Surah An-Naba - Bengali Translation by Muhiuddin Khan
عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ
তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে
Surah An-Naba, Verse 1
عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلۡعَظِيمِ
মহা সংবাদ সম্পর্কে
Surah An-Naba, Verse 2
ٱلَّذِي هُمۡ فِيهِ مُخۡتَلِفُونَ
যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে।
Surah An-Naba, Verse 3
كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ
না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে
Surah An-Naba, Verse 4
ثُمَّ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ
অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
Surah An-Naba, Verse 5
أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ مِهَٰدٗا
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
Surah An-Naba, Verse 6
وَٱلۡجِبَالَ أَوۡتَادٗا
এবং পর্বতমালাকে পেরেক
Surah An-Naba, Verse 7
وَخَلَقۡنَٰكُمۡ أَزۡوَٰجٗا
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি
Surah An-Naba, Verse 8
وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী
Surah An-Naba, Verse 9
وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا
রাত্রিকে করেছি আবরণ।
Surah An-Naba, Verse 10
وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا
দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়
Surah An-Naba, Verse 11
وَبَنَيۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعٗا شِدَادٗا
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।
Surah An-Naba, Verse 12
وَجَعَلۡنَا سِرَاجٗا وَهَّاجٗا
এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি।
Surah An-Naba, Verse 13
وَأَنزَلۡنَا مِنَ ٱلۡمُعۡصِرَٰتِ مَآءٗ ثَجَّاجٗا
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি
Surah An-Naba, Verse 14
لِّنُخۡرِجَ بِهِۦ حَبّٗا وَنَبَاتٗا
যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
Surah An-Naba, Verse 15
وَجَنَّـٰتٍ أَلۡفَافًا
ও পাতাঘন উদ্যান।
Surah An-Naba, Verse 16
إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ كَانَ مِيقَٰتٗا
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে।
Surah An-Naba, Verse 17
يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِ فَتَأۡتُونَ أَفۡوَاجٗا
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
Surah An-Naba, Verse 18
وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ أَبۡوَٰبٗا
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে।
Surah An-Naba, Verse 19
وَسُيِّرَتِ ٱلۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে।
Surah An-Naba, Verse 20
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে
Surah An-Naba, Verse 21
لِّلطَّـٰغِينَ مَـَٔابٗا
সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।
Surah An-Naba, Verse 22
لَّـٰبِثِينَ فِيهَآ أَحۡقَابٗا
তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
Surah An-Naba, Verse 23
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرۡدٗا وَلَا شَرَابًا
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না
Surah An-Naba, Verse 24
إِلَّا حَمِيمٗا وَغَسَّاقٗا
কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে।
Surah An-Naba, Verse 25
جَزَآءٗ وِفَاقًا
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
Surah An-Naba, Verse 26
إِنَّهُمۡ كَانُواْ لَا يَرۡجُونَ حِسَابٗا
নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
Surah An-Naba, Verse 27
وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا كِذَّابٗا
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত।
Surah An-Naba, Verse 28
وَكُلَّ شَيۡءٍ أَحۡصَيۡنَٰهُ كِتَٰبٗا
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
Surah An-Naba, Verse 29
فَذُوقُواْ فَلَن نَّزِيدَكُمۡ إِلَّا عَذَابًا
অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
Surah An-Naba, Verse 30
إِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ مَفَازًا
পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য।
Surah An-Naba, Verse 31
حَدَآئِقَ وَأَعۡنَٰبٗا
উদ্যান, আঙ্গুর
Surah An-Naba, Verse 32
وَكَوَاعِبَ أَتۡرَابٗا
সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।
Surah An-Naba, Verse 33
وَكَأۡسٗا دِهَاقٗا
এবং পূর্ণ পানপাত্র।
Surah An-Naba, Verse 34
لَّا يَسۡمَعُونَ فِيهَا لَغۡوٗا وَلَا كِذَّـٰبٗا
তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না।
Surah An-Naba, Verse 35
جَزَآءٗ مِّن رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابٗا
এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান
Surah An-Naba, Verse 36
رَّبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا ٱلرَّحۡمَٰنِۖ لَا يَمۡلِكُونَ مِنۡهُ خِطَابٗا
যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না।
Surah An-Naba, Verse 37
يَوۡمَ يَقُومُ ٱلرُّوحُ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ صَفّٗاۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنۡ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحۡمَٰنُ وَقَالَ صَوَابٗا
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।
Surah An-Naba, Verse 38
ذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمُ ٱلۡحَقُّۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ مَـَٔابًا
এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক।
Surah An-Naba, Verse 39
إِنَّآ أَنذَرۡنَٰكُمۡ عَذَابٗا قَرِيبٗا يَوۡمَ يَنظُرُ ٱلۡمَرۡءُ مَا قَدَّمَتۡ يَدَاهُ وَيَقُولُ ٱلۡكَافِرُ يَٰلَيۡتَنِي كُنتُ تُرَٰبَۢا
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।
Surah An-Naba, Verse 40