٞ فَطَلّٞۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ

আর যারা তাদের ধনদৌলত খরচ করে আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি কামনা ক’রে এবং তাদের আ‌ত্মার দৃঢ়প্রত্যয় জন্মাবার জন্যে, তাদের উদাহরণ হচ্ছে টিলার উপরের বাগানের উপমার মতো, যার উপরে নামে বৃষ্টিধারা, তাতে তার ফল দ্বিগুণ হয়ে আসে, আর যদি তাতে বৃষ্টিধারা নাও নামে তবে শিশিরপাত। আর তারা যা করে আল্লাহ্ তার দর্শক।
Surah Al-Baqara, Verse 265


أَيَوَدُّ أَحَدُكُمۡ أَن تَكُونَ لَهُۥ جَنَّةٞ مِّن نَّخِيلٖ وَأَعۡنَابٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ لَهُۥ فِيهَا مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ وَأَصَابَهُ ٱلۡكِبَرُ وَلَهُۥ ذُرِّيَّةٞ ضُعَفَآءُ فَأَصَابَهَآ إِعۡصَارٞ فِيهِ نَارٞ فَٱحۡتَرَقَتۡۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَتَفَكَّرُونَ

তোমাদের মধ্যে কি কেউ আশা করে যে তার খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হোক, যার নিচে দিয়ে বয়ে চলে ঝরনারাজি, অথচ তার সন্তানরা দুর্বল, এমতাবস্থায় তাকে পাকড়ালো ঘুর্ণিঝড়ে, যাতে রয়েছে আগুনের হলকা, ফলে তা পুড়ে গেল! এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁর বাণীসমূহ সুস্পষ্ট করে থাকেন যেন তোমরা চিন্তা করতে পার।
Surah Al-Baqara, Verse 266


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَنفِقُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا كَسَبۡتُمۡ وَمِمَّآ أَخۡرَجۡنَا لَكُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِۖ وَلَا تَيَمَّمُواْ ٱلۡخَبِيثَ مِنۡهُ تُنفِقُونَ وَلَسۡتُم بِـَٔاخِذِيهِ إِلَّآ أَن تُغۡمِضُواْ فِيهِۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! খরচ করো ভালো বিষয়বস্তু যা তোমরা উপার্জন কর, আর যা আমরা তোমাদের জন্য মাটি থেকে উৎপাদন করে থাকি তা থেকে, আর যা নিকৃষ্ট তা থেকে খরচ করতে সংকল্প করো না যখন তোমরা নিজেরা তার গ্রহণকারী হও না, এর প্রতি উপেক্ষা করা ছাড়া। আর জেনে রেখো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ স্বয়ংসমৃদ্ধ, পরম প্রশংসিত।
Surah Al-Baqara, Verse 267


ٱلشَّيۡطَٰنُ يَعِدُكُمُ ٱلۡفَقۡرَ وَيَأۡمُرُكُم بِٱلۡفَحۡشَآءِۖ وَٱللَّهُ يَعِدُكُم مَّغۡفِرَةٗ مِّنۡهُ وَفَضۡلٗاۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ

শয়তান তোমাদের দরিদ্রতার ধমক দেয়, আর তোমাদের তাড়া করে গর্হিত কাজে, অথচ আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি‌শ্রুতি দেন তাঁর কাছ থেকে পরিত্রাণের এবং প্রাচুর্যের। আর আল্লাহ্‌, মহাবদান্য, সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 268


يُؤۡتِي ٱلۡحِكۡمَةَ مَن يَشَآءُۚ وَمَن يُؤۡتَ ٱلۡحِكۡمَةَ فَقَدۡ أُوتِيَ خَيۡرٗا كَثِيرٗاۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ

তিনি জ্ঞানদান করেন যাকে ইছে করেন, আর যাকে জ্ঞান দেওয়া হয় তাকে অবশ্যই অপার কল্যাণ দেওয়া হয়েছে। আর বোধশক্তির অধিকারী ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারে না।
Surah Al-Baqara, Verse 269


وَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن نَّفَقَةٍ أَوۡ نَذَرۡتُم مِّن نَّذۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُهُۥۗ وَمَا لِلظَّـٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٍ

আর দানের জন্য যা-কিছু তোমরা খরচ কর, অথবা ব্রতের মধ্যে যাই তোমরা সংকল্প কর, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তা জানেন। আর অন্যায়কারীদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।
Surah Al-Baqara, Verse 270


إِن تُبۡدُواْ ٱلصَّدَقَٰتِ فَنِعِمَّا هِيَۖ وَإِن تُخۡفُوهَا وَتُؤۡتُوهَا ٱلۡفُقَرَآءَ فَهُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۚ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّـَٔاتِكُمۡۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ

তোমরা যদি দানখয়রাত প্রকাশ কর তবে তা কতো ভালো! আর যদি তা গোপন রেখে দরিদ্রদের দান কর তা হলে তোমাদের জন্য তা আরও মঙ্গলময়! আর তোমাদের গর্হিত ক্রিয়াকর্ম হতে তোমাদের এতে প্রায়শ্চিত হবে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ তার ওয়াকিফহাল।
Surah Al-Baqara, Verse 271


۞لَّيۡسَ عَلَيۡكَ هُدَىٰهُمۡ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَهۡدِي مَن يَشَآءُۗ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَلِأَنفُسِكُمۡۚ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ ٱللَّهِۚ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يُوَفَّ إِلَيۡكُمۡ وَأَنتُمۡ لَا تُظۡلَمُونَ

তাদের হেদায়ত করার দায়িত্ব তোমার উপরে নয়, কিন্তু আল্লাহ্ হেদায়ত করেন যাদের তিনি ইচ্ছা করেন। আর ভালো জিনিসের যা-কিছু তোমরা খরচ কর তা তোমাদের নিজেদের জন্য, আর তোমরা আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছাড়া খরচ করো না। আর ভালো যা-কিছু তোমরা খরচ কর তা তোমাদের পুরোপুরি প্রদান করা হবে, আর তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 272


لِلۡفُقَرَآءِ ٱلَّذِينَ أُحۡصِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ ضَرۡبٗا فِي ٱلۡأَرۡضِ يَحۡسَبُهُمُ ٱلۡجَاهِلُ أَغۡنِيَآءَ مِنَ ٱلتَّعَفُّفِ تَعۡرِفُهُم بِسِيمَٰهُمۡ لَا يَسۡـَٔلُونَ ٱلنَّاسَ إِلۡحَافٗاۗ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

দরিদ্রদের জন্য যারা আল্লাহ্‌র পথে আটকা পড়ে রয়েছে, -- তারা পৃথিবীতে চলাফেরা করতে অপারগ। অজানা লোকে তাদের ধনী বলে ভাবে তাদের বিরত থাকার দরুন। তুমি তাদের চিনতে পারবে তাদের চেহারাতে। তারা লোকের কাছে ধরনা দিয়ে ভিক্ষা করে না। আর ভালো জিনিসের যা-কিছু তোমরা খরচ করো সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ নিশ্চয় সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 273


ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُم بِٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗ فَلَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

যারা তাদের ধনদৌলত দিবারাত্রি গোপনে ও প্রকাশ্যভাবে খরচ করে থাকে, তাদের জন্যে নিজ নিজ পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রভুর দরবারে, আর তাদের উপরে কোনো ভয় নেই, আর তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 274


ٱلَّذِينَ يَأۡكُلُونَ ٱلرِّبَوٰاْ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِي يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيۡطَٰنُ مِنَ ٱلۡمَسِّۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَالُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡبَيۡعُ مِثۡلُ ٱلرِّبَوٰاْۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلۡبَيۡعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰاْۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوۡعِظَةٞ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمۡرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَنۡ عَادَ فَأُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ

যারা সুদ খায় তারা দাঁড়াতে পারে না তার মতো দাঁড়ানো ছাড়া যাকে শয়তান তার স্পর্শের দ্বারা পাতিত করেছে। এমন হবে কেননা তারা বলে -- ''ব্যবসা-বাণিজ্য তো সুদী-কারবারের মতোই।’’ কিন্তু আল্লাহ্ বৈধ করেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য, অথচ নিষিদ্ধ করেছেন সুদখুরি। অতএব যার কাছে তারা প্রভুর তরফ থেকে এই নির্দেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে তার জন্যে যা গত হয়ে গেছে, আর তার ব্যাপার রইল আল্লাহ্‌র কাছে। আর যে ফিরে যায় তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, এতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল।
Surah Al-Baqara, Verse 275


يَمۡحَقُ ٱللَّهُ ٱلرِّبَوٰاْ وَيُرۡبِي ٱلصَّدَقَٰتِۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ

আল্লাহ্ সুদখুরিকে নিষ্ফল করেছেন, এবং দান-খয়রাতকে অগ্রগামী করেছেন। আর আল্লাহ্ সকল অবিশ্বাসী পাপীকে ভালোবাসেন না।
Surah Al-Baqara, Verse 276


إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ لَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ

নিঃসন্দেহ যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করে, আর নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাদের জন্যে নিজ নিজ পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রভুর দরবারে, আর তাদের উপরে কোনো ভয় নেই, এবং তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 277


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَذَرُواْ مَا بَقِيَ مِنَ ٱلرِّبَوٰٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করো, আর সুদের বাবদ বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা ঈমানদার হও।
Surah Al-Baqara, Verse 278


فَإِن لَّمۡ تَفۡعَلُواْ فَأۡذَنُواْ بِحَرۡبٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۖ وَإِن تُبۡتُمۡ فَلَكُمۡ رُءُوسُ أَمۡوَٰلِكُمۡ لَا تَظۡلِمُونَ وَلَا تُظۡلَمُونَ

কিন্তু যদি তোমরা না করো তবে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে সংগ্রামের ঘোষণা জেনে রেখো। আর যদি তোমরা ফেরো তবে তোমাদের জন্য রইল তোমাদের ধনসম্পত্তির আসলভাগ। অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিতও হয়ো না।
Surah Al-Baqara, Verse 279


وَإِن كَانَ ذُو عُسۡرَةٖ فَنَظِرَةٌ إِلَىٰ مَيۡسَرَةٖۚ وَأَن تَصَدَّقُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

আর যদি সে অসচ্ছল অবস্থায় থাকে তবে মূলতবি রাখো যতক্ষণ না সচ্ছলতা আসে। আর যদি দান করে দাও তবে তা তোমাদের জন্য আরো উত্তম, -- যদি তোমরা জানতে।
Surah Al-Baqara, Verse 280


وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا تُرۡجَعُونَ فِيهِ إِلَى ٱللَّهِۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا كَسَبَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ

আর হুশিয়াঁর হও সেই দিন সন্বন্ধে যেদিন তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে আল্লাহ্‌র তরফে, তখন প্রত্যেক লোককে পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে যা সে অর্জন করেছে, আর তাদের অন্যায় করা হবে না।
Surah Al-Baqara, Verse 281


يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيۡنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗى فَٱكۡتُبُوهُۚ وَلۡيَكۡتُب بَّيۡنَكُمۡ كَاتِبُۢ بِٱلۡعَدۡلِۚ وَلَا يَأۡبَ كَاتِبٌ أَن يَكۡتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ ٱللَّهُۚ فَلۡيَكۡتُبۡ وَلۡيُمۡلِلِ ٱلَّذِي عَلَيۡهِ ٱلۡحَقُّ وَلۡيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا يَبۡخَسۡ مِنۡهُ شَيۡـٔٗاۚ فَإِن كَانَ ٱلَّذِي عَلَيۡهِ ٱلۡحَقُّ سَفِيهًا أَوۡ ضَعِيفًا أَوۡ لَا يَسۡتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلۡيُمۡلِلۡ وَلِيُّهُۥ بِٱلۡعَدۡلِۚ وَٱسۡتَشۡهِدُواْ شَهِيدَيۡنِ مِن رِّجَالِكُمۡۖ فَإِن لَّمۡ يَكُونَا رَجُلَيۡنِ فَرَجُلٞ وَٱمۡرَأَتَانِ مِمَّن تَرۡضَوۡنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحۡدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحۡدَىٰهُمَا ٱلۡأُخۡرَىٰۚ وَلَا يَأۡبَ ٱلشُّهَدَآءُ إِذَا مَا دُعُواْۚ وَلَا تَسۡـَٔمُوٓاْ أَن تَكۡتُبُوهُ صَغِيرًا أَوۡ كَبِيرًا إِلَىٰٓ أَجَلِهِۦۚ ذَٰلِكُمۡ أَقۡسَطُ عِندَ ٱللَّهِ وَأَقۡوَمُ لِلشَّهَٰدَةِ وَأَدۡنَىٰٓ أَلَّا تَرۡتَابُوٓاْ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً حَاضِرَةٗ تُدِيرُونَهَا بَيۡنَكُمۡ فَلَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَلَّا تَكۡتُبُوهَاۗ وَأَشۡهِدُوٓاْ إِذَا تَبَايَعۡتُمۡۚ وَلَا يُضَآرَّ كَاتِبٞ وَلَا شَهِيدٞۚ وَإِن تَفۡعَلُواْ فَإِنَّهُۥ فُسُوقُۢ بِكُمۡۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা যখন কোনো লেনদেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পরের মধ্যে সম্পাদিত কর তখন তা লিখে রাখো, এবং লেখকজন যেন তোমাদের মধ্যে লিখে রাখুক ন্যাসঙ্গতভাবে, আর লেখক যেন লিখতে অস্বীকার না করে, কেননা আল্লাহ্ তাকে শিখিয়েছেন, কাজেই সে লিখুক। আর যার উপরে দেনার দায় সে বলে যাবে, আর সে তার প্রভু আল্লাহ্‌কে যেন ভয়-ভক্তি করে, এবং তা’ থেকে কোনো কিছু যেন কম না করে। কিন্তু যার উপরে দেনার দায় সে যদি অল্পবুদ্ধি বা জরাগ্রস্ত হয়, অথবা তা বলে যেতে অপারগ হয় তবে তার অভিভাবক বলে যাক ন্যায়সঙ্গতভাবে। আর তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে দুইজন সাক্ষীকে সাক্ষী মনোনীত করো। কিন্তু যদি দুইজন পুরুষকে পাওয়া না যায় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলাকে -- তাদের মধ্যে থেকে যাদের তোমরা সাক্ষী মনোনীত কর, যাতে তাদের দুজনের একজন যদি ভুল করে তবে তাদের অন্য একজন মনে করিয়ে দেবে। আর সাক্ষীরা যেন অস্বীকার না করে যখন তাদের ডাকা হয়। আর এটা লিখে নিতে অমনোযোগী হয়ো না -- ছোট হোক বা বড় হোক -- তার মেয়াদ সমেত। এ আল্লাহ্‌র কাছে বেশী ন্যায়সঙ্গত ও সাক্ষ্যের জন্য বেশী নির্ভরযোগ্য, এবং তোমরা যাতে সন্দেহ না করো সেজন্যেও এ সব চাইতে ভালো, তবে হাতের কাছের পণ্যসামগ্রী হলে তোমাদের মধ্যে তার বিনিময়ের ক্ষেত্র ব্যতীত, তখন তোমাদের অপরাধ হবে না যদি তোমরা তা লেখাপড়া না করো। আর সাক্ষী রাখো যখন তোমরা একে অন্যের কাছে বিক্রি করো। আর লেখকজন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আর সাক্ষীও যেন না হয়। কিন্তু যদি তোমরা কর তবে তা নিশ্চয়ই তোমাদের পক্ষে দুস্কার্য হবে। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো, কারণ আল্লাহ্ তোমাদের শিখিয়েছেন। আর আল্লাহ্ সব-কিছু সন্বন্দে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 282


۞وَإِن كُنتُمۡ عَلَىٰ سَفَرٖ وَلَمۡ تَجِدُواْ كَاتِبٗا فَرِهَٰنٞ مَّقۡبُوضَةٞۖ فَإِنۡ أَمِنَ بَعۡضُكُم بَعۡضٗا فَلۡيُؤَدِّ ٱلَّذِي ٱؤۡتُمِنَ أَمَٰنَتَهُۥ وَلۡيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥۗ وَلَا تَكۡتُمُواْ ٱلشَّهَٰدَةَۚ وَمَن يَكۡتُمۡهَا فَإِنَّهُۥٓ ءَاثِمٞ قَلۡبُهُۥۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ

আর যদি তোমরা সফরে থাক এবং লেখক না পাও তবে বন্ধক নিতে পার। কিন্তু তোমাদের কেউ যদি অন্যের কাছে বিশ্বাসস্থাপন করে তবে যাকে বিশ্বাস করা হল সে তার আমানত ফেরত দিক, আর তার প্রভু আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করুক। আর সাক্ষ্য গোপন করবে না, কারণ যে তা গোপন করে তার হৃদয় নিঃসন্দেহ পাপপূর্ণ। আর তোমরা যা করো আল্লাহ্ সে-সন্বন্ধে স র্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Baqara, Verse 283


لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ

আল্লাহ্‌রই যা-কিছু আছে মহাকাশমন্ডলে ও যা-কিছু আছে পৃথিবীতে। আর তোমাদের অন্তরে যা আছে তা প্রকাশ করো, বা তা লুকিয়ে রাখো, আল্লাহ্ তার জন্য তোমাদের হিসেব-নিকেশ নেবেন। কাজেই যাকে তিনি ইচ্ছা করবেন পরিত্রাণ করবেন এবং যাকে ইচ্ছা করবেন শাস্তিও দেবেন। আর আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।
Surah Al-Baqara, Verse 284


ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ

রসূল ঈমান এনেছেন যা তাঁর প্রভুর কাছ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে, আর বিশ্বাসীরাও। তারা সবাই ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌তে, আর তাঁর ফিরিশ্‌তাগণে, আর তাঁর কিতাবসমূহে, আর তাঁর রসূলগণে, -- ''আমরা তাঁর রসূলদের কোনোজনের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না।’’ তারা আরও বলে -- ''আমরা শুনি আর আমরা পালন করি, হে আমাদের প্রভু! তোমার পরিত্রাণ, আর তোমারই কাছে গন্তব্যপথ।’’
Surah Al-Baqara, Verse 285


لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আল্লাহ্ কোনো সত্তার উপরে তার ক্ষমতার অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। তার অনুকূলে রয়েছে সে যা-কিছু অর্জন করেছে, আর তার প্রতিকূলে রয়েছে যা-কিছু সে কামিয়েছে। ''আমাদের প্রভু, আমাদের পাকড়াও করো না যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, হে আমাদের প্রভু! আর আমাদের উপরে তেমন বোঝা চাপিও না যেমন তুমি তা চাপিয়েছিলে তাদের উপরে যারা ছিল আমাদের পূর্ববর্তী, আমাদের প্রভু! আর আমাদের উপরে তেমন ভার তুলে দিয়ো না যার সামর্থ্য আমাদের নেই। অতএব তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও, আর আমাদের তুমি রক্ষা করে রাখো, আর আমাদের প্রতি তুমি করুণা বর্ষণ করো। তুমিই আমাদের পৃষ্ঠপোষক, অতএব অবিশ্বাসিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের তুমি সাহায্য করো।’’
Surah Al-Baqara, Verse 286


Author: Zohurul Hoque


<< Surah 1
>> Surah 3

Bengali Translations by other Authors


Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Abu Bakr Zakaria
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Muhiuddin Khan
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Bengali Translation By Zohurul Hoque
Popular Areas
Apartments for rent in Dubai Apartments for rent Abu Dhabi Villas for rent in Dubai House for rent Abu Dhabi Apartments for sale in Dubai Apartments for sale in Abu Dhabi Flat for rent Sharjah
Popular Searches
Studios for rent in UAE Apartments for rent in UAE Villas for rent in UAE Apartments for sale in UAE Villas for sale in UAE Land for sale in UAE Dubai Real Estate
Trending Areas
Apartments for rent in Dubai Marina Apartments for sale in Dubai Marina Villa for rent in Sharjah Villa for sale in Dubai Flat for rent in Ajman Studio for rent in Abu Dhabi Villa for rent in Ajman
Trending Searches
Villa for rent in Abu Dhabi Shop for rent in Dubai Villas for sale in Ajman Studio for rent in Sharjah 1 Bedroom Apartment for rent in Dubai Property for rent in Abu Dhabi Commercial properties for sale
© Copyright Dubai Prayer Time. All Rights Reserved
Designed by Prayer Time In Dubai