Surah An-Naziat - Bengali Translation by Muhiuddin Khan
وَٱلنَّـٰزِعَٰتِ غَرۡقٗا
শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে
Surah An-Naziat, Verse 1
وَٱلنَّـٰشِطَٰتِ نَشۡطٗا
শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে
Surah An-Naziat, Verse 2
وَٱلسَّـٰبِحَٰتِ سَبۡحٗا
শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে
Surah An-Naziat, Verse 3
فَٱلسَّـٰبِقَٰتِ سَبۡقٗا
শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং
Surah An-Naziat, Verse 4
فَٱلۡمُدَبِّرَٰتِ أَمۡرٗا
শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে।
Surah An-Naziat, Verse 5
يَوۡمَ تَرۡجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ
যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী
Surah An-Naziat, Verse 6
تَتۡبَعُهَا ٱلرَّادِفَةُ
অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী
Surah An-Naziat, Verse 7
قُلُوبٞ يَوۡمَئِذٖ وَاجِفَةٌ
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে।
Surah An-Naziat, Verse 8
أَبۡصَٰرُهَا خَٰشِعَةٞ
তাদের দৃষ্টি নত হবে।
Surah An-Naziat, Verse 9
يَقُولُونَ أَءِنَّا لَمَرۡدُودُونَ فِي ٱلۡحَافِرَةِ
তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই
Surah An-Naziat, Verse 10
أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا نَّخِرَةٗ
গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও
Surah An-Naziat, Verse 11
قَالُواْ تِلۡكَ إِذٗا كَرَّةٌ خَاسِرَةٞ
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে
Surah An-Naziat, Verse 12
فَإِنَّمَا هِيَ زَجۡرَةٞ وَٰحِدَةٞ
অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ
Surah An-Naziat, Verse 13
فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
Surah An-Naziat, Verse 14
هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি
Surah An-Naziat, Verse 15
إِذۡ نَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلۡوَادِ ٱلۡمُقَدَّسِ طُوًى
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন
Surah An-Naziat, Verse 16
ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ
ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।
Surah An-Naziat, Verse 17
فَقُلۡ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ
অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি
Surah An-Naziat, Verse 18
وَأَهۡدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخۡشَىٰ
আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।
Surah An-Naziat, Verse 19
فَأَرَىٰهُ ٱلۡأٓيَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰ
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
Surah An-Naziat, Verse 20
فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ
কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল।
Surah An-Naziat, Verse 21
ثُمَّ أَدۡبَرَ يَسۡعَىٰ
অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
Surah An-Naziat, Verse 22
فَحَشَرَ فَنَادَىٰ
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল
Surah An-Naziat, Verse 23
فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلۡأَعۡلَىٰ
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।
Surah An-Naziat, Verse 24
فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلۡأٓخِرَةِ وَٱلۡأُولَىٰٓ
অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।
Surah An-Naziat, Verse 25
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰٓ
যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।
Surah An-Naziat, Verse 26
ءَأَنتُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَىٰهَا
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন
Surah An-Naziat, Verse 27
رَفَعَ سَمۡكَهَا فَسَوَّىٰهَا
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
Surah An-Naziat, Verse 28
وَأَغۡطَشَ لَيۡلَهَا وَأَخۡرَجَ ضُحَىٰهَا
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
Surah An-Naziat, Verse 29
وَٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।
Surah An-Naziat, Verse 30
أَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَمَرۡعَىٰهَا
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন
Surah An-Naziat, Verse 31
وَٱلۡجِبَالَ أَرۡسَىٰهَا
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন
Surah An-Naziat, Verse 32
مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِأَنۡعَٰمِكُمۡ
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।
Surah An-Naziat, Verse 33
فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلۡكُبۡرَىٰ
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।
Surah An-Naziat, Verse 34
يَوۡمَ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ
অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে
Surah An-Naziat, Verse 35
وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ
এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে
Surah An-Naziat, Verse 36
فَأَمَّا مَن طَغَىٰ
তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে
Surah An-Naziat, Verse 37
وَءَاثَرَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে
Surah An-Naziat, Verse 38
فَإِنَّ ٱلۡجَحِيمَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
Surah An-Naziat, Verse 39
وَأَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفۡسَ عَنِ ٱلۡهَوَىٰ
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে
Surah An-Naziat, Verse 40
فَإِنَّ ٱلۡجَنَّةَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ
তার ঠিকানা হবে জান্নাত।
Surah An-Naziat, Verse 41
يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَا
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে
Surah An-Naziat, Verse 42
فِيمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَآ
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক
Surah An-Naziat, Verse 43
إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।
Surah An-Naziat, Verse 44
إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخۡشَىٰهَا
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।
Surah An-Naziat, Verse 45
كَأَنَّهُمۡ يَوۡمَ يَرَوۡنَهَا لَمۡ يَلۡبَثُوٓاْ إِلَّا عَشِيَّةً أَوۡ ضُحَىٰهَا
যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে।
Surah An-Naziat, Verse 46