Surah An-Naziat - Bengali Translation by Zohurul Hoque
وَٱلنَّـٰزِعَٰتِ غَرۡقٗا
ভাবো প্রচেষ্টাকারীদের প্রচন্ড-প্রচেষ্টার কথা
Surah An-Naziat, Verse 1
وَٱلنَّـٰشِطَٰتِ نَشۡطٗا
আর ক্ষিপ্রগামীদের ত্বরিত এগুনোয়
Surah An-Naziat, Verse 2
وَٱلسَّـٰبِحَٰتِ سَبۡحٗا
আর সন্তরণকারীদের দ্রত সন্তরণে
Surah An-Naziat, Verse 3
فَٱلسَّـٰبِقَٰتِ سَبۡقٗا
আর অগ্রগামীরা এগিয়েই চলেছে
Surah An-Naziat, Verse 4
فَٱلۡمُدَبِّرَٰتِ أَمۡرٗا
তারপর ঘটনানিয়ন্ত্রণকারীদের কথা
Surah An-Naziat, Verse 5
يَوۡمَ تَرۡجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ
সেদিন স্পন্দিত হবে বিরাট স্পন্দনে
Surah An-Naziat, Verse 6
تَتۡبَعُهَا ٱلرَّادِفَةُ
পরবর্তী ঘটনা তাকে অনুসরণ করবেই।
Surah An-Naziat, Verse 7
قُلُوبٞ يَوۡمَئِذٖ وَاجِفَةٌ
হৃদয় সেদিন সন্ত্রস্ত হবে
Surah An-Naziat, Verse 8
أَبۡصَٰرُهَا خَٰشِعَةٞ
তাদের চোখ হবে অবনত।
Surah An-Naziat, Verse 9
يَقُولُونَ أَءِنَّا لَمَرۡدُودُونَ فِي ٱلۡحَافِرَةِ
তারা বলছে -- ''আমরা কি সত্যিই প্রথমাবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হব
Surah An-Naziat, Verse 10
أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا نَّخِرَةٗ
যখন আমরা গলা-পচা হাড্ডি হয়ে যাব তখনও?’’
Surah An-Naziat, Verse 11
قَالُواْ تِلۡكَ إِذٗا كَرَّةٌ خَاسِرَةٞ
তারা বলে -- ''তাই যদি হয় তবে এ হবে সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন।’’
Surah An-Naziat, Verse 12
فَإِنَّمَا هِيَ زَجۡرَةٞ وَٰحِدَةٞ
কিন্ত এটি নিশ্চয়ই হবে একটি মহাগর্জন
Surah An-Naziat, Verse 13
فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ
তখন দেখো! তারা হবে জাগ্রত।
Surah An-Naziat, Verse 14
هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ
তোমার কাছে মূসার কাহিনী পৌঁছেছে কি
Surah An-Naziat, Verse 15
إِذۡ نَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلۡوَادِ ٱلۡمُقَدَّسِ طُوًى
যখন তাঁর প্রভু তাঁকে আহ্বান করেছিলেন পবিত্র উপত্যকা 'তুওয়া’তে
Surah An-Naziat, Verse 16
ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ
ফিরআউনের কাছে যাও, সে নিশ্চয়ই বিদ্রোহ করেছে
Surah An-Naziat, Verse 17
فَقُلۡ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ
তারপর বলো -- 'তোমার কি আগ্রহ আছে যে তুমি পবিত্র হও?’
Surah An-Naziat, Verse 18
وَأَهۡدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخۡشَىٰ
আমি তাহলে তোমাকে তোমার প্রভুর দিকে পরিচালিত করব যেন তুমি ভয় করো’।’’
Surah An-Naziat, Verse 19
فَأَرَىٰهُ ٱلۡأٓيَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰ
তারপর তিনি তাকে দেখালেন একটি বিরাট নিদর্শন।
Surah An-Naziat, Verse 20
فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ
কিন্ত সে মিথ্যা আরোপ করল ও অবাধ্য হল।
Surah An-Naziat, Verse 21
ثُمَّ أَدۡبَرَ يَسۡعَىٰ
তারপর সে চলে গেল প্রচেষ্টা চালাতে
Surah An-Naziat, Verse 22
فَحَشَرَ فَنَادَىٰ
তারপর সে জড়ো করল এবং ঘোষণা করলো
Surah An-Naziat, Verse 23
فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلۡأَعۡلَىٰ
এবং বললো -- ''আমিই তোমাদের প্রভু, সর্বোচ্চ।’’
Surah An-Naziat, Verse 24
فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلۡأٓخِرَةِ وَٱلۡأُولَىٰٓ
সেজন্য আল্লাহ্ তাকে পাকড়াও করলেন পরকালের ও পূর্বের জীবনের দৃষ্টান্ত বানিয়ে।
Surah An-Naziat, Verse 25
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰٓ
নিঃসন্দেহ এতে বাস্তব শিক্ষা রয়েছে তার জন্য যে ভয় করে।
Surah An-Naziat, Verse 26
ءَأَنتُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَىٰهَا
তোমরা কি সৃষ্টিতে কঠিনতর, না মহাকাশ? তিনিই এ-সব বানিয়েছেন।
Surah An-Naziat, Verse 27
رَفَعَ سَمۡكَهَا فَسَوَّىٰهَا
তিনি এর উচ্চতা উন্নীত করেছেন, আর তাকে সুবিন্যস্ত করেছেন
Surah An-Naziat, Verse 28
وَأَغۡطَشَ لَيۡلَهَا وَأَخۡرَجَ ضُحَىٰهَا
আর এর রাতকে তিনি অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন, আর বের করে এনেছেন এর দিবালোক।
Surah An-Naziat, Verse 29
وَٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ
আর পৃথিবী -- এর পরে তাকে প্রসারিত করেছেন।
Surah An-Naziat, Verse 30
أَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَمَرۡعَىٰهَا
এর থেকে তিনি বের করেছেন তার জল, আর তার চারণভূমি।
Surah An-Naziat, Verse 31
وَٱلۡجِبَالَ أَرۡسَىٰهَا
আর পাহাড়-পর্বত -- তিনি তাদের মজবুতভাবে বসিয়ে দিয়েছেন
Surah An-Naziat, Verse 32
مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِأَنۡعَٰمِكُمۡ
তোমাদের জন্য ও তোমাদের গবাদি-পশুর জন্য খাদ্যের আয়োজন।
Surah An-Naziat, Verse 33
فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلۡكُبۡرَىٰ
তারপর যখন ভীষণ দুর্বিপাক আসবে
Surah An-Naziat, Verse 34
يَوۡمَ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ
সেইদিন মানুষ স্মরণ করবে যার জন্য সে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল
Surah An-Naziat, Verse 35
وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ
আর ভয়ংকর আগুন দৃষ্টিগোচর করানো হবে যে দেখে তার জন্য।
Surah An-Naziat, Verse 36
فَأَمَّا مَن طَغَىٰ
তাছাড়া তার ক্ষেত্রে যে সীমালংঘন করেছে
Surah An-Naziat, Verse 37
وَءَاثَرَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا
এবং দুনিয়ার জীবনকেই বেছে নিয়েছে
Surah An-Naziat, Verse 38
فَإِنَّ ٱلۡجَحِيمَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ
সেক্ষেত্রে অবশ্য ভয়ংকর আগুন, -- সেটাই তো বাসস্থান।
Surah An-Naziat, Verse 39
وَأَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفۡسَ عَنِ ٱلۡهَوَىٰ
পক্ষান্তরে যে তার প্রভুর সামনে দাঁড়াতে ভয় করে এবং আত্মাকে কামনা-বাসনা থেকে নিবৃত্ত রাখে
Surah An-Naziat, Verse 40
فَإِنَّ ٱلۡجَنَّةَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ
সেক্ষেত্রে অবশ্য জান্নাত, -- সেটাই তো বাসস্থান।
Surah An-Naziat, Verse 41
يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَا
তারা ঘড়ি-ঘান্টা সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে -- কখন তার আগমন হবে?’’
Surah An-Naziat, Verse 42
فِيمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَآ
এ-সন্বন্ধে বলবার মতো তোমার কী আছে
Surah An-Naziat, Verse 43
إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ
এর চরম সীমা রয়েছে তোমার প্রভুর নিকট।
Surah An-Naziat, Verse 44
إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخۡشَىٰهَا
তুমি তো শুধু সতর্ককারী তার জন্য যে এ-সন্বন্ধে ভয় করে।
Surah An-Naziat, Verse 45
كَأَنَّهُمۡ يَوۡمَ يَرَوۡنَهَا لَمۡ يَلۡبَثُوٓاْ إِلَّا عَشِيَّةً أَوۡ ضُحَىٰهَا
যেদিন তারা একে দেখবে সেদিন যেন তারা মাত্র এক সন্ধ্যাবেলা বা তার প্রভাতকাল ব্যতীত অবস্থান করে নি।
Surah An-Naziat, Verse 46