Surah Al-Fath - Bengali Translation by Zohurul Hoque
إِنَّا فَتَحۡنَا لَكَ فَتۡحٗا مُّبِينٗا
আমরা নিশ্চয় তোমাকে বিজয় দিয়েছি একটি উজ্জ্বল বিজয়
Surah Al-Fath, Verse 1
لِّيَغۡفِرَ لَكَ ٱللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِن ذَنۢبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكَ وَيَهۡدِيَكَ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا
এ জন্য যে আল্লাহ্ যেন তোমাকে মুক্তি দিতে পারেন তোমার সেই সব অপরাধ থেকে যা গত হয়ে গেছে ও যা রয়ে গেছে, আর যেন তোমার উপরে তাঁর অনুগ্রহ পূর্ণাঙ্গ করতে পারেন, আর যেন তোমাকে পরিচালিত করতে পারেন সহজ-সঠিক পথ দিয়ে
Surah Al-Fath, Verse 2
وَيَنصُرَكَ ٱللَّهُ نَصۡرًا عَزِيزًا
আর যেন আল্লাহ্ তোমাকে সাহায্য করতে পারেন এক বলিষ্ঠ সাহায্যে।
Surah Al-Fath, Verse 3
هُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ لِيَزۡدَادُوٓاْ إِيمَٰنٗا مَّعَ إِيمَٰنِهِمۡۗ وَلِلَّهِ جُنُودُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
তিনিই সেইজন যিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি বর্ষণ করেছেন যেন তিনি তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর মহাকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই, আর আল্লাহ্ হচ্ছেন সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী
Surah Al-Fath, Verse 4
لِّيُدۡخِلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ جَنَّـٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَيُكَفِّرَ عَنۡهُمۡ سَيِّـَٔاتِهِمۡۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عِندَ ٱللَّهِ فَوۡزًا عَظِيمٗا
যেন তিনি মুমিন পুরুষদের ও মুমিন নারীদের প্রবেশ করাতে পারেন জান্নাতে যাদের নিচে দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি, তারা সে- সবে অবস্থান করবে, আর তিনি তাদের থকে তাদের দোষত্রুটি মোচন করবেন। আর এটি আল্লাহ্র কাছে এক মহাসাফল্য
Surah Al-Fath, Verse 5
وَيُعَذِّبَ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡمُنَٰفِقَٰتِ وَٱلۡمُشۡرِكِينَ وَٱلۡمُشۡرِكَٰتِ ٱلظَّآنِّينَ بِٱللَّهِ ظَنَّ ٱلسَّوۡءِۚ عَلَيۡهِمۡ دَآئِرَةُ ٱلسَّوۡءِۖ وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ وَلَعَنَهُمۡ وَأَعَدَّ لَهُمۡ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرٗا
আর যেন তিনি শাস্তি দিতে পারেন মুনাফিক পুরুষদের ও মুনাফিক নারীদের এবং মুশরিক পুরুষদের ও মুশরিক নারীদের -- যারা আল্লাহ্ সন্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা ধারণ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে দুস্কর্ম ঘুরে আসবে, আর আল্লাহ্ তাদের উপরে রাগ করেছেন এবং তাদের ধিক্কার দিয়েছেন, আর তাদের জন্য তিনি জাহান্নাম তৈরি করেছেন। আর কত নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল
Surah Al-Fath, Verse 6
وَلِلَّهِ جُنُودُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
আর মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহর। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Surah Al-Fath, Verse 7
إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ شَٰهِدٗا وَمُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا
আমরা নিশ্চয়ই তোমাকে পাঠিয়েছি একজন সাক্ষীরূপে, আর সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে
Surah Al-Fath, Verse 8
لِّتُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُۚ وَتُسَبِّحُوهُ بُكۡرَةٗ وَأَصِيلًا
যেন তোমরা আল্লাহ্র প্রতি ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনতে পার, এবং তাঁকে সাহায্য করতে ও সম্মান করতে পার, আর যেন তোমরা তাঁর নামজপ করতে পার ভোরে ও সন্ধ্যায়।
Surah Al-Fath, Verse 9
إِنَّ ٱلَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ ٱللَّهَ يَدُ ٱللَّهِ فَوۡقَ أَيۡدِيهِمۡۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦۖ وَمَنۡ أَوۡفَىٰ بِمَا عَٰهَدَ عَلَيۡهُ ٱللَّهَ فَسَيُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا
নিঃসন্দেহ যারা তোমার কাছে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে তারা নিশ্চয় আনুগত্যের শপথ নিচ্ছে আল্লাহ্র কাছে, -- আল্লাহ্র হাত ছিল তাদের হাতের উপরে। সুতরাং যে কেউ ভঙ্গ করে সে তো তবে ভঙ্গ করছে তার নিজেরই বিরুদ্ধে। আর যে কেউ পূরণ করে যে ওয়াদা সে আল্লাহ্র সঙ্গে করেছে তা, তাকে তবে তিনি প্রদান করবেন এক বিরাট প্রতিদান।
Surah Al-Fath, Verse 10
سَيَقُولُ لَكَ ٱلۡمُخَلَّفُونَ مِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ شَغَلَتۡنَآ أَمۡوَٰلُنَا وَأَهۡلُونَا فَٱسۡتَغۡفِرۡ لَنَاۚ يَقُولُونَ بِأَلۡسِنَتِهِم مَّا لَيۡسَ فِي قُلُوبِهِمۡۚ قُلۡ فَمَن يَمۡلِكُ لَكُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيۡـًٔا إِنۡ أَرَادَ بِكُمۡ ضَرًّا أَوۡ أَرَادَ بِكُمۡ نَفۡعَۢاۚ بَلۡ كَانَ ٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرَۢا
বেদুইনদের মধ্যের যারা পেছনে রয়ে গিয়েছিল তারা শীঘ্রই তোমাকে বলবে -- ''আমাদের ধনসম্পত্তি ও আমাদের পরিবার- পরিজন আমাদের মশগুল করে রেখেছিল, সেজন্য আমাদের জন্য আপনি ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’’ তারা তাদের জিব দিয়ে এমন সব বলে যা তাদের অন্তরে নেই। তুমি বল -- ''কে তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য কিছু করবার ক্ষমতা রাখে যদি তিনি তোমাদের অপকার করতে চান অথবা তোমাদের উপকার করতে চান? বস্তুত তোমরা যা কর সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
Surah Al-Fath, Verse 11
بَلۡ ظَنَنتُمۡ أَن لَّن يَنقَلِبَ ٱلرَّسُولُ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِلَىٰٓ أَهۡلِيهِمۡ أَبَدٗا وَزُيِّنَ ذَٰلِكَ فِي قُلُوبِكُمۡ وَظَنَنتُمۡ ظَنَّ ٱلسَّوۡءِ وَكُنتُمۡ قَوۡمَۢا بُورٗا
না, তোমরা ভেবেছিলে যে রসূল ও মুমিনগণ আর কখনো তাদের পরিবারবর্গের কাছে ফিরে আসতে পারবে না, আর এইটি তোমাদের অন্তরে প্রীতিকর মনে হয়েছিল, আর তোমরা ভ্রান্তধারণা ধারণা করেছিল, আর তোমরা তো ছিলে এক ধ্বংসমুখী জাতি।’’
Surah Al-Fath, Verse 12
وَمَن لَّمۡ يُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ فَإِنَّآ أَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ سَعِيرٗا
আর যে কেউ আল্লাহ্তে ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস করে না আমরা তো অবশ্যই অবিশ্বাসীদের জন্য তৈরি করেছি জ্বলন্ত আগুন।
Surah Al-Fath, Verse 13
وَلِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ يَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
আর মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্র। তিনি যাকে ইচ্ছা করেন পরিত্রাণ করেন এবং শাস্তি দেন যাকে ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল, অফুরন্ত ফলদাতা।
Surah Al-Fath, Verse 14
سَيَقُولُ ٱلۡمُخَلَّفُونَ إِذَا ٱنطَلَقۡتُمۡ إِلَىٰ مَغَانِمَ لِتَأۡخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعۡكُمۡۖ يُرِيدُونَ أَن يُبَدِّلُواْ كَلَٰمَ ٱللَّهِۚ قُل لَّن تَتَّبِعُونَا كَذَٰلِكُمۡ قَالَ ٱللَّهُ مِن قَبۡلُۖ فَسَيَقُولُونَ بَلۡ تَحۡسُدُونَنَاۚ بَلۡ كَانُواْ لَا يَفۡقَهُونَ إِلَّا قَلِيلٗا
তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদের উদ্দেশ্যে যাত্রা কর তা হস্তগত করার জন্যে তখন পেছনে-পড়ে-থাকা লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে বলবে -- ''আমাদের অনুমতি দাও যাতে আমরা তোমাদের অনুগমন করতে পারি।’’ তারা আল্লাহ্র কালাম বদলাতে চায়। তুমি বলো -- ''তোমরা কিছুতেই আমাদের অনুগমন করবে না, আল্লাহ্ ইতিপূর্বেও এমনটাই বলেছিলেন।’’ তাতে তারা সঙ্গে সঙ্গে বলবে -- ''বরং তোমরা আমাদের ঈর্ষা করছ।’’ বস্তুত তারা যৎসামান্য ছাড়া বোঝে না।
Surah Al-Fath, Verse 15
قُل لِّلۡمُخَلَّفِينَ مِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ سَتُدۡعَوۡنَ إِلَىٰ قَوۡمٍ أُوْلِي بَأۡسٖ شَدِيدٖ تُقَٰتِلُونَهُمۡ أَوۡ يُسۡلِمُونَۖ فَإِن تُطِيعُواْ يُؤۡتِكُمُ ٱللَّهُ أَجۡرًا حَسَنٗاۖ وَإِن تَتَوَلَّوۡاْ كَمَا تَوَلَّيۡتُم مِّن قَبۡلُ يُعَذِّبۡكُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا
বেদুইনদের যারা পেছনে রয়ে গিয়েছিল তাদের বল -- ''শীঘ্রই তোমাদের ডাক দেওয়া হবে এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির বিরুদ্ধে, তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা আত্মসমর্পণ করে, তখন যদি তোমরা আজ্ঞাপালন কর, তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের প্রদান করবেন এক উত্তম প্রতিদান। কিন্তু যদি তোমরা ফিরে যাও যেমন আগের দিনে তোমরা ফিরে যেতে, তাহলে তিনি তোমাদের শায়েস্তা করবেন মর্মন্তুদ শাস্তিতে।
Surah Al-Fath, Verse 16
لَّيۡسَ عَلَى ٱلۡأَعۡمَىٰ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡأَعۡرَجِ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡمَرِيضِ حَرَجٞۗ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدۡخِلۡهُ جَنَّـٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ وَمَن يَتَوَلَّ يُعَذِّبۡهُ عَذَابًا أَلِيمٗا
অন্ধের জন্য কোনো অপরাধ নেই, আর খোঁড়ার জন্যেও কোনো অপরাধ নেই, আর রোগীর জন্যেও কোনো দোষ নেই। আর যে কেউ আল্লাহ্র ও তাঁর রসূলের আজ্ঞাপালন করে তাদের তিনি প্রবেশ করাবেন বাগানসমূহে যাদের নিচে দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি, কিন্তু যে কেউ ফিরে যায় তিনি তাকে শায়েস্তা করবেন মর্মন্তুদ শাস্তিতে।
Surah Al-Fath, Verse 17
۞لَّقَدۡ رَضِيَ ٱللَّهُ عَنِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ يُبَايِعُونَكَ تَحۡتَ ٱلشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ فَأَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ عَلَيۡهِمۡ وَأَثَٰبَهُمۡ فَتۡحٗا قَرِيبٗا
আল্লাহ্ তো মুমিনদের প্রতি সন্তষ্ট হয়েই ছিলেন যখন তারা গাছতলাতে তোমার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করল, আর তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি জানতেন, সেজন্য তাদের উপরে তিনি প্রশান্তি বর্ষণ করলেন, আর তিনি তাদের পুরস্কার দিয়েছিলেন এক আসন্ন বিজয়
Surah Al-Fath, Verse 18
وَمَغَانِمَ كَثِيرَةٗ يَأۡخُذُونَهَاۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا
আর প্রচুর যুদ্ধেলব্ধ সম্পদ, তারা তা হস্তগত করবে। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Surah Al-Fath, Verse 19
وَعَدَكُمُ ٱللَّهُ مَغَانِمَ كَثِيرَةٗ تَأۡخُذُونَهَا فَعَجَّلَ لَكُمۡ هَٰذِهِۦ وَكَفَّ أَيۡدِيَ ٱلنَّاسِ عَنكُمۡ وَلِتَكُونَ ءَايَةٗ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ وَيَهۡدِيَكُمۡ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا
আল্লাহ্ তোমাদের জন্য ওয়াদা করছেন প্রচুর যুদ্ধেলব্ধ সম্পদ, তোমরা তা হস্তগত করবে, আর তোমাদের জন্য তিনি ত্বরান্বিত করেছেন এইটি, ফলে লোকেদের হাত তোমাদের থেকে তিনি ঠেকিয়ে রেখেছেন, আর যেন এটি মুমিনদের জন্য একটি নিদর্শন হতে পারে, আর যাতে তিনি তোমাদের পরিচালিত করতে পারেন সহজ-সঠিক পথে
Surah Al-Fath, Verse 20
وَأُخۡرَىٰ لَمۡ تَقۡدِرُواْ عَلَيۡهَا قَدۡ أَحَاطَ ٱللَّهُ بِهَاۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٗا
আর অন্যান্য যে গুলোর উপরে তোমরা এখনও কবজা করতে পার নি, আল্লাহ্ এগুলোকে ঘিরে রেখেছেন। আর আল্লাহ্ সব- কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান ।
Surah Al-Fath, Verse 21
وَلَوۡ قَٰتَلَكُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَوَلَّوُاْ ٱلۡأَدۡبَٰرَ ثُمَّ لَا يَجِدُونَ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرٗا
আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা যদিও বা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে নিশ্চয় তারা পিঠ ফেরাবে, তারপরে তারা পাবে না কোনো বন্ধুবান্ধব, আর না কোনো সাহায্যকারী।
Surah Al-Fath, Verse 22
سُنَّةَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي قَدۡ خَلَتۡ مِن قَبۡلُۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ ٱللَّهِ تَبۡدِيلٗا
আল্লাহ্র নিয়ম-নীতি যা ইতিপূর্বে গত হয়ে গেছে, আর আল্লাহ্র নিয়ম-নীতিতে তোমরা কখনো কোনো পরিবর্তন পাবে না।
Surah Al-Fath, Verse 23
وَهُوَ ٱلَّذِي كَفَّ أَيۡدِيَهُمۡ عَنكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ عَنۡهُم بِبَطۡنِ مَكَّةَ مِنۢ بَعۡدِ أَنۡ أَظۡفَرَكُمۡ عَلَيۡهِمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرًا
আর তিনিই সেইজন যিনি মক্কা উপত্যকায় তাদের হাতগুলো তোমাদের থেকে আর তোমাদের হাতগুলো তাদের থেকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন, তাদের উপরে তিনি তোমাদের বিজয় দান করার পরে। আর তোমরা যা করছ আল্লাহ্ সে-সবের সম্যক দ্রষ্টা।
Surah Al-Fath, Verse 24
هُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّوكُمۡ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَٱلۡهَدۡيَ مَعۡكُوفًا أَن يَبۡلُغَ مَحِلَّهُۥۚ وَلَوۡلَا رِجَالٞ مُّؤۡمِنُونَ وَنِسَآءٞ مُّؤۡمِنَٰتٞ لَّمۡ تَعۡلَمُوهُمۡ أَن تَطَـُٔوهُمۡ فَتُصِيبَكُم مِّنۡهُم مَّعَرَّةُۢ بِغَيۡرِ عِلۡمٖۖ لِّيُدۡخِلَ ٱللَّهُ فِي رَحۡمَتِهِۦ مَن يَشَآءُۚ لَوۡ تَزَيَّلُواْ لَعَذَّبۡنَا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابًا أَلِيمًا
এরাই তারা যারা অবিশ্বাস পোষণ করেছিল এবং তোমাদের বাধা দিয়েছিল পবিত্র মসজিদ থেকে, আর উৎসর্গীকৃত পশুদের বাধা দিয়েছিল তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে। আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা যদি না থাকতো তাহলে তাদের তোমরা না-জেনে তাদের দলিত করতে, ফলে তাদের কারণে অজানিতভাবে এক নিন্দনীয় অপরাধ তোমাদের পাকড়াতো, এ-জন্য যে আল্লাহ্ যেন যাকে ইচ্ছা করেন তাঁর করুণার মধ্যে দাখিল করতে পারেন। তারা যদি আলাদা হয়ে থাকত তাহলে তাদের মধ্যের যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের আমরা নিশ্চয় শাস্তি দিতাম মর্মন্তুদ শাস্তিতে।
Surah Al-Fath, Verse 25
إِذۡ جَعَلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فِي قُلُوبِهِمُ ٱلۡحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ فَأَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَعَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَأَلۡزَمَهُمۡ كَلِمَةَ ٱلتَّقۡوَىٰ وَكَانُوٓاْ أَحَقَّ بِهَا وَأَهۡلَهَاۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٗا
যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা যখন তাদের অন্তরে গোঁ ধরেছিল -- অজ্ঞতার যুগের গোঁয়ার্তুমি -- তখন আল্লাহ্ তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করেছিলেন তাঁর রসূলের উপরে ও মুমিনদের উপরে, আর ধর্মনিষ্ঠার নীতিতে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত রাখলেন, বস্তুত তারা এর জন্য নায্য দাবিদার ছিল ও এর উপযুক্ত ছিল, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞাতা।
Surah Al-Fath, Verse 26
لَّقَدۡ صَدَقَ ٱللَّهُ رَسُولَهُ ٱلرُّءۡيَا بِٱلۡحَقِّۖ لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَۖ فَعَلِمَ مَا لَمۡ تَعۡلَمُواْ فَجَعَلَ مِن دُونِ ذَٰلِكَ فَتۡحٗا قَرِيبًا
আল্লাহ্ আলবৎ তাঁর রসূলের জন্য দৈবদর্শনটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত করেছেন। তোমরা সুনিশ্চিত পবিত্র মসজিদে ইন-শা আল্লাহ্ প্রবেশ করবে নিরাপত্তার সাথে, তোমাদের মস্তক মুন্ডন ক’রে ও চুল কেটে, তোমরা ভয় না ক’রে। কিন্তু তিনি জানেন যা তোমরা জান না, সেজন্য এইটি ছাড়াও তিনি সংঘটিত করেছেন এক আসন্ন বিজয়।
Surah Al-Fath, Verse 27
هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ لِيُظۡهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدٗا
তিনিই সেইজন যিনি তাঁর রসূলকে পাঠিয়েছেন পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মের সাথে যেন তিনি একে প্রাধান্য দিতে পারেন ধর্মের -- তাদের সবক’টির উপরে। আর সাক্ষীরূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
Surah Al-Fath, Verse 28
مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطۡـَٔهُۥ فَـَٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ مِنۡهُم مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا
মুহাম্মদ আল্লাহ্র রসূল, আর যারা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তারা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে কোমলভাবাপন্ন, তুমি তাদের দেখতে পাবে তারা আল্লাহ্র কাছ থেকে করুণাভান্ডার ও সন্তষ্টি কামনা ক’রে রুকু করছে সিজদা করছে। তাদের পরিচায়ক হচ্ছে তাদের মুখমন্ডলের উপরে সিজদার ছাপের মধ্যে। এমনটাই তাদের উদাহরণ তওরাতে এবং তাদের উদাহরণ ইঞ্জিলেও, -- বপন করা শস্যবীজের মতো যা তার অঙ্কুর উদগত করে, তারপর তাকে শক্ত করে, তারপর তা পুষ্ট হয়, তারপর তা খাড়া হয় তার কান্ডের উপরে, -- বপনকারীদের আনন্দবর্ধন করে, তিনি যেন তাদের কারণে অবিশ্বাসীদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে আল্লাহ্ তাদের মধ্যের লোকজনকে ওয়াদা করেছেন পরিত্রাণ ও এক মহান প্রতিদান।
Surah Al-Fath, Verse 29