Surah An-Naba - Bengali Translation by Zohurul Hoque
عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ
কি সন্বন্ধে তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে
Surah An-Naba, Verse 1
عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلۡعَظِيمِ
সেই মহাসংবাদ সন্বন্ধে
Surah An-Naba, Verse 2
ٱلَّذِي هُمۡ فِيهِ مُخۡتَلِفُونَ
যে বিষয়ে তারা মতানৈক্যের মধ্যে রয়েছে।
Surah An-Naba, Verse 3
كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ
না, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
Surah An-Naba, Verse 4
ثُمَّ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ
পুনশ্চ, না, তারা অতিশীঘ্রই জানতে পারবে।
Surah An-Naba, Verse 5
أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ مِهَٰدٗا
আমরা কি পৃথিবীটাকে পাতানো-বিছানারূপে বানাই নি
Surah An-Naba, Verse 6
وَٱلۡجِبَالَ أَوۡتَادٗا
আর পাহাড়-পর্বতকে খুটিরূঁপে
Surah An-Naba, Verse 7
وَخَلَقۡنَٰكُمۡ أَزۡوَٰجٗا
আর আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায়-জোড়ায়
Surah An-Naba, Verse 8
وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا
আর তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম
Surah An-Naba, Verse 9
وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا
আর রাতকে করেছি পোশাকস্বরূপ
Surah An-Naba, Verse 10
وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا
আর দিনকে করেছি জীবিকার সংস্থান।
Surah An-Naba, Verse 11
وَبَنَيۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعٗا شِدَادٗا
আর তোমাদের উপরে আমরা বানিয়েছি সাত মজবুত জিনিস
Surah An-Naba, Verse 12
وَجَعَلۡنَا سِرَاجٗا وَهَّاجٗا
আর তৈরি করেছি একটি অত্যুজ্জ্বল প্রদীপ
Surah An-Naba, Verse 13
وَأَنزَلۡنَا مِنَ ٱلۡمُعۡصِرَٰتِ مَآءٗ ثَجَّاجٗا
আর ঝরন্ত-মেঘ থেকে আমরা বর্ষণ করি প্রচুর বৃষ্টি
Surah An-Naba, Verse 14
لِّنُخۡرِجَ بِهِۦ حَبّٗا وَنَبَاتٗا
যেন তার দ্বারা গজাতে পারি শস্য ও গাছপালা
Surah An-Naba, Verse 15
وَجَنَّـٰتٍ أَلۡفَافًا
আর ঘনসন্নিবিষ্ট বাগানসমূহ।
Surah An-Naba, Verse 16
إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ كَانَ مِيقَٰتٗا
নিশ্চয় ফয়সালা করার দিনের এক নির্ধারিত সময়কাল আছে
Surah An-Naba, Verse 17
يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِ فَتَأۡتُونَ أَفۡوَاجٗا
সেইদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন তোমরা আসবে দলে-দলে
Surah An-Naba, Verse 18
وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ أَبۡوَٰبٗا
আর আকাশকে বিদীর্ণ করা হবে, সুতরাং তা হবে বহু-দরজা-বিশিষ্ট।
Surah An-Naba, Verse 19
وَسُيِّرَتِ ٱلۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا
আর পাহাড়গুলো ধসে পড়বে, ফলে তা হবে বালুময়-মরীচিকা।
Surah An-Naba, Verse 20
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا
নিঃসন্দেহ জাহান্নাম -- তা প্রতীক্ষায় রয়েছে
Surah An-Naba, Verse 21
لِّلطَّـٰغِينَ مَـَٔابٗا
সীমালংঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল
Surah An-Naba, Verse 22
لَّـٰبِثِينَ فِيهَآ أَحۡقَابٗا
সেখানে তারা অবস্থান করবে যুগ যুগ ধরে।
Surah An-Naba, Verse 23
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرۡدٗا وَلَا شَرَابًا
তারা সেখানে স্বাদ গ্রহণ করবে না শীতলতার, না কোনো পানীয়ের
Surah An-Naba, Verse 24
إِلَّا حَمِيمٗا وَغَسَّاقٗا
শুধু ফুটন্ত জল ও হিমশীতল পানীয় ব্যতীত
Surah An-Naba, Verse 25
جَزَآءٗ وِفَاقًا
এক যথাযথ প্রতিদান।
Surah An-Naba, Verse 26
إِنَّهُمۡ كَانُواْ لَا يَرۡجُونَ حِسَابٗا
নিঃসন্দেহ তারা হিসাবের কথা ভাবে নি
Surah An-Naba, Verse 27
وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا كِذَّابٗا
আর আমাদের বাণীসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছিল জোর প্রত্যাখ্যানে।
Surah An-Naba, Verse 28
وَكُلَّ شَيۡءٍ أَحۡصَيۡنَٰهُ كِتَٰبٗا
আর সব-কিছুই -- আমরা তা লিখিতভাবে সংরক্ষণ করছি
Surah An-Naba, Verse 29
فَذُوقُواْ فَلَن نَّزِيدَكُمۡ إِلَّا عَذَابًا
সুতরাং স্বাদ গ্রহণ করো, আমরা তোমাদের বাড়িয়ে দেবো না শাস্তি ব্যতীত।
Surah An-Naba, Verse 30
إِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ مَفَازًا
ধর্মভীরুদের জন্য নিশ্চয়ই রয়েছে মহাসাফল্য
Surah An-Naba, Verse 31
حَدَآئِقَ وَأَعۡنَٰبٗا
ফলের বাগান ও আঙুর
Surah An-Naba, Verse 32
وَكَوَاعِبَ أَتۡرَابٗا
আর সমবয়স্ক ফুটফুটে কিশোর
Surah An-Naba, Verse 33
وَكَأۡسٗا دِهَاقٗا
আর পরিপূর্ণ পানপাত্র।
Surah An-Naba, Verse 34
لَّا يَسۡمَعُونَ فِيهَا لَغۡوٗا وَلَا كِذَّـٰبٗا
তারা সেখানে খেলো কথা শুনবে না, আর মিথ্যাকথাও নয়।
Surah An-Naba, Verse 35
جَزَآءٗ مِّن رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابٗا
তোমার প্রভুর কাছ থেকে প্রতিফল, -- হিসাবমতো পুরস্কার
Surah An-Naba, Verse 36
رَّبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا ٱلرَّحۡمَٰنِۖ لَا يَمۡلِكُونَ مِنۡهُ خِطَابٗا
মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর এবং তাদের মধ্যে যা-কিছু আছে তার প্রভু, পরম করুণাময়, তাঁর কাছে বক্তব্য রাখার কোনো ক্ষমতা তারা রাখে না।
Surah An-Naba, Verse 37
يَوۡمَ يَقُومُ ٱلرُّوحُ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ صَفّٗاۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنۡ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحۡمَٰنُ وَقَالَ صَوَابٗا
সেইদিন আর-রূহ ও ফিরিশ্তাগণ সারবেঁধে দাঁড়াবে, পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দেবেন সে ব্যতীত তাদের কেউ কথা বলতে পারবে না, আর সে সঠিক কথা বলবে।
Surah An-Naba, Verse 38
ذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمُ ٱلۡحَقُّۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ مَـَٔابًا
এইটাই মহাসত্যের দিন। অতএব যে কেউ চায় সে তার প্রভুর কাছে আশ্রয়স্থল খুঁজুক।
Surah An-Naba, Verse 39
إِنَّآ أَنذَرۡنَٰكُمۡ عَذَابٗا قَرِيبٗا يَوۡمَ يَنظُرُ ٱلۡمَرۡءُ مَا قَدَّمَتۡ يَدَاهُ وَيَقُولُ ٱلۡكَافِرُ يَٰلَيۡتَنِي كُنتُ تُرَٰبَۢا
নিশ্চয় আমরা তোমাদের সতর্ক করছি এক নিকটবর্তী শাস্তি সন্বন্ধে, -- যেদিন মানুষ দেখতে পাবে তার হাত দুখানা কী আগবাড়িয়েছে, আর অবিশ্বাসী ব্যক্তি বলবে -- ''হায় আমার আফসোস! আমি যদি ধুলো হয়ে যেতাম!’’
Surah An-Naba, Verse 40